vlxxviet mms desi xnxx

যাকাত দেওয়ার নিয়ম

0
Rate this post

যাকাত দেওয়ার নিয়ম | যাকাত হিসাব করার নিয়ম | Jakat Dewar Niyom

সামর্থ্য আছে কিন্তু যাকাত দেন না। বলেন নিজের টাকা কেন অপরকে দেব। এই সব মানুষকে আল্লাহ তাআলা হাশরের ময়দানে বলবেন তোমার জন্য জান্নাত আছে কিন্তু তুমি সেই জান্নাত তুমি পাবে না কারণ সেই জান্নাতের ট্যাক্স তুমি পৃথিবীতে দিয়ে আসোনি। তাই আপনাদেরকে বলতে চাই গরিবের হোক তাদেরকে দান করুন । যাকাত সম্পর্কে আমরা সবাই জানলেও এর গভীরতা খুব কম মানুষই জানে। আসুন তাহলে জেনে নেই যাকাত দেওয়ার নিয়ম ও যাকাত হিসাব করার নিয়ম।

যাকাত কাকে বলে?

যাকাতের পরিপূর্ণ অর্থ হল পবিত্রতা। যাকাত এইজন্যই প্রদান করা হয় যাতে আপনার মন পবিত্রতা অর্জন করে, সম্পদের বৃদ্ধি ঘটে এবং সম্পদ পরিষ্কার হয়। যাকাতের আরো পরিভাষা রয়েছে যেমন যাকাত হলো আমাদের সম্পত্তির সেই ভাগ যা আল্লাহতালা গরিবদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।

যাকাত দেওয়ার নিয়ম মাফিক যারা যাকাত প্রদান করবে না তাদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ সা. একটি বাণী ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি কে আল্লাহতালা ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ করে রেখেছে সে যদি তার নির্দিষ্ট সম্পদের যাকাত না দেয় তাহলে সেই যাকাত হাশরের ময়দানে তাকে বিষধর সাপ হিসেবে কামড়াবে। আর ওই সব বলতে থাকবে আমি তোমার মাল ও তোমার সঞ্চিত সম্পদ । (সহীহ্ বুখারী: ১৪০৩)

যাকাত কত হিজরীতে ফরজ হয়?

যাকাতকে ফরজ করা হয়েছে দ্বিতীয় হিজরী থেকে। কিন্তু ওই যুগেও যাকাত দিতে অনেক মানুষ আগ্রহ বোধ করত না। যাকাত নিয়ে আমাদের প্রিয় নবীর একটি বাণীতে বলেন.

সময় থাকতে তোমরা যাকাত প্রদান করুন তা না হলে এমন একটি দিন আসবে যখন তুমি যাকাত নিয়ে ঘুরে বেড়াবে কিন্তু যাকাত দেওয়ার জন্য মানুষ খুঁজে পাবেনা। তখন মানুষ বলবে কাল পর্যন্ত আমার যাকাতের প্রয়োজন ছিল কিন্তু এখন আমি নিজেই পরিপূর্ণ।  (সহীহ্ বুখারী: ১৪১১, সহীহ্ মুসলিম: ১০১১)

আরো দেখুন: ফিতরা কার উপর ওয়াজিব.

যাকাত কাদের উপর ফরজ?

যাকাত দেওয়ার কিছু নিয়ম এবং শর্ত রয়েছে এবং কাদের উপর ফরজ কি কারণে ফরজ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদেরকে জানতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নেই:

১: মুসলমানদের উপর ফরজ:

যাকাত আমাদের ইসলাম ধর্মের তৃতীয় স্তম্ভ। মুসলমান সমাজের জন্য যাকাতকে ফরজ করে দেয়া হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক হলেই আপনাকে যাকাত দান করতে হবে। 

২: দাসত্বে না থাকা:

আপনি যদি স্বাধীন ব্যক্তি হন অর্থাৎ আপনি যদি কারো দাস না হন তবে আপনার উপর যাকাত ফরজ ।

3: নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ থাকা:

কারো উপর তখনই আপনার উপর ফরজ হবে ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ তার কাছে থাকবে। এই সম্পদগুলো হতে পারে টাকা, স্বর্ণ , রৌপ্য, শস্য ও প্রাণী।

4: ঋণ মুক্ত হওয়া:

ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ওপর যাকাত ফরজ হবে না যাকাত ফরয তখনই হবে যখন আপনি আপনার পাওনাদারকে সম্পূর্ণ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে ঋণ মুক্ত হয়ে আপনার যাকাত আদায় করবেন।

যাকাত কখন ফরজ হয়?

যাকাত ফরজ তখনই হয় যখন আপনি মুসলিম , আপনি কারোর দাস নন, আপনার কোন ঋণ নেই, আপনি শরীয়ত মোতাবেক নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক হয়েছেন এই কয়টি বিষয় যখন দেখবেন আপনার সাথে মিলে গিয়েছেন তখনই বুঝে যাবেন যাকাত আপনার উপর ফরজ হয়ে গেছে।

যাকাত আপনি কাদেরকে দিবেন?

আপনি কখনোই যাকাত তাদেরকে দেবেন না যারা সাবলম্বী অবশ্যই গরীব মানুষরা যাকাতের সর্বোৎকৃষ্ট ভাগীদার। তবুও আসুন জেনে নেই তাদেরকে যাকাত দেওয়া উচিত।

  • ভিক্ষুক যে আপনার দুয়ারে আসে ভিক্ষা করার জন্য।
  • মিসকিন যে সাহায্যের জন্য কারো কাছে হাত পাততে পারে না।
  • ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যে ঋণ থেকে মুক্ত হতে পারছে না ।
  • দাস-দাসীদের মুক্ত করার জন্য আপনি এই যাকাতের টাকা ব্যবহার করতে পারবেন বলে আল্লাহ তাআলা বলে দিয়েছেন।
  • মুসাফির কেউ আপনি যাকাতের টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন।

যাকাত দেওয়ার নিয়ম ২০২

আমাদের মহান আল্লাহতালা যাকাত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিধান তৈরি করে দিয়েছেন। সম্পূর্ণ হিসাব-নিকাশ কিভাবে আপনাকে করতে হবে সবকিছু বিস্তারিত ভাবে আমাদেরকে বলে দেওয়া আছে কিন্তু তবুও কিছু মানুষ এই নিয়ম কে ভেঙে নতুন নিয়ম করতে চায়। আপনাদেরকে বলে দেওয়া ভালো আপনি যদি যাকাতের দেওয়ার নিয়ম মাফিক কাজ না করেন তাহলে আপনাদের জাকাত কবুল হবে না। আসুন আজ আমরা যাকাত দেওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নেই।

যাকাত কাদের উপর ফরজ

যে সম্পত্তির উপর যাকাত ফরজ হবে সেই সম্পত্তির চল্লিশ ভাগের এক ভাগ আপনাকে যাকাতের জন্য বরাদ্দ করে রাখতে হবে। দেশ ভাগের এক ভাগ বলতে আমরা বলতে পারি 2.5 শতাংশ। সম্পদের মূল্য যদি একশ টাকা হয় সেখানে আপনার যাকাত দিতে হবে 2 টাকা 50 পয়সার। সম্পদের মূল্য যদি 1000 টাকা হয় সেখানে আপনার যাকাত দিতে হবে 25 টাকা। এই হিসাবটি যখন আপনি পেয়ে যাবেন তখন উক্ত টাকার পণ্য সামগ্রী বা মূল অর্থ আপনি গরীবদের মাঝে ভাগ করে দিলেই যাকাত হয়ে যাবে।

ধরুন আপনার ব্যাংকে আপনি টাকা জমা করে রেখেছেন হজে যাওয়ার জন্য। নিশ্চয়ই আপনি সেই টাকা আল্লাহর জন্য পবিত্র হজ শরীফে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রেখেছেন কিন্তু ওইটা কারো আপনাকে যাকাত দিতে হবে।

আপনি একটি দোকান তৈরি করেছেন দোকান কে সাজানোর জন্য যে ডেকোরেশন এর অর্থ লাগিয়েছেন ওই অর্থের উপর যাকাত ফরয নয় কিন্তু আপনার দোকানের পণ্যের ওপর এবং লভ্যাংশের উপর যাকাত ফরজ। আপনাকে অবশ্যই এই যাকাত প্রদান করতেই হবে।

আর বলে রাখা ভাল যাকাত দেওয়ার নিয়ম প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি তারিখে ধার্য করা হয়েছে এই সময় অনুযায়ী আপনাকে সব যাকাত দরিদ্রদের মাঝে বিলি করে দিতে হবে।

যাকাত হিসাব করার নিয়ম

প্রতিবছর আমাদেরকে যাকাত প্রদান করতে হবে সেই হিসাব করলে আপনাকে ভেবে নিতে হবে আপনি চন্দ্র বছরে যাকাত দেবেন না সূর্য বছরে। চন্দ্র বছর সাধারণ 354 বা 355 দিনেই শেষ হয়ে যায় অপরদিকে সূর্য বছর শেষ হতে লাগে 365 দিন অথবা 366 দিন। তাই সূর্য বছর চন্দ্র বছরের থেকে দশ এগারো দিন সব সময় আগে থাকে।

সূর্য বছরে যদি আপনি যাকাত দিতে চান তাহলে আপনার যাকাতের পরিমাণ 2.5 শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হবে 2.58 শতাংশ। আপনার জমিজমা, সঞ্চিত অর্থ , শস্য পণ্য, গাড়ি, নগদ টাকা, ফ্ল্যাট ও প্লট সবকিছুর যাকাত আপনাকে দিতে হবে। এই সবগুলো সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ প্রতিবছর আপনাকে গরিব দুঃখীদের মধ্যে নির্দিষ্ট চন্দ্র বা সূর্য বছরের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে।

যাকাত ক্যালকুলেটর 

যাকাত এর পরিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু হিসাব করার জন্য সব সময় আমাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে কারণ আমরা জানি যাকাতের পরিমাণ যদি কম হয়ে যায় তাহলে আমাদের যাকাত হবে না। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা যাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারি। সে আমি আপনাদের দেখাবো যাকাত ক্যালকুলেটর এর মাধ্যমে কিভাবে আপনারা খুব সহজেই আপনাদের নির্দিষ্ট সম্পদের সঠিক যাকাতের পরিমাণ খুঁজে বের করতে পারেন। যাকাত ক্যালকুলেটর এর মধ্যে আপনি আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন অপশন দেখতে পারবেন।

  1. যেমন ধরুন স্বর্ণ অলংকার এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট জায়গায় আপনার স্বর্ণ অলংকার এর বর্তমান মূল্য হিসেবে টাকার অংক বসাতে হবে।
  2. তারপর আপনার কি পরিমাণ জমি জমা আছে তার মূল্য নির্ধারণ করে সেই টাকার পরিমান ফাঁকা স্থানে বসাতে হবে।

এভাবে আপনার যতগুলো সম্পদনা সঞ্চিত অর্থ রয়েছে সবকিছু দামগুলো লিখে দিলেই আপনাকে সঠিক ক্যালকুলেশন করে দেখানো হবে এই বছরে আপনার কত টাকা যাকাত দিতে হবে।

শেষ কথা: এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আমার মনে হয় আপনি যাকাত দেওয়ার নিয়ম ও যাকাত হিসাব করার নিয়ম টি বুঝে গেছেন। যাকাত আমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে আর এই যাকাত না দিলে পরকালে আপনি জাহান্নামীদের কাতারে দাঁড়াবেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex