তেতুলিয়া নদী ইকোপার্ক – পার্কের আকর্ষণ
একটু ভেবে দেখুন, আপনি একটি রহস্যময় বনে হারিয়ে গেছেন। আপনার চারপাশে শুধু সবুজের সমারোহ। কাছে বয়ে চলেছে নদীর ঢেউয়ের মিষ্টি কলতান, আকাশে ডানা মেলে উড়ছে রঙিন পাখি। যে নদীর স্বচ্ছ জলে ঝিকিমিকি করছে রোদের আলো।
এই নদীর তীরেই অবস্থিত তেতুলিয়া রিভার ইকোপার্ক ভোলা। প্রকৃতির কোলে এই অপরূপ স্থানে আপনি পাবেন অনন্ত প্রশান্তি এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। তাই আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে তেতুলিয়া রিভার ইকোপার্ক নিয়ে বিস্তারিত বলবো।
তেতুলিয়া নদী ইকোপার্ক ভোলা
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ভোলা জেলা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা। নদী, খাল, বন এবং সমুদ্রের সমাহারে গড়ে ওঠা এই জেলায় সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে ‘তেতুলিয়া রিভার ইকোপার্ক ভোলা’। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এটি একটি অসাধারণ স্থান যেখানে তারা মনের আনন্দে প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে পারে।
পার্কের বর্ণনা-
তেতুলিয়া নদীর তীরে অবস্থিত এই ইকোপার্কটি প্রায় ২.৫০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। ম্যানগ্রোভ বন, নদী এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও প্রাণী এই পার্কের অন্যতম আকর্ষণ। আর যখন আপনি এই পার্কে ভ্রমন করবেন তখন আপনি অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
পার্কের আকর্ষণ-
পার্কটিতে নৌকা ভ্রমণ, বনভোজন, বার্ড ওয়াচিং, ট্রেকিং, ক্যাম্পিং এবং ফটোগ্রাফির মতো নানা আকর্ষণীয় দিক রয়েছে। স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানারও সুযোগ রয়েছে এখানে। যেগুলো আপনার ভ্রমণকে পূর্ণতা দিতে সক্ষম।
কিভাবে যাবেন তেতুলিয়া নদী ইকোপার্ক?
ঢাকা থেকে ভোলা যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। আপনি চাইলে খুব সহজে বাস, লঞ্চ এবং ট্রেনের মাধ্যমে ভোলা পৌঁছাতে পারবেন। আর যখন আপনি ভোলা যাবেন তারপর আপনাকে পুনরায় এই পার্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে হবে। কারণ, এই পার্কটি ভোলা শহর থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পরিবেশগত গুরুত্ব-
তেতুলিয়া রিভার ইকোপার্ক ভোলার পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ম্যানগ্রোভ বন রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই পর্যটন প্রচারের মাধ্যমে এই পার্ক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আরো পড়ুন:
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
তেতুলিয়া নদী ইকোপার্ক ভোলা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি অসাধারণ স্থান। নদী, বন এবং জীব বৈচিত্র্যের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এটি একটি আদর্শ ভ্রমণ স্থান। পরিবেশ রক্ষায় সকলের ভূমিকা রাখা উচিত এবং এই পার্কটি আমাদের সেই সুযোগ করে দেয়। তাই আপনি আপনার অবসর সময় গুলোতে একবার হলেও তেতুলিয়া নদী ইকোপার্ক ভ্রমন করার চেস্টা করবেন।