vlxxviet mms desi xnxx

ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

0
Rate this post

ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন? | ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

গভর্নর জেনারেলকে ইংরেজরা ভাইসরয় বলতেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ব্রিটিশ রাজার প্রতিনিধীরাই ভারতের গভর্নর জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার যে সকল রাজ প্রতিনিধিদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদেরকে গভর্নর জেনারেল বলা হতো না সেসময় তাদেরকে ভাইসরয় ডাকা হতো।

আর যারা দেশীয় প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করতেন তাদেরকেই গভর্নর জেনারেল বলা হতো‌। কিন্তু ভারত বিভাজনের পর ভাইসরয় উপাধির বিলুপ্তি ঘটে। ব্রিটিশ প্রতিনিধিরা ভারত শাসন করলেও তারা কিন্তু সমগ্র ভারতের উপর কখনো কর্তৃত্ব নিতে পারেনি‌, মূল কিছু ব্যবসায়িক ভূখণ্ড ছাড়া। তাই দেশীয় প্রতিনিধিরাই তাদের নিজেদের রাজ্য নিজেরা পরিচালনা করতেন কিন্তু তারা ব্রিটেনের বশ্যতা পুরোপুরি স্বীকার করে নিয়েছিলেন। 

আরো দেখুন: পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন?

ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে বাংলা শাসনকর্তাদেরকে বলা হতো গভর্নর বা বাংলার গভর্নর। বাংলার প্রথম গভর্নর ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ। কিন্তু ভারত স্বাধীন হওয়ার পর তখন আর ব্রিটিশদের হস্তক্ষেপও থাকে না তাই সরাসরি ভারতের রাজনৈতিক অধিপতিরাই গভর্নর নির্বাচন‌ শুরু করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

ভারত অধিরাজ্যের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন লুই মাউন্টব্যাটেন। যিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৪৮ সালের ২১ শে জুন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

স্বাধীন ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন? 

ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী। তিনি ১৯৪৮ সালের ২১শে জুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। 

কোন আইনের দ্বারা গভর্নর জেনারেলের পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল 

ভারত উপমহাদেশের অনেক অংশই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পরিচালনা করতো। কারণ সরাসরি তখনও তারা ভারত শাসন করার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাই নামেমাত্র মুঘলদের এজেন্ট হিসেবে তারাই সরাসরি শাসন করত। কিন্তু ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতের ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিগুলো যেখানে ব্যবসা পরিচালনা করত সেই অঞ্চলের উপর সরাসরি তারা নিয়ন্ত্রণ রাখত নিজেদের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার জন্য। ১৯৭৩ সালে একটি রেগুলেটিং আইন পাস করা হয় আর এই আইন পাশের মধ্য দিয়ে প্রথম গভর্নর জেনারেল ও কাউন্সিলরের নাম উল্লেখ করা হয়। 

এই রেগুলেটিং আইন পাশের মাধ্যমে বোম্বাই, কলকাতা ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি নিয়ে কোম্পানি কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করা হয়। বাংলার গভর্নর জেনারেলকে এ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। আইন কার্যকর করার জন্য একটি সুপ্রিম কোর্টও গঠণ করা হয়।

কোন গভর্নর জেনারেল অংলিসিস্ট ওরিয়েন্টালিস্ট বিতর্কের অবসান ঘটান

ব্রিটিশ শাসনের সময় ভারতে যে কয়টি আন্দোলন ও দ্বন্দ্ব সংঘটিত হয়েছিল তার ভিতরে উল্লেখ করার মতো একটি হচ্ছে অংলিসিস্ট ওরিয়েন্টালিস্ট বিতর্ক বা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদ দ্বন্দ্ব। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই দ্বন্দ্ব দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যদিও তা যুদ্ধের মত মারাত্মক রূপ ধারণ করেনি। 

যেহেতু ব্রিটিশ শাসন চলছিল তাই সেখানে অবশ্যই ইংরেজির একটা আধিপত্য থাকবে এবং মানুষের উপর সেটি চাপিয়ে দেওয়া হবে এটিই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এটি অভ্যন্তরীণ ভারতীয়রা মানতে পারেননি। ফলে তাদের ভিতরে একটি অভ্যন্তরীণ ক্ষোভের তৈরি হয় এবং দুটি দল বের হয় একটি প্রাচ্যবাদ আরেকটি পাশ্চাত্যবাদ। 

নিজেদের সংস্কৃতি, শিক্ষা, ঐতিহ্যকে ধরে রাখাই ছিল প্রাচ্যবাদের মূলনীতি। অপরদিকে ইংরেজি ভাষার চর্চা, এদেশে ইংরেজি ভাষাকে দেশীয় ঐতিহ্য পরিণত করার একটি রীতিনীতি চলছিল সে সময়। 

এ সময় প্রাচ্য শিক্ষায় আলাদা অর্থ ব্যয়ের ব্যবস্থা ছিল এবং পাশ্চাত্য শিক্ষায়ও। কিন্তু নানা দ্বন্দ্ব ও বিতর্কের কারণে কোন শিক্ষা কার্যকর করা হবে তা নিয়ে এক বিশাল সমস্যার মুখোমুখি হয় রাজ্য প্রতিনিধিরা।

আর এই সমস্যা সমাধান করতে এগিয়ে আসেন লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক। পরবর্তীতে তার উদ্যোগের কারণেই ১৯২৮ সালে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসে এই সমস্যার সুরাহা হয়। 

পরবর্তীতে তার আইন সচিব টমাস ব্যাবিংটন মেকলেকে জনসংখ্যা কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করার মাধ্যমে ও তার পরামর্শেই তিনি এই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন। মেকলে পাশ্চাত্য শিক্ষায় বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থের পুরোটাই খরচ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই বিষয়ে তার মত ও যুক্তি তুলে ধরেন। পরে মেকলের এই প্রতিবেদন ও কার্যক্রমকেই সরকারি নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় ও ভারতের অভ্যন্তরীণ চলা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদ সমস্যার সমাধান হয়। 

বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলার গভর্নর কে ছিলেন? 

১৭৬৪ সালে বক্সার নামক স্থানে ইংরেজ সৈন্যদের সাথে শেষ মোগল সম্রাট শাহ আলম ও নবাব সুজাউদ্দৌলার যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ইংরেজরা জয়ী হয়। বক্সারের যুদ্ধের সময় লর্ড রবার্ট ক্লাইভ ছিলেন বাংলার গভর্নর জেনারেল। তার শাসনের সময়কাল ছিল ১৭৫৭ – ৬০ এবং ১৭৬৫ – ৬৭ সাল।

পরিশেষে: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন এই দেশে ব্যবসা শুরু করার জন্য আসে তখন তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু শুধু ব্যবসা ছিল না! এই দেশের উপরে রাজ করাই ছিল তাদের মূল চিন্তা! তারা এর উপর কাজও করে গিয়েছিল এবং ভারতের উপর অল্প অল্প করে বিস্তার শুরু করে। কিন্তু যখন সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয় তখন তারা তাদের এই কাজের প্রতি আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করে। তখন থেকে সরাসরি সকল বিষয়ে হস্তক্ষেপ এমনকি শিক্ষা ক্ষেত্রেও নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থা তারা ভারতের সাধারণ মানুষের উপরে চাপিয়ে দেয়। আর সেজন্যই শুরু হয় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদ একটি দ্বন্দ্ব। যার সমাধান ইংরেজি শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে নেওয়ার পরেই হয়। 

আজকের আর্টিকেলে  ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন বলতে আসলে এখানে ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন বোঝানো হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। কোন বিষয়টি আপনার অজানা ছিল আজকেই নতুন জেনেছেন সেটি আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex