অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়
অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়: মাসিক বা ঋতুস্রাব প্রতিটি মেয়ের জীবনের একটি বিশেষ অংশ। মাসিক বা ঋতুস্রাব না থাকলে কোন মেয়েই মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করতে পারত না। বর্তমানে পৃথিবীর 15% দম্পতি বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যায় ভুগছেন এর প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হল প্রথম থেকেই মাসিক এর অনিয়মিত হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য না করা। অনিয়ত মাসিক কারনে গর্ভধারণে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আজ আমারা জানবো অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় কি?
কি কি কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়?
অনিয়মিত মাসিক জনিত সমস্যায় ভোগে নিয়ে এমন মেয়ে পৃথিবীতে কমই আছে। মাত্র সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে এই রোগের সাইডিফেক্ট থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। কি কারণে মাসিক অনিয়মিত হয় এই বিষয়টি জানা আমাদের খুবই প্রয়োজন।
১. হরমোনাল প্রভাব:
ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয়। বয়সন্ধিকালে অনিয়মিত মাসিক স্বাভাবিক কিন্তু বয়সন্ধিকাল পর হবার পর ও যদি আপনার অনিয়মিত মাসিক থাকে তাহলে এটি অবশ্যই চিন্তার কারণ। এই হরমোনাল ইমব্যালেন্স সমস্যাটি দেখা দেয় আমাদের খাদ্য তালিকার কারণে। আই খাদ্যতালিকায় অবশ্যই সুষম রাখার চেষ্টা করবেন।
২.সিস্ট:
আজকাল সিস্ট খুবই সাধারন ব্যাপার হলেও এটির অনিয়মিত মাসিকের অন্যতম একটি প্রধান কারণ। এই দেখা যায় জরায়ু সিস্টের কারণে বাচ্চা গর্ভে দিতে গিয়ে পৌছাতে পারেনা। আর অতিরিক্ত ওয়েল ফুড ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে এ ধরনের শ্রেষ্ঠ আমাদের শরীরে এখন প্রচুর পরিমাণে বাসা বাঁধছে। এতে ভয়ের কিছু নেই ঠিক সময়ে যদি আপনি সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেন তাহলে সিস্ট থেকে রেহাই পাওয়া খুবই সহজ।
৩. জন্মনিরোধক ট্যাবলেট:
গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট যারা খেয়ে থাকেন তারা অনিয়মিত মাসিক জনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। প্রতিটি ট্যাবলেট এর সাইড ইফেক্ট থাকে। ট্যাবলেট ব্যবহার না করে কনডম ব্যবহার করা অতি উত্তম।
৪. থাইরয়েড ডিসঅর্ডার:
থাইরয়েড জনিত সমস্যার কারণে আপনার মাসিক অনিয়মিত হতে পারেন।
৫. জরায়ু টিউমার:
বেশিরভাগ নারীই 40 বছরের পড়ে গিয়ে জরায়ুর টিউমার জনিত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। জরায়ুর টিউমার জনিত সমস্যা এখন অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে যার কারণে অনিয়মিত মাসিক সমস্যাটি দেখা যায়।
দেখুন: গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ
অনিয়মিত মাসিকের ফলে শরীরে কি কি পরিবর্তন ঘটে?
অনিয়মিত মাসিক আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর কারণ এতে আপনার শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ গুলো আপনার শরীরে থেকে যায়। আসুন জেনে নেই অনিয়মিত মাসিক এর ফলে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন ঘটতে পারে।
- হঠাৎ করে আপনার শরীরের ওজন চরম মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে অথবা চরম মাত্রায় কমে যাবে।
- মানসিক যন্ত্রণা দেখা দেবে অতিরিক্ত আবেগী হয়ে উঠবেন।
- অ্যানোরেক্সিয়া বা বুলিমিয়া জাতীয় সমস্যায় ভুগতে পারেন এতে আপনার অতিরিক্ত খেতে ইচ্ছা হতে পারে আবার ক্ষুধা একেবারে চলে যেতে পারেন।
অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় কি?
অনিয়মিত মাসিক হলে আপনার বাচ্চা হবে না এটাই ভেবে কখনো মন খারাপ করবেন না। অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় হাজারো রয়েছে ।
হেলদি ফুড:
অনিয়মিত মাসিক কি ভালো করার জন্য অবশ্যই আপনাকে হেলদি ফুড গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হলুদ, আদা,ধনে,তিল ও দারুচিনি। এই খাবারগুলো আপনার মাসিক চক্র কে সঠিকভাবে সঞ্চালন করতে সাহায্য করবে আর মাসিক চক্র ঠিক হয়ে গেলে বাচ্চা হওয়া নিয়ে আপনার কোন সমস্যা থাকবে না।
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি:
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয় এবং আপনার বাচ্চা ধারনের ক্ষমতাও তেমন থাকে না। তাই টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য সুসম খাবার খান এবং Alcohol থেকে নিজেকে দুরে রাখেন।
টেস্টটিউব বেবি:
যখন কোন ভাবেই সমাধান করতে পারবেন না তখন টেস্টটিউববেবি নিতে পারনে। এখানে দম্পতীর কাছ থেকে Eggs এবং স্পাম নিয়ে ফার্টিলাইজা করে জরাযুতে পারফেক্টলি সেট করে দেওয়া হয়। এটি সাইন্সএর অভিনব আবিষ্কার। এই চিকিৎসা পেতে আপনাকে স্থান ভেদে ৫০ হাজার থেকে থেকে ১০ লাখ পযন্ত খরচ করতে হতো পারে।
শেষ কথা: মাতৃত্ব অনেক মধুর একটি ক্রিয়েশন তাই নিজের যন্ত নিন যে কোন গোপনঅঙ্গ ইনফেকশন হলে ডাক্তারের কাজে যেতে দেরি করবেন। আমাদের “অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়” এই সম্পর্কের আলোচনা এই পর্যন্তই, ধন্যবাদ।