বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি? | বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে?
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি? | বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে? | বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের উপায়
What is global warming: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি সহজ কথায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলতে বোঝানো হয়। পৃথিবীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা যখন ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকবে। তখন তাকে বলা হবে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। আর এভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে হতে একটা সময় পৃথিবীতে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কেননা অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে। একটা সময় পর্বতের চূড়া ও মেরু অঞ্চলের মধ্যে যে সকল বরফ জমাট বাঁধা আছে। সেগুলো আস্তে আস্তে গলতে শুরু করবে। এর ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা অকল্পনীয় ভাবে বৃদ্ধি পাবে। সে কারণে নিম্ন অঞ্চল গুলো একটা সময় জলের নিচে তলিয়ে যাবে।
আরো দেখুন:
শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর ফলে পৃথিবীতে আরও নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে। তার মধ্যে অন্যতম কিছু সমস্যা হল, খরা এবং অনাবৃষ্টি। আর এমনটা চলতে থাকলে একটা সময় পৃথিবীতে ব্যাপক হারে। সাইক্লোন এবং ঘূর্ণিঝড় এর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ আশঙ্কা জনক হারে বেড়ে যাবে। আর এইসব কারণ গুলোর জন্য আমাদের আগে থেকেই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। মূলত সে কারণেই আজকের আলোচনায় আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি। এবং কিভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করা সম্ভব।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি?
পৃথিবীর মধ্যে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিরাজমান থাকা গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধির পরিমাণ কে বলা হয়ে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং। আর পৃথিবীর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার কারণে। এই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কে দায়ি করা হয়।
কেননা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর ফলে ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকারের জলবায়ুর পরিবর্তন এসেছে। আর এর ফলে জলবায়ুর মধ্যে যে সকল পরিবর্তন আসবে। সেগুলো কখনোই মানব জীবনের জন্য মঙ্গল আনবে না। কারণ পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রাখার জন্য এই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অনেকটাই হুমকি স্বরূপ।
বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে?
বিশ্ব উষ্ণায়ন কে গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরা হয়। কেননা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকে। আর যখন পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। তখন তাকে বলা হবে, বিশ্ব উষ্ণায়ন।
আর একটা বিষয়ে জেনে রাখা উচিত। সেটি হলো, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আমাদের মানুষের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে। কারণ গোটা বিশ্ব যখন শিল্প বিপ্লবে অগ্রসর হওয়া শুরু করেছে। ঠিক তখন থেকেই প্রকৃতির সাথে মানুষের অবিচার শুরু হয়েছে। আর সে কারণে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ কী?
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি বা বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে। তবে এবার আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে। সেটি হল, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর প্রধান কারণ কি। অর্থাৎ এমন কোন কারণ রয়েছে, যে গুলোর জন্য পৃথিবীর তাপমাত্রা আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলুন এবার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর প্রধান কারণ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- মিথেন এর পরিমাণ বৃদ্ধিঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর অন্যতম একটি কারণ হলো, মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। কেননা বিভিন্ন ধরনের গাছ পালার পচন, কৃষি কাজে ব্যবহার করা বর্জ্য। এবং নানা ধরনের জীব জন্তুর বর্জ্য থেকে এই ধরনের মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
- গাছপালা কেটে ফেলাঃ বর্তমান সময়ে মানুষ বনাঞ্চল কেটে ফেলছে। যার ফলে বাতাসের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং অতিরিক্ত হাড়ে বৃক্ষ কর্তন করার কারণে। বায়ু মণ্ডল এর মধ্যে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান একটি কারণ।
- বর্জ্যে পরিমাণ বৃদ্ধিঃ আজকের দিনে কৃষিকাজ থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা এবং যানবাহন পর্যন্ত। এই সব কিছুই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর অন্যতম কারণ। কেননা এখন কৃষিকাজে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা যানবাহন এর মধ্যে বিষাক্ত কালো ধোয়া বাতাসের সাথে মিশে যায়। এবং এই ধরনের শিল্প-কারখানা এবং যানবাহন থেকে নাইট্রাস অক্সাইড, সালফারের কণা এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গত হয়।
- জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারঃ আজকের দিনে কল কারখানার পরিমাণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই ধরনের কল-কারখানা এবং বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এর মধ্যে। নানা ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করা হয়। সে কারণে ক্রমাগত ভাবে বায়ু মণ্ডলের মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- CFC এর ব্যবহার বৃদ্ধিঃ আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি শিল্প, রং শিল্প, প্লাস্টিক শিল্প থেকে এক ধরনের বিশেষ যৌগ নির্গত হয়। যাকে বলা হয়, CFC. যা পৃথিবীর ওজন স্তর কে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।
উপরে আপনি বশ কিছু বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ গুলো দেখতে পারছেন। তবে এগুলো ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর আরো অনেক ধরনের কারণ রয়েছে। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি, মূল কারণ গুলো কে উপরে উল্লেখ করার। যাতে করে আপনি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি সে সম্পর্কে জানার পাশাপাশি। এর কারণ গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের উপায়
আমরা এতক্ষনের আলোচনা থেকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এর পাশাপাশি কোন কারণ গুলোর জন্য বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর সৃষ্টি হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। তো এবার আপনাকে জানতে হবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের উপায় গুলো কি কি।
অর্থাৎ এমন অনেক উপায় রয়েছে। যে গুলোর সাহায্য বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করা সম্ভব। চলুন, এবার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বৃক্ষ রোপন এর হার বৃদ্ধি করা-
আপনি যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ রোপন করতে হবে। সেই সাথে বৃক্ষ কর্তন করার মত কাজ টি থেকে দূরে থাকতে হবে। আর যখন বৃক্ষ রোপণের পরিমাণ অতিরিক্ত হারে বেড়ে যাবে। তখন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর প্রভাব অনেকটাই কমতে শুরু করবে।
যদিও বা নানা ধরনের প্রয়োজনে আমাদের গাছ কাটার দরকার হয়। তবে আমরা যদি বৃক্ষ রোপণের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারি। তাহলে কিন্তু এমন জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে অনেকটাই রেহাই পাব। এবং পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমে আসব
পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবহার কমাতে হবে-
আমাদের মানব সভ্যতার যতটা উন্নতি হয়েছে। ঠিক তত বেশি যানবাহন এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা এখন সড়ক পথ থেকে শুরু করে আকাশ পথে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই ধরনের যানবাহন গুলো চলাচলের জন্য বিভিন্ন ধরনের পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন এর মত জ্বালানি গুলো ব্যবহার করা হয়।
তবে আপনি যদি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করার পরিমান কমিয়ে আনতে হবে। এর পাশাপাশি চেষ্টা করতে হবে, জ্বালানি পরিবর্তে ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহার করার।
মিথেন গ্যাস এর পরিমাণ হ্রাস করা-
বায়ু মণ্ডলের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো মিথেন গ্যাস এর পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়া। আর এই ধরনের মিথেন গ্যাস আমাদের মানুষের কারণেই বৃদ্ধি পায়। তাই চেষ্টা করবেন এমন কোন কাজ না করার। যে গুলোর ফলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যেমন ধরুন, আমরা অনেকেই আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো ব্যবহার করার পরে সে গুলো কে ফেলে দেই।
কিন্তু যখন অতিরিক্ত পরিমাণে এই ধরনের বর্জ্য এবং গাছপালা নিচে পচে যায়। তখন কিন্তু বায়ু মণ্ডলের সাথে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই চেষ্টা করুন, এমন কিছু করার। যার মাধ্যমে মিথেন গ্যাস এর পরিমাণ হ্রাস পায়।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস-
আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করার ফলে। বায়ু মন্ডলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। যার ফলে এই গ্যাস সূর্য থেকে আগত তাপ কে আটকে রাখে। এবং বায়ুমন্ডলের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
কিন্তু আমাদের সবার উচিত নিজ অবস্থান থেকে। এই ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা। কারণ আমরা যদি এভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করি। তাহলে কিন্তু তা আমাদের মানব জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
আরো দেখুনঃ
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি -FAQ
Q: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি?
A: যখন দীর্ঘ দিনের জন্য পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তখন তাকে বলা হবে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
Q: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কি?
A: বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর প্রভাবে পৃথিবীর মধ্যে থাকা জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন হবে। আমরা অনেকেই মনে করি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন শুধুমাত্র বায়ুম ণ্ডলের উষ্ণতা এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি করবে। কিন্তু বিষয় টা এমন নয়।
এর বাইরে ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর ফলে প্রকৃতির আগাম পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হবে। যেমন, অতিরিক্ত খরা, অনাবৃষ্টি, ঝড়, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি।
Q: বাংলাদেশে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কি?
A: যেহেতু বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর প্রভাব গোটা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। সেহেতু এর মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ ও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেননা বাংলাদেশ এর উত্তরে রয়েছে, সুবিশাল হিমালয় পর্বত।
আর বায়ুম ণ্ডলের তাপমাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে। এই পর্বতের মধ্যে থাকা বরফ গলতে শুরু করবে। এর ফলে নিম্ন অঞ্চল গুলো জলের নিচে তলিয়ে যাবে। সেই সাথে ভূমিকম্প, নদী ভাঙ্গন, খরা, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিমাণ আশঙ্কা জনক ভাবে বেড়ে যাবে।
Q: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ কোনটি?
A: গোটা বিশ্বের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে রয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত, “ভানুআতু দ্বীপ”। এবং এই দেশটির প্রতিবেশী দেশ হিসেবে “টঙ্গা”- অনেক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে। এবং এই তালিকায় আরো একটি দেশ রয়েছে। সেই দেশের নাম হল, “ফিলিপিনস”।
Q: পৃথিবীর উষ্ণতা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে?
A: পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো, গ্রীন হাউস এফেক্ট। মূলত মানব সভ্যতার উন্নতির পাশাপাশি প্রকৃতির উপর যে নিদারুণ অত্যাচার করছে। তার ফল হিসেবে এই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Q: গত 100 বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা কত বৃদ্ধি পেয়েছে?
A: আপনি যদি এই পৃথিবীর গত 100 বছর এর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হিসাব দেখতে চান। তাহলে জেনে রাখুন, গত 100 বছরেই পৃথিবীর তাপমাত্রা 1 degree বেড়ে গেছে। এবং পরবর্তী 100 বছরের মধ্যে যদি পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পায়। তাহলে কিন্তু পৃথিবীতে এমন সব দুর্যোগ দেখা দিবে। যা অতীতের ইতিহাস এর সব রেকর্ড ভেঙে দিবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি নিয়ে আমাদের শেষ কথা
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে বেশ কিছু বিষয় জানতে পেরেছে। যেমন, সবার শুরুতে আমরা জেনেছি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর প্রধান কারণ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং সবশেষে আমরা জানতে পেরেছি, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করার উপায় সম্পর্কে। তো আশা করি আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।
প্রিয় পাঠক, Wikipedia Bangla হলো এমন এক ধরনের ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি বিনামূল্যে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবেন। এবং আমরা সর্বদা আপনাদের নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো কে সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। এতক্ষণ ধরে “বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি“- নিয়ে লেখা আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।