জাতীয় শিশু দিবস
১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেনো পালন করা হয়?
শিশুদের বরাবরই বলা হয় জাতির ভবিষ্যৎ। শিশুকে যদি তার মৌলিক চাহিদা গুলো পূরণ করে তাকে সঠিক শিক্ষা দেয়া হয় তবে অবশ্যই সেই শিশুটি জাতির জন্য একটি সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই শিশুটির সঠিক শিক্ষা, সঠিক যত্ন সকল কিছুই নিশ্চিত করতে হয়।
শিশুর বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে তাকে সঠিক শিক্ষা দান করে একজন সঠিক নাগরিক করে গড়ে তোলা সকল কিছুই যেনো এক দুর্গম পথ। কারণ সঠিক শিক্ষা এবং সঠিক ভাবে যদি তাদের গড়ে তোলা না যায় তবে জাতির জন্য সে কেবলই হয়ে উঠবে বোঝা। যা একটা জাতির জন্য মোটেই গৌরবের বিষয় নয়। আর তাই একটি শিশুর সকল মৌলিক চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি তাকে সঠিক ভাবে গড়ে তোলা কম বেশি আমাদের প্রায় সকলের দায়িত্ব।
আরো দেখুনঃ জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা.
আর সেসব দায়িত্ব পূরণের লক্ষ্যে প্রতি বছর পালন করা হয় “জাতীয় শিশু দিবস।” গুরুত্বপূর্ণ এই শিশু দিবস পালন করা হয় প্রতি বছর ১৭-ই মার্চ। শিশুদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই পালন করা হয় শিশু দিবস।
জাতীয় শিশু দিবস মূলত কি?
জাতীয় শিশু দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটিতে শিশুদের সকল মৌলিক চাহিদা গুলো নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সভার মাধ্যমে আলোচনা করা হয়। শিশুদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করাই এই আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য।
জাতীয় শিশু দিবস কেনো পালন করা হয়?
শিশু দিবস টি পালন করা হয় মূলত যারা সদ্য নবজাতক থেকে শুরু করে পনের বছর পর্যন্ত বয়স সেসকল ছেলে ও মেয়ের জন্য। কারণ এরাই জাতির ভবিষ্যৎ। আর এই জাতির ভবিষ্যৎ যেনো নষ্ট না হয় এবং তাদের সুরক্ষার জন্যই জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।
১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় কেনো?
১৭ মার্চ যে শুধু জাতীয় শিশু দিবস তা নয়। এই দিনটিতে জন্ম নিয়েছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমান। যিনি কিনা বাংলার ইতিহাসে একজনই। তার যায়গা কেউ দখল করে নিতে পারবে না। তার অবদানেই আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা বাংলা বলার স্বাধীনতা। আর এই মহান ব্যক্তির জন্মদিন কে ঘিরেই ১৭ মার্চ পালন করা হয় জাতীয় শিশু দিবস।
জাতীয় শিশু দিবস প্রথম কবে এবং কেনো ঘোষণা করা হয়?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। এই দিনটিতে আরো পালন করা হয় শিশু দিবস। শিশুদের প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ভালোবাসা ছিল অসীম। তিনি সব সময় ভাবতেন শিশুরাই জাতির হাল ধরবে। তাদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। তিনি শিশুদের অত্যাধিক স্নেহ করতেন।
আর তাই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নেতৃত্বাধীনে (১৯৯৬-২০০১) খ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে প্রথম শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৭ মার্চ কে। প্রথম প্রথম এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা না হলেও বর্তমানে এই দিনটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা এবং পালন দুটিই করা হয়।
জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন
উপলক্ষ্যে সারাদেশ ব্যাপী পালন করা হবে বিভিন্ন রকম কর্মসূচী। করোনার কারণে যদিও গত দুবছর যাবত তেমন কিছু করার সুযোগ হয়নি। তবে এবার ১৭ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবর রহমান এর সমাধিতে ফুল অর্পণ করা হবে। পাশাপাশি উনারা তাদের বাণী উপস্থাপন করবেন।
পরিশেষে বলা যায়, এই দিনটি শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন কে ঘিরে এমন উদ্যোগ নেয়া সত্যিই যেনো এক অনবদ্য উপস্থাপন। শিশুদের শিক্ষা, সুরক্ষা সকল কিছুকে ঘিরে এই দিনটি প্রতি বছর উদযাপন করার মাধ্যমে দেশের এবং জাতির উন্নয়ন সাধন করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।