লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল?
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল? | লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য | What was the main theme of the Lahore proposal?
গত পোষ্টে আমি লাহোর প্রস্তাব কি তা আলোচনা করেছিলাম। তো সেখানে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল। আর সে কারণে আজকে আমি লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল তা জানিয়ে দেওয়ার চেস্টা করবো। যদি আপনি লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল তা জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচনা টুকু মন দিয়ে পড়ুন।
আরো দেখুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল?
তো আমরা আগের আলোচনা তে জানতে পেরেছি যে, লাহোর প্রস্তাব হলো মুসলিম দের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র তৈরি করা। যেখানে শুধুমাত্র মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ট্য হিসেবে থাকবে। যেখানে তাদের আলাদা সংবিধান থাকবে, আলাদা সংস্কৃতি থাকবে। মূলত এটি হলো লাহোর প্রস্তাব এর মূল বৈশিষ্ট্য।
তবে এর বাইরেও কিন্তুু এমন আরো অনেক প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো। যেগুলো সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই সঠিক ধারনা রাখতে হবে।
এখন আমরা যদি ভারতীয় উপমহাদেশ এর পুরনো ইতিহাস দেখি। তাহলে আমরা লক্ষ্য করতে পারবো যে, তৎকালীন সময়ে ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল জুড়ে মুসলীম ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা অধিক ছিলো। যেমন, ভারতের মধ্যে উত্তর অংশ এবং পশ্চিম অংশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ্য ছিলো।
এছাড়াও সেই সময় এর ভারতের পূর্ব অংশের এলাক গুলোতেও মুসলিমদের সংখ্যা ছিলো অধিক।
তো এই যে ভারতের বিভিন্ন অংশে মুসলিম ধর্মের মানুষদের পরিমান ছিলো। তারা সবাই চাইতো, এইসব এলাকা গুলোকে আলাদা ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। যেন, উক্ত অঞ্চল গুলোতে থাকা মুসলিমরা তাদের নিজস্ব একটি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে। তারা যেন তাদের নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী চলতে পারে।
এবং তারা যখন এইসব অঞ্চল গুলোকে এক করে একটি নতুন রাষ্ট্রে পরিনত করবে। তখন তাদের বিধি বিধান অনুযায়ী সেই স্বাধীন রাষ্ট্রকে পরিচালনা করা হবে। মূলত এটিই হলো, লাহোর প্রস্তাব এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। আশা করি, লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল তা পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল সেটি জানার পর। এখন অনেকের মনে লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য জানার ইচ্ছা জাগবে। তো আপনারও যদি এই বিষয়টি জানার ইচ্ছে জাগে। তাহলে শুনুন…..
লাহোর প্রস্তাব এর মূল তাৎপর্য এবং মূল বৈশিষ্ট্য হলো মুসলিমদের স্বার্থরক্ষা করা। এবং উক্ত সময়ে যে সকল মুসলিম ধর্মের অনুসারী ছিলো, তাদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভূমি নিশ্চিত করা। আর উক্ত দাবি গুলো কে কার্যকর করার লক্ষ্য যে প্রস্তাব প্রদান করা হয়েছিলো। মূলত তাকেই বলা হয়, লাহোর প্রস্তাব।
আর আমরা যে আজকে পাকিস্তান নামের একটি রাষ্ট্র দেখতে পাচ্ছি। মুলত এই রাষ্ট্রের সূচনা হয়েছিলো লাহোর প্রস্তাব এর মাধ্যমে। এছাড়াও আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, সেই লাহোর প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে। বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সূচনা সেই লাহোর প্রস্তাবের মধ্যে দিয়েই হয়েছে।
এছাড়াও ১৯৪০ সালের আগে ভারতীয় উপমহাদেশ এর মধ্যে যে রাজনীতি ছিলো। লাহোর প্রস্তাব এর ফলে সেই রাজনীতির মধ্যেও নতুন ধারার সৃষ্টি হয়। তবে এর বাইরেও কিন্তুু এই লাহোর প্রস্তাব এর আরো অনেক বৈশিষ্ট্য এবং তাৎপর্য রয়েছে। যেগুলো আমি নিচে সংক্ষেপে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরলাম। যেমন,
- লাহোর প্রস্তাব এর কারণে মুসলিমদের মধ্যে এক ধরনের ধর্মীয় একতা সৃষ্টি হয়েছে।
- মুসলিমদের মধ্যে যে জাতীয়তাবাদের চিন্তাচেতনা ছিলো, তার উন্মেষ ঘটেছিলো।
- ভারত এবং পাকিস্তান এই দুটি রাষ্ট্রের সূচনা হয়েছিলো।
- মুসলমানরা সম্পর্ন ভাবে স্বতন্ত্র স্বীকৃতি পেয়েছিলো।
- একটি স্বাধীন বাংলাদেশ এর রুপরেখা তৈরি হয়েছিলো।
- দ্বিজাতি তত্ত্বের সূচনা হয়েছিলো।
তো আপনি যদি উপরের আলোচনা টুকু পড়ে থাকেন। তাহলে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এতক্ষনে আপনি লাহোর প্রস্তাবের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন।
আরো দেখুন:
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ও কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, আমরা সবসময় আপনাদের অজানা বিষয় গুলো জানিয়ে দিতে চাই। যেমন, আজকে আমি লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল তা নিয়ে আলোচনা করেছি। তো আপনি যদি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সবার আগে জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।