vlxxviet mms desi xnxx

বাসর ঘরে কি হয়? | বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি হয়?

0
4.7/5 - (3 votes)

বাসর ঘরে কি হয়? | বাসর রাতে কি করে অথবা বাসর রাতের করণীয় আমল | বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি হয়?

বাসর ঘরে কি হয় এই প্রশ্ন অবিবাহিতদের মনেই বেশি জাগে। কারণ এটি এমন একটি রাত যার জন্য অপেক্ষা তো সবাই করে কিন্তু নিজেদের মাঝে শঙ্কচ ও অজানা আতঙ্ক কাজ করে। তাই বাসর ঘরে কি হয় তা নিয়ে আগ্রহের কোন কমতি থাকে না মানুষের মাঝে। বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি গুরুতপূর্ণ বিষয় ৷ বিয়ে সামাজিকভাবে দুইজন নারী- পুরষকে একসাথে থাকার ব্যবস্থা করে, নিজেদের মাঝে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে, একে অপরের সংস্পর্শে নিজেদের জীবনকে হাসি-আনন্দে ভরপুর করে তুলতে বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সবার জীবনে।

আরো দেখুন: বাসর রাতে বিড়াল মারা কথাটির অর্থ কি?

বিয়ে পরবর্তী জীবনে একজন স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক সাধারণ একটি বিষয় তাই এটি নিয়ে জানার কিছু নেই কিন্তু কি কাজ আপনার বিয়ের পর করণীয় প্রথমে রাতে তা জানা জরুরি। তাই বাসর ঘরে কি হয় এই প্রশ্নে না গিয়ে আমি আপনাদের বলবো বাসর রাতের করণীয় সম্পর্কে এবং বাসর ঘরে কি হয়।

বাসর ঘরে কি হয়?

বিয়ে একটি পবিত্র সম্পর্ক দুইজন নারী-পুরুষের মাঝে। আর এর গুরুত্ব সম্পর্কে প্রিয় নবী বলেছেন, “বেহেশতের দরজাগুলো চারটি অবস্থায় খুলে দেওয়া হয়, যখন বৃষ্টি হয়, যখন একটি শিশু তার পিতামাতার মুখের দিকে সদয়ভাবে তাকায়, যখন কাবাঘরের দরজা খোলা হয় এবং যখন বিবাহ হয়। তারমানে বোঝা যাচ্ছে বিয়ে ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে কত গুরুত্বপূর্ণ ও রহমতের বিষয়। এর মাধ্যমে এটা ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ইসলামে বিবাহের ধারণাটি এতই পবিত্র এবং মূল্যবান যে এই উপলক্ষে আল্লাহর রহমতের দরজা খোলা হয়। বিবাহ একজন মানুষের চরিত্রকে হেফাজত করে এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে।

বাসর রাতে কি করে অথবা বাসর রাতের করণীয় আমল?

বাসর রাত একটি প্রেমময় ও স্বামী-স্ত্রী উভয়কে নিজেদের জানার প্রথম রাত। এই রাতের মধ্যে দিয়েই তারা নিজেদের নতুন জীবন শুরু করছেন। তাই অবশ্যই এই রাতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার জন্য কিছু করণীয় আমল রয়েছে যার মাধ্যমে তাদের পরবর্তী জীবন আল্লাহর রহমত ও বরকতে ভরে উঠবে। বাসর রাতের করণীয় আমল হলো:

১. যতটা সম্ভৱ এই রাতে ওযুতে থাকার চেষ্টা করুন।

২. আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালার) প্রশংসা করে শুরু করুন, তারপরে আল্লাহু আকবর (أللهُ أكَبر) বলুন, তারপর একটি আলাওয়াত (أللهم صلى على محمّد و آل محمّد) বলুন।

৩. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুই রাকাত নফল নামায আদায় করুন দুইজন। নিচের দুআ পাঠ করুন, তারপরে একটি শলাওয়াত। প্রথমে বরকে এটি পাঠ করতে হবে তারপর কনেকে বলতে হবে: ইলাহি আমিন [আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা‌ এটি কবুল করুন]।

أَللٌّهُمَّ ارْزُقْنِي إِلْفَهَا وَ وُدَّهَا وَ رِضَاهَا وَ رَضِّـنِي بِهَا ثُمَّ اجْمَعْ بَيْنَـَائٍٍ بَيْنَـَائٍٍ بِأَحْسَنِ اجْتَفَنَا بِأَحْسَنِ اجْتَفَنَا بِأَحْسَنِ اجْتِمِ وَتِمْ الْحَلاَلَ وَ تَكْرَهُ الْحَرَام।

অর্থ: “হে আল্লা (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা)! তার স্নেহ, ভালবাসা এবং আমার প্রতি তার গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে আমাকে আশীর্বাদ করুন এবং আমাকে তার সাথে সন্তুষ্ট রাখুন এবং আমাদের সর্বোত্তম রূপে এবং পরম সাদৃশ্যে একত্রিত করুন: নিশ্চয়ই আপনি হালাল জিনিস পছন্দ করেন এবং হারাম জিনিসকে অপছন্দ করেন।

৪. বিয়ের রাতেই যদিও নারী-পুরুষ শারীরিকভাবে মিলিত না হন তবুও তাদের এই দেয়াটি করতে হবে নেককার সন্তানের জন্য। এই দোয়া পাঠের সময় বরকে তার ডান হাতের তালু কনের কপালে কিবলার দিকে রেখে পাঠ করতে হবে:

أَللٌّهُمَّ بِأَمَانَتِكَ أَخَذْتُهَا وَ بِكَلِمَاتِكَ اسْتَحْلَلْـتُهَا فَإِنْ قَضَيْتَ لِي مِنْهَا وَلَداً فَاجْعَلْهُ مُبَارَكاً تَقِيًّا مِنْ شِيعَةِ آلِ مُحَمَّدٍ وَ لاَ تَجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ فِيهِ شِرْكاً وَ لاَ نَصِيباً.

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তাকে তোমার আমানত হিসেবে নিয়েছি এবং তোমার কথায় তাকে আমার জন্য হালাল করে নিয়েছি। অতএব, আপনি যদি আমার জন্য তার থেকে একটি সন্তান নির্ধারণ করে থাকেন, তবে তাকে মুহাম্মাদের পরিবারের অনুসারীদের মধ্যে থেকে বরকতময় ও ধার্মিক বানাও এবং যেন তার মধ্যে শয়তানের কোনো অংশ না থাকে।”

৫. নিচের দেয়াটিও পড়তে হবে:

“হে আল্লাহ! তোমার কথায় আমি তাকে নিজের জন্য হালাল করেছি এবং তোমার ভরসায়, তাকে আপন করে নিয়েছি। হে আল্লাহ! তাকে আমার জন্য উর্বর ও নিষ্ঠাবান করে তুলুন।

৬. এছাড়া স্বামী একই গ্লাসে দুধ বা কিছু পান করে সেই একই গ্লাসে কনেকে কিছু পান করার প্রস্তাব করা। এতে তাদের মাঝে আল্লাহর পক্ষ থেকে হালাল ভালোবাসার সৃষ্টি হবে।

৭. নিজেদের দাম্পত্য জীবনের শুরুতে প্রথমবার মিলনের সময় অবশ্যই এই দোয়াটি পড়ে নেয়া উচিত উভয়ের, “হে আল্লাহ! শয়তানকে আমাদের কাছ থেকে দূরে রাখুন এবং তাকে এমন কোনো বংশ থেকে দূরে রাখুন যা আপনি আমাদেরকে দান (সন্তান) করবেন। (সুনানে আবু দাউদ ও তিরমিযী)|

বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি হয়?

বিয়ের প্রথম রাতটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য। তাই বাসর ঘরে কি হয় বা বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি হয় তা জানতে হলে চলুন জেনে নেই বিশ্বনবীর আদরের কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) বিবাহের প্রথম রাত কেমন ছিল বা কিভাবে তিনি তার স্বামী ইমাম আলীর সাথে জীবন শুরু করেছিলেন:

বিয়ের রাতে হযরত ফাতিমা বিচলিত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি এই অবস্থায় আছেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন: “আমি আমার অবস্থা এবং কর্ম সম্পর্কে চিন্তা করছি এবং জীবনের শেষ, আমার কবরের কথা মনে করছি: যে আজ আমি আমার পিতার বাড়ি থেকে তোমার বাড়িতে চলে এসেছি, আর একদিন এখান থেকে কবর ও কিয়ামতে যাব। অতএব, আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আসুন আমরা নামাজের জন্য দাঁড়াই যাতে আমরা এই রাতে একসাথে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ইবাদত ও শুকরিয়া আদায় করতে পারি।

পরিসমাপ্তি: বাসর ঘরে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তর আপনি যে উদ্দেশ্য খুঁজছেন বিষয়টি একদমই তেমন কিছু নয়। এটি একজন নারী-পুরুষের জন্য নিজেদের দাম্পত্য জীবন শুরুর প্রথম রাত। তাই এই রাতে নতুন জীবন শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত যেমন: একে অপরকে জানা, ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করা, দুই রাকাত নফল নামাযের মাধ্যমে নিজেদের হালাল জীবনের যাত্রা শুরু করা যাতে একটি সুখী দাম্পত্য পরিবার আপনারা গঠন করতে পারেন। বাসর ঘরে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তরে আপনার করণীয় কি সেই বিষয়গুলো আমি উল্লেখ করেছি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex