লিপ কিস খাওয়ার স্টাইল | লিপ কিস এর উপকারিতা
লিপ কিস এর উপকারিতা | কিস লাভ পিক | লিপকিস খাওয়ার স্টাইল
কিস ডে বা চুম্বন খাওয়ার দিবস কবে, তা কি আপনি জানেন?- শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য যে জুলাই মাসের ৬ তারিখ পালিত হবে কিস ডে। যাকে আমরা বাংলা ভাষায় চুম্বন দিবস হিসেবে চিনে থাকি। কিন্তুু আপনি কি জানেন, কিস করলে কি হয়? আপনি কি জানেন, লিপ কিস খাওয়ার স্টাইল কি? -যদি আপনি এগুলো না জেনে থাকেন। তাহলে আজকের লেখাটি মন দিয়ে পড়ুন। তাহলে সব প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন।
কিস ডে কবে?
আজকের আলোচনা তে আমরা অবশ্যই কিস খাওয়ার স্টাইল নিয়ে আলোচনা করবো। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে যে, কিস ডে কবে। আর প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে কিস ডে পালন করা হয়। তবে কেন এই কিস ডে পালন করা হয়, সবচেয়ে ভালো কিস খাওয়ার স্টাইল কোনগুলো। যদি আপনি সেগুলো জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচনা তে নজর রাখুন।
আরো দেখুনঃ 14 ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস.
কিস করলে কি হয়?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যাদের মনে বারবার একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। সেটি হলো, কিস করলে কি হয়। তো আপনার মনেও যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, এমন অনেক কারণ আছে। যেগুলোর জন্য আপনারও কিস করা উচিত।
যেমন, আপনি যদি ইউরোপ কিংবা আমেরিকার দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই দেশের কম বয়সী তরুন তরুনী থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত। প্রায় সব বয়সের মানুষেরা তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য কিস করে থাকে।
এছাড়াও প্রাচীন ইতিহাসে যখন রাজা বাদশার আমল ছিলো। সেই সময়ের মানুষ যখন নিজের রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করতে যেত। তার আগে সেই যোদ্ধারা তাদের স্ত্রীদের সাথে চুম্বন করতো। কেননা, তারা সেই যুদ্ধ থেকে আর জীবিত ফিরে আসতে পারবে কিনা। সেটা তারা নিজেও জানত না।
তবে এই কিস যে শুধু প্রেমিক প্রেমিকা বা ভালোবাসার মানুষের মধ্যেই হয়, বিষয়টা আসলে এমন নয়। বরং একজন পিতা বা মাতা তার সন্তানদের স্নেহ করে চুমু দিতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নেতা অপর নেতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য। চুমু খাওয়ার রেওয়াজ এখনও বিদ্যমান আছে।
তো ঠিক এরকম আরো অনেক কারণ আছে, যেগুলোর জন্য একজন মানুষ অপর একজন মানুষ এর সাথে চুমু বা চুম্বনে লিপ্ত হয়। আশা করি, কিস করলে কি হয় তা আপনি পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আরো দেখুনঃ
লিপ কিস খাওয়ার স্টাইল
একটা বিষয় সর্বদা মাথায় রাখবেন। আর সেই বিষয়টি হলো, আপনি ভালোবেসে লিপ কিস করুন, কিংবা যৌনতার কারণে লিপ কিস করুন। আপনি যদি কিছু কিস খাওয়ার স্টাইল ফলো করতে পারেন। তাহলে কিন্তুু অন্যান্যদের তুলনায় আপনি হতে পারবেন সেরা লিপ কিসার। আর এবার আমি আপনাকে চমৎকার কিছু লিপ কিস খাওয়ার স্টাইল বলবো। আপনি অবশ্যই সেই স্টাইল গুলো সঠিক ভাবে ফলো করার চেষ্টা করবেন। যেমন
নিজের মধ্যে কন্ট্রোল রাখুন-
আপনি যদি অন্যান্য মানুষের তুলনায় অনেক ভালোভাবে আপনার সঙ্গীর সাথে লিপ কিস করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে একটা বিষয় এর যথেস্ট গুরুত্ব দিতে হবে। আর সেটি হলো, সবার আগে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে।
কারন, চুমু খাওয়ার সময় যদি আপনার মধ্যে অতিরিক্ত পরিমানে উত্তেজনা থাকে। তাহলে কিন্তুু হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই যখন আপনি কিস করবেন, তখন নিজের উত্তেজনা কে স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করবেন।
ঠোঁট যথাসম্ভব খোলা রাখুন-
যখন আপনি কাউকে কিস করবেন, তখন একটা কথা মাথায় রাখবেন। সেটি হলো, কিস করার সময় আপনার ঠোঁটের যে ওঠানামা হবে। এর মাধ্যমেই কিন্তুু আপনাদের চুুমু খাওয়ার বিষয়টা পরিপূর্নতা পাবে। তাই আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে আপনি যখন কিস বা চুম্বনে লিপ্ত হবেন। তখন আপনার ঠোঁট কে পুরোপুরি ভাবে খোলা রাখার চেষ্টা করবেন।
নিয়মিত প্রাকটিস করুন-
আমরা সকলেই জানি যে, নিয়মিত অনুশীলন একজন মানুষ কে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলে। আর এই বিষয়টি আপনি কিস করার সময়ও লক্ষ্য করতে পারবেন। কেননা, আপনি প্রথমবার কিস করার সময় যে পূর্নতা পাবেন।
তার থেকে অধিক বেশি পূর্নতা পাবেন তখন, যখন আপনি পরবর্তী সময়ে আপনার সঙ্গী কে কিস করবেন। কেননা, ততোদিনে আপনি নিজের অজান্তেই কিস করার বিষয়টি কে রপ্ত করতে পারবেন। তাই যতোটা সম্ভব নিয়মতি প্রাকটিস করুন, দেখবেন একটা সময় আপনিও হতে পারবেন সেরা কিসার।
নিজের রোমান্টিকতা কে খুজে নিন-
দেখুন, কিস মানেই হলো রোমান্টিকতা। আর যদি আপনি আপনার মধ্যে থাকা রোমান্টিক মূহুর্ত গুলো কে খুজে নিতে না পারেন। তাহলে কিস করার সময় বাঁধবে যতো বিপত্তি। কিন্তুু আপনি যদি কিস করার সময় নিজেকে আরো রোমান্টিক হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তাহলে আপনার কিস করার আগ্রহ ও অনুভুতি আরো কয়েক গুন বৃদ্ধি পাবে।
এতে করে আপনি যাকে কিস করবেন। তার মধ্যেও আলাদা একটা ফিলিংস কাজ করবে। আর এটি হলো, কিস খাওয়ার স্টাইল গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যা আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
কখনই হিংস্র মনোভাব সৃষ্টি করবেন না-
আপনারা অনেকেই রাফ সেক্স এর নাম শুনে থাকবেন। তো এই রাফ সেক্স এর অন্যতম একটি অংশ হলো, হিংস্রতা। কিন্তুু আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে কিস করার জন্য এমন হিংস্র হয়ে যান। এবং কিস করার সময় যদি আপনি আপনার সঙ্গী কে আঘাত প্রাপ্ত করেন।
তাহলে আপনারা কখনই কিস করার আসল স্বাদ নিতে পারবেন না। বরং এই ধরনের হিংস্র মনোভাব নিয়ে কিস করলে বিরুপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই কখনই কিস করার সময় হিংস্র মনোভাব সৃষ্টি করবেন না।
লিপ কিস এর উপকারিতা
উপরের আলোচনা তে আমি আপনাকে কিস খাওয়ার স্টাইল সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। তাই এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু লিপ কিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বলবো। কেননা, যখন একজন মানুষ তার প্রিয় মানুষ টির সাথে লিপ কিস করে। তখন তার মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তিত বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। চলুন এবার তাহলে লিপ কিস এর উপকারিতা গুলো জেনে নেয়া যাক।
যৌন আঙ্কাঙ্খা বাড়িয়ে তুলে-
যদিওবা কিস একটি যৌনতার অংশ। তবুও একজন মানুষ যখন তার সঙ্গী কে লিপ কিস করে। তখন তার মধ্যে থাকা টেস্টস্টোরন হরমোন এর মাত্রা আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। যার ফলে সেই ব্যক্তির মনে পূর্বের তুলনায় আরো কয়েক গুন বেশি যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। তাই অবশ্যই আমাদের সঠিক সঠিক কিস খাওয়ার স্টাইল ফলো করে সঙ্গীকে কিস করা উচিত। দাঁতের ক্ষয় রোধে ভূমিকা রাখে-
এই বিষয়টা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো। কারন, আপনি যদি নিয়মিত আপনার সঙ্গীর সাথে লিপ কিস করেন। তাহলে আপনার দাঁতের ক্ষয় এর রোধ তুলনামূলক ভবে অনেক কমে যাবে। কারন, লিপ কিস করার সময় আমাদের মুখের লালা রস প্রচুর পরিমানে ক্ষরণ হয়ে থাকে।
যার ফলে আমাদের দাঁতের মধ্যে একধরনের আবরন সৃষ্টি হয়। এবং এই আবরন সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমাদের দাঁত ক্ষয় হওয়ার পরিমান অনেক অংশে কমে যেতে শুরু করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়-
২০১৪ সালের বিশেষ একটি বৈজ্ঞানিক গবেষনা থেকে জানা গেছে। যে সকল মানুষ নিয়মিত কিস করে। তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুন বেড়ে যায়। কারন, আমরা যখন কিস করি, তখন আমাদের মুখের মধ্যে থাকা লালা আদান প্রদান হয়ে থাকে। আর এর প্রভাবে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কয়েক গুন বেড়ে যায়।
মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়-
আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ এখন নানা ধরনের মানসিক চাপে ভুগে থাকে। তো আপনিও যদি এমন মানসিক চাপে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার সঙ্গী কে নিয়মিত কিস করার চেষ্টা করুন। এর প্রধান কারণ হলো, কিস করার মাধ্যমে মানুষের মানসিক চাপের পরিমান অনেক অংশে কমে আসে। তাই এই সুযোগ টি কখনই মিস করবেন না।
সম্পর্ক মজবুত হয়-
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, আপনি যখন নিয়মিত লিপ কিস করবেন। তখন আপনাদের দুজনের সম্পর্ক অনেক মধুর হবে। কারণ, লিপ কিস করলে মানুষ এর শরীর থেকে অক্সিটসিন নামক এক ধরনের হরমোন ক্ষরণ হয়। যার ফলে আমাদের দেহের লাভ হরমোন কে জাগিয়ে তোলে।
মুখের ব্যায়াম হয়-
নিয়মিত ব্যায়াম করলে যেমন শরীর ভালো থাকে। ঠিক তেমনি আপনি যদি আপনার মুখের ব্যায়াম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে নিয়মিত লিপ কিস করুন। তবে তার জন্য আপনি আজকের কিস খাওয়ার স্টাইল গুলো ফলো করবেন।
কিস লাভ পিক | হ্যাপি কিস ডে পিকচার | Lip Kiss Images
কিস খাওয়ার স্টাইল নিয়ে কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা কিস খাওয়ার স্টাইল গুলো সম্পর্কে জেনেছি। এছাড়াও লিপ কিস খাওয়ার উপকারীতা সম্পর্কে জেনেছি। তো আপনি যদি এই ধরনের মজার তথ্য গুলো জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।