গণিতের জনক কে? | উচ্চতর গণিতের জনক কে? | বীজ গণিতের জনক কে? | পাটি গণিতের জনক কে?
“গণিত” শব্দটি শুনলেই সামনে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ছাড়াও আরো জটিল সকল বিষয়ের হিসেব কষার কথা মনে পড়ে যায়। অনেকের কাছে গণিত বাঘ-ভাল্লুকের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। তাই কেউ বিরক্তি নিয়ে হোক বা জানার কৌতূহলের কারণেই হোক এই গণিতের জনক কে সে সম্পর্কে জানতে চান। তাদের প্রশ্নের উত্তরই দিব আজকের এই পোস্টের মাধ্যেম।
গণিতের জনক হলো গ্রীক গণিতবিদ এবং দার্শনিক আর্কিমিডিস। নামটি নিশ্চয়ই খুবই পরিচিত লাগছে তাইনা? ! এই আর্কিমিডিসের কথা আমরা পদার্থবিজ্ঞান ও দার্শনিক বিষয়ে ব্যপাক শুনেছি।
বৃত্তের ক্ষেত্রফল, গোলকের ক্ষেত্রফল এবং আয়তনকে পরিমাপ করার জন্য আর্কিমিডিস পাই আবিষ্কার করেন। যার মাধ্যমে একটি গোলকের পরিমাপ সহজেই বের করা যায়।
আরো দেখুনঃ
উচ্চতর গণতের জনক কে?
জাবির ইবনে হাইয়ান কে উচ্চতর গণিতের জনক বলা হয়। তিনি একাধারে রসায়ন বিজ্ঞানের জন্মদাতা, রসায়ন বিজ্ঞানী, নাইট্রিক ও সালফিউরিক এসিডের সর্ব প্রথম আবিষ্কারক অংঙ্কশাস্ত্রবিদ ও বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ। তিনি জ্ঞানের কয়েকটি স্তরে পদাচারণ করেছেন এবং গণিতশাস্ত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়। তার লেখা ২ হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তিনি যে ধরণের ফলাফল পেতেন তাই তার গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে রাখতেন।
বীজ গণিতের জনক কে?
বীজগণিতের জনক মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খারিজমি আল কুতরুবুল্লী কে জ্ঞানের বিশেষ বিশেষ স্তরে তার আবিষ্কার আর পদাচারণ থাকলেও মূলত তিনি বীজগণিতের জন্যই বেশি সামনে এসেছেন। এজন্যই তাকে বীজগণিতের জনক বলা হয়।
তার হাত ধরেই বীজগণিতের “অ্যালজেবরা” শব্দটির উৎপত্তি হয়। যেটি তার রচিত বই “কিতাব আলজিবর ওয়াল মুকাবিলা” হতে এসেছে। বীজগণিতের সমীকরণের যে ব্যখ্যা সেটিও আল-খাওয়ারিজমী তুলে ধরেন। গণিতের লগারিদম শাখাতেও তার যথেষ্ট কাজ রয়েছে।
পাটি গণিতের জনক কে?
পাটি গণিতের জনক বলা হয় ভারতীয় উপমহাদেশের গণিতবিদ আর্যভট্ট কে। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন গণিতবিদ। গণিতশাস্ত্র ছাড়াও তিনি জ্যোতির্বিদ্যা, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করেন তার কাজের মাধ্যমে।
গণিত ও জ্যোতিশাস্ত্র নিয়েই মূলত আর্যভট্ট কাজ করেছিলেন৷ তার লেখা দুই গ্রন্থের নাম হলো “আর্যভট্টীয় ও আর্য-সিদ্ধান্ত” যা গণিত ও জ্যোতিশাস্ত্র নিয়েই লেখা হয়েছে।
আরো দেখুনঃ
গণিতের জনক কে? -FAQ
১. জ্যামিতির জনক কে?
ইউক্লিড কে জ্যামিতির জনক বলা হয়। তিনি গ্রীসের বাসিন্দা ছিলেন।
২. ক্যালকুলাসের জনক কে?
স্যার আইজ্যাক নিউটনকে ক্যালকুলাসের জনক বলা হয়৷
৩. বীজগণিতের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় কোথায় ?
বীজগণিতের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় একটি অ্যালগরিদমিক প্রক্রিয়া গণনা করার মাধ্যমে।
4. Arithmetic কি?
অঙ্কশাস্ত্র, পাটিগণিতকে বলা হয়৷
৫. গণিতের শাখা কয়টি ও কি কি?
গণিতের শাখা হলো মোট ৩ টি। ১. পাটিগণিত, ২. বীজগণিত ও ৩. জ্যামিতি।
সমাপ্তি: গণিত বুঝে করতে জানলে একটি মজার বিষয়৷ নাহলে এত বিষয় থাকতে বিজ্ঞানীরা কেন গণিতের বিভিন্ন শাখা আবিষ্কার করতে গেলেন! যাই হোক মজা করলাম। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে যে গণিতের জনক কে আজ সেই উত্তর সংক্ষিপ্তভাবে দেয়ার চেষ্টা করলাম এই পোস্টের মাধ্যমে।
