vlxxviet mms desi xnxx

ভাষা কাকে বলে?

0
Rate this post

ভাষা কাকে বলে? (ভাষার বৈশিষ্ট্য, ভাষার কাজ)

ভাষা ছাড়া আমাদের জন্য জীবন অচল বললেই চলে। বেঁচে থাকার জন্য আমরা আমাদের দৈনিক চাহিদা মেটানোর জন্য স্পষ্টভাবে যা বলি তাই হচ্ছে ভাষা। তাই ভাষা আমাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস থেকে জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব যুগে বাঙ্গালীদের অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। যা শুধুমাত্র ভারত-বাংলাদেশ নয় বরং পুরো ভারত উপমহাদেশে বিদ্যমান ছিল।

বর্তমানে সর্বাঙ্গে বাঙালির জয়জয়কার। বাঙালি তাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি খেলাধুলা ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তির মাধ্যমে অগ্রসর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাই পৃথিবীতে সকল ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আর আজকে আমরা আপনাদের জন্য ভাষা কাকে বলে এবং বাসার অন্যান্য সকল বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন তাহলে জেনে নেই আমাদের ভাষা কাকে বলে?

ভাষা কাকে বলে? | What is the language?

মানুষ  নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যে ব্যক্ত (স্পষ্ট ভাবে কথা বলে, ইশারার মাধ্যমে বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে) উপস্থাপন করে তখন তাকে ভাষা বলে। অর্থাৎ মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মানুষ যা বলে তাই হচ্ছে ভাষা।

পৃথিবীতে একের অধিক ভাষা রয়েছে। কারণ একেক অঞ্চলের মানুষের ভাষা একেক রকম হয়ে থাকে। এছাড়াও একেক দেশের একেক রকম হয়ে থাকে। একটি দেশে একটি ভাষা ব্যবহার করে তা কিন্তু নয়। একটি দেশে অনেকগুলো অঞ্চল থাকে তাই একেক মানুষ একেক ভাবে কথা বলে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের মাতৃভাষা হচ্ছে বাংলা। কিন্তু এই বাংলা ভাষা বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর অঞ্চলের জনগণ একেক ভাবে উচ্চারণ করে থাকে। তবে শুদ্ধ ভাষা বা পাঠ্যপুস্তক এর ভাষায় হচ্ছে বাংলা ভাষার প্রধান উচ্চারণ। 

বাংলা ভাষা কাকে বলে?

বাঙালিরা বা বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীরা মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যে ভাষায় কথা বলে তাকে বাংলা ভাষা বলে। বাংলা ভাষা হচ্ছে বাংলাদেশের মাতৃভাষা। বর্তমানে পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থান হচ্ছে চতুর্থ।

বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষা শুধুমাত্র বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশে বিদেশে বাংলাদেশের বাংলা ভাষা বিস্তীর্ণ হয়ে আছে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাষাবিদরা বাংলা ভাষাকে তাদের নিজস্ব ভাষ্য অনুসারে বাংলা ভাষাকে ব্যক্ত করে এসেছেন। আমরা নিম্নে চারজন ভাষাবিদের বাংলা ভাষার সংজ্ঞা জানব।

আরো দেখুনঃ উপস্থাপনা ও কথা বলার কলাকৌশল.

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “মানুষ জাতি যে ধ্বনি বা বাকযন্ত্র দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে ভাষা বলে।”

ড. সুকুমার সেনের মতে, “মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন জাতির বা সমাজের সকল সভ্যের বোধগম্য বাক্য বা বাক্যসমূহের সমষ্টিকে ভাষা বলে।”

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন, কোন বিশেষ জন সমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত তথা বাক্যে প্রযুক্তি শব্দসমষ্টিকে একত্রে ভাষা বলে।”

ড. মুহম্মদ আবদুল হাই এর মতে, “এক এক সমাজের সকল মানুষের অর্থবোধক মনের ভাব প্রকাশ করার ধ্বনির সমষ্টিই ভাষা।”

বাংলা ভাষা কত প্রকার ও কি কি?

বাংলা ভাষা প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ

  • সাধু ভাষা।
  • চলিত ভাষা।

তবে বিস্তারিতভাবে বাংলা ভাষা প্রকারভেদ হচ্ছে- বাংলা ভাষার রুপ দুটি। যেমনঃ

  • মৌখিক বা কথ্য ভাষায়।
  •  লৈখিক বা লেখ্য ভাষা।

 মৌখিক ভাষা দুই প্রকার। যথাঃ

  • চলিত কথ্যরীতি। এবং 
  • আঞ্চলিক অর্থনীতি।

লৈখিক ভাষা দুই প্রকার। যথাঃ

  • সাধু রীতি। এবং 
  • চলিত রীতি।

আরো দেখুনঃ ব্যাকরণ কাকে বলে?

ভাষার বৈশিষ্ট্য

বহু ভাষার বিবর্তনের ফলে একটি ভাষার উৎপত্তি হয়। তবে ভাষার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলো কে কেন্দ্র করে ভাষা চেনা যায়। চলুন তাহলে জেনে নিই ভাষার কতগুলো বৈশিষ্ট্য-

  • ভাষা বিশেষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবহৃত হয় এবং প্রচলিত থাকে।
  • সকল ধরনের ধ্বনি কিন্তু ভাষা নয় তবে বাগ যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত যে সকল ভাষার সৃষ্টি হয় সেগুলোই হচ্ছে ভাষা।
  • ভাষা হচ্ছে বিষয়বস্তু ও ভাবের প্রতীক।
  • ভাষা তার নিজস্ব ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকে।
  • ভাষা সার্বভৌমত্ব।
  • ভাষা সবসময় দেশ কাল ও পরিবেশ ভেদে ভিন্ন ও পরিবর্তনশীল হয়।
  • একে অন্যের সাথে বা পরস্পরের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করার জন্য অন্যতম বাহক।
  • ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ভাষা  বিশেষ করে থাকে।
  • ভাষা হচ্ছে বহুজনবোধ্য।
  • ভাষার সৃষ্টি হয় কন্ঠনিঃসৃত ধ্বনি সাহায্যে।
  • ভাষার অবশ্যই অর্থবোধক হতে হবে।

ভাষার কাজ

ভাষার মূল কাজ হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ করা। কিন্তু এ ছাড়াও বাজারে অনেক কাজ রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আমরা সঠিকভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি এবং সহজে অন্যকে নিয়ে যে অবস্থা বোঝাতে পারি। সুতরাং ভাষার কাজগুলো হচ্ছে-

  • একজন মানুষ অন্য জন মানুষের সাথে সহজে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ভাষা ব্যবহার করে থাকে।
  • ভাষার মাধ্যমে মানুষ মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়।
  • ভাষার মাধ্যমে একজনের সুবিধা অন্যজনের অসুবিধা পরস্পর বুঝতে পারে।
  • ভাষার মাধ্যমে একটি পরিবার এবং এরপর একটি সমাজ গড়ে ওঠে।
  • ভাষার মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রকাশ করা যায়।
  • ভাষার মাধ্যমে একটি জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতি তুলে ধরা যায়।
  • ভাষার মাধ্যমে একটি জাতি জ্ঞান অর্জন করে সাহিত্য রচনা করতে পারে।
  • বেঁচে থাকার জন্য সকল প্রয়োজনে ভাষা ব্যবহার করে জীবনকে আরও সহজ করে তোলা যায়।

সুতরাং ভাষা ছাড়া আমাদের চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই আমাদের ভাষাকে সম্মান এবং ভাষা সঠিক ব্যবহার করা উচিত।

বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ

পৃথিবীর সকল ভাষার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইন্দো-ইউরোপীয় আর্য ভাষা। কালক্রমে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা রুপান্তর হয়ে বর্তমানে বাংলা ভাষা এসেছি বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এখনো সকলের মনে প্রশ্ন উঠে যে, কিভাবে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে?

আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে মূল আর্য ভাষাভাষী মানুষ রাশিয়ার উরাল পর্বত এর পাদদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ এই আর্য বা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে পৃথিবীর ১০টি দেশের ভাষা উদ্ভব হয়। আর এই সকল ভাষার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইন্দো-ইরানীয়।

আর এই ইন্দো-ইরানীয় ভাষা থেকে ইরানীয় আর্য এবং দরদীয় ও ভারতীয় আর্য ভাষার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। ভারতীয় প্রাচীন আর্য ভাষার দুটি ধরন ছিল। যার মধ্যে একটি হচ্ছে এবং অন্যটি হচ্ছে সাহিত্যরূপ। তাছাড়া সাহিত্য ভাষায় বেদ গ্রন্থটি লেখা হয়েছিল।

এছাড়াও কত রূপে মোট চারটি আঞ্চলিক উপভাষা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে প্রাচ্য, উদীচ্য, মধ্যদেশীয় এবং দাক্ষিণাত্য। আর এই সকল উপভাষা গুলি মানুষের মুখে স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনের মাধ্যমে ভারতীয় আর্য ভাষা।

অন্যদিকে প্রাচ্য ভাষা থেকে প্রাচ্য প্রাকৃত অ প্রাচ্য মধ্যা প্রাকৃত ভাষার জন্ম হয়। এরপর প্রাকৃত ভাষার বিবর্তনের ফলে দ্বিতীয় স্তরে প্রাচ্য থেকে মাগদি সাহিত্য প্রকৃতির জন্ম হয়েছে। তারপর তৃতীয় স্তরে জন্ম নেয় সাহিত্যিক প্রাকৃতিক কথ্য রূপ থেকে অপভ্রংশ।

ভারতীয় আর্য ভাষার তৃতীয় যুগে আনুমানিক ৯০০ খ্রিস্টাব্দে যখন পদার্পণ করে তখন মাগদি অপভ্রংশ থেকে পাওয়া যায় ভাষার দুটি শাখা। সেগুলো হচ্ছে পশ্চিমা এবং পূর্বী। আর এই পুর্বী শাখা থেকে জন্ম হয় বঙ্গ  অসমীয়া এবং উড়িয়া ভাষা। সর্বশেষে অসমীয়া থেকে সৃষ্টি হয় বর্তমান বাংলা ভাষা।

সুতরাং এভাবেই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। বাংলা ভাষা উদ্ভবের পাশাপাশি বাংলা ভাষার বিকাশ ঘটে। এই বাংলা তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়।  সেগুলো হচ্ছে-

  • প্রাচীন বাংলা ভাষার।
  • মধ্যে বাংলা ভাষা। এবং 
  • আধুনিক বাংলা ভাষা।

উপসংহার: আশা করছি আমরা আপনাদেরকে ভাষা কাকে বলে এবং ভাষা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। যাতে করে আপনারা ভাষা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারে। ছাড়াও আপনাদের যদি ভাষা কাকে বলে সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex
RocketplayRocketplay casinoCasibom GirişJojobet GirişCasibom Giriş GüncelCasibom Giriş AdresiCandySpinzDafabet AppJeetwinRedbet SverigeViggoslotsCrazyBuzzer casinoCasibomJettbetKmsauto DownloadKmspico ActivatorSweet BonanzaCrazy TimeCrazy Time AppPlinko AppSugar rush