কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম | কৃমির ট্যাবলেট এর নাম
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম | কৃমি রোগের লক্ষণ কি? কি খেলে কৃমি দূর হয়? | কৃমির ট্যাবলেট এর নাম
Rules for taking worms tablets: কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো, প্রতি তিন মাস পরপর কৃমির ট্যাবলেট খেতে হবে। এবং একটি পরিবারে মোট যতগুলো সদস্য রয়েছে। তাদের সবাই কে একটি করে অ্যালবেনডাজল বড়ি খেতে হবে।
তবে আপনি চাইলে ৭ দিন পরে পুনরায় আরেক টি ডোজ সেবন করতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি শিশু কে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে চান। তাহলে আপনাকে একই নিয়ম অনুসরণ করে সেই শিশু কে সিরাপ খাওয়াতে হবে।
আরো দেখুনঃ ঔষধি গাছ কোথায় পাওয়া যায়।
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
এবার আমি আপনাকে বেশ কয়েকটি কৃমি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলবো। যেমন:
- যখন আপনি কৃমির ট্যাবলেট খাবেন, তখন আপনার গোটা পরিবারের সদস্যদের সবাইকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়াবেন।
- যদি আপনার পরিবার এর সকল সদস্য কৃমির ট্যাবলেট না খায়। তাহলে সেই ট্যাবলেট খাওয়ার পরেও কোন উপকারে আসবে না।
- আপনার পরিবারের মধ্যে যদি দুই বছরের শিশু থাকে। তাহলে আপনার যে রকম কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে সেই শিশুটিকেও একই নিয়মে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।
- একজন সুস্থ শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যন্ত প্রতি তিন মাস পর পর কৃমির ট্যাবলেট খেতে পারবে।
তো আলোচনার শুরুতেই আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে। আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ কিংবা মহিলা হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে প্রতি তিন মাস পরপর কৃমির ট্যাবলেট খেতে হবে। এবং প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে কৃমির ট্যাবলেট হিসেবে অ্যালবেনডাজল এর বরি খেতে হবে।
যেহেতু কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হিসেবে নির্দিষ্ট ডোজ কমপ্লিট করতে হয়। তাই অবশ্যই আপনাকে পরবর্তী ৭ দিন পরে পুনরায় আরেক টি ডোজ সেবন করতে পারবেন।
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। উপরে শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম বলা হয়েছে। তবে আপনি যদি আপনার শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে চান। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে কৃমির ট্যাবলেট ব্যবহার করা যাবে না। কারণ শিশুদের কৃমির ওষুধ হিসাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে।
আর প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে কৃমির ট্যাবলেট খেতে হবে। আশা করি কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।
কৃমি রোগের লক্ষণ কি?
উপরের আলোচনা থেকে আপনি কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এই বিষয় টি জানার পরে আপনাকে কৃমির রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ যদি আপনার কৃমি রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানা থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই কৃমির রোগ কে শনাক্ত করতে পারবেন। এবং আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তো চলুন, এবার কৃমির রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- কৃমি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সব সময় বমি বমি ভাব থাকবে।
- সেই সাথে যে ব্যক্তির কৃমির রোগ হবে, সেই ব্যক্তি হঠাৎ করেই পেট ব্যথা অনুভব করবে।
- এর পাশাপাশি সেই ব্যক্তির পেটের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা দেখা দিবে। যেমন, পেট মোটা হয়ে যাওয়া, পেট ভারী হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
- স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে কম খাওয়া দাওয়া করবে। কেননা তার মুখের রুচি অনেক গুণ কমে যাবে।
- প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে মুখের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ থুথু জমা হবে।
- অনেক সময় মলদ্বারে চুলকানি অনুভব হতে পারে।
তো কখন বুঝবেন যে আপনার কৃমির রোগ হয়েছে। মূলত এটি বোঝার জন্য আপনাকে কৃমি রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যে গুলো নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি আপনার মধ্যে এই লক্ষণ গুলো দেখতে পারেন। তাহলে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনি কৃমি রোগে আক্রান্ত।
কি খেলে কৃমি দূর হয়?
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম গুলো জানার পাশাপাশি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা জানতে চায় যে, কি খেলে ক্রিম দূর হয়। তো তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব যে, কৃমি দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত কাঁচা রসুন খেতে পারেন। কারণ যখন আপনি নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন এক কোয়া করে কাঁচা রসুন খান। তাহলে কিন্তু আপনি অনেক উপকার পাবেন।
তবে আপনি যদি রসুন থেকে আরও বেশি উপকার পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে রসুন সেদ্ধ করে খেতে হবে। কেননা রসুন এর মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড। আর যখন আপনি নিয়মিত রসুন খাবেন। তখন এই অ্যামাইনো এসিড নিজে থেকেই কৃমিকে মেরে ফেলবে।
Q: কৃমির ওষুধ কখন খেতে হয়?
A: বর্তমান সময়ে আপনি দুই বছর এর বেশি বয়সী শিশু কে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে পারবেন। এবং কৃমির ওষুধ প্রতি তিন মাস পরপর সেবন করতে হয়। তবে যখন আপনি কৃমির ওষুধ সেবন করবেন। তখন অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিবেন, কেননা ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা ঠিক না।
Q: পেটে কৃমি হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?
A: যদি আপনার পেটে কৃমি হয়, তাহলে আপনি বেশ কিছু লক্ষণ দেখতে পারবেন। যেমন:
- প্রথমত আপনার পেট ভুলে যাওয়া কিংবা পেট ভারী হওয়ার মত সমস্যা দেখা দিবে।
- এরপরে আপনার খাবারের রুচি স্বাভাবিক এর চেয়ে অনেক গুণ কমে যাবে।
- এবং আপনি হঠাৎ করে পেট ব্যাথা অনুভব করবেন।
যখন আপনি এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখতে পারবেন। তখন আপনি বুঝে নিবেন যে, আপনি কৃমি রোগে আক্রান্ত।
Q: কি খেলে কৃমি দূর হয়?
A: আপনি চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে রসুন খেয়ে কৃমি দূর করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন সকাল বেলা সেদ্ধ রসুন খেতে হবে। আপনি চাইলে কাঁচা রসুন খেতে পারেন। তবে যদি আপনি কৃমি রোগের জন্য উপকার পেতে চান। তাহলে চেষ্টা করবেন রসুন পানির মধ্যে সেদ্ধ করে খেতে। তাহলে আপনার কৃমি দূর হয়ে যাবে।
Q: শিশুর কত বয়স হলে কৃমির ওষুধ খেতে পারবে?
A: যখন কোন একটি শিশুর বয়স দুই বছর এর বেশি হবে। তখন সেই শিশুটি কৃমির ওষুধ খেতে পারবে। এবং তাদের ক্ষেত্রে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার যে নিয়ম রয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।
Q: মানুষের কৃমি কত প্রকার?
A: যদি আপনি জানতে চান যে, মানুষের কৃমি কত প্রকার। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, এমন অনেক ধরনের কৃমি রয়েছে। যেগুলো আপনি মানুষের মধ্যে দেখতে পারবেন। আর সেগুলো হল, সুতা কৃমি, বক্র কৃমি, কেঁচো কৃমি, ফিতা কৃমি এগুলো হল উল্লেখযোগ্য কৃমি। যেগুলো আপনি মানুষের মধ্যে দেখতে পারবেন।
দেখুন: গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ
কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু কথা
আজকে আমি আপনাকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। তবে যখন আপনি কৃমির ট্যাবলেট সেবন করবেন। তখন অবশ্যই ডক্টর এর পরামর্শ নিবেন। কারণ আপনি যদি ডক্টরের পরামর্শ নেন, তাহলে কিন্তু আর কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তবে চেষ্টা করবেন আজকের আলোচিত কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম গুলো মেনে চলার।
আর আপনি যদি এই ধরনের স্বাস্থ্যবিধি টিপস গুলো সবার আগে পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েব সাইটের মধ্যে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আর আমাদের লেখা সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমাদের সাথে থাকুন, নতুন কিছু জানার জন্য।