শেয়ার বাজার
শেয়ার বাজার কি | শেয়ার বাজার কিভাবে কাজ করে?
আপনি কি শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানতে চান? আপনি কি আৱোও জানতে চান শেয়ার বাজার অর্থ কি? আমরা আপনাদেরকে জানাবো শেয়ার বাজার কি এবং stock market সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য।
শেয়ার বাজার ইংরেজি হলো ‘share market’। শেয়ার বাজার মূলত আপনার অতিরিক্ত অর্থ অন্যান্য কোম্পানি সাথে যুক্ত হয় অর্থায়ন করাকে বুঝায়। অতিরিক্ত অর্থায়নের জন্য অনেকে শেয়ারবাজারে কথা চিন্তা করে শেয়ারবাজারের শেয়ার ক্রয় করে থাকেন। কিন্তু শেয়ার বাজার সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনে শেয়ার ক্রয় করা উচিত না। শেয়ারবাজারে একটি কথা সত্য যে, শেয়ার পেলে লাখ টাকা না পেলে কোন টাকাই নেই, মানে কোন আয় নেই। তাই চিন্তাভাবনা করে শেয়ার বাজারের শেয়ার ক্রয় করতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নেই stock market সম্পর্কে।
আরো পড়ুন: ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলা
শেয়ার বাজার কি?
একটি নির্দিষ্ট স্থান যেখানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠান শেয়ার,স্টক,ঋণপত্র, সিকিউরিটি ইত্যাদি কিনা এবং বিক্রয়ের কাজ করে থাকে তাকেই সাধারণত শেয়ারবাজার বলা হয়।
আরেকটু গুছিয়ে বলতে গেলে বলা যায় যে, শেয়ার বাজার হলো একটি নির্দিষ্ট স্থান যেখানে নিয়মিতভাবে কিছুসংখ্যক বিভিন্ন সাধারণ যৌথ মূলধনী কোম্পানি শেয়ার, স্টক, ও ডিবেঞ্চার এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ঋণপত্র ক্রয়-বিক্রয় সম্বন্ধিত লেনদেন সংগঠিত করা হয় সেই স্থানকে শেয়ারবাজার বলা হয়।
বাজার হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে ব্রোকার হাউজের মাধ্যমে শেয়ার বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচাৱ কাজ সম্পাদন করা হয়। সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের share market পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এটি সরাসরি শেয়ারবাজার পরিচালনা করে না।
stock market হলো এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি চাইলে সহজেই বিভিন্ন শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করতে পারেন। অনেকে আবার শেয়ারবাজারকে পুঁজিবাজার হিসেবেও বলে থাকেন। যদিও দালালদের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের শেয়ার কেনাবেচা হয়ে থাকে। কিন্তু stock market ও আবার বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
দেখুন: বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
এক কথায় বলতে গেলে শেয়ার মার্কেট হলো একটি স্টক মার্কেট। এখানে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করে থাকে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। আপনিও চাইলে এইসব কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারেন শেয়ার কেনার মাধ্যমে। শেয়ারের মূল্য ওইসব কম্পানি অগ্রগতির সাথে বৃদ্ধি পাবে। অনেক কারণে একটি শেয়ারের মূল্য প্রভাবিত হয়ে থাকে। কখনো এর দাম বেড়ে যেতে পারে আবার কখনো এর দাম কমে যেতে পারে।
শেয়ার বাজারে সূচক কি?
সূচক হল এমন একটি পরিসংখ্যান পরিমাপ যার মাধ্যমে স্টকের একটি ব্যাচের মান উপস্থাপন করা হয়। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা বাজারের সামগ্রিক অগ্রগতি ট্রাক করতে এই পরিমাপটি ব্যারোমিটার এর মত ব্যবহার করে থাকে।
সুচি নিরূপণ করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে ও পদ্ধতি রয়েছে। সূচক এবং গড় এর মধ্যে পার্থক্য হল ওজন। মধ্যে তুলনামূলক গুরুত্ব যখন তা সূচক এর মধ্যে গণনা করা হয়। সূচক বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। নিচে কয়েকটি বর্ণনা করা হলো।
- মূল্য-ওজন সূচক
- মার্কেট-ভ্যালু ওয়েটেড ইনডেক্স
- ব্রড-ভিত্তিক সূচক
- যৌগিক সূচক
মূল্য-ওজন সূচক: এই ধরনের সূচক গুলি পরিবর্তন হয় শেয়ারের জন্য পৃথক স্টকের দামের পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে।
মার্কেট-ভ্যালু ওয়েটেড ইনডেক্স: মার্কেট ভ্যালু কে আবার মার্কেট ক্যাপ ও বলা যেতে পারে। বাজারের মূলধনের ওপর ভিত্তি করে এই জাতীয় সূচকগুলো স্টকের অনুপাত ক্রিকেট ট্রাক করে। বিভিন্ন বাজার মূল্য যুক্ত ও ওজন যুক্ত সূচক গুলিতে স্টকে মার্কেট ভ্যালু সূচকের বৃহত্তর বাজার ক্যাপ এর কারণে সূচকটির 83% শতাংশ উপস্থাপন করে থাকে।
ব্রড-ভিত্তিক সূচক: মানি ম্যানেজার এবং মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা গুলোর মত বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী পেশাদার তাদের অগ্রগতির তুলনা করার জন্য একটি মানদণ্ড হিসেবে ব্রড ভিত্তিক সূচক কে ব্যবহার করে থাকে। ব্রড ভিত্তিক সূচক এর উদ্দেশ্য হলো পুরো বাজারের একটি স্ন্যাপশট সরবরাহ করা।
যৌগিক সূচক: যৌগিক সূচক হল এমন একটি সূচক বা গড় যা বেশ কয়েকটি গড় বা সূচকের সংমিশ্রণ। উদাহরণ হিসেবে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ কম্পোজিট কে দেখানো যেতে পারে। এটি এনওয়াইএসইতে সমস্ত স্টক ট্র্যাক করে থাকে।
শেয়ার বাজার কিভাবে কাজ করে?
ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি যে শেয়ার বাজার বা স্টক বাজার হলো এমন একটি জায়গা যেখান থেকে আমরা চাইলে শেয়ার বা স্টক কিনতে পারি। বিভিন্ন কোম্পানি গুলোর মালিকানা অধিকার গুলোকে ইউনিট হিসাবে মার্কেটের লিস্ট করা প্রতিটি শেয়ার বা স্টক এর মধ্যে প্রকাশ করে থাকে।
শেয়ার বাজার কিভাবে কাজ করে থাকে তা একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝানো হল। উদাহরণস্বরূপ মনে করুন এবিসিডি একটি কোম্পানি যেটি কিনা 100 ইউনিট শেয়ারের মালিক। আপনি সেই কোম্পানি থেকে 100 শেয়ার ক্রয় করেছেন। আর এই শেয়ার ক্রয়ের কারণেই আপনি এবিসিডি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হয়ে দাঁড়ালেন। আপনি চাইলে আবার যেকোনো সময় এই শেয়ার গুলোকে বিক্রয় করে দিতেও পারেন।
শেয়ার কেনা বলতে বোঝায় হল কোন কোম্পানিতে টাকা ইনভেস্ট করা। আর যেহেতু আপনি শেয়ার কেনার মাধ্যমে কোন কোম্পানিতে ইনভেস্ট করবেন তাই ভবিষ্যতে যদি সেই কোম্পানি উন্নত করে থাকে তাহলে তার লাভের অংশ আপনিও পেয়ে থাকবেন।
শেয়ার বা স্টক যেখানে ক্রয়-বিক্রয় হয় সেটি হল স্টক এক্সচেঞ্জ। এখান থেকেই স্টক গুলো কিনে এবং বিক্রয় করে থাকে বিভিন্ন ধরনের স্টক ব্রোকার ও ট্রেডার্সরা। প্রতিটা বড় বড় দেশেই শেয়ার কেনাবেচা করার জন্য একটি করে স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। বাংলাদেশেও একটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে এটি হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আরেকটি হলো চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ। আবার ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জের নাম হল নেশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া।
দেখুন: E-commerce ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন
এরকম প্রায় সব দেশেই নিজেদের একটি করে স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। শেয়ার বিক্রয় করার জন্য কোম্পানি গুলোকে স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে রেজিস্টার করতে হয়। এমনকি বাংলাদেশের কোম্পানি গুলোকে ও স্টক এক্সচেঞ্জে নিজেকে রেজিস্টার করতে হবে সেখানকার সকল নিয়ম কানুন মেনে।
শেয়ার বাজারে কিভাবে বিনিয়োগ করব?
আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথম যে কাজটি করতে হবে বাংলাদেশের একটি ব্রোকার হাউজের একটি বিও একাউন্ট খুলতে হবে। BO এর পূর্ণরূপ হল Beneficiary Owner’s। এই অ্যাকাউন্টটিও একটি ব্যাংক একাউন্টের মতই। তবে এটি আপনি মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মত ব্রোকার হাউজে খুলবেন। একটি সাধারণ ব্যাংক একাউন্টের মতই বিও ব্যাংক একাউন্টে আপনি চাইলে অর্থ জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কোন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।
এরপর আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি প্রাথমিক শেয়ার বাজার আইপিও তে সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান। আপনি চাইলে অনলাইন মাধ্যমে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে খুব সহজেই বিও একাউন্ট পারবেন। এমনকি টাকা জমা-উত্তোলন এবং শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় ও করতে পারবেন।
প্রাথমিক শেয়ার বাজারে আইপিও তে বিনিয়োগ করতে হলে আইপিও সম্পর্কে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে খোঁজ রাখুন। আর যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে সাথে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে প্রথমে অনেক ধরনের গুজব ছড়াবে কিন্তু সেগুলোতে কান দিবেন না। ডিএস30 ইন্ডেক্স তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সাথে বিনিয়োগ শুরু করুন। আত্মবিশ্বাস অর্জন করুন এবং তারপর বিভিন্ন কোম্পানি গুলোতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিন। অবশ্যই কোন স্টক ক্রয় করার আগে আপনার বিও একাউন্টে আমানত আছে কিনা নিশ্চিত করুন। তাড়াহুড়া করে কোন স্টক কিনে ফেলবেন না প্রথমে সেটি নিয়ে গবেষণা করুন।
আজকের শেয়ার বাজার দর:
শেয়ার বাজারের শেয়ার দর প্রতিনিয়ত উঠানামা করে। শেয়ার দর কখনো স্থির থাকে না। সময়ের সাথে সাথে প্রতিদিন শেয়ারের দর উত্থান পতন হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই শেয়ার ক্রয় করার সময় আমাদের সেই শেয়ারগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে শেয়ার ক্রয় করতে হবে। নতুবা আমরা অনেক বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি।
তবে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না যে আজকের শেয়ারের দর কত? কারণ যারা শেয়ার লেনদেন করেন শুদু মাত্র তারাই জানেন এ শেয়ারের দর কত। শেয়ার কোম্পানি গুলো প্রতিনিয়ত যেহেতু তাদের শেয়ারের দাম পরিবর্তন করেন যেহেতু সঠিকভাবে আমরা কেউই বলতে পারবোনা যে আজকের শেয়ারের দাম কিরকম হতে পারে। এটি সম্পুর্ন কোম্পানি ভেদাভেদ এবং সময়ের চাহিদার উপর নির্ভর করে শেয়ারের দাম গুলো। তবে যদি কেউ শেয়ারের দাম গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য থেকে জানতে পারেন।
শেয়ার বাজার শেখার বই pdf:
stock market সম্পর্কে আপনারা পারদর্শী হতে চাইলে stock market বিভিন্ন রাইটারের বই পড়তে পারেন। এতে করে আপনাদের stock market সম্পর্কে আরও জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং শেয়ার বাজারের হিসাব নিকাশ গুলো আপনারা সঠিকভাবে রপ্ত করতে পারবেন।
কত পার্সেন্ট হারে শেয়ার ক্রয় করলে কত পার্সেন্ট হারে শেয়ার বিক্রয় করা যাবে। এবং শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন পথ অবলম্বন করতে হবে। শেয়ার কত প্রকার হতে পারে। শেয়ারের অবস্থান বর্তমানে বাংলাদেশে কেমন এবং অতীতে কেমন ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর ইতিহাস সহকারে আমরা আরও অনেক তথ্য পেয়ে যাব শেয়ার বাজার শেখার বই।
এই বইগুলো আপনারা যে কোন দোকান থেকে ক্রয় করে নিতে পারেন অথবা অনলাইনে ফ্রি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে সেই ওয়েবসাইটগুলো থেকে pdf ফাইল সংগ্রহ করে অধ্যায়ন করতে পারেন। তবে বর্তমানে আমি মনে করি যে যেহেতু অনেক পাল্টেছে pdf আকারে বই সংগ্রহ করে সেগুলো অধ্যায়ন করা ভালো হবে।
শেয়ার বাজার প্রশ্ন এবং উত্তর:
প্রশ্ন: ভারতের শেয়ার মার্কেট কী?
উত্তর: দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ভারতীয় শেয়ার বাজারের বেশিরভাগ বাণিজ্য হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি হলো বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং আরেকটি হলো ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ।1875 সাল থেকেই বোম্বাই স্টকএক্সচেঞ্জ কাজ করে আসছে। অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল 1992 সালে। আর একটি ব্যবসা শুরু করেছিল 1994 সালে।
প্রশ্ন: আজ শেয়ার কিনে আগামীকাল বিক্রি করা যাবে কি?
উত্তর: জি, অবশ্যই যাবে। আজ কিনুন, আগামীকাল বিক্রয় করুন। ট্রেডিংয়ে বিটিএসটি হ’ল একটি ট্রেডিং সুবিধা। এই ট্রেডিং সুবিধাতে ব্যবসায়ীরা চাইলে ডেলিভারির আগে বা শেয়ারগুলি ডিমেট অ্যাকাউন্টে জমা করার আগে শেয়ারগুলি বিক্রয় করতে পারে। আপনি সাধারণ ট্রেডিংয়ে ডেলিভারির আগে শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। তবে বিটিএসটি দিয়ে আপনি একই দিন বা T + ২ দিনের সাথে শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন।
প্রশ্ন: কীভাবে আমার অর্থ দ্বিগুণ করা যেতে পারে?
উত্তর: অর্থ দ্বিগুণ করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বিকল্প একটি উপায় হলো বিনিয়োগ মার্জিনে কেনা বা পেনি স্টক ব্যবহার।
প্রশ্ন: শেয়ার কেনার আগে কি টাকা জমা দিতে হবে?
উত্তর: জি অবশ্যই। যেকোনো শেয়ার ক্রয় করার আগে আপনাকে ব্রোকার হাউজ এ আপনার বিও একাউন্টে কিছু পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে দিতে পারেন অথবা চেক জমা দিতে পারেন কিংবা টাকা ট্রান্সফার করে দিতে পারেন। বিও একাউন্টে টাকা জমা হওয়ার সাথে সাথে আপনি শেয়ার কিনতে পারবেন।
প্রশ্ন: শেয়ার বাজারের তারা বিনিয়োগ করতে পারে?
উত্তর: শেয়ার বাজারে শুধুমাত্র তারাই বিনিয়োগ করতে পারবে যারা সৎ বুদ্ধিমান এবং অত্যাধিক সাহসী। stock market বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত যে কেউ চাইলে একটি বিও একাউন্ট খুলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে যারা বুদ্ধিমান নয় এবং যাদের সাহস কম তারা এখানে টিকে থাকতে পারবে না। তাই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বুদ্ধিমান এবং সাহসী হতে হবে।
প্রশ্ন: কিভাবে একটি ভিভো একাউন্ট খোলা যেতে পারে?
উত্তর: একজন ব্যক্তি চাইলে এক নামে দুইটি বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। একটি হবে ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাকাউন্ট এবং অন্যটি হবে জয়েন্ট একাউন্ট। বাংলাদেশি যেকোনো নাগরিকের বিও একাউন্ট খোলার জন্য আবেদনকারীর বাংলাদেশের যেকোনো একটি ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। আর বাংলাদেশী প্রবাসীদের আবেদনের জন্য বাংলাদেশ একটি এফসি অথবা এনআরবি একাউন্ট থাকতে হবে তার। এরপর বিও একাউন্ট খোলার আবেদন করতে হবে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিঃ ওয়েবসাইট থেকে।
আপনি যদি বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে যা যা করতে হবে তা নিচে দেয়া হল।
বিও একাউন্ট খোলার জন্য করণীয়-
সংগ্রহকৃত ফর্মটি যথাযথ ভাবে পুরন করুন।প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র-
- আবেদনকারীর ছবি
- আবেদনকারী, জয়েন্ট আবেদনকারী এবং নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (স্ক্যান/ছবি)
- নমিনির ছবি
- ব্যাংক চেকের কপি (স্ক্যান/ছবি)
- জয়েন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় আবেদনকারীর ছবি
অনলাইনে ফর্ম জমা দেয়ার সাথে আমাদের বিকাশ বা ব্যাংক একাউন্টে এক বছরের বিও একাউন্ট চার্জ ৪৫০ টাকা প্রদান করলে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিও একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
উপসংহার: আশা করি আমরা আপনাদেরকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে উপকৃত করতে পেরেছি। কারণ বর্তমানে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করা। তবে অবশ্যই আপনারা শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করার সময় শেয়ারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্রয় করবেন। না হলে আপনারা বড় কোন ধরনের বিপদে পড়তে পারেন।
বাংলাদেশে এমন অনেকে আছে যারা না বুঝে না জেনে শেয়ার ক্রয় করে পরে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই আপনাদের অবশ্যই বলব যে শেয়ার সম্পর্কিত সম্পূর্ণ ধারণা নিয়ে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করবেন। এ ছাড়াও আপনাদের যদি আরো কিছু জানার থাকে শেয়ার সম্পর্কিত তাহলে আমাদের নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।