শবে বরাত কবে ২০২৪ | শবে বরাত কত তারিখ?
শবে বরাত কবে ২০২৪ বাংলাদেশ | শবে বরাত কত তারিখ? | শবে বরাতের জন্য কী রোজা রাখা বাধ্যতামূলক?
শবে বরাত কবে ২০২৪ ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শবে বরাতের রাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমান্বিত রাত। শবে বরাত শাবান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মুসলিমদের জীবনে আরবি প্রতি বছরে ১ বার এই দিন আসে। সাধারণত, রমজান মাস শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে এই দিনের আগমন ঘটে। আজ আমরা এই লেখায় আলোচনা করবো, শবে বরাত কবে ২০২৪ বাংলাদেশ কত তারিখ ? চলুন শুরু যাক-
আরো দেখুনঃ
শবে বরাত কী
আরবি ১২ টি মাসের মধ্যে ৮ম মাস হলো শাবান। রমজান মাসের পূর্ববর্তী মাস এটি। আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী সময়টাই হলো শবে বরাত। মূলত, ১৪ তারিখ সূর্য পশ্চিমে ডুবে গেলে সেই সময় থেকে ১৫ তারিখ সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত সময়টাকেই বলা হয় শবে বরাত। এই সময়কে নিসফ শাবানও বলা হয়।
শবে বরাত কবে ২০২৪ কত তারিখে? | Sabe Barat Kabe
এখন আরবি ১৪৪৪ সাল চলছে। আরবি ১২ মাসের মধ্যে রমজান মাস মুসলিমদের জন্য বরকতময় একটি মাস। আর রমজান মাসের আগমন নিয়ে শবে বরাত আসে। ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রমজান মাস শুরু হওয়ার কথা। মুসলিম জাতির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এই রমজান মাস। এর ১৫ দিন আগে অর্থাৎ ৮ মার্চ তাহলে শবে বরাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে চাঁদ না দেখে এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
যদি ২০২৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়, তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, ৮ মার্চ শবে বরাত। কিন্তু, যদি সেদিন নতুন চাঁদ দেখা না যায়, তবে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে এই সময় কিছুটা আগে বা পরে হতে পারে। তবে সৌদি আরবে বাংলাদেশের থেকে ১ দিন আগে সবকিছু উদযাপিত হয়। এর অবস্থান দুই দেশের ভৌগলিক কারণ। যদিও দেশ দুইটি একই মহাদেশে অবস্থিত।
শাবান মাসের ফজীলত
শাবান মাসের গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। ইসলামে এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস উল্লেখ করা আছে। এই মাস নিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) বলেছেন,
“নবিজী (সঃ) শাবান মাসের মতো অন্য কোনো মাসে বেশি রোজা রাখতেন না। তিনি শাবান মাডের প্রতিটি রোজা রাখতেন।” এই হাদিসের সত্যতা পাওয়া যায় আন নাসায়ী-র ২১৮০ নম্বর হাদিস থেকে। তাই উপরোক্ত হাদিস অনুসারে বলা যায়, শাবান মাসের ফজীলত কতটা!
আরো দেখুনঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম.
শবে বরাতের জন্য কী রোজা রাখা বাধ্যতামূলক?
অনেকেরই একটি প্রশ্ন থকে যে, এই দিন কী রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। তবে কুরআনে শবে কদর নামক মহিমান্বিত রাতের কথা ভালোভাবে উল্লেখ করা থাকলেও, শবে বরাতের সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয়নি। রমজান মাসের আগে এই দিনটি আমাদের রমজানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আর তাছাড়া, আমাদের প্রিয় নবী শাবান মাসে রোজা রাখতেন। তাই নির্দিষ্ট করে কেবলমাত্র শবে বরাতের দিনে রোজা রাখার বিষয়টা কোথাও উল্লেখ নেই। মূলত, সবার উচিত শাবান মাসে ঘন ঘন রোজা রাখার চেষ্টা করা। তবে শবে বরাতের রাতে ইবাদতে মগ্ন থাকা যেতে পারে। উপরে আমরা জেনে এসেছি, ২০২৪ সালের শবে বরাত কবে ২০২৪ হতে পারে এ-সম্পর্কে।
শবে বরাত নিয়ে আরো কিছু তথ্য
শবে বরাত শব্দটি বাংলাদেশে পরিচিত একটি শব্দ। তবে অন্যান্য সব দেশে শবে বরাতকে এই নামে ডাকা হয় বা। বিশেষ করে, আরব দেশগুলোতে শবে বরাতকে “লাইলাতুল বরাত” বলে আখ্যায়িত করা হয়৷ আরবিতে লাইলাতুল বরাত অর্থই বাংলায় শবে বরাত। আবার দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষজন আমাদের মতো করে শবে বরাত নামে ডাকে।
ইন্দোনেশিয়ার মানুষ এই দিনকে মালাম নিসফু সায়াবান বলে চিনে থাকেন। আবার, মালয়েশিয়ার মানুষও এই নামে ডাকেন। তুরস্কের মানুষ বেরাত কান্দিলি বলে ডাকেন। শবে বরাত-কে আরো অনেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। তবে শবে বরাত সব দেশে আরবি একই তারিখে পালিত হয়। আশা করি বাংলাদেশে শবে বরাত কবে ২০২৪ হতে পারে তা আপনারা এতক্ষণে জেনে গেছেন।
শবে বরাতে বিশেষভাবে করণীয়
শবে বরাতের রাতে বিশেষভাবে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত। এদিন আল্লাহর দরবারে নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনসহ অন্যদের জন্য দয়া করা যেতে পারে। বেশি করে পবিত্র আল কুরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। সব মিলিয়ে দিনটি আল্লাহর ধ্যানে কাটিয়ে দেওয়া সবচেয়ে উত্তম।
সর্বশেষ কথা: আশা করি আপনারা শবে বরাত কবে ২০২৪ এই লেখা থেকে জানতে পেরেছেন ২০২৪ সালের শবে বরাত কবে? একই সাথে শবে বরাত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। এরকম আরো লেখা পেতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। আর লেখাটা ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।