মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি কি?
মোটা হওয়ার সহজ উপায় | Mota Howar Upay
মোটা শব্দটি আমাদের কারও কাছে বিরক্তিকর হলেও কারও কাছে আবার মোটা হওয়া একটি কাংখিত বিষয়। কারণ যারা একটু শুকনা তাদের নিজের অজান্তে হারিয়ে যায় নিজের নামটি শুনতে হয় শুটকি, জিবন্ত কংকাল,অভাবি,পাটকাঠি,রোগী,পাতলু ইত্যাদি। কিরে তদের ঘরে ভাত নেই!কতদিন ধরে ভাত খাসনা,বাতাসে উড়ে যাবিতো এসব কথা তাদের নিত্য পরিচিত। পাত্র বা পাত্রি পক্ষ দেখতে আসলেও শুনতে হয় অসুস্থ নাকি,কি এত চিন্তা করো এত শুকনা আরও কত বা কি! এসব শুনতে শুনতে তারা বিরক্ত হয়ে যায়।চেস্টা করে মোটা হওয়ার।কিন্তু ফলাফল শুন্য।
আরো পড়ুন: প্রোটিন জাতীয় খাবার কী কী
তাই আজ আমরা আলোচনা করবো মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি কি! আর জানতে পারবো মোটা হওয়ার সহজ উপায় কিভাবে মোটা হওয়া যায় মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা মোটা হওয়ার ওষুধ যেসব খাবার খেলে মোটা হওয়া যায় স্বাস্থ্যবান হওয়ার উপায় মোটা হওয়ার টিপস মোটা হওয়ার ঔষধ কি খেলে মোটা হওয়া যায় মোটা হওয়ার ভিটামিন ইত্যাদি তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন আর পড়তে থাকুন আমাদের লিখাটি।
তার আগে জেনে নিই মোটা না হওয়ার কারন
অনেক কারনেই অনেকে মোটা হয়না যেমনঃ ঠিকমত খাবার না খাওয়া, বেশি ঘুমানো ধুমপান/মধ্যপান, অতিরিক্ত শারিরীক শ্রমের কাজ করা, অধিক চিন্তা করা শরীরে কোনো সুপ্ত অসুখ ইত্যাদি.
অতিরিক্ত শারিরীক শ্রমের কাজ করা: আপনার খাবারের তুলনায় যদি আপনি বেশি পরিশ্রম করেন তবে কিন্তু আপনার ওজন বাড়বে না।
শুরুতেই দেখে নিই মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি কি | শরীর মোটা করার উপায়
- ব্যায়াম।
- খাদ্য অভ্যাস এর পরিবর্তন।
- পরিমিত ঘুম।
- টেনশনমুক্ত থাকা।
- ভিটামিন খাওয়া।
- অসুধ খেয়ে মোটা হওয়া ইত্যাদি।
ব্যায়ামঃ আমরা স্বাস্থ্য কমানো অর্থ্যাৎ চিকন হওয়ার জন্য ব্যায়াম করে থাকি। কিন্তু শুধু চিকন হওয়ক নয় মোটা হওয়ার জন্যও করতে পারেন শারীরিক ব্যায়াম।এতে আপনার পেশি মোটা হবে এবং আপনাকে মোটা দেখাবে। এ জন্য আপনি যে কোনো জিম সেন্টারে জিম স্পেশালিষ্ট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যবান হওয়ার উপায়।
খাদ্য অভ্যাস এর পরিবর্তন: মোটা হতে চাইলে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ঠিকমতো খাবার খাওয়া এটি স্বাস্থ্যবান হওয়ার আসল উপায়। কারন আপনি যত চেস্টাই করুন না কেন খাবার না খেলে আপনি কখনই মোটা হতে পারবেন না।
যেসব খাবার খেলে মোটা হওয়া যায় তার একটি চার্ট দেখে আসি | কি খাবার খেলে মোটা হওয়া যায়
আলু: হ্যা ঠিকই পড়েছেন। আলু হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ উপাদান। এসব উপাদান আপনাকে খুব ভালোভাবে মোটা হতে সাহায্য করবে। এর জন্য প্রতিদিন দু’বার আলু খান সেদ্ধ খেতে পারলে ভালো না পারলে আলুর চিপস অলিভ অয়েলে ভেজে প্রিজার্ভ করে রেখেও খেতে পারেন। নিয়মিত খেলে এটিই হবে স্বাস্থ্যবান হবার উপায়।
কিসমিসঃ এই কিসমিস সুস্থ উপায়ে আপনার দেহের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ কিসমিসে আছে প্রচুর ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোয ও পোটেনশিয়াল এনার্জি। এ জন্যই বডি বিল্ডার বা অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রে কিসমিস খেতে বলা হয়। তাদের প্রচুর এনার্জি লাগে যা কিসমিস অনেকটা পুরন করে।ওজন বাড়ানোর জন্য কিসমিস খেলে সুস্থভাবে ওজন বাড়তেও সাহায্য পাওয়া যায়। এটি মোটা হওয়ার সহজ উপায় এর মাঝে অন্যতম উপায়।
বেশি তেল দেয়া খাবার: যে সকল খাবারে তেল বেশি দিয়ে রান্না করা হয় এমন খাবার বেশি গ্রহন করুন অথবা নিয়মিত খাবারগুলো খান সেগুলো রান্না করার সময় তেল একটু বেশি দিন । তেল জাতীয় খাবার শরীরকে দ্রুত মোটা করে তুলে।
গরুর মাংস: যদি মোটা হতে চান তবে বেশি করে গরুর মাংস খান । বেশি পরিমানে গরুর মাংস খাওয়াও একটি মোটা হওয়ার টিপস । দ্রুত মোটা হতে চাইলে নিয়মিত বেশি পরিমানে গরুর মাংস খান । এটি আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে।
ডিম: ডিম ওজন বাড়ানোর জন্য একটি ভালো উপাদান। ডিমে আছে ফ্যাট, প্রোটিন ও ক্যালোরি যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারনে প্রতিদিন ৩-৪টি ডিমের সাদা অংশ খান । তবে কখনই কাঁচা ডিম খাবেন না।এতে জিবানু থাকে।তাই সেদ্ধ করা ডিমের সাদা অংশই খাওয়া উচিত।
বেশি ক্যালোরি গ্রহনঃ আমরা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশি ক্যালোরি বার্ন করি এতে ওজন কমে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা হবে না হবে তার উল্টো যতটুকু ক্যালোরি বার্ন করবেন তার দ্বিগুণ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করুন। যদি ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চান তবে দিনে ৬০০-৭০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। আর যদি আপনি ধিরে ধিরে ওজন বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ খাদ্য গ্রহন করলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য গ্রহন: ওজন বৃদ্ধি করতে কার্বোহাইড্রেড গ্রহন খুবই প্রয়োজন। ওজন বাড়াতে চাইলে খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেড অবশ্যই রাখবেন। ভাত, রুটি,গম কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩ বার কার্বোহাইড্রেড খাবেন। তবে অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয় । আপনার কিন্তু অতিরিক্ত ফ্যাটের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন কার্বোহাইড্রেড খাবেন কিন্তু পরিমিত পরিমানে খাবেন।
এটিও মোটা হওয়ার সহজ উপায়। এ ছাড়াও খেজুর,দুধ, দই, চিনি জাতীয় খাবার,কাজু বাদাম, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এসব আপনার ওজন বাড়াতে সহয়তা করবে।কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহন করবেন না এতে ক্ষতি হতে পারে।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
একজন মানুষের ওজন বিভিন্ন কারণে কম হতে পারে আর ওজন কম হওয়ার কারণে তার বিভিন্ন শারিরীক ও এক পর্যায়ে তা মানসিক সমস্যাও সৃষ্টি করে। একজন মানুষের পেশীর ওজন কম হওয়ার কারণেও তার ওজন কম হতে পারে। সাত দিনের মধ্যেও কেউ কেউ ওজন বৃদ্ধি করতে চান যদিও রাতারাতি কিছুই সম্ভব নয়।
যে কোন জিনিস স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক উপায়ে করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু সময় সেখানে দিতে হবে। হ্যাঁ, এটা সত্য সাত দিনের মধ্যেও আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন ১-২ কেজি যদিও কিছু নিয়মের ভিতর দিয়ে আপনি যান।
ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে-
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য আপনাকে আপনার নিয়মিত গৃহীত ক্যালরির সাথে এক্সট্রা ক্যালরি যোগ করতে হবে। যদি ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে যেই পরিমাণ ক্যালরি খাবারের মাধ্যমে আপনি গ্রহণ করে থাকেন তার থেকে ৩০০-৫০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করুন। আর যদি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে ৭০০-১০০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করুন।
প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে-
ওজন বৃদ্ধির সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো বেশি করে প্রোটিন খাওয়া। প্রাণী থেকে প্রাপ্ত উচ্চ মানের প্রোটিনের মাধ্যমে আপনি আপনার এই চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। প্রোটিন আপনার পেশীর ভর বৃদ্ধি করে আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। উচ্চ মাত্রার প্রোটিন জাতীয় খাবারের তালিকায় আছে মাংস, মাছ, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম ইত্যাদি।
কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়া-
ওজন বৃদ্ধির জন্য উচ্চ শর্করা এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের তিন বেলার খাবারে অবশ্যই কার্বোহইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য অধিক মাত্রায় প্রেটিন, কার্বোাহাইড্রেট ও চর্বি, ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি ঘন ঘন অল্প খাবারের মাধ্যমে বেশি পরিমাণে শক্তি বর্ধক খাবার খেতে হবে। এর জন্য আপনি বিভিন্ন স্ন্যাকস জাতীয় খাবার ঘন ঘন খেতে পারেন কিন্তু অবশ্যই তা পুষ্টিকর হতে হবে।
কি খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়
কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে যা দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে অধিকতর কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই সকলে খাবারে অধিক পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোাহাইড্রেট, ক্যালরি থাকে যা ওজন বৃদ্ধিতে বেশ দরকারি। যে সমস্ত খাবার খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায় তা নিম্নলিখিত:
দুধ-
দুধ ওজন বৃদ্ধিকারী হিসেবে সব সময়ই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। দুধে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি রয়েছে যা ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজের ভালো উৎস।
ভাত-
ভাত হলো সুবধিাজনক ও কম খরচের মধ্যে উচ্চ কার্বোহাইড্রেটের উৎস যা ওজন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি দরকারি। মাত্র ১ কাপ রান্না করা সাদা ভাতে আছে ২০৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং কম পরিমাণে চর্বি।
বাদাম ও বাদামের মাখন-
ওজন বৃদ্ধিতে বাদাম ও বাদামের বাটার বেশ দরকারি। বাদাম পেশী বৃদ্ধি ও শরীরকে শক্তিশালী করে। মাত্র এক মুঠো কাঁচা বাদামে ১৭০ ক্যালরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম ফাইবার এবং ১৫ গ্রাম চর্বি আছে। যেহেতু বাদাম ক্যালরির একটি আস্তানা তাই এক মুঠ বাদামই যথেষ্ট শত শত ক্যালরি শরীরের প্রবেশের জন্য।
লাল মাংস-
পেশী তৈরির জন্য লাল মাংস বা রেড মিট সবচেয়ে সেরা খাবারগুলির মধ্যে একটি। লাল মাংসে আছে লিউসিন, লিউসিন হলো মূল অ্যামিনো এসিড যা আপনার শরীরের পেশী প্রোটিন সংশ্লেষণকে উদ্দীপিত করতে এবং নতুন পেশী টিস্যু তৈরিতে প্রয়োজন।
আলু এবং স্টার্চ-
আলু এবং স্টার্চ আপনার খাবারে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করে। আলু বেশ সাশ্রয়ী হওয়ায় যে কারো জন্যই তা গ্রহণ করা খুব সহজ।
স্যামন মাছ-
লাল মাংসের মতো স্যামন মাছও প্রোটিন ও চর্বির ভালো উৎস। স্যামনে যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এই ওমেগা আপনার সুস্বাস্থ্য ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দরকারি।
এ গুলো হলো মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
ঘুমানোঃ আমরা সাধারণত মনে করে থাকি যে কম ঘুমালে স্বাস্থ্য কমে যায়।কিন্তু না ভুল ধারণা এটি। আপনার যতটুকু ঘুমানো প্রয়োজন তার চাইতে কম ঘুমান। আপনার স্বাস্থ্য বাড়বে।
টেনশনমুক্ত থাকুনঃ আমাদের সব সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টেনশন। অনেক অসুখও হয় এর কারনে। ওজন কমাতে যেমন টেনশনমুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেও টেনশনমুক্ত থাকা খুবই আবশ্যক। আজকাল টেনশনমুক্ত থাকা খুবই কঠিন বিষয় তাও চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব টেনশনমুক্ত থাকার। সব সময় এটা মেনে নিতে হবে আল্লাহ যা করবে আমাদের ভালোর জন্য করবেন। আর সব কিছুই যে আমার মন মতই হবে তা কিন্তু না। তাই যাই হোক টেনশন করা যাবে না
ধুমপান বা মদ্যপান এর অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিয়ে দিন। কারন এর কারনেও মানুষ শুকনা বা পাতলা হতে পারে। এ গুলো গেলো ঘরোয়া ভাবে মোটা হওয়ার টিপস।
এবার দেখে আসি মোটা হওয়ার ভিটামিন
আজকাল বাজারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায় মোটা হওয়ার জন্য তবে সেগুলো মুলত রুচি বাড়ানোর অসুধ। তবে ডক্টরের অনুমতি ছাড়া মোটা হওয়ার কোনো ভিটামিন সেবন ঠিক নয়।এতে শারিরীক অনেক সমস্যা হতে পারে। এমনকি অনেক অসুধও পাবেন যে গুলো আপনার কাছে মোটা হওয়ার অসুধ বলে বিক্রি করবে কিন্তু সে গুলোতে রয়েছে মারাত্তক পার্শপ্রতিক্রিয়া।যা ক্যান্সার পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি কি FAQ
১. মোটা হওয়ার জন্য কি খাওয়া উচিত?
মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার গৃহীত প্রতি দিনকার ক্যালরির তুলনায় বেশি ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। যে পরিমাণ ক্যালরি আপনি খাবারের মাধ্যমে এক দিনে গ্রহণ করতেন তার থেকে ৩০০-৫০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে ৭০০-১০০০ ক্যালরি বেশি নিতে হবে।
২. পানি বেশি খেলে কি মোটা হয়?
না, বেশি পানি পান করলে মোটা হওয়া যায় না। পানি আমাদের খাদ্যকে স্বাভাবিকভাবে হজম করার জন্য প্রয়োজন। পানি পানের সাথে ওজন বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই।
৩. মোটাা হওয়ার জন্য কোন ভিটামিন খেতে হবে?
মোটা হওয়ার জন্য বাজারে যে সকল ভিটামিন পাওয়া যায় তা ক্যালরি, প্রোটিন যুক্ত খাবার থেকেই তৈরি হয়। তার মধ্যে রয়েছে বি ভিটামিন যা একজন ব্যক্তির শরীরের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে B-1, B-2, B-3, B-5, B-6, B-12, বায়োটিন এবং ফোলেট।
দ্রুত ওজন বাড়াতে এগুলোকে সেরা ভিটামিন বলা হয়। কিন্তু এই ভিটামিন কিনতে আপনাকে বাড়তি খরচ করতে হবে। তাই টাকা খরচ করে ঔষধ না খেয়ে ঐ সকল তাজা ও পুষ্টিকর খাবার বেশি করে গ্রহণ করুন এতে করে আপনি প্রাকৃতিক উপায়েই দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
৪. আমার ওজন বাড়ছে না কেন?
জেনেটিক্স শরীরের ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার ক্ষেত্রে একটি ভূমিকা পালন করে এবং কিছু লোকের জন্য প্রাকৃতিকভাবে চর্বিহীন শরীরের ধরন নির্দেশ করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে কিছু চিকিৎসার কারণে ওজন হ্রাস বা ওজন বাড়ার অসুবিধা হতে পারে।
এবার আমরা জানলাম মোটা হওয়ার সহজ উপায়। এবার আমরা যে কোনো উপায়ে মোটা হতে পারবো। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত শুকনা/কম ওজন যেমন কাম্য নয় তেমনই অতিরিক্ত মোটাও কিন্তু কারও কাম্য নয় আর মোটা হতে গিয়ে যেন ফ্যাট না বেড়ে যায়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সব কিছু মেনে চলার পরেও যদি আপনি মোটা হতে না পারেন তবে অবশ্যই একজন ডক্টর এর পরামর্শ গ্রহন করুন।কারন হয়তো আপনার ভিতরে সুপ্ত কোনো রোগ আছে যার কারনে আপনি মোটা হচ্ছেন না ।