আবহাওয়া পরিবর্তন কি?
আবহাওয়া পরিবর্তন কি? | আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ কি কি?
বিভিন্ন কারণে আবহাওয়া মধ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন হতে চলেছে। তবে এই পরিবর্তনের মাত্রা যখন অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে। তখন কিন্তু এই পৃথিবী অনেকটাই হুমকির মুখে পড়বে। কেননা অনেক আবহাওয়াবিদ তাদের গবেষণা থেকে বলেছে যে। এভাবে যদি আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। তাহলে এই পৃথিবী প্রাণীদের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে। আর তাদের মনে জেগে থাকা সেই প্রশ্ন টি হল যে, আবহাওয়া পরিবর্তন কি। এর পাশাপাশি অনেকেই জানতে চান যে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ কি কি।
সত্যি বলতে আজকের আর্টিকেল টি আমি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার জন্যই লিখেছি। মূলত এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি পরিষ্কার ভাবে জেনে নিতে পারবেন যে, আবহাওয়া পরিবর্তন কি। এর পাশাপাশি যদি এই আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। তাহলে সেই আবহাওয়া পরিবর্তন এর প্রভাব কেমন হবে। সে সম্পর্কে আপনাদের বিশদ ভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। আর আপনি যদি সেই Weather changes সম্পর্কে ধারণা নিতে চান। তাহলে আজকের পুরো লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।
আরো দেখুন: জলবায়ু পরিবর্তন কি?
আবহাওয়া পরিবর্তন কি?
সহজ কথায় পূর্বের আবহাওয়া থেকে যদি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আবহাওয়ার মধ্যে কোন বিরূপ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তখন তাকে বলা হয়ে থাকে আবহাওয়া পরিবর্তন। যেমন ধরুন, আমাদের বাংলাদেশের কথা। আমাদের বাংলাদেশে আগে বর্ষাকালে বৃষ্টি হতো এবং গ্রীষ্মকালে রোদ হত। কিন্তু ভবিষ্যৎ সময়ে যদি শীতকালে বৃষ্টি হয় এবং বর্ষাকালে অনেক গরম হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারব যে, এখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। ঠিক একইভাবে যখন কোন একটি স্থানের পূর্বের গড় আবহাওয়ার সাথে যদি বর্তমান কিংবা ভবিষ্যতে আবহাওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তখন তাকে বলা হবে, আবহাওয়া পরিবর্তন।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ কি কি?
উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে, আবহাওয়া পরিবর্তন কি। তো এই বিষয় টি জানার পরে এখন হয়তো বা অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে যে। এই Weather changes এর কারণ কি কি। আর আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে এক কথায় উত্তর দিব যে। এই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার জন্য মূল দায়ী হলো মানুষ। কেননা এই পৃথিবীর পরিবেশ কে রক্ষা করার একমাত্র দায়িত্ব মানুষের রয়েছে। কিন্তু আমরা এই পৃথিবীর মানুষ কখনোই সেই দায়িত্ব কে সঠিক ভাবে পালন করতে চাইনা। বরং এই পৃথিবীর পরিবেশ যাতে আরো ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। সেই লক্ষ্যে আমরা নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
যেমন ধরুন, এই পৃথিবী তে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা মানুষ কখনোই তার প্রয়োজনীয় তা অনুভব করতে পারিনি। বরং আমরা আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বনাঞ্চল কেটে উজাড় করে দিয়েছি। যার ফলে দেখা দিয়েছে অতিবৃষ্টির মতো মারাত্মক সমস্যা। এর পাশাপাশি শহর অঞ্চল গুলো তে যে সকল কলকারখানা রয়েছে। সে গুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য নির্গত হয়। আর আমাদের উচিত এই দূষিত পদার্থ গুলো কে মাটির নিচে পুতে রাখা। অথচ আমরা নির্দ্বিধায় সে গুলো কে যত্রতত্র ফেলে রাখছি। শুধু তাই নয় মানুষ এখন কোন প্রকার চিন্তা ভাবনা ছাড়াই পশু পাখি কেটে উজাড় করে দিচ্ছে। যেখানে বনাঞ্চল থাকা উচিত সেখানে গড়ে উঠছে বিরাট বিরাট অট্টালিকা। বাধা গ্রস্থ হচ্ছে সবুজ শ্যামলে ভরা প্রকৃতি।
এর পাশাপাশি অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে যানবাহনের সংখ্যা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে আমরা প্রতিনিয়ত গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি পুড়িয়ে আমাদের এই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কে একবারেই দূষিত করে ফেলেছি। তবে আমরা নিজের অজান্তেই আমাদের পরিবেশ এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন করার পরেও একটু সজাগ হইনি। সে কারণে অনেক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে। এভাবে যদি মানুষ পৃথিবীর পরিবেশ কে নষ্ট করে ফেলে। তাহলে একটা সময় এই পৃথিবী তে আর বসবাস করা সম্ভব হবে না। আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে। বিভিন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা সমুদ্র গর্ভে একেবারে তলিয়ে যাবে। আর এর মূল কারণ হবে আবহাওয়া পরিবর্তন।
আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব
দেখুন যদি Weather changes হয়, তাহলে প্রকৃতির মধ্যে বিরূপ একটা পরিবর্তন চলে আসবে। কেননা এই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে প্রথমত দেখা দিবে অতি দৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টির মতো জটিল সমস্যা। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে। যার কারণে কখনো কখনো অনেক খরা হবে। আবার কখনো কখনো এত বেশি বৃষ্টি হবে। যা আসলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিবে। যেমন, ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন এর পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে।
সেই সাথে সাথে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। কেননা Weather changes হলে খরার পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে যেসব মেরু অঞ্চলের বরফ দিয়ে ঢাকা থাকবে সেই অঞ্চলের বরফ গুলো ক্রমাগত ভাবে গলতে শুরু করবে। যারা ফলস্বরূপ সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি উচ্চতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। আর এই পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পৃথিবীর নিচু স্থান গুলো ধীরে ধীরে পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
আরো দেখুন: সকল জেলার আবহাওয়ার খবর.
Q: কৃষিতে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব কি ?
A: যদি আবহাওয়া পরিবর্তন হয়, তাহলে কৃষি ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব পড়বে। কারণ অতিরিক্ত তাপমাত্রা, অতি দৃষ্টি এবং অনাবৃষ্টি এর পাশাপাশি বন্যার কারণে শস্য উৎপাদন করতে বাধাগ্রস্ত হবে। এর ফলে কৃষকরা তাদের ফসল গুলো সঠিক ভাবে উৎপাদন করতে পারবে না।
Q: আবহাওয়া পরিবর্তন এর চারটি কারণ কি?
A: Weather changes হওয়ার মানব সৃষ্ট কারণ হলো: শিল্প কারখানা এবং যানবাহনের দূষণ, বন জঙ্গল কেটে ফেলা, জীব ও বৈচিত্র ধ্বংস করা, নদী-খাল বিল ভরাট করে ফেলা, কয়লা, গ্যাস পোড়ানো ইত্যাদি।
Q: আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবেলা করার উপায় কি?
A: আমরা চাইলে খুব সহজেই এই আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবেলা করতে পারব। সেক্ষেত্রে পরিবেশের যাতে ক্ষতি হয় সেই কাজ গুলো করা থেকে আমাদের একবারে বিরত থাকতে হবে। যেমন ধরুন, আমাদের বনাঞ্চল রক্ষা করতে হবে। এর পাশাপাশি শিল্প কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য গুলো সঠিক স্থানে রেখে দিতে হবে। নদী, খাল, বিল পুকুর ইত্যাদি ভরাট করা যাবে না। সেই সাথে কয়লা থেকে নির্গত হওয়া ধোঁয়া এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। আর আমরা যদি আমাদের পরিবেশ কে রক্ষা করতে পারি। তাহলেWeather changes মোকাবেলা করা সম্ভব।