রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয়?
রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয়? | Dreaming While Fasting What To Do If
রোজা রাখাা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কি? রোজা রাখা অবস্থায় যদি কারো স্বপ্নদোষ হয় তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না। কিন্তু অনেকেই না জানার কারণে রোজা রাখেন না। আর এই বিষয়টি নামাযের ক্ষেত্রেও অনেকে করে থাকেন। স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণে নামাজ পড়েন না। কিন্তু রোজা আর নামাজ দুটো বিষয়ই আপনার জন্য ফরজ তাই এগুলো করতেই হবে। রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের এই পোস্টে।
গুরুত্বপূর্ণ: রমজান মাসের ক্যালেন্ডার.
রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয়?
রোজা রাখা অবস্থায় যদি আপনার স্বপ্নদোষ হয় তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না কারণ স্বপ্নদোষ একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার। এর উপর আপনার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই তাই এ অবস্থায় রোজা ভাঙ্গবে না। কিন্তু স্বপ্নদোষ হলে আপনার অবশ্যই ফরজ গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করা উচিত।
যে যে বিষয়গুলো রোজা ভঙ্গের কারণ তার মধ্যে স্বপ্নদোষের উল্লেখ নেই অর্থাৎ স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গবে না। রোজা ভঙ্গের কারণের মধ্যে বমি এবং শিঙ্গা লাগানোরও উল্লেখ নেই। তাই স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙ্গে পানাহার করা উচিত নয় বরং পরিপূর্ণ রোজা আদায় করা উচিত।
যদি রমজানে দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হয় তাহলে এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে না। কারণ এটি এমন একটি জিনিস যা একজন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং সে এটি প্রতিরোধ করতে পারে না। মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি বলেছেন: “আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপর তার বহন করার চেয়ে বেশি বোঝা চাপিয়ে দেন না” [আল-বাকারা ২:২৮৬]।
রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয়, ইবনে কুদামাহ বলেছেন, “কোন ব্যক্তির যদি স্বপ্নদোষ হয় তবে তা তার রোজা ভঙ্গ করে না, কারণ এটি তার পক্ষ থেকে অনিচ্ছাকৃত ছিল। ঘুমের সময় তার গলায় কিছু ঢুকে পড়লে ব্যাপারটা একই রকম।” (ইবনে কুদামাহ রচিত আল-মুগনী (৩/১২৮)।
রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে তার ক্ষেত্রে ঈমামের একটি দল ফাতাওয়া দিয়েছেন, “যে ব্যক্তির রোজা অবস্থায় বা হজ্জ বা ওমরাহর ইহরাম অবস্থায় স্বপ্নদোষ হয় তার জন্য কোন গুনাহ নেই, তার কাফফারা দিতে হবে না এবং এতে তার রোজার কোন ক্ষতি হবে না, তবে তাকে ফরজ গোসল করতে হবে।” (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দাইমাহ, ১০/২৭৪)
আরো দেখুনঃ
সমাপ্তি : রোজা রাখা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয় হলো আপনি সাথে সাথে গোসল করে নিবেন। কারণ এই অবস্থায় গোসল করা ফরজ। আর এই ধারণা করা উচিত না যে, আমার রোজা ভেঙ্গে গেছে। কারণ এই অবস্থায় রোজা ভাঙ্গে না, এটি রোজা ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্যে নেই।