vlxxviet mms desi xnxx

উদ্ভিদ কাকে বলে?

0
Rate this post

উদ্ভিদ কাকে বলে? | উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য 

যা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে ও সূর্যের উপস্থিতিতে শর্কর জাতীয় খাদ্য তৈরি করে তাকে উদ্ভিদ বলে। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ রয়েছে। কোনটির ফল হয়, কোনটির ফুল, কোনটির ফুল ও ফুল উভয়ই হয়। কোনটির মূল হচ্ছে এর ফল। কিছু উদ্ভিদ পরাগরেণুর মাধ্যমে বংশবিস্তার করে আর কিছু বীজের মাধ্যমে। চলুন তাহলে দেখে নেই উদ্ভিদ কাকে বলে? উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক কে?

উদ্ভিদ কাকে বলে?

যে সকল জীবের প্রাণ আছে কিন্তু চলাচল করতে পারে না, যারা সালোকসংশ্লেষণ ও সূর্যের উপস্থিতিতে পাতায় খাদ্য উৎপাদন করে থাকে তাদেরকে উদ্ভিদ বলে।

আরো দেখুনঃ ঔষধি গাছ কি?

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক কে?

উদ্ভিদ বিজ্ঞানী থিওফ্রাস্টাস কে উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। উদ্ভিদকে বীরুৎ, গুল্ম, উপগুলা, ও বৃক্ষ এই চার প্রকার শ্রেণিতে তিনিই ভাগ করেন। তাই থিওফ্রাস্টাস কে উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য

  • উদ্ভিদের মূল, কান্ড ও শাখা-প্রশাখা।
  • উদ্ভিদ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করতে পারে না।
  • সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সূর্যের উপস্থিতিতে নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে থাকে।
  • মূলের সাহয্যে এরা মাটিতে আটকে থাকে।
  • মুলের মাধ্যমে এরা মাটি থেকে পানি, লবণ ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ গ্রহণ করে থাকে।
  • পাতার ছিদ্রের মাধ্যমে এরা অক্সিজেন ছেড়ে থাকে।
  • উদ্ভিদ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে ও অক্সিজেন ত্যাগ করে যা প্রাণী জন্য দরকারি।
  • উদ্ভিদের জীবন আছে কিন্তু এরা চলাচল করতে পারে না।

উদ্ভিদ জগতের শ্রেণিবিন্যাস

উদ্ভিদ জগতের শ্রেণিবিন্যাসের ধাপগুলো হলো : উদ্ভিদ জগতকে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর রাজ্য, বিভাগ, শ্রেণি, প্রজাতি পরিবার ইত্যাদি অনুসারে।

  1. Kingdom.
  2. Division/Phylum.
  3. Class.
  4. Order.
  5. Family.
  6. Gents.
  7. Species.

কত প্রজাতির উদ্ভিদ আছে এই পৃথিবীতে এবং শনাক্তের সংখ্যা

সর্বসাকুল্যে ধারণা করা যায় যে, পৃথিবীতে প্রায় ৩৫০,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে। এর মধ্যে শনাক্ত করা গিয়েছে প্রায় ২৮৭,৬৫৫ প্রজাতি (২০০৪ সাল পর্যন্ত)। এর ভিতরে সপুষ্পক উদ্ভিদের সংখ্যা হলো ২৫৮,৬৫০ প্রায়।

বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ

সপুষ্পক উদ্ভিদ:

পৃথিবীর সকল প্রকার উদ্ভিদের মধ্যে এরাই সর্বোন্নত উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। যেমন : গোলাপ, জবা, আম, শাপলা ইত্যাদি হলো সপুষ্পক উদ্ভিদের উদাহরণ।

যে সকল উদ্ভিদ ফুল হয় এবং এই ফুলের মাধ্যমেই এরা বংশবৃদ্ধি করে তাদেরকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে

সপুষ্পক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য:

  1. সপুষ্পক উদ্ভিদে দল, বৃতি, স্ত্রীস্থাবক, বৃত্তি, পুংকেশর ও গর্ভাশয় থাকে।
  2. সপুষ্পক উদ্ভিদের গর্ভাশয়ের মাঝে ডিম্বক সাজানো থাকে।
  3. পরাগায়ণের পর গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের সব অংশ ঝড়ে পরে যায়।
  4. পরবর্তীতে ডিম্বকগুলো বীজে পরিণত হয়।
  5. সপুষ্পক উদ্ভিদে পরিবহন কলা থাকে যা খুবই উন্নত মানের।
  6. পরিবহন কলা থাকায় এর কাঠ প্রদানকারী বৃক্ষ।
  7. সপুষ্পক উদ্ভিদ সর্বোন্নত উদ্ভিদ।

আরো দেখুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নগ্নবীজী উদ্ভিদ:

যে সকল উদ্ভিদের বীজ ও ফুল হয় কিন্তু ফুল হয় না তাদেরকে নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলে এরা বায়ুপরাগী এবং ডিম্বক পরিণত হয়ে বীজে পরিবর্তিত হয়। যেমন: পিটাম, পাইনাস ইত্যাদি।

আবৃতবীজী উদ্ভিদ:

যে সকল উদ্ভিদের ফল, ফুল ও বীজ সহ হয় ও বীজগুলো ফলের মশে আবৃত থাকে তাদেরকে আবৃতবীজী উদ্ভিদ বলা হয়।এদের উদ্ভিদগুলিতে দিনিষেক ঘটে এবং ভিন্নগুলো ডিম্বাশয়ে সাজানো থাকে। যেমন : চীনাবাদাম, ভুট্টা, আলু আখ, গম, ধান ইত্যাদি।

অপুষ্পক উদ্ভিদ:

যে সকল উদ্ভিদের ফল ও ফুল হয় না তাদেরকে অপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। যেমন: শুষনি, ড্রাইওপটেরিস, শৈবাল, মস ও ফার্ন গোষ্ঠীর উদ্ভিদগুলোই অপুষ্পক উদ্ভিদ।

অপুষ্পক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য:

  1. অপুষ্পক উদ্ভিদ রেণু বা স্পোরের মাধ্যমে তাদের বংশবৃদ্ধি করে থাকে।
  2. এরা সমাঙ্গ দেহী।
  3. অপুষ্পক উদ্ভিদের মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে।
  4. সাধারণত শ্যাওলা ও ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদগুলিকে অপুষ্পক উদ্ভিদ
  5. অপুষ্পক উদ্ভিদের মূল মাটির গভীরে যায় না।
  6. আকার আকৃতির দিক থেকে এর নরম ও ছোট হয়।
  7. এদের শিকড় বা মূল মাটির গভীর পর্যন্ত যায় না।
  8. দেহ, মূল, কান্ড ও পাতায় বিভক্ত থাকে না।
  9. ফল, ফুল ও বীজ কোনটিই হয় না এদের।

অপুষ্পক উদ্ভিদ সাধারণত তিন প্রকার :

  1. মসবর্গ।
  2. ফার্নবর্গ ও
  3. সমাঙ্গবর্গ।

গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ:

যে সকল উদ্ভিদ মাঝারি আকৃতির এবং কাও থেকে বহু শাখা প্রশাখার সৃষ্টি হয়, কাও শক্ত কিন্তু বৃক্ষের মতো এত দীর্ঘ ও মোটা হয় না তাদেরকে গুল্ম উদ্ভিদ বলে। যেমন : জবা, রঙ্গন, লেবু ইত্যাদি।

গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য:

  1. এরা আকৃতির দিক দিয়ে মাঝারি।
  2. এই ধরণের উদ্ভিদগুলো সাধারণত ঝোপের মতো দেখতে।
  3. শেকড় মাটির গভীর পর্যন্ত যায় না।
  4. এদের গোড়া থেকেই অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়।
  5. এরা ফল ও ফুল দেয়।
  6. এরা অত্যন্ত সহিষজ্ঞ ও সকল ধরনের শাটিতে এরা জন্মে থাকে।

বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ:

ভ্রুণমুকুল থেকে সৃষ্টি হয়ে সপুষ্পক উদ্ভিদের যে অংশগুলো পর্ব, মুকুল, পর্বমধ্যে, পাতা, ফুল ও ফল ধারণ করে তাকে কাও বলে।

যে সকল উদ্ভিদের আকার ছোট এবং কাণ্ড নরম তাদেরকেই বিরুৎ বলে। যেমন : সরিষা, ঘাষ, কচু ইত্যাদি।

বিরুৎ সাধারণত চার প্রকার।

  1. একবর্ষজী।
  2. দ্বিবর্ষজীবী।
  3. বহুজীবী।

আরো দেখুনঃ আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

উদ্ভিদ বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি

১. উদ্ভিদের বিপদ নামকরণ হটালিক অক্ষরবিন্যাসে লিখতে হয়। এবং এর ভাষা পাটি

২. “জন রে” উদ্ভিদকে Monocots Dicot এই দুই ভাগে ভাগ করেন কিন্তু পরে তার অন্য শ্রেণিবিন্যাসে চলে যায় যার নাম বেন্থাম-হুকার।

৩. “উইলিয়াম রক্সবার্গ” কে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষের লিনিয়াস বলা হয়।

৪. আধুনিক শ্রেণিকরণবিদ্যার জনক হলে ক্যালোলাস লিনিয়াস। প্রত্যেক উদ্ভিদের লিঙ্গভেদে কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস করেন তিনি। ৭৩০০ প্রকার উদ্ভিদের বনর্ণনা তিনি দিয়েছিলেন তার Species Palntarum বই-এ

৫. কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির যে ধারণা তা বাতিল করেন মাইকেল অ্যাডনসন এবং প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাসের ধারণ শুরু করেন তিনিই প্রথম।

৬. সর্বশেষ প্রাচীন প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতিটি Genera Plantarum বইয়ে প্রকাশ পায়। এটি ছিল বেন্থাম ও হুকারের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি।

৭. উদ্ভিদ জগতের শ্রেণিবিন্যাস সাধারণত তিন পদ্ধতিতে করা হয়।

  1. প্রাকৃতিক।
  2. জাতিজনি।
  3. ও কৃত্রিম।

৮. প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস – মাইকেল অ্যাডানসন থেকে বেন্থাম হুকার পর্যন্ত জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি- এঙ্গলার-প্রান্টল পর্যন্ত কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস – থিওফ্রাস্টাস থেকে ক্যারোলাস লিনিয়াস পর্যন্ত।

৯. গম, সরিষা বর্ষজীবী বিরুদ্ধে উদাহরণ।

মূলা, বাঁধাকপি দ্বিবর্ষজীবী বিরুত্রে উদাহরণ।

দূর্বাঘাস ও হলুদ বহুবর্ষজীবী বীরুত্রে উদাহরণ।

কল্কাসুন্দা উপগুলোর উদাহরণ।

জবা, কাগজিলেবু গুন্মের উদাহরণ।

১০. বেল্লাম ও হুকার উদ্ভিদজগতে দুই ভাগে ভাগ করেন সজীব পুষ্পক ও বীজহীন অপুষ্পক।

১১. অপুপের উদ্ভিদসমূহ তিন ভাগে বিভক্তঃ ব্যালোফাইল,ভরিফাইট ও ব্রারোফাইটা ইত্যাদি।

পুষ্পক উদ্ভিদ দুই ভাগে বিভক্ত: আবৃতবীজী ও নগ্নবীজি।

আরো দেখুনঃ

পরিসমাপ্তি: উদ্ভিদ কাকে বলে এর উত্তরটি খুব সহজেই আমরা জেনেছি উপরে উল্লেখিত তথ্য থেকে। উদ্ভিদ কাকে বলে, এর প্রকারভেদ, উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস, সপুষ্পক উদ্ভিদ, অপুষ্পক উদ্ভিদ, গুল্ম, বিরুৎ ইত্যাদি। কোন উদ্ভিদ ফল দেয়, কোন উদ্ভিদে শুধু ফুল আর কোন উদ্ভিদে ফল ও ফুল উভয়ই হয় তা আমরা জেনেছি ইনফোটি থেকে। তাই উদ্ভিদ কাকে বলে থেকে শুরু করে বিস্তারিত এখানে আলোচনা করা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারী হবে আশা করছি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex