গুণ কাকে বলে? | সহজ পদ্ধতিতে গুণ করার নিয়ম
গুণ কাকে বলে? | সহজ পদ্ধতিতে গুণ করার নিয়ম | দশমিকের গুণ করার নিয়ম
আমরা সকলেই জানি জিনিস গণিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে বিষয়টির উপর জ্ঞান অর্জন করে বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। আরে গাণিতিক সমস্যার সমাধানের জন্য গণিত শাস্ত্রের চারটি মৌলিক ক্রিয়া রয়েছে। আর এই মৌলিক ক্রিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুণ।
আমরা আজকে গুণ কাকে বলে জানবো। এবং এর পাশাপাশি সহজে গুন করার পদ্ধতি জানব। চলুন তাহলে শুরু করি আমাদের আজকের গাণিতিক আলোচনা।
গুণ কাকে বলে?
গাণিতিক মৌলিক উপাদানের মধ্যে গুণ অন্যতম। কিন্তু গুণ সম্পর্কে জানার আগে সবার আগে জানতে হবে আমাদের গুণ কাকে বলে?
যে গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই বা ততোধিক সংখ্যার মধ্যে এবং সংক্ষিপ্ত উপায় গাণিতিক সমাধান করা হয় তাকে গুণ বলে। গাণিতিক এই মৌলিক গুন ক্রিয়াকে যোগের সংক্ষিপ্ত রূপ বলা হয়।
গাণিতিক রূপ গুণ করার পদ্ধতি নিম্নে দেয়া হল- ৫x২= ১০
গাণিতিক গুণ- এ ব্যবহৃত চিহ্ন বা প্রতীক
একই পদ্ধতিতে একেকভাবে গাণিতিক গুণ চিহ্ন কে উপস্থাপন করা হয়। যেমনঃ
- বইয়ের ভাষায় গুণ চিহ্ন কে (x) বা আড়াআড়ি ক্রস দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- ইংরেজি ভাষায় গুণ চিহ্ন কে (.) বা ডট দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- প্রোগ্রামিং ভাষা গুণ চিহ্ন কে (*) বা এস্টারিক্স দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
সহজ পদ্ধতিতে গুণ করার নিয়ম
গণিত বিষয়ের অন্যতম একটি অধ্যায় হচ্ছে গুণ করা। আর ছোট ছোট গুণ আমরা নাম তার মাধ্যমে মুখোমুখি করে ফেলতে পারি। কিন্তু বড় বড় গুণ এর ফলাফল বের করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আজ আপনাদেরকে কোন সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে গ্রহণ করা যায় সেই নিয়ম সম্পর্কে অবগত করব।
এখানে, ১৫ এর সাথে ১৫ গুণ করলে গুণফল আসবে ২২৫। আর এই গুণটি যেহেতু বড় সংখ্যা দ্বারা সংঘটিত হয়েছে সেহেতু এই গুণ করা পদ্ধতি একটু ভিন্ন। তবে এই গুণ করার সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি আজ আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি।
প্রথমে ৫ এর সাথে ৫ গুন করলে ২৫ হয়। ২৫ এর ৫ বসাতে এবং ২৫ এর ২ অবশিষ্ট রাখতে হবে। এরপর ৫ এর সাথে ১ গুণ করলে গুণফল ৫ এর সাথে অবশিষ্ট রাখা ২ যোগ করলে করতে হয়। এরপর যেহেতু একাধিক সংখ্যার সাথে গুন করার ফলে পর্যায়ক্রমে উপরের সংখ্যার সাথে নিচের সংখ্যা দ্বারা গুণ করতে হয়। সেহেতু দ্বিতীয় সংখ্যা থেকে শুরু করে যত সংখ্যা দ্বারা উপরের সংখ্যা গুন করবেন তখ 0 ব্যবহার করতে হবে।
এখানে উপরের সংখ্যা দুটি এবং নিচের সংখ্যা দুটি। সেহেতু নিচের প্রথম সংখ্যাটি গুণ করা হয়ে গেছে। এখন নিচের দ্বিতীয় সংখ্যাটি গুণ করার জন্য যে গুণফল বের করেছি সেগুলো নিম্নে প্রথমে একটি শূন্য বসাতে হবে। এরপর আবার উপরের ৫ এর সাথে নিজের ১ গুণ করলে গুণফল ৫ বসাতে হবে। যেহেতু এখানে ৫ এর সাথে ১ গুণ করলে ৫ ই আসে সুতরাং এখানে ৫ বসাতে হবে।
এরপর ১ এর সাথে ১ এর গুণ করে ১ বসাতে হবে। এখন পূর্বের প্রথম সংখ্যার গুনফল এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় সংখ্যার গুনফল বেরিয়েছে সেই গুণফল দুটিকে একসাথে যোগ করে যে যোগফল বের হবে সেটি হচ্ছে মূলত সেই ১৫গুণ ১৫ এর গুণফল।
এখানে লক্ষণীয় যে, গুণ করার সময় যদি উপরে তিনটি সংখ্যা অথবা চারটি সংখ্যা থাকতো তাহলে পরবর্তী লাইনগুলোতে প্রথম সংখ্যা জন্য একটি ০, দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য দুটি ০ এবং তৃতীয় সংখ্যার জন্য তিনটি ০ ব্যবহার করে গুণফলের প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে।
আরো দেখুনঃ অংক কাকে বলে?
দশমিকের গুণ করার নিয়ম
সাধারণত যে পদ্ধতিতে গুণ করা হয় ঠিক সে পদ্ধতিতে দশমিক সংখ্যার গুন করা হয়। দশমিক সংখ্যা দ্বারা গুণ করলে শুধুমাত্র একটি নিয়ম বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় সেটি হচ্ছে। যে সংখ্যা দ্বারা গুণ করা হবে সংখ্যার কততম সংখ্যায় দশমিক রয়েছে সেটি দেখতে হবে। এরপর গুণফলে সেই দশমিক অনুসারে দশমিক বসাতে হবে। নিম্নে একটি উদাহরণের মাধ্যমে দশমিকের গুণ করার নিয়ম উপস্থাপন করা হলো- ১.১৫ x ১.৫ = ১.৭২৫
উপসংহার: আশা করি আমরা আপনাদের মাঝে গণিত বিষয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে পেরেছি এবং সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। এছাড়াও আপনারা যদি গুণ কাকে বলে গাণিতিক বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের নিজের কবর স্থানে এসে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।