vlxxviet mms desi xnxx

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি | ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের

0
Rate this post

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি | ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের | ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায় | Background Of Language Movement

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি আমাদেরকে আসলে কিসের ইঙ্গিত দেয়? এর উত্তর হচ্ছে নিজের অধিকার আদায় করে নেওয়া উচিত। ভাষা আন্দোলন দিয়ে পাকিস্তানের অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ শুরু হলেও পাকিস্তানের উপর ক্ষোভের শুরু হয় তখন থেকেই যখন তারা সকল ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানী বা বাঙ্গালিদের বঞ্চিত করতে শুরু করে। ভারত ভাগের পর যখন পাকিস্তানের সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হলো তখন থেকেই পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভাজনের নীতি অনুসরণ করে আসছিল। রাজনৈতিক, সামরিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।

আরো দেখুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪

বাঙালিরা বুঝতে শুরু করেছে যে তারা ব্যবসা, সরকারি চাকরি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সব ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। করাচি পাকিস্তানের রাজধানী হওয়ায় বাঙালিরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। ফলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সম্পর্কের মধ্যে বিস্তৃত ব্যবধান সৃষ্টি হয়।

পাকিস্তানের প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। অন্যদিকে, সমগ্র পাকিস্তানের মাত্র ৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল উর্দু (১০৫১ সালের আদমশুমারি)। এভাবে বাংলা, পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষা হওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাষ্ট্রভাষা হিসাবে উপেক্ষা করা হয়েছিল যা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বড় বৈষম্য ছিল। অন্যদিকে, পূর্ব পাকিস্তানও বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পশ্চিম পাকিস্তানীদের তুলনায়। এই পোস্টে আপনাদের সাথে আজ ভাষা আন্দোলনের পটভূমি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্যের চিত্র

ভাষা আন্দোলন যে বাঙ্গালীদের একটি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয় তা পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্য দেখলেই বোঝা যায়। পূর্ব পাকিস্তানীদের প্রতি বৈষম্যের কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো ছকে

এরিয়াপশ্চিম পাকিস্তানপূর্ব পাকিস্তান
মোট জনসংখ্যা৫.৫০ কোটি৭.৫০ কোটি
ডাক্তারের সংখ্যা১২৪০০৭৬০০
গ্রামীণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স৩২৫৮৮
সামাজিক উন্নয়ন কেন্দ্র৮১৫২

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি থেকে আমরা জানতে পারি, পাকিস্তানের প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। অন্যদিকে, সমগ্র পাকিস্তানের মাত্র ৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা ছিল উর্দু। পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাঙালি হলেও পশ্চিম পাকিস্তানিরা চায়নি বাংলা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হোক। অন্যদিকে, বাঙালিরা তাদের ভাষাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল এবং সে ভাষার বিরুদ্ধে তাদের কোনো আপত্তিও ছিল না।

ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়

ভাষা আন্দোলন সরাসরি শুরু হয়নি এর পেছনে আরো অনেকগুলো প্রেক্ষাপট রয়েছে যা ভাষা আন্দোলনকে আরো ত্বরান্বিত করেছিল।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায়

তমুদ্দিন মজলিশ গঠন: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তমুদ্দিন মজলিস ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শিরোনামে ভাষা আন্দোলনের পুস্তিকা প্রকাশ করে। অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড.কাজী মোতাহার হোসেন ও আবুল মনসুর আহমেদ এই পুস্তিকাটির লেখক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনকে একটি সাংগঠনিক কাঠামো দিতে ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে তমুদ্দিনন মজলিস রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে।

করাচিতে শিক্ষা সম্মেলন: ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে করাচিতে পাকিস্তান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সংগ্রাম পরিষদ গঠন: ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পুনর্গঠিত হয়। সংগ্রাম পরিষদ ভাষার প্রশ্নে নিম্নলিখিত দাবিগুলি উত্থাপন করেছিল:

  • বাংলা হবে শিক্ষার মাধ্যম এবং পূর্ব বাংলার অফিস ও আইন আদালতের ভাষা
  • পাকিস্তানের দুটি রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা ও উর্দু।

ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়

ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের দাবি: ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের প্রথম অ্যাসেম্বলি ইংরেজির পাশাপাশি উর্দুতে তার কার্যক্রম রেকর্ড করা শুরু করলে, কুমিল্লার সদস্য ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত এর প্রতিবাদ করেন এবং বাংলাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে বাংলাকেও স্থান দেওয়া কথা বলেন তিনি।

১১ মার্চ ১৯৪৮-এ সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এবং প্রতিবাদ: ২ মার্চ ১৯৪৮-এ সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ভাষা ইস্যুতে সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সংগ্রাম পরিষদ সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটে সেদিন অনেক ছাত্র আহত হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমান, শামসুল হক ও অলি আহাদসহ অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় ১১ মার্চকে ‘বাংলা ভাষার দাবি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

এমতাবস্থায়, মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ১৫ মার্চ সংগ্রাম পরিষদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে তিনি গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্তি দিতে, পুলিশের বাড়াবাড়ির তদন্ত করতে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য বিধানসভায় একটি বিল উত্থাপন করতে সম্মত হন।

আরবি লিপি প্রবর্তনের প্রস্তাব: ১৯৪৮ সালে, বাংলা লেখার জন্য আরবি লিপি বা উর্দু হরফ প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়। আরবি হরফ প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে ডঃ শহীদুল্লাহকে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই আপত্তিকর প্রস্তাবের প্রতিবাদে পাকিস্তান শিক্ষা উপদেষ্টা বোর্ডে একটি স্মারকলিপি পেশ করে।

আরো দেখুন:

ভাষা আন্দোলনের শেষ পর্যায়

পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি গঠন: ১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ পূর্ব বাংলা সরকার বাংলা ভাষা সংস্কারের জন্য পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খান।

লিয়াকত আলী খানের ঘোষণা: ১৯৫০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান গণপরিষদে ঘোষণা করেন যে শুধুমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু পূর্ব বাংলার জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে গণপরিষদ আলোচনা স্থগিত করে।

লিয়াকত আলী খানের ঘোষণা: ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় এক জনসভায় খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবাদ স্বরূপ সমগ্র প্রদেশে হরতাল ডাকা হয়।

সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির সভা: কমিটি ৪ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট ডেকে ২১ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালন এবং সারাদেশে হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই দিনে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন বসার পর থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ১৯৫২ সালের ঘটনা

১৪৪ ধারা: ২০ ফেব্রুয়ারি নুরুল আমিন সরকার ছাত্র আন্দোলনে ভীত হয়ে বিকেল ৩টায় ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সকল প্রকার মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করে।

২১ ফেব্রুয়ারি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একটি সংগঠিত উপায়ে ১৪৪ ধারা অমান্য করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিলের নেতৃত্বে “রাষ্ট্রভাষা. বাংলা চাই” স্লোগান দিয়ে অধিবেশন চলা প্রাদেশিক পরিষদের দিকে অগ্রসর হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হন। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। আর পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। জব্বার, রফিক, বরকত ও সালামসহ বহু মানুষ ও ছাত্র শহীদ এবং বহু ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়।

সমাপ্তি: ভাষা আন্দোলনের পটভূমি থেকে আমরা জানলাম কিভাবে ছোট ছোট পর্যায় থেকে পরবর্তীতে মূল আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, এই ভাষার পিছনে কত মানুষের অবদান রয়েছে কেউ প্রাণ দিয়ে, কেউ লিখে সেই অবদান রেখেছেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex