প্রসেসর কি?
প্রসেসর কি? | প্রসেসর এর কাজ কি?
বর্তমানে প্রযুক্তির এই যুগে প্রসেসর ব্যবহার সর্বাধিক। কারণ বর্তমানে আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আসছি। আর প্রতিটি যন্ত্রপাতি হিসেবে রয়েছে প্রসেসর। তার থেকে বড় কথা হচ্ছে বর্তমানে সকল কাজ হচ্ছে ইন্টারনেট এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে। এছাড়াও মোবাইলের ব্যবহার রয়েছে সর্বাধিক। আর তাই এসব এর ব্যবহার মূলযন্ত্র হচ্ছে প্রসেসর।
প্রসেসর এর সাহায্যে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে, কিন্তু এ প্রসেসর কি? হ্যাঁ আজ আমরা আপনাদের অনুরোধে প্রসেসর সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরব। যাতে করে আপনারা খুব সহজেই প্রসেসর সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। কারণ প্রসেসর আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে পৃথিবী নতুন যুগে পদার্পণ করেছে। চলুন তাহলে শুরু করি প্রসেসর কি? | প্রসেসর এর কাজ কি? আমাদের আজকের বিষয়টি নিয়ে।
প্রসেসর কি? | What is Processor?
প্রসেসর এর নাম অনেক শুনেছি। আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রস্রাব ব্যবহার সর্বাধিক জেনেছি কিন্তু প্রসেসর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এখনো অনেকের জানা নেই। প্রসেসর হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক সার্কিট জাতীয় অসংখ্য আইসি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট থাকে। আর এগুলো তৈরি হয় ট্রানজিস্টর দিয়ে। তবে প্রসেসর এর মূল কাজ হচ্ছে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা। প্রসেসর কে মাইক্রোপ্রসেসর বলা হয়।
বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম হাজার 971 সালের মাইক্রোপ্রসেসর এর উদ্ভাবন করেন। মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করেন সেটির নাম দেওয়া হয় INTEL 4004 PROCESSOR.
তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে সেই সময়ে এই প্রশ্নটি ব্যবহার হয়েছিল 2300 টি। তবে বর্তমানে ইন্টেলের কোর আই 7 প্রসেসর এর ট্রানজিস্টর এর সংখ্যা 2270000000 টি।
প্রসেসর এর কাজ কি?
আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে প্রসেসর তাহলে কিভাবে কাজ করে? এখন আমরা প্রসেসর কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে আলোচনা করব।প্রসেসর মূলত তিনটি ধাপে কাজ করে থাকে। আর যে ধাপে কাজ করে থাকে তার নাম হচ্ছে ফেচ এক্সিকিউট সাইকেল। ফেচ এক্সিকিউট সাইকেল এর তিনটি ধাপ হচ্ছে-
- ফেচ।
- ডিকোড।
- এক্সিকিউট।
ফেচ:
ফেচ এক্সিকিউট সাইকেল এর প্রথম ধাপ হচ্ছে ফেচ। এই ধাপে প্রসেসর যে কোনো নির্দেশনা গ্রহণ করে এবং সেই নির্দেশনা অনুসারে প্রসেসর র্যামে নির্দেশেনা পাঠায়।
ডিকোড:
ডিকোড ধাপের কাজ হচ্ছে রেজিস্টার থেকে নির্দেশনা ডিকোডার ব্যবহার করে প্রদত্ত নির্দেশনা প্রসেস করা। এরপর নির্দেশনা সমূহ সিগনালে রূপান্তর করে প্রসেসরের অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে এই ধাপে কাজ সম্পাদন করতে হয়।
এক্সিকিউট:
এই ধাপের কাজ হচ্ছে ডিকোড নির্দেশনা সমূহ গুলো প্রসেসরে এক্সিকিউট বস সম্পাদন করা। প্রদত্ত নির্দেশনা প্রেরণ করার পর রেজিস্টার নির্দেশনা সমূহ সেভ করে রাখে। আর প্রসেসর স্পিড বৃদ্ধি।
আরো দেখুনঃ কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করার উপায়.
প্রসেসর অংশ
আমরা এর আগে প্রসেসর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে প্রসেসর এর অংশ কয়টি হতে পারে। প্রসেসর এর অংশ প্রধানত তিনটি। আর এই তিনটি অংশের সমন্বয়ে একটি প্রসেসর সংঘটিত হয়। প্রসেসর এর অংশসমূহ হচ্ছে-
- সময় নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ অংশ।
- রেজিস্টার আরে বা স্মৃতি অংশ।
- গাণিতিক যুক্তি অংশ।
সময় নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ অংশ:
সময় নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ অংশের মাধ্যমে প্রসেসর এর সকল কাজ সম্পাদিত হয়। কম্পিউটারে কোন কাজের নির্দেশনা দেয়ার পর কোন কাজটি পালন করতে হবে তা নির্ধারণ করে এই অংশটি।
আর এই অংশটি কাজের ধরন হচ্ছে- প্রথমে তারা ইউনিটে নির্দেশ পাওয়ার পর সেই নির্দেশ পরীক্ষা করে দেখে নেয়। নির্দেশমূলক নির্বাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংকেত তৈরি করে থাকে। আর ইনপুটকৃত তথ্যগুলো প্রথমে কেন্দ্রীয় প্রসেসিং ইউনিট যাকে আমরা RAM বলে থাকি।
আরো দেখুনঃ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি।
এরপর তথ্যগুলো গাণিতিক যুক্তি ইউনিট এ প্রেরণ করা হয় এবং সেখানে গাণিতিক ও যুক্তিযুক্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সেগুলো যার্মে গিয়ে জমা হয়। আর সেইসাথে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত মনিটরে ফলাফল নির্দেশনার কাজ দেখা যায়। আর এটিই হচ্ছে মূলত কম্পিউটারের সময় নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ অংশের ক…
রেজিস্টার অ্যারে বা স্মৃতি অংশ:
রেজিস্টার অ্যারেবা স্মৃতি অংশ হচ্ছে অত্যন্ত ক্ষুদ্র এবং দ্রুতগতির অস্থায়ী মেমোরি। মেমোরি থেকে তথ্য গুলো নিয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের কাজ করা হয়। কারণ কম্পিউটারে কাজ করার জন্য স্মৃতি অবশ্যই প্রয়োজন হয়। আর কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট কাজটি সম্পন্ন করে তথ্যগুলো কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি তে অবস্থান রাখে।
আর যে সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কাজ করা হয় এবং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কম্পিউটার প্রভৃতিতে অবস্থান করে।
গাণিতিক যুক্তি অংশ:
প্রসেসরের ডাটাসমূহ বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক যুক্তির সিদ্ধান্ত মূলক কাজ করার জন্য গাণিতিক যুক্তির অংশক কাজ করে থাকে। যেমনঃ যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ, এন্ড, অর, ইনক্রিমেন্ট, ডিক্রিমেন্ট ইত্যাদি।
আবার গাণিতিক যুক্তি অংশ প্রসেসর মধ্যে আবার তিনটি ভাবে কাজ করে থাকে। সেগুলো হচ্ছে-
- গাণিতিক কাজ।
- যুক্তিমূলক কাজ।
- তথ্য পরিচালনা।
প্রসেসর কোর কি?
আমরা এর আগে প্রসেসর এর কোর শব্দটির সাথে পরিচিত হয়েছি। কিন্তু প্রসেসরের এই কর বলতে কী বোঝায়।
এককথায় প্রসেসর এর কোর হচ্ছে প্রসেসরের প্রসেসিং ইউনিট সংখ্যা। যেমনঃ ৪ কোরমানে সেই প্রসেসর এর চারটি প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে। আর যে প্রসেসরের প্রসেসিং ইউনিট যত বেশি হবে সে প্রসেসর এর কর্ম ক্ষমতা বেশি হবে।
উপসংহার: আশা করি আমরা আপনাদেরকে প্রসেসর কি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এবং প্রসেসর এর কিছু ধারনা দিতে পেরেছি। কিন্তু এরই শেষ নয়। কারণ প্রসেসর হচ্ছে একটি বিস্তীর্ণ আধুনিক যন্ত্র। যার কাজের কোন শেষ নেই। প্রতিনিয়ত প্রসেসর এর আপডেট হয়ে আসছে। আপনারা যদি আমাদের কাছ থেকে প্রসেসর সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের নিম্নে কমেন্টে জানাতে পারেন।