রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে?
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি?। রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে?
আমরা সবাই জানি যে মানুষ একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন। প্রতিটি মানুষই কোন না কোন রাষ্ট্রের অধিবাসী। সমাজের প্রতিটি মানুষই একে অপরের উপর কোন না কোনভাবে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। মানুষ একা চলতে পারে না। প্রতিটি মানুষকে একজন আরেকজনের সাহায্য নিয়ে চলতে হয়। প্রতিটি মানুষই কোন না কোন রাষ্ট্রে বসবাস করে রাষ্ট্র ব্যতীত কেউ কোনদিন সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারে না। রাষ্ট্রে বসবাস করেও রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি সে সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেৱ ভালোভাবে ধারনা নেই।
আপনি যেহেতু আজকের এই পোষ্ট টি পড়তে এসেছেন সুতরাং আপনিও নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে। আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাব বিভিন্ন অর্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত খুঁটিনাটি সব তথ্য আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। সুতরাং দেরি না করে চলুন তাহলে মূল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে? | What Is Political Science?
প্রতিটি মানুষের জন্য উন্নত জীবনযাপন বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে রাষ্ট্র। এখন প্রশ্ন হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান আসলে কি? সাধারণ অর্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল রাষ্ট্র সম্পর্কিত যে সমস্ত বিষয়বস্তু রয়েছে সেসব বিষয়ে জ্ঞান। রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখাই হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান। রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল একটি শাস্ত্র যেখানে মানুষের রাজনৈতিক জীবনের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন বিষয়াবলি প্রতিষ্ঠান ও কার্যাবলী নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করা হয়ে থাকে।
শাব্দিক অর্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞান
রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে ইংরেজিতে পলিটিকাল সাইন্স বলা হয়ে থাকে। যার ইংরেজি উচ্চারণ হলো Political Science. গ্রিক শব্দ Polis থেকে পলিটিক্স শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হলো নগররাষ্ট্র। সুতরাং এ থেকে বলা যায় যে যে শাস্ত্র নগর রাষ্ট্রের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করে থাকে তাকেই বলা হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানির দৃষ্টিকোণ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান
রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে অনেক লেখক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান তাদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে চেষ্টা করেছেন সংজ্ঞায়িত করার। তাদের মধ্যে একজন হল পল জানেট। নিম্নে তার মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি তা নিয়ে আলোচনা করা হলো:
পল জানেটেৱ মতে “রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে রাষ্ট্রের ভিত্তি ও সরকারের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করা হয়।”
সুতরাং এ থেকে বলা যায় যে বিজ্ঞানেৱ লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক শক্তিগুলো নিরূপণ করা এবং তাদের মধ্যকার যুক্তিগত কার্যকারণ সম্পর্ক অনুযায়ী তাদেরকে সুচারুরূপে বিন্যাস করা সেটি হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
আরো দেখুনঃ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন-1: পূর্ণ কর্মসংস্থান কাকে বলে- কিন্সেৱ মতে?
উত্তর: কিন্স এর মতে ওই অবস্থাকে পূর্ণ কর্মসংস্থান বলা হয় যখন অর্থনীতিতে উৎপাদনের সকল উপাদান এর সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার করা হয়, পণ্যের কার্যকর চাহিদার পূর্ণমাত্রার বৃদ্ধি করা হয় এবং তখনকার প্রচলিত মজুরি হারে ও দক্ষতা অনুযায়ী সকল শ্রমিককে কাজে নিয়োগ লাভ করার পর আর কোনো যোগ্যতা সম্পর্ক লোক বেকার থাকে না।
প্রশ্ন-2: লোক প্রশাসন কাকে বলে?
উত্তর: Public Administration এর বাংলা হল লোক প্রশাসন। Public অর্থ হলো জনসাধারণ আর Administration এর বাংলা হল প্রশাসন। সুতরাং এ থেকে এটি বলা যায় যে লোক ফ্যাশন মানে হলো জনগণের প্রশাসন।
উপসংহার: মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সমাজ বিজ্ঞানের একটি শাখা বিশেষ। এখানে রাষ্ট্র সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ে আলোকপাত করা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাধারণত সমাজবদ্ধ মানুষের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। সুতরাং আশা করছি এখন আর আপনার বুঝতে বাকি নেই যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি নিশ্চয়ই এ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা পেয়ে গেছেন। এরপরেও যদি আপনার এই নিয়ে আর কোন কিছু জানার থাকে তাহলে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছেন। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি।