vlxxviet mms desi xnxx

চর কুকরি মুকরি – প্রকৃতির কোলে এক অপূর্ব রহস্য

0
Rate this post

আপনি দাঁড়িয়ে আছেন এক অজানা দ্বীপের বুকে। চারপাশে শুধুই নীল সমুদ্রের অবিরাম তরঙ্গ, আর মাথার উপরে নীল আকাশের অপরিসীম বিস্তার। আপনার মনে হচ্ছে আপনি যেন এসে পড়েছেন এক স্বপ্নের জগতে। হ্যাঁ, এটিই চর কুকরি মুকরি, বঙ্গোপসাগরের বুকে এক অপরূপ দ্বীপ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা এই দ্বীপটি আপনাকে মুগ্ধ করবে তার অনন্য সৌন্দর্যে।

এখানে আপনি পাবেন, অবিশ্রান্ত সমুদ্রের গর্জন, সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের ঘন অরণ্য, বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতান এবং অপরূপ সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক দৃশ্য। চর কুকরি মুকরি কেবল একটি দ্বীপ নয়, এটি এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। তাই আজকে আলোচনায় আমি আপনাকে চর কুকরি মুকরি নিয়ে বিস্তারিত বলবো। 

চর কুকরি মুকরি – প্রকৃতির কোলে এক অপূর্ব রহস্য

বঙ্গোপসাগরের বুকে, মেঘনা নদীর মোহনায় লুকিয়ে আছে এক অপরূপ দ্বীপ – চর কুকরি মুকরি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা এই দ্বীপটি এক অজানা রহস্যের মতো আকর্ষণ করে পর্যটকদের।

অবস্থান ও তাৎপর্য-

ভোলার মনপুরা উপজেলার অন্তর্গত এই দ্বীপটি ১২.৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ম্যানগ্রোভ বন, নদীর তীরে বালিয়াড়ি এবং সবুজের সমারোহে ভরা এই দ্বীপটি জীব বৈচিত্র্যের এক অমূল্য ভাণ্ডার।

কুকরি মুকরি নামকরণের ইতিহাস-

স্থানীয়দের ধারণা, ‘কুকরি’ শব্দটি এসেছে ‘কুঁজ’ থেকে, যার অর্থ ‘উঁচু’। ‘মুকরি’ শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও, অনেকে মনে করেন ‘মুকুর’ (মুখ) থেকে ‘মুকরি’ শব্দটি এসেছে, যা দ্বীপের মুখের মতো অবস্থানের ইঙ্গিত বহন করে।

এখানে আপনি আরও কী কী পাবেন?

চর কুকরি মুকরি – প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা এক রহস্যময় দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরের কোলে, মেঘনা নদীর মোহনায়, ভোলার কোলাহল থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চর কুকরি মুকরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক চর কুকরি মুকরি তে ভ্রমন করার সময় আপনি কি কি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। 

বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য-

চর কুকরি মুকরি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এখানে আপনি দেখতে পাবেন চিত্রা হরিণ, বানর, শিয়াল, উদবিড়াল, বন্য মহিষ-গরু, বন মোরগ, বন-বিড়াল, বক, শঙ্খচিল, মথুরা, বন মোরগ, কাঠময়ূর, কোয়েল ইত্যাদি নানান প্রজাতির পাখি ও সরিসৃপ।

মনোরম সমুদ্র সৈকত-

কুকরি মুকরি চরের সমুদ্র সৈকত নিরিবিলি ও পরিছন্ন। এখানে আপনি উপভোগ করতে পারবেন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্থের অপূর্ব দৃশ্য। যা আপনার হৃদয়কে ভ্রমনের পূর্ণতা দিয়ে ভরিয়ে দিবে।

অন্যান্য আকর্ষণ-

চর কুকরি মুকরিতে আপনি আরও দেখতে পারবেন ৯ কোটিরও বেশি জীবন্ত গাছ, ভাড়ানি খাল, ঢাল চর, বালুর ধুম ইত্যাদি।

চর কুকরি মুকরি কখন ভ্রমন করা ভালো?

আপনি চাইলে যেকোনো সময়ে চর কুকরি মুকরি ভ্রমন করতে পারবেন। তবে জানুয়ারী থেকে মার্চ মাস হলো ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ শীতকালে যখন চারপাশে শীতের নিস্তব্ধতা, তখন এই দ্বীপের প্রকৃতি জীবন্ত হয়ে ওঠে। 

জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের সময়টাতে আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম থাকে। কিন্তুু বর্ষাকালে চর কুকরি মুকরি ভ্রমণ এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এই সময়টাতে দ্বীপের বেশিরভাগ অংশই জলে ডুবে থাকে।

চর কুকরি মুকরি যাওয়ার উপায়

নীল সমুদ্রের অবিশ্রান্ত তরঙ্গ, সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের ঘন অরণ্য, বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতান এবং অপরূপ সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক দৃশ্য – এই সবকিছুর এক অপূর্ব মেলবন্ধন চর কুকরি মুকরি। বঙ্গোপসাগর এর বুকে লুকানো এই রহস্যময় দ্বীপটি প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক স্বর্গের মতো।

কিন্তু এই রহস্যময় দ্বীপে পৌঁছানো কি সহজ? -অবশ্যই! নদী পথে চর কুকরি মুকরিতে যাওয়া সবচেয়ে সহজ উপায়। নদী পথে যাতায়াতে খরচ ও শারীরিক কষ্ট কম। আর নদী পথে চর কুকরি মুকরিতে যেতে হলে আপনার জন্য দুটি উপায় উন্মুক্ত থাকবে।

১) ঢাকা থেকে সরাসরি-

ঢাকার সদঘাট থেকে ভোলাগামী লঞ্চে চড়ে ঘোষের হাট লঞ্চ টার্মিনাল নামবেন। তারপর ঘোষের হাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সরাসরি লেগুনা ভাড়া করে চর কচ্ছপিয়া ঘাটে চলে যাবেন। এরপর চর কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে করে মাত্র ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে চর কুকরি মুকরিতে পৌঁছে যাবেন।

২) চরফ্যাশান আইচা হয়ে-

ঘোষের হাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে চরফ্যাশান আইচা যাবেন। তারপর চরফ্যাশান আইচা থেকে লেগুনা ভাড়া করে চর কচ্ছপিয়া ঘাটে যাবেন। এরপর চর কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে করে চর কুকরি মুকরিতে পৌঁছে যাবেন। তবে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ঘোষের হাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সরাসরি লেগুনায় চর কচ্ছপিয়া যাওয়া।

কোথায় থাকবেন?

যারা চর কুকরি মুকরি ভ্রমন করতে যাবার সময় থাকার জায়গা নিয়ে চিন্তা করছেন তাদের বলে রাখি যে, চর কুকরি মুকরি তে আপনার থাকার জন্য অনেক উপায় আছে। যেমন আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমী মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চর কুকরি-মুকরিতে ক্যাম্পিং করে থাকতে পারবেন। যেখানে আপনি তারার আলো, ঢেউয়ের গর্জন শুনতে শুনতে ক্যাম্পিং করার অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

তবে যারা একটু আরামপ্রদ ভাবে থাকতে পছন্দ করেন তারা চাইলে বন বিভাগের রেস্ট হাউসে থাকতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে বন বিভাগের রেস্ট হাউসে থাকার জন্য আপনাকে অনুমতি নিতে হবে। আর রেস্ট হাউসে থাকার সুবিধা হলো, এখানে বিদ্যুৎ, পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে।

চর কুকরি মুকরি

More:

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

চর কুকরি মুকরি, কেবল একটি দ্বীপ নয়, এটি একটি স্মৃতি। এখানে এসে আপনি প্রকৃতির সাথে একাত্ম হবেন, আপনার মনের শান্তি খুঁজে পাবেন এবং ভুলে যাবেন জীবনের সকল চিন্তা-ভাবনা। এখানে আপনার হৃদয় পূর্ণ হবে অপার আনন্দে, আপনার মন ভরে যাবে অপরূপ সৌন্দর্যে।

এখান থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আপনার মনে হবে যেন আপনি এক স্বপ্নের জগত থেকে বিদায় নিচ্ছেন। কিন্তু এই স্মৃতি চিরকাল আপনার মনে গেঁথে থাকবে। তাই আপনার সুযোগ ও সময় থাকলে অবশ্যই চর কুকরি মুকরিতে ভ্রমন করার চেষ্টা করবেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex