যোগ কাকে বলে?
যোগ কি? | যোগ কাকে বলে?
ছোট বেলায় প্রায় অনেকেরই অংক সাবজেক্ট টা তে যেনো বেশ ভীতি কাজ করতো। অনেকেই আবার অংক সাবজেক্ট টা তে যেনো মজা খুঁজে পেতাম না। খুব বেশিই বোরিং কাজ করতো। স্কুলের টিফিনের আগে কিংবা টিফিনের পরে যদি অংক ক্লাস থাকতো তাহলে যেনো স্কুলের পুরো সময়টাই একটা ভীতিকর সময় এবং বোরিং সময় পার করতাম। আর এই বোরিং আর ভীতিকর অংক সাবজেক্ট টা মজার হয়ে উঠতো যদি অংক স্যার বইয়ের প্রতিটি অংক সহজ করে তুলে ধরে মজায় মজায় শিখাতো। কি দারুণ লাগতো ব্যাপারটা!
তবে হ্যাঁ, এই বোরিং সাবজেক্ট এর একটা পার্ট বলা যায় প্রায় সকলেরই খুব ভালো লাগতো পাশাপাশি সহজও লাগতো। সেই মজাদার পার্টটি ছিল যোগ অংক। এই যোগ অংক যেমন সহজ তেমনি ছিল মজার। খুব সহজেই যেনো মাথার মধ্যে এই যোগ অংকটি খেলা করতো। আর তাই আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আলোচনা করা হবে যোগ কাকে বলে বা যোগ কি তার উপর। তবে চলুন, আলোচনা শুরু করা যাক।
আরো দেখুনঃ বিয়োগ কাকে বলে?
যোগ কি?
ইংরেজি ভাষা Addition শব্দের বাংলা শব্দ হচ্ছে যোগ। যোগ সাধারণত ক্রস চিহ্ন (+) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যোগ অংক সাবজেক্ট এর পাটীগণিত শাখার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত একটি বিষয়। যোগ অংকের মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং সরল বিষয় গুলোর মধ্যে একটি।
যোগ কাকে বলে?
যোগ কাকে বলে যদি এর সংজ্ঞা সহজ করে বলি তাহলে, দুই বা দুইয়ের অধিক সমান বা অসমান সংখ্যাকে যখন একত্র করে একটি সংখ্যায় পরিণত করা হয় তখন তাকে যোগ বলা হয়। অর্থাৎ, যোজ্য + যোজক = যোগফল।
প্রাথমিক অংক শাস্ত্রের চারটি মৌলিক প্রক্রিয়া প্রতীক আছে। আর এই চারটি মৌলিক প্রক্রিয়া প্রতীকের মধ্যে যোগ হচ্ছে একটি। বাকি তিনটি হচ্ছে বিয়োগ, গুণ এবং ভাগ। অনেক সময় যোগ কে বিয়োগের বিপরীত প্রক্রিয়াও বলা হয়।
এবং একটি মজার বিষয় হচ্ছে, যখন সংখ্যার মধ্যে যোগ করা হয় তখন সংখ্যা দুইটি আগে পরে হলেও কোনো সমস্যা হয় না বরং যোগফল একই হয়ে থাকে।
আরো দেখুনঃ
যোগের বৈশিষ্ট্য
আমরা এতক্ষণ জানলাম যোগ কাকে বলে এটি সম্পর্কে। কিন্তু আমরা কি জানি যে যোগের যে কিছু বৈশিষ্ট্য আছে? অনেকেই হয়ত জানি আবার অনেকেই হয়ত জানি না। তাহলে চলুন, জেনে নেই যোগের কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
- যোগ করার ক্ষেত্রে যদি যোজ্য কিংবা যোজক স্থান পরিবর্তন করে বসে তবে যোগফলের কোনো প্রকার পরিবর্তন হয় না। বরং যোগফল একই রকম হয়। যেমনঃ ২+৩= ৩+২।
- যোগফল সব সময় যোজ্য এবং যোজক এর চেয়ে বড় হয়ে থাকে।
- দুইটি পূর্ণ সংখ্যার যোগফল সব সময় একটি পূর্ণ সংখ্যাই হয়।
- অনেক সময় যোজ্য আর যোজকের সমান হতে পারে এই যোগফল।
সর্বশেষে বলা যায়, যোগ করা কিংবা যোগ অংক বরাবরই সবার কাছেই সহজ এবং সরল। যোগ কাকে বলে এটি সম্পর্কে জেনে যেমন ছোট বেলার অনেক স্মৃতি মনে পরে তেমনি মনে পরে এর সহজবোধ্যতা। আর এই সহজবোধ্যতার জন্যই অংক বিষয়টি তে কাজ করতো আনন্দময় কিছু মূহুর্ত।