vlxxviet mms desi xnxx

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি?

0
Rate this post

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? | ওযু ভঙ্গের কারণ

পবিত্র হওয়ার জন্য মুসল্লীরা অজু করে থাকে। শুধুমাত্র ইবাদত করার জন্য অজু করা হয় এমন বিষয় নয়। ইবাদত পালন করা ছাড়াও ওযু করে পাক-পবিত্র হয়ে থাকা উত্তম। ওযু করার জন্য নির্দিষ্টনিয়ম রয়েছে এবং সেই নিয়ম গুলোর মধ্যে কিছু নিয়ম পালন করা ফরজ। আপনারা যারা ওযুর ফরজ কয়টি জানতে চান তারা একদম সঠিক স্থানে এসেছেন।

আমরা আপনাদের সাথে ওযুর ফরজ কয়টি এবং অজু সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানাবো। যাতে করে আপনারা ওযুর ফরজ কয়টি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে সঠিকভাবে ওযু করতে পারেন এবং ওযুর ফরজ গুলো ঠিকভাবে পালন করতে পারেন। তাহলে চলুন এবার জেনে নেই ওযুর ফরজ কয়টি এবং ওযু সম্পর্কে।

ওযু কি?

ওযুর ফরজ জানার আগে ওযু কি? তা জানা জরুরী। অজু হচ্ছে আরবি শব্দ। আরে শব্দের অর্থ হচ্ছে-  সুন্দর, পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ। শরীয়তের পরিভাষায় ওযু কে বলা হয়, যে ব্যক্তি নির্ধারিত নিয়মে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকে। আর নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহর নির্দেশে করবে এবং সে ওজু ফরয হিসেবে গণ্য হবে।

মহান আল্লাহতালা ওযু সম্পর্কে বলেছেন যে, “ হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা সালাত অথবা নামাযের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হবে তখন তোমরা মুখমন্ডল এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করে নিবে এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করবে, সর্বশেষে তোমাদের পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে।”

আরো দেখুনঃ গোসল ফরজ হওয়ার কারণ।

মহান আল্লাহতালার এই নির্দেশ দ্বারা বুঝা যায় যে যখন কোন ব্যক্তি নামাজের জন্য ইচ্ছা পোষণ করবে এবং প্রথমে অজু করবে। মহান আল্লাহতালার আয়াত দ্বারা ওযু কে বান্দার জন্য ফরজ করে দিয়েছেন। 

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি?

ওযুর ফরজ ৪টি। ওযু করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই এই ওযুর ফরজ গুলো ধারাবাহিকভাবে মনে রাখতে হবে এবং পালন করতে হবে। ওযুর ফরজ গুলো নিম্নে দেয়া হল-

  • সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা অর্থাৎ মাথার চুল গজানোর স্থান থেকে থুতনির নিচে পর্যন্ত এক কানের লতি হতে অপর কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করতে হবে।
  • উভয় হাত কনুইসহ ধৌত করতে হবে। 
  • মাথার এক তৃতীয়াংশ মাসেহ করতে হবে। 
  • উভয় পা টাখনুসহ ধৌত করতে হবে।

ওযুর সুন্নাত কয়টি ও কি কি?

ওযু করার ফরজ যেরকম আমাদের পালন করতে হয় ঠিক তেমনি আমাদের ওযু করার সুন্নত গুলো পালন করা উচিত। নিম্নে ওযু করার সুন্নত গুলো দেয়া হলো-

  • ওযু করার জন্য নিয়ত করতে হবে।
  • বিসমিল্লাহ বলে অজু করা শুরু করতে হবে।
  • উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত তিন বার ধৌত করতে হবে।
  • উভয় হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে হবে।
  • তিন বার মেসওয়াক করতে হবে।
  • তিন বার কুলি করতে হবে।
  • তিন বার নাকে পানি দিতে হবে।
  • সমস্ত মুখমন্ডল তিন বার ধুতে হবে।
  • প্রথমে ডান হাত তিন বার কনুই পর্যন্ত ধুতে হবে। 
  • এরপর বাম হাত তিন বার কনুই পর্যন্ত ধুতে হবে।
  • মাথা এক বার মাসেহ করতে হবে।
  • কান মাসেহ করে নিতে হবে।
  • প্রথমে ডান পায়ের টাকনু পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে।
  • এরপর বাম পায়ের টাকনু পর্যন্ত তিন বার ধুতে হবে।
  • উভয় পায়ের আংগুল গুলো ভাল করে খিলাল করতে হবে।

আরো দেখুনঃ আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম।

ওযুর মুস্তাহাব কয়টি ও কি কি?

ওযু করার কিছু মুস্তাহাব রয়েছে আর সে সকল মুস্তাহাব গুলো হচ্ছে-

  • উঁচু স্থানে বসে ওযু করতে হবে।
  • কিবলামুখী হয়ে ওযু করা যাবে
  • দুনিয়াবী কথা ওযু করার সময় বলা যাবে না।
  • বিনা ওজরে কারো সাহায্য নেয়া যাবে না।
  • ডান হাত দিয়ে পানি দিয়ে কুলি করতে হবে।
  • ডান হাত দিয়ে নাকে পানি দিয়ে নাক ভালো করে দ্রুত করতে হবে। এবং বাম হাতের আঙ্গুল দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে হবে।
  • নামাজের পূর্বে অজু করে নামাজের জন্য প্রস্তুত থাকা।
  • ওযু করার সময় প্রত্যেক সময় বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
  • আংটি, নাকফুল, চুরি এবং কানের দুল থাকলে তা ভালোভাবে নাড়া চাড়া দিয়ে অঙ্গে পানি পৌঁছাতে হবে। 
  • অজু শেষ করে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা।
  • ওযুর শেষে অবশিষ্ট পানি পান করা।

ওযু মাক্রুহ গুলো কি কি?

ওযু করার ক্ষেত্রে মাক্র গুলো হচ্ছে- 

  • ওযু করার সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি পানি ব্যবহার করা।
  • মুখমন্ডল ধোয়ার সময় মুখে পানি দেয়া।
  • অজু করতে গেলে দুনিয়াবী কথা বলা।
  • প্রয়োজন ছাড়া ওযু করার সময় অন্য কারো সাহায্য নেয়া।
  • নাপাক জায়গায় বসে ওযু করা।

ওযু ভঙ্গের কারণ

 ওযু ভঙ্গ হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে। আর এই কারণগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনাদের মধ্যে হয়ে গেলে তা হলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর সেই কারণগুলো হচ্ছে- 

  • প্রসাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে যেকোনো অপবিত্র কিছু বের হলে।
  • মুখ ভর্তি হয়ে বমি আসলে অথবা কোন কারণে প্রচুর পরিমাণে বমি হচ্ছে তাহলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  • নাক দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে রক্ত পড়লে।
  • দেহের কোন অংশে রক্তক্ষরণ বা পুঁজ বের হয়ে যদি পবিত্রতার ব্যাঘাত ঘটে তাহলে পবিত্রতার বিধান রয়েছে। পুঁজ অথবা রক্ত যদি দেহ থেকে গড়িয়ে পড়ে এমন অবস্থায় থাকে তাহলে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে।
  • কোন কারণে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাহলে ওযু করতে হবে।
  • ঘুমালে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়। অর্থাৎ চিৎ হয়ে শোয়া, কাত হয়ে শোয়া, হেলান দিয়ে কিছু সঙ্গে দিয়ে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যদি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে এ সকল জিনিস সরিয়ে ফেলা হয় এবং ওই ব্যক্তি যদি ঘুমন্ত অবস্থায় পড়ে যায় তাহলে অবশ্যই তার অজু করে নিতে হবে।
  • প্রকৃতিগতভাবে ঘুমালে অবশ্যই অজু করে নিতে হবে।
  • পায়খানার রাস্তা দিয়ে যদি কোন কীট বের হয় অর্থাৎ যাকে আমরা কৃমি বলে থাকি সেগুলো বের হয় তাহলে অবশ্যই ওযু করতে হবে।
  • সূরা বা ফুচকার ফলে চামড়ার কারণে যদি ওই স্থান থেকে পানি অথবা পুঁজ বের হয় তা হলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে আর তখন অজু করে নিতে হবে।
  • রুকু-সিজদা বিশিষ্ট অট্টহাসি দিলে অথবা নামাজ এবং তেলাওয়াতের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে হাসি দিলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যায়।
  • সহবাসের পর বীর্যপাত হলে ওযু নষ্ট হয়ে যায়।

আরো দেখুনঃ আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্ত করার সহজ উপায়।

ওযু করার নিয়ম

ওযু করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে-

  • প্রথমে বিসমিল্লাহ বলে ওযু করার নিয়ত করতে হবে।
  • নিয়ত করার ক্ষেত্রে আপনারা মনে মনে নিয়ত করতে পারেন অথবা ওযু করার নিয়ত এর দোয়া পড়তে পারেন।
  • এরপর উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। প্রথম ডান হাতের কবজি এবং পরে বাম হাতের কব্জি ধুয়ে নিতে হবে।
  • এরপর মেসওয়াক করে নিতে হবে। কুলি করার পূর্বে মেসওয়াক করা সুন্নত। তাই কুলি করার পূর্বে আপনারা অবশ্যই মেসওয়াক করে নিবেন। তবে আপনারা চাইলে অজু শুরু করার পূর্বে মেসওয়াক করতে পারেন।
  • মেসওয়াক করা হয়ে গেলে কুলি করতে হবে। ডান হাতে পানি নিয়ে মুখের মধ্যে পানি দিতে হবে এরপর তিনবার করে নিতে হবে। তিনবার কুলি করা সুন্নত। তাই তিনবার আলাদা আলাদা পানি নিয়ে কুলি করতে হবে। তবে যদি আপনি রোজাদার ব্যক্তির না হন তাহলে গরগরা করতে পারেন। এটি সুন্নত।
  • এরপর নাকি পানি দিয়ে ধৌত করে নিতে হবে। ডান হাত দিয়ে নাকে পানি দিতে হবে এবং বাম হাত দিয়ে নাকের ভেতর আঙুল দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিতে হবে। এভাবে পরপর তিনবার পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • মুখমণ্ডল তিনবার পানি দিয়ে ধৌত করে নিতে হবে। মুখমণ্ডল কপালের চুলের গোড়া হতে থুতনি পর্যন্ত এবং ডান কানের লতি হতে বাম কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মুখমন্ডল ধুয়ে নিতে হবে।
  • ছেলেদের যদি দাড়ি এবং গোঁফ খুব ঘন হয়ে থাকে তাহলে তা দোয়া ফরজ। কিন্তু চামড়ার পানি পৌঁছানো ফরজ নয়। তাই ছেলেদের দাড়ি এবং গোঁফ ধোয়ার ক্ষেত্রে আংগুল দিয়ে খিলাল করতে হবে।
  • উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুতে হবে। প্রথমে ডান হাত এরপর বাম হাত ধুয়ে নিতে হবে। ডান হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে ডান হাতের পানি দিতে হবে এবং বাম হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে ডান হাত বাম হাত দিয়ে উভয় হাত তিনবার ধুয়ে নিতে হবে।
  • মাথা মাসেহ করে নিতে হবে। অর্থাৎ দুই হাতে পানি নিয়ে একবার মাথার এক তৃতীয়াংশ মাসেহ করে নিতে হবে।
  • কান মাসেহ করে নিতে হবে। অর্থাৎ উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনী আঙ্গুল ব্যবহার করে কানের মধ্যে একবার মাসেহ করে নিতে হবে।
  • গর্দান মাসেহ করে নিতে হবে। উভয় হাতের তিন আঙুল ধারা গর্দান ভালো করে একবার মাসেহ করে নিতে হবে।
  • উভয় পায়ের টাকনু পর্যন্ত ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। প্রথম ডান হাত ধরা ডান পায়ে পানি দিয়ে ভাল করে এখনো পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ঠিক এভাবেই বাম পা ধুয়ে নিতে হবে। পায়ের আংগুল ভালো করে খিলাল করতে হবে। 
  • অজু শেষ করার পর কালেমা শাহাদাত পাঠ করা মুস্তাহাব।

এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ওযু করার সময় আপনাদের অঙ্গের কোন অংশ যদি অপবিত্র থাকে,  তাহলে সবার আগে সে অঙ্গ স্থানটি অবশ্যই পবিত্র করে নিবেন অর্থাৎ পাক করে নিতে হবে। এরপর অজু করে নিতে হবে।

ওযু করার সময় করণীয়

ইবাদাত পালন করার জন্য ওযুর গুরুত্ব অত্যধিক। বিশেষ নামাজ আদায় করার জন্য অজু করতে হবে। যখন কোন ইবাদত বন্দেগী ইবাদাত করার ইচ্ছা পোষণ করবে তখন চারটি গুরুত্ব সহকারে ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে হবে। এছাড়াও অযুর সুন্নত এবং মুস্তাহাব গুলো মনে রেখে অজু করা উচিত। সঠিক নিয়ম অজু করলে পাক পবিত্র হওয়া যায়। তাই প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত সঠিক নিয়মে অজু করা। ওযু করার সময় অবশ্যই অজু মাক্রুহ হয়ে যাবে এমন কোন কাজ করা যাবে না।

উপসংহারঃ আপনারা যারা ওযুর ফরজ কয়টি তারা আমাদের ওয়েবসাইটে জানতে এসেছেন তারা আশা করছি আপনাদের সঠিক প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গিয়েছেন। আমরা আপনাদেরকে ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? | ওযু ভঙ্গের কারণ বিস্তারিত তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি এর পাশাপাশি ওযুর সুন্নত এবং মুস্তাহাব জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যারা এসকল বিষয় সমূহ জানতেন না তাদের উপকার বয়ে আনবে। তবে আপনারা যদি আমাদের পক্ষ হতে ইসলামিক বিষয় এবং ওযু সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex