আজকের সোনার দাম কত ২০২৪
আজকের সোনার দাম কত ২০২৪ বাংলাদেশ | ২২ ক্যারেট সোনার দাম – Today Gold Price In Bangladesh
সোনা মানুষের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ। প্রাচীন যুগ থেকে স্বর্ণের প্রচলন চলে আসছে। তবে দিন দিন স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে সোনার দাম আকাশচুম্বী। তবুও মানুষ সোনা কেনার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কারণ স্বর্ণ শুধু নারীর সাজসজ্জা বা ইচ্ছাকে পূর্ণতা দেয় না স্বর্ণ অসময়ের সঙ্গী হিসেবে পাশে দাঁড়ায়। অর্থ সঞ্চয় অন্যতম উপায় হচ্ছে স্বর্ণ অলংকার কিনে রাখা।
তবে এই স্বর্ণের দাম শুনে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো আঁতকে উঠে কারণ তাদের সঞ্চয় এর অন্যতম উপাদানটিও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবার মত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ দিনদিন স্বর্ণের দাম বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষ তো স্বর্ণ কেনার কথা কল্পনাও করতে পারে না। করোনাকালীন সময়ও সোনার দাম প্রতি ভরি অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলুন জেনে নেই সব ধরনের আজকের সোনার দাম কত আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য সম্পর্কে।
আজকের সোনার দাম বাংলাদেশ – Todays Gold Price In BD
আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সোনার বর্তমান দাম জানতে চাই। কারণ স্বর্ণেরদাম কমলে আমরা সুযোগ বুঝে সোনা কিনে থাকি। আজকের সোনার বাজার মূল্য? বা আজকের সোনার দাম কত? জানার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে যাই। তবে আজকের স্বর্ণের দাম ২০২৪ এর তুলনায় আজকের স্বর্ণের দাম ২০২৪ অনেক বেশি ব্যবধান রয়েছে।
আমরা শুধু আজকের সোনার বাজার মূল্য বা আজকের গোল্ড রেট এর কথা জানার পাশাপাশি রুপোর দাম কত সেটাও জেনে নেই। কারন আজকের সোনার দাম কত এর সাথে সাথে আজকের রূপার দাম উঠানামা করতে থাকে। তাই আমরা প্রতিদিনই আজকের সোনা রুপোর দাম সম্পর্কে জেনে নেই। আজকের সোনার দাম কত জানার সাথে সাথে সোনার পরিমাপ সম্পর্কে জেনে নেই।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের সোনার বাজারে সোনার দাম আরো কমেছে। প্রতি ভরি সোনার দাম কমেছে প্রায় ৩ হাজার ১২২ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) থেকে জানানো হয়েছে আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর কথা। স্বর্ণের দাম কমানোর সাথে সাথে আজকে রুপার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরো দেখুনঃ আজকের সয়াবিন তেলের দাম ২০২৪
অন্যদিকে জুয়েলার্স সমিতি থেকে জানানো হয়েছে যে, অলংকারের দাম কমানোর জন্য মজুরিও বৃদ্ধি করেছেন। আরও জুয়েলারি সমিতি থেকে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের জুয়েলারি খাতের উপর ভ্যাট এবং বাংলাদেশের গ্রাহকদের ওপর দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
২২ ক্যারেট সোনার দাম – 22k Gold Price In BD Today
আমরা যখন সোনা কেনার সময় বা স্বর্ণের দাম জানার সময় তখন সোনার ক্যারেট অনুসারে স্বর্ণের দাম জেনে থাকি। মূলত এই সোনার ক্যারেট ওপর নির্ভর করে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। সোনা অনেক ধরনের ক্যারেটে পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম .২৪ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ১৮ ক্যারেট অন্যতম। তবে বাঙালিরা বেশি চিনে থাকি ভরি হিসেবে। তবে ক্যারেট আর ভরি এক নয়।
বাজারের সবচেয়ে বেশি মূল্যবান হচ্ছে ২৪ ক্যারেট যার মধ্যে কোন খাদ থাকেনা। আজকে আপনাদের মাঝে কথা বলব ২২ ক্যারেট নিয়ে। ২২ ক্যারেট সোনা বেশি জনপ্রিয় এবং বেশি বিক্রয় হয়। ২২ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে ভালো। এবং এর পিউরিটি ৯১.৬০ %।
চলুন জেনে নিই তাহলে ২২ ক্যারেট সোনার দাম কত? যদিও স্বর্ণের দাম প্রতি সপ্তাহে ওঠানামা করে তবুও সেই শেষ সময়ে দাম পাওয়া যায় সেটিকে বর্তমান সময়ের দাম হিসেবে গণ্য করা হয়। নতুন দাম হিসেবে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হচ্ছে 97,628 টাকা।
২১ ক্যারেট সোনার দাম – 21k Gold Price In Bangladesh Today
২১ ক্যারেট সোনা ২২ ক্যারেট সোনার তুলনায় একটু কম ভালো তবে। ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেট সোনা অনেকটা কাছাকাছি এবং এর দাম অনেকটা কাছাকাছি থাকে। বলতে পারেন না ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেট সোনা ১৯/২০ এর মধ্যে পার্থক্য মত।
২১ ক্যারেট সোনার পিউরিটি হচ্ছে ৮৭.৫০%। আর এই ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম হচ্ছে 93,195 টাকা। যাদের বাজেট একটু কম তারা ২১ ক্যারেট এর সোনা কিনতে পারেন।
১৮ ক্যারেট সোনার দাম – 18 Carat Gold Rate
মধ্যবিত্ত পরিবারের সকল মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে তারা স্বর্ণ কিনবে। তাদের এই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তারা সারা বছর তাদের অর্থকে সঞ্চয় করে রাখে। তবে তাদের এই সঞ্চয় তাদের স্বপ্নকে পূরণ করতে না পারলেও স্বপ্নকে পূর্ণতা দিয়ে থাকে। তাদের স্বপ্নকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ অন্যতম ভূমিকা রাখে। কারণ ২৪ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ভালো হলেও এর দাম অনেকটা বেশি, যা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয়। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের পিউরিটি হচ্ছে ৭০.০০% এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম 79,898 টাকা।
১ ভরি সোনার দাম কত – 1 Vori Gold Price In Bangladesh
সোনা ক্যারেট হিসেবে পাওয়া যায়। তবে সোনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভরি হিসাবে বিক্রয় হয় । সোনার যেসকল ক্যারেট পাওয়া যায় সব ধরনের ক্যারাটে ভরি রয়েছে। ক্যারেট হিসাবের ভরিতে দামের রূপান্তর করা হয়। তাই আমরা সকল ধরনের ক্যারেট স্বর্ণের ভরি হিসাবে দাম জেনে থাকি। নিম্নে সকল ধরনের ক্যারেট সোনার ভরি হিসেবে সোনার দাম নির্ণয় করা হলো।
- ২২ ক্যারেট = প্রতি ভরি 97,628 টাকা।
- ২১ ক্যারেট = প্রতি ভরি 93,195 টাকা।
- ১৮ ক্যারেট = প্রতি ভরি 79,898 টাকা।
- সনাতন পদ্ধতিতে = প্রতি ভরি 66,543 টাকা।
বর্তমানে সনাতন পদ্ধতির তুলনায় প্রতি ক্যারেট অনুসারে ১ ভরি সোনার দাম ৩,১২২ টাকা হ্রাস পেয়েছে।
আজকের রুপোর দাম – Today Silver Price
স্বর্ণের দামের বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে রুপোর দাম বৃদ্ধি হয়। সাধারন পরিবারের বিয়েতে রুপার উপর সোনার প্রলেপ লাগানো গহনা তৈরি করে দেয় হয়। কারণ বর্তমানে স্বর্ণের দাম অনেক বেশি হয়। তাই মধ্যবিত্ত এবং সাধারন পরিবারের মানুষ রুপার দিকে বেশি ঝুঁকছে। আর এর জন্য রুপোর দাম ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলুন জেনে নেই রুপোর দাম কত? ক্যারেট অনুসারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হচ্ছে-
- ২২ ক্যারেট = প্রতি ভরি ১,৫১৬ টাকা।
- ২১ ক্যারেট = প্রতি ভরি ১,৪৩৫ টাকা।
- ১৮ ক্যারেট = প্রতি ভরি ১,২২৪ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে রুপার প্রতি ভরি ৯৩৩ টাকা।
স্বর্ণের হিসাব
স্বর্ণের সঠিক হিসাব অনেকে জানে না। তাই আমরা আপনাদের জন্য স্বর্ণের সঠিক হিসেব নিয়ে এসেছি। প্রতি ভরি হিসেবে নিম্নে দেয়া হলঃ
বাংলাদেশে এ হিসেব ব্যবহার করা হয়-
- ১ ভরি = ১৬ আনা।
- ১ ভরি = ৯৬ রতি।
- ১ আনা = ৬ রতি।
আন্তর্জাতিক পরিমাপের এ হিসেব করা হয়-
- ১ আউন্স = ২.৪৩০৫ ভরি।
- ১ আউন্স = ২৮.৩৪৯৫ গ্রাম।
- ১ ভরি = ০.৪১১৪৩ আউন্স।
- ১ ভরি = ১১.৬৬৩৮ গ্রাম।
১০ গ্রাম সোনার দাম কত?
১১.৬৬৪/১০ = ১১৬৬.৪ ভরি।
স্বর্ণ কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরি
আমরা সকলেই স্বর্ণ কিনতে পছন্দ করি। কিন্তু এই স্বর্ণ কেনার পূর্বে আমাদের খাঁটি স্বর্ণ কেনার জন্য কিছু বিষয় জরুরি। নতুবা আমরা খাঁটি স্বর্ণ বদলে নকল স্বর্ণ কিনে আনতে পারি। তাই আপনি স্বর্ণ কিনে ঠকছেন কিনা তা যাচাই করার জন্য অবশ্যই আপনাদের পূর্ব থেকে জেনে রাখা উচিত স্বর্ণ কেনার সময় কোন কোন বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখা। তাহলে চলুন এবার জেনে নিয়ে স্বর্ণ কেনার আগে যে সব বিষয় জানা জরুরী-
স্বর্ণের খুঁটিনাটি কেমন:
সাধারণত স্বর্ণের সকল খুঁটিনাটি বিষয় নির্ধারণ করা হয় কত ক্যারেট তার ওপর। তবে আপনাদের এটা জেনে রাখা ভালো যে যেকোনো স্বর্ণের তৈরি গহনা তৈরি করতে বা অন্য কোন জিনিস তৈরি করার জন্য সম্পূর্ণ খাঁটি স্বর্ণ ব্যবহার করা হয় না, সামান্য পরিমান হলেও ব্যবহার করতে হয়। তবে দোকানে যে সকল ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায় তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ২১ ক্যারেট স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়।
কত ক্যারেটে কত শতাংশ খাঁটি স্বর্ণ থাকে তা নিম্নে একটি টেবিলে দেয়া হলো-
ক্যারেট | খাঁটি স্বর্ণের শতাংশ |
২৪ ক্যারেট | ৯৯.৯% |
২২ ক্যারেট | ৯১.৬% |
২১ ক্যারেট | ৮৭.০০% |
১৮ ক্যারেট | ৭৫.০০% |
খাঁটি স্বর্ণ বোঝার উপায়:
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তাহলে খাঁটি স্বর্ণ আমরা কিভাবে বুঝতে পারব? খাঁটি স্বর্ণ বোঝার জন্য একটি বিশেষ মিটার ব্যবহার করা হয়। সেই মিটারটি দিয়ে যদি আপনি আপনার গহনা মেপে থাকেন তাহলে সেখানে বুঝতে পারবেন আপনার ঘটনাটির কতটুকু খাঁটি। আর সেই যন্ত্রটির নাম হচ্ছে স্পেকট্রোমিটার। এই যন্ত্র ই বলে দিবে আপনার গহনাতে কত ক্যারেট স্বর্ণ দেয়া হয়েছে এবং কতটুকু খাদ রয়েছে।
তাই আপনারা যখন গহনা বা স্বর্ণ কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই স্পেকট্রোমিটার মেশিনে আপনার গহনা যাচাই করে নিবেন। এবং গহনা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই হলমার্ক দেখে কিনবেন। কোন কারণে যদি আপনি সেই গহনা বা স্বর্ণ বিক্রি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার এই হলমার্কের জন্য খাদ বাদ যাবে না। শুধুমাত্র মজুরি বাবদ খরচ হবে সেটি বাদ যাবে।
স্বর্ণ তৈরীর ওপর ছাড়:
স্বর্ণ তৈরি করার সময় ওই স্বর্ণের ওপর বিশেষ ছাড় দেয়া হয়, আর ক্রেতারা বিক্রেতাদের প্রলোভনে পড়ে স্বর্ণ ক্রয় করে থাকে।স্বর্ণের ওপর ছাড় মূলত হচ্ছে মেকিং চার্জ এর ওপর বাড়তি ছাড় দেখিয়ে স্বর্ণ বিক্রি করার একটি পদ্ধতি যা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি দেখিয়ে থাকেন। তাই আপনারা যখন স্বর্ণ ক্রয় করবেন তার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে স্বর্ণের ওপর যেথা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে তা জেনে নিতে হবে। যদি কোন হিডেন চার্জ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই স্বর্ণ কেনার সময় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
সঠিক বিনিয়োগ:
স্বর্ণ কেনার সময় অবশ্যই বিনিয়োগের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ বাজারের দাম উঠানামা করতে থাকে। তাই আপনারা যারা বিনিয়োগের উদ্দেশে স্বর্ণ ক্রয় করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক ভাবে বাজারের খোঁজ খবর নিয়ে স্বর্ণ কিনতে হবে। প্রয়োজনে যথাযথ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।
মনি মুক্তা:
স্বর্ণ ক্রয় করার সময় আপনারা অনেক সময় স্মরণ এর মধ্যে হিরা, মুক্তা, রুবি এবং পান্না জাতীয় পাথরের কাজ সহকারে গহনা ক্রয় করতে চান। এ ধরনের গহনা ক্রয় করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এ ধরনের পাথরগুলোর সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে এবং দাম নির্ধারণ করে নিতে হবে। সেইসাথে মনি-মুক্তার দরদাম বর্তমান বাজারে কেমন সেগুলো ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ করে সোনা কেনার সময় ভালো করে দাম যাচাই করে নিতে হবে, তাছাড়া এ ধরনের গহনা কেনার ক্ষেত্রে আপনারা স্বর্ণের ওপর দাম সংক্রান্ত জোর বেশি দেয়াই শ্রেয় পাথরের উপর নয়।
স্বর্ণের মূল্য:
স্বর্ণের বাজারে স্বর্ণের মূল্য সব সময় ওঠানামা করতেই থাকে। তাই স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করার সময় ব্যবসায়ীরা কোন খাতে কতটুকু দাম নির্ধারণ করছে তার ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে। আপনাদের যাতে অসাবধানতাবশত কোনভাবে ঠকাতে না পারে তার জন্য অবশ্যই স্বর্ণ ক্রয় করার সময় স্বর্ণের দাম অনুসারে কত টাকা নির্ধারণ করছে এবং মজুরিসহ কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে।
কিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়?
প্রত্যেক জিনিসের দাম উঠা-নামা করতে থাকে কিন্তু সেই সাথে স্বর্ণ বাজারে দাম ওঠানামা প্রতিনিয়ত করতেই থাকে। তবে এই দফায় স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যে যুদ্ধ চলমান রয়েছে সে যুদ্ধ। তাছাড়া আমরা পূর্ব থেকেই জানে যে যেকোনো ধরনের বৈশ্বিক সংকটের কারণে স্বর্ণের মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলে। যেমনঃ যে কোন দেশের মধ্যে যুদ্ধ, মহামারী জনিত সমস্যা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ আগারওয়াল স্বর্ণ বাজারের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলেছেন যে, “ যখন মানুষের উপর আস্থা হারিয়ে যায় তখন স্বর্ণের দিকে মানুষ ঝুঁকে পড়ে।আরে যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে টানাপড়েন লেগেছে যেমনঃ ইরান, চীন, ইরাক, লিবিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে যে অর্থনৈতিক সংকট যুদ্ধ দেখা দিয়েছে সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে রেট বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন পুরো ইউরোপ বাজারের দিকে ঝুঁকছে। আর এই ধরনের কারণগুলো কেন্দ্র করে স্বর্ণ বাজারের বৃদ্ধি পেয়ে যায়।”
স্বর্ণ একটি পণ্য হলেও প্রয়োজনে তা মূল্য পরিশোধের জন্য ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। যেহেতু একটি সংকটের কারণে বিশ্বের সেলবাজারের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে সেহেতু স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার যদি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি তেলের বাজার অস্থিরতা বিরাজ করে।ক্রুড অয়েল উৎপাদনকারী দেশগুলো যখন ভাবতে থাকে সামনে ডলারের মূল্য পড়ে যাবে তখনই তারা শঙ্কিত হয়ে যায় এবং তেলের দাম বাড়লে দ্রব্যমূল্যের দাম তরতরিয়ে বৃদ্ধি পায়।
আমরা সকলেই জানি যে তেল এবং গ্যাস একসময় বিলীন হয়ে যেতে পারে কিন্তু স্বর্ণ কখনো শেষ হয়ে যেতে পারে না। স্বর্ণ সবসময় নানা ধরনের হাতে হস্তান্তরিত হয় সেই স্বর্ণ পৃথিবীতে বিরাজ করবে। তাই স্বর্ণের স্থায়িত্ব অনেক বলে মানুষ স্বর্ণ মজুদ করে রাখতে চায়। আর এই স্বর্ণের বাজার এর দাম ওঠানামা মূল কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া। আর এই আন্তর্জাতিক বাজারের যেকোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বর্ণের বাজার এর দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সুতরাং মানুষের নির্ধারিত পণ্যের চাহিদা এবং যোগানের ভিত্তিতে সকল জিনিসের দামের বৃদ্ধি পায় সেই সাথে স্বর্ণের বাজার ওঠানামা করতে থাকে।
দিন দিন সোনা ও রুপার দাম অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলছে। আন্তজাতিক বাজারেও সোনার দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি হচ্ছে। আর এর প্রভাব প্রতিটা দেশে ফেলছে। অন্যদিকে করোনা কালীন সময়ে স্বর্ণের দাম কমার তুলনায় উল্টোদিকে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা যেন সোনা বাজার আরও সতেজ করে দিয়েছে।
আজকের সোনার দাম কত বাংলাদেশে FAQ
Q: কোন সোনা নষ্ট হয় না?
A: স্বর্ণ কেনার সময় অবশ্যই আমাদের যাচাই করা উচিত। আর এমন সোনা কিনে নেওয়া উচিত, যেগুলো সহজে নষ্ট হবেনা। তো বর্তমান সময়ে দীর্ঘদিন স্থায়িত্বের দিক থেকে ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণ কিনে নেওয়া উত্তম। কেননা, ২৪ ক্যারেট এর স্বর্ণতে কোনো ধরনের ধাতুর মিশ্রন থাকেনা।
Q: কোন ক্যারেট সোনা সবচেয়ে ভালো?
A: যখন আপনি স্বর্ণ কিনতে যাবেন, তখন আপনার এই প্রশ্নটি মাথায় আসবে। তাই আপনাদের বলে রাখি যে, ২৪ ক্যারেট এর সোনা সবচেয়ে ভালো। কেননা, এই সোনা গুলো তে অন্যান্য কোনো ধাতুর মিশ্রন থাকেনা। যার কারণে আপনি একবারে বিশুদ্ধ সোনা কিনতে পারবেন।
Q: ২২ ক্যারেট সোনা বলতে কি বুঝায়?
A: সচারচর যে সকল সোনার মধ্যে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি সোনা থাকে। সেগুলো কে বলা হয়, ২২ ক্যারেট এর সোনা। আর বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ তাদের শখের অলংকার তৈরি করতে ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণ ব্যবহার করে আসছে।
Q: মানুষ স্বর্ণের মূল্য সবচেয়ে বেশি দেয় কেন?
A: বর্তমান সময়ে স্বর্ণ হলো সবচেয়ে দামি একটি ধাতু। এছাড়াও সোনা কে সম্পদ, ধাতু এবং মহিমার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেইসাথে অনেক প্রাচীন সময় থেকে স্বর্ণকে একটি লোভনীয় ও উপাসনার কাজে ব্যবহৃত সামগ্রীর জন্য অনেক উচ্চস্থানে স্বর্ণকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
Q:বছরে কত টন স্বর্ণ উৎপাদন হয়?
A: বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের অলংকার তৈরি করার জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করে। আর মানুষের এই স্বর্ণের চাহিদাকে পূরণ করা লক্ষ্যে প্রতি বছর প্রায় ৩,৬১২ টন স্বর্ণ উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
আপনারা যদি সোনা বা রুপা কিনতে চান তাহলে এখনই কিনে নেয়া ভ্ল হবে নতুবা আরও দাম বৃদ্ধি পাবে। কারন যত দিন যাবে তত বাজার মূল্য ব্রদ্ধি পাবে।