vlxxviet mms desi xnxx

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য | ছন্দ, কবিতা

0
3.7/5 - (15 votes)

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য,ছন্দ, কবিতা (১০ টি নমুনা সহ) | শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য, সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিদায় অনুষ্ঠান আমাদের সবার স্কুল জীবনের সবচাইতে গুরুত্ববহনকারী অনুষ্ঠান। এই দিনের মাধ্যমেই আমাদের স্কুলের থেকে আমাদের বিচ্ছেদ ঘটে আর ঘটে আমাদের নতুন এক অধ্যায়ের শুরু। এই দিনটিকে আরো আনন্দঘন ও স্মরণীয় করে তুলতে আমরা এই দিনটিতে বক্তব্য রেখে থাকে। আমরা সবাই চাই বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য যেন সারা জীবনের জন্য আমাদের সহপাঠী ও স্কুলের সম্মানিত শিক্ষকদের মনের সারা জীবনের জন্য গাথা রয়ে যায়। চলুন আপনাদের বিদায় অনুষ্ঠানকে স্বরনীয় করে রাখতে কিছু বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য জানিয়ে দেই।

নমুনা -1

“বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম, মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথি এবং আমার শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক ও আমার সামনে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানাই।

দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়েছি এবং এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ আমাদেরকে বিভিন্ন বিষয় অত্যান্ত দক্ষতার সাথে পড়িয়েছেন তা আমরা কখনোই ভুলবো না। এজন্য আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে আজ অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। আজ শিক্ষাজীবনের একটি অধ্যায় সমাপ্ত করে পরের আরেকটি অধ্যায়ে পা রাখার উদ্দেশ্যে আমরা বিদায় নিচ্ছি।

আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনে আরো উন্নতি করে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারি। এছাড়া এখানে দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে আপনাদের অনেক শাসন-বাড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে যা সাময়িক বিরক্তিকর মনে হলেও এখন এই শেষ মুহূর্তে বুঝতে পারছি এটা আমাদের জন্য কতটা দরকারি ছিলো। তাই আমাদের কোনো আচরণের যদি কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকা কষ্ট পেতে থাকেন বা ছোট কিংবা বড় কোনো ভুল করে থাকি তাহলে আমাদেরকে ক্ষমা করবেন। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

যাই হোক, বিদায়ী মুহূর্তে আর বেশি কিছু বলতে চাই না, এই প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। – ধন্যবাদ সবাইকে।

উপস্থাপনা ও কথা বলার কলাকৌশল গুলো ভালোভাবে জেনে নিন অনেক উপকারে আসবে- উপস্থাপনা ও কথা বলার কলাকৌশল

দেখুনঃ জিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি।

নমুনা -2

আসসালামু অলাইকুম

অত্যন্ত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হচ্ছে আজ আমাদের বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠান। যদিও আমরা মনে করি এটা একটা বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কারণ মন থেকে চিরতরে বিদায় দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। আমরা অনেকদিন ধরে রিদয় রাঙানো গাঁথা সূরে এই কলেজে আছি। আমরা এখানে সবাই ভাইয়ের মত ছিলাম। আপনারা আমাদের বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন। আপনাদের অনুসরণ করে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আপনাদের নিকট আমরা অনেক কিছু শিখেছি।

এজন্য আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও আপনাদেরকে আজ এখান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। বিদায় সবাইকেই নিতে হবে। মূলত আমাদের জীবনতো খুবই ছোট। এই কলেজ পরিসরটা আরও ছোট । কারণ প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতে হয়। তার পরেও আমরা অনেক দিন মিলেমিশে ছিলাম । শীতের শিশির বিন্দুর মতোই বেলা বাড়ার সাথে সাথেই তা মিলিয়ে যায়।

আমরাও খুব শিগগিরই বিদায় নিয়ে আপনাদের পিছু পিছু চলে আসব। আজ শিক্ষাজীবনের একটি অধ্যায় সমাপ্ত করে পরের আরেকটি অধ্যায়ে পা রাখার উদ্দেশ্যে আপনারা বিদায় নিচ্ছেন। আপনাদের জন্য আমাদের দোয়া ও আশির্বাদ থাকবে যেন আপনারা সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পদার্পণ করতে পারেন। আপনারা যেন ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনে আরো উন্নতি করে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। আমরাও আপনাদের চলা পথ ধরে এগিয়ে যেতে চাই। এছাড়া এখানে আপনাদের সাথে আমাদের আচরণ বা ব্যবহারে কোন কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজগুনে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বিদায় দিতে মন চাচ্ছে না, তবুও বিদায় দিতেই হবে ।

তাই কবির চরণে বলতে হয়,
যেতে নাহি দিব হায়,
তবু যেতে দিতে হয়,
তবু চলে যায় ।

যাই হোক, বিদায়ী মুহূর্তে আর বেশি কিছু বলতে চাই না, এই কলেজের সকল ছোট ভাইদের পক্ষ থেকে আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদও শুভেচ্ছা রই।

১০ মিনিট স্কুল থেকে কোর্স দেখতে পারেন- News Presentation Course

নমুনা -3

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম, মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথি এবং অত্র বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষক মহোদয়,  শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলী ও আমার প্রাণ প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনেরা আস্ সালামু আলাইকুম। অত্যান্ত দুঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হচ্ছে আজ আমাদের বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠান। যদিও আমরা মনে করি এটা একটা বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কারণ মন থেকে চিরতরে বিদায় দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়েছি। আমরা এখানে ভাই বোনের মত ছিলাম। শিক্ষকেরা আমাদের বাবা-মায়ের মতো ছিলেন।

আপনাদের অনুসরণ করে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আপনাদের নিকট আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এজন্য আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও আপনাদেরকে আজ অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।     বিদায় সবাইকেই নিতে হবে। ড্যাফোডিল ফুলের মতো সকালে ফোটে, দুপুর গড়াতে না গড়াতেই তা ঝরে পড়ে। মূলত আমাদের জীবনতো খুবই ছোট। এই স্কুল জীবনটা আরো ছোট। শীতের শিশির বিন্দুর মতোই বেলা বাড়ার সাথে সাথেই তা মিলিয়ে যায়। আমরাও খুব শিগগিরই বিদায় নিয়ে আপনাদের পিছু পিছু চলে আসব।

মায়া, মমতা আর ভালবাসা নিয়েই আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকি। তাই আমরা যে পরিবারে, যে সমাজে জীবন যাপন করি, তার প্রতি আমাদের মায়া জন্ম নেয়। আর এই মায়া কাটিয়ে চলে যেতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলে মানুষ। ভাবুন এই সেদিন আমরা এই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। গুনতে গুনতে ৯টি বছর পার করে ফেলেছি। আজো আমার চোখে ভাসে সেদিনের কথা যেদিন ছোট্ট কচি হাত দিয়ে বাবার হাত ধরে এই স্কুলে এসেছিলাম। আজ শারিরীক ও মানসিক ভাবে আমরা বেড়ে উঠেছি কত তাড়াতাড়ি।

এভাবেই বড় হই আমরা। বড় হই আরো বড়। ছড়িয়ে পড়ি দেশে বিদেশে নিজেদের অন্ন সংস্থানের জন্য। পৃথিবী যেহেতু গোলাকার, তাই আমাদের মাঝে আবারো দেখা হয়। দেখা হবে। কথা হবে। এতেই আমরা সন্তুষ্ট থাকি। আজ শিক্ষাজীবনের একটি অধ্যায় সমাপ্ত করে পরের আরেকটি অধ্যায়ে পা রাখার উদ্দেশ্যে আপনারা বিদায় নিচ্ছেন। আপনাদের জন্য আমাদের দোয়া ও আশির্বাদ থাকেব যেন আপনার সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পদার্পান করতে পারেন। আপনারা যেন ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনে আরো উন্নতি করে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। আমরাও আপনাদের চলা পথ ধরে এগিয়ে যেতে চাই।

এছাড়া এখানে দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে আপনাদের সাথে আমাদের আচরণ বা ব্যবহারে কোন কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজগুনে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যাই হোক, বিদায়ী মুহূর্তে আর বেশি কিছু বলতে চাই না, এই প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। – সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আস্ সালামু আলাইকুম।

আরো দেখুনঃ উপস্থাপনা ও কথা বলার কলাকৌশল.

রকমারি ডট কম থেকে এই বইটি পড়তে পারেন- 

এসএসসি বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। “ক” উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং সম্মানিত সভাপতি, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবকবৃন্দ এবং আমার সামনে উপস্থিত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কে আমার পক্ষ হতে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

বিদায় শব্দটির সকলের কাছে অনেক কষ্টের। তবুও আমাদেরকে বিদায় নিতে হবে। কারণ এটিই প্রকৃতির নিয়ম। যেকোনো কাজের অথবা যে কোন কিছুর শুরু যেমন রয়েছে ঠিক শেষ রয়েছে। আর শেষের মধ্যে দিয়ে বিদায়ের মতো ভারাক্রান্ত মুহূর্তে শুরু হয়। আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলছি এই বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেওয়া সম্ভব কিন্তু চির বিদায় নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এই বিদ্যালয়ে আমি দীর্ঘ ১০ বছর অধ্যায়ন করেছি। যেখানে আমার শৈশব থেকে কৈশোর বয়সের সকল স্মৃতি জড়িত রয়েছে। শিক্ষকদের সাথে যেসকল সুন্দর মুহূর্ত রয়েছে তা কখনো ভুলবার নয়।

কারন আমি এই শিক্ষকদের হাত ধরে আজকের এখানে আসতে পেরেছি। তাই আমি সকল শিক্ষকদের কাছে চির কৃতজ্ঞ হইব। আমাদের সকলের ইচ্ছা না থাকলেও আজকে আমাদের একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিদায় নিতে হচ্ছে। এই বিদায়ের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনের শিক্ষাঙ্গন এর একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। সকল গুরুজনদের কাছে এই বিদায় সমাপ্তির সাথে নতুন শিক্ষাঙ্গনে পা রাখার জন্য দোয়া চাচ্ছি। যাতে করে আমরা সঠিক জ্ঞান এবং শিক্ষা অর্জন করে আমাদের দেশের উন্নতি করতে পারি এবং একটি সুন্দর এবং সুস্থ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

তাছাড়াও এখানে অনেক শাসন বারণ এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে যা আমাদের কাছে সাময়িকভাবে বিরক্ত মনে হলেও কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা বুঝতে পেরেছি এটি আমাদের জীবনের প্রয়োজন ছিল। আমরা শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষকদের মনে আচরণগতভাবে ভুল করে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে শিক্ষকবৃন্দ যেন আমাদেরকে তাদের সন্তান মনে করে তা ক্ষমা করে দেন।

আমাদের অনুগামী ভাই ও বোনেরা; তোমাদের সাথে দীর্ঘ ১০ বছর ছিলাম। আমরা এই দীর্ঘ সময়ে একটি পরিবারের ভাই ও বোনের মত ছিলাম এবং খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি। অনেক সময় আমরা তোমাদেরকে বিভিন্ন কারণে শাসন করেছি এবং করেছি। আমাদের শাসন তোমরা বড় ভাইয়ের মতো নিও এবং তোমরা ঠিক এভাবেই আমাদের স্নেহের আদরের এভাবেই থেকো। আমাদের ভালো ফলাফলের জন্য তোমরা দুআ করিও এবং আমরা যাতে এই বিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনতে পারি সেই দোয়া করিও। তাছাড়া আমরা যাতে আমাদের প্রত্যেক পরিবারের পিতা-মাতার যে স্বপ্ন রয়েছে আমাদেরকে নিয়ে তা পূরণ করতে পারি। আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের সামনের পথ আরো আদর্শবান করে তোলার জন্য রয়েছে শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।

প্রত্যেক পিতা-মাতা তার সন্তানকে পারিবারিক মূল্যবোধ ও আচরণগত বিধির মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে তুলেন। পারিবারিক বিখ্যাত শাখা-প্রশাখায় পারিবারিক মূল্যবোধ থেকে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। আমরা আছি, কিন্তু আমাদের জীবনের লক্ষ্য আমরা যাতে পূরণ করতে পারি সেই দোয়া সকলের কাছে রইল। এবং পিতা-মাতার স্বপ্নপূরণের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা সন্তানকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু পারিবারিক বিবিধ কারণে এবং আর্থিক সমস্যার কারণে আমাদের অনেক ভাই-বোন অকালে ঝরে পড়ে। অকালে ঝরে পড়া রোধ থেকে আমরা যাতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর তৌফিক আল্লাহ যাতে আমাদের কে দান করেন। সেইসাথে আমাদের প্রত্যেক অভিভাবক সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী।

আমরা ভাব-সম্প্রসারণ এই শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। এই ধরনের বহু শিক্ষামূলক অধ্যায়ন করেছি। আমরা যাতে এই শিক্ষামূলক অধ্যায়ন সমূহ বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি সেই দোয়া সকলের কাছে রইল। আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে আগত সকল পিতা-মাতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-  সকল পিতা-মাতার আকাঙ্ক্ষা, ইতিবাচক মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত লক্ষ্যে পৌঁছানোর অন্যতম চাবিকাঠি। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে করে আমরা আমাদের পরিবারের, সমাজের এবং রাষ্ট্রের জন্য ভালো কিছু করতে পারি এবং সকলের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

একান্ত বিদারী মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলতে চাইছি না।শুধুমাত্র উপস্থিত সকলের নেক হায়াত কামনা করছি এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি এবং সকলের কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাইছি। এখানে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। 

কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। সর্বপ্রথম আমাদের শিক্ষক মহাশয় এবং সকল শিক্ষকমন্ডলী কে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। আমার সহপাঠী এবং ছোট ভাই ও বোনদের জন্য রয়েছে ভালোবাসা এবং স্নেহ।

আজকের এই বিদায় দিনের আমার একটি কবিতা মনে পড়ছে। যে কবিতায় বিদায়ের ভারাক্রান্ত অনুভূতির ফুটে উঠেছে।

কি বলিব হাই
বলার ভাষা নাই
তবুও আজ
ফেলিয়া লাাজ
বলতে হবে
সবাইকে সহজ সরল পথে 
সততার সাথে
চলতে হবে
আরেকটি কথা মনে মনে বলতে হবে
অসৎ হলে রাত্রি দিন 
সোনার খাটেতে নিদ্রাহীন 
এবং সৎ হলে শুন্য খাটের 
চিন্তা বিহীন রাত্রি কাটিয়ে

আজকের এই দিন আমার হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। বিদায় নিতে চাইছে না এই মন্তব্য বিদায় নিতে হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটি রে চলে যেতে হবে এই ভেবেই আমার হৃদয় বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছে।ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বারবার। তবুও বিদায় নিতে হবে। তবে এই বিদায় চির বিদায় নয়। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছে আমার জীবনের স্বর্ণাক্ষরে লেখা সুন্দর মুহূর্ত গুলো। শুধু যে আমার জীবনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো যে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছে তা নয় এ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের জীবনে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের অসম্ভব সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত।

আমরা কেউই স্মৃতিজড়িত কলেজের দিনগুলো ছেড়ে যেতে চাই না। তবুও শিক্ষা জীবনের নিয়ম অনুসারে আমাদেরকে ছেড়ে যেতে হবে। আমরা যাতে উচ্চশিক্ষার দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারি তার জন্য সকল অভিভাবক এবং শিক্ষক বৃন্দ দের কাছে আমাদের জন্য দোয়া কামনা করছি। সকল শিক্ষকবৃন্দ দেরি হবে আমাদেরকে তাদের জ্ঞান ভান্ডার হতে জ্ঞান দান করেছে এবং আমাদেরকে একটি জাতির মেরুদন্ড হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে তাদের কাছে আমরা সকল শিক্ষার্থীরা চির কৃতজ্ঞ রইবো। তারা আমাদের পাশে এভাবে না থাকতেন তাহলে আমরা শিক্ষাঙ্গনের ছোঁয়া পেতাম না।  আপনারা ছিলেন বলেই আমরা শিক্ষাঙ্গনের মুক্ত ছড়াতে পারছি।

আমরা যাতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করে আমাদের দেশ এবং জাতি গঠনের ভূমিকা পালন করতে পারে এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি পৃথিবীর বুকে সেই দোয়া চাইছি সকল শিক্ষকবৃন্দদের কাছে। আপনারা এভাবে আমাদের পাশে থাকবেন এবং আমাদেরকে আপনাদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে তুলবেন।  আমার জানামতে আমি কখনও কোনও শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করিনি। তবুও অযাচিত কারণে যদি আমার পক্ষ হতে কোন শিক্ষক কষ্ট পেয়ে থাকেন অথবা আমাদের সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদেরকে সন্তান মনে করে ক্ষমা করে দিয়েন। কারন আমরা আপনাদের ভালোবাসা এবং আপনাদের জ্ঞানের আলোয় নিজেদেরকে আলোকিত করতে চাই।

এক মনিষী বলেছিলেন যে, ”The mediocre teacher tells, the good teacher explains, the superior teacher demonstrates, the great teacher inspires”

সম্মানিত অভিভাবকদের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ তারা যদি আমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন না দেখতেও তাহলে আজ আমরা এই জ্ঞান অর্জন করতে পারতাম না। আপনাদের কাছে আমাদের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা চাইছি। যাতে করে আমরা আপনাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারি এবং সেইসাথে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।

স্নেহের ছোট ভাই ও বোনেরা তোমাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে রয়েছে অনেক শুভকামনা। আমাদের পক্ষ হতে যদি তোমরা কখনো কোনো কষ্ট পেয়ে থাকো তাহলে আমাদেরকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখো এবং আমাদের দেশে নির্দেশগুলো তোমরা পালন করো যাতে করে তোমাদের ভবিষ্যত আমাদের মত করে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আমাদের পক্ষ হতে তোমাদের কাছে একটি চাওয়া সেটি হচ্ছে তোমরা শিক্ষক বৃন্দ দের সাথে কোন রকম বেয়াদবি করবেন না এবং শিক্ষকদের সাথে ভালো আচরণ করবে, শিক্ষকরা তোমাদেরকে যে শিক্ষা দান করবে তা আহরণ করার চেষ্টা করবে এবং বাস্তবে তা ভালো কাজে প্রয়োগ করবে।

পরিশেষে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ এবং অভিভাবক হিসাবে ছোট ভাই ও বোনদের পক্ষ হতে ক্ষমা এবং দোয়া প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সকলকে নেক হায়াত দান করুক। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

সম্মানিত অধ্যক্ষ এবং অন্যান্য সকল শিক্ষকবৃন্দ এবং বিদায় শিক্ষক মহোদয়ের সহকারি অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র ছাত্রী ভাই ও বোনদেরকে আমার পক্ষ হতে সালাম এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বসন্তের পাতাঝরা সুন্দর ঋতুর অনুভূতি যখন গ্রীস্মের সময় এসে গরমের মধ্যে পৌঁছে ঠিক তেমনি আমাদের প্রতিষ্ঠান মঙ্গলজুড়ে কোলাহলের বিষন্নতা ছড়াচ্ছে আপনার বিদায় মুহূর্ত। আপনার এই বিশাল জ্ঞান ভান্ডার এর ছোঁয়া আমরা পেয়ে নিজেদেরকে অনেক ধন্য মনে করছি। আপনার এই দীর্ঘ কর্মজীবনের যে উজ্জ্বল ছোঁয়া সকলকে আলোকিত করেছে তা বলে শেষ করবার মতো নয়। আপনার জ্ঞানের আলোয় যেমন করিয়া আমরা আলোকিত হয়েছি ঠিক তেমন করে সেই জ্ঞানের আলো হারানোর বেদনায় আজ আমরা শোকাহত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের হৃদয়ের ভাষা হারিয়ে ফেলছি সেইসাথে আমাদের মধ্যে থাকা অনুভূতিগুলো লোপ পেয়ে যাচ্ছে। আপনার মত এই উজ্জ্বল নক্ষত্র আজ আমাদের প্রতিষ্ঠান বিদায় বেলাকে আরো বেদনার ভারাক্রান্ত এবং সকলের চোখ অশ্রুসিক্ত করে দিচ্ছে।

আপনার সান্নিধ্য পেয়ে আমরা সকল ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি। তাই আমাদের নিয়ম নীতি অনুসারে আপনাকে বিদায় দেয়া হলেও কিন্তু আমরা আপনাদেরকে একান্তভাবে কোন বিদায় জানাতে পারছি না। শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, আমরা বিষন্ন চিত্রে এবং অশ্রুসজল নয়নে আপনাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

আপনি আমাদের শিক্ষাগুরু, আপনার মত এই কর্মঠ, উদারচিত্ত, অকৃতিম, প্রজ্ঞাবান এবং শিক্ষকের সানিধ্য পেয়ে আমরা নিজেদেরকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছি। আমরা যাতে আপনার আদর্শে আদর্শিত হয়ে নিজেদেরকে দেশ ও সমাজের সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি সেই দোয়া কামনা করছি। আমাদের এই শিক্ষাজীবনে আপনার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো স্মৃতি রাজ্যে অমর এবং অক্ষয় হয়ে থাকবে এবং চিরঞ্জিত বিরাজমান থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।

হে আমাদের শিক্ষক আপনি শুধু আমাদের শিক্ষক নন আপনিআমাদের জীবনের নীতি ও আদর্শের পথপ্রদর্শক। কারণ আপনি ছিলেন আপনার নীতি ও আদর্শের মধ্যে। অনুসরণ আপনাকে আপনার নীতি এবং আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আপনার এই ক্লান্তিহীন জ্ঞানচর্চা আমাদেরকে উদ্ভাসিত করে তুলেছে। আপনার এই জ্ঞানের আলোয় নিজেদেরকে আলোকিত করতে পৃথিবীর ধন্য মনে করছি এবং আমাদের অন্ধকারের আসন্ন পদ সমূহ যেন আপনার জ্ঞানের আলোতে আরো স্বচ্ছ হয়ে ওঠে সেই কামনা করছি।

নিয়ম রক্ষার্থে যেহেতু বিদায় নিতে হচ্ছে সেহেতু এই ক্লান্তিলগ্নে আপনি আমাদের অন্তরের শ্রদ্ধা, অভিনন্দন গ্রহণ করে বাধিত করবেন। আমাদের অযাচিতভাবে আপনি যদি আমাদের আচরণগতভাবে কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সন্তান মনে করে আমাদেরকে ক্ষমা প্রদান করে বাধিত করবেন। সেই সাথে আমাদের ভুলত্রুটি মার্জিত করে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সুখী এবং সমৃদ্ধময় জীবন কামনা করার জন্য দোয়া চাচ্ছি ।

আমাদের সকলের পক্ষ হইতে আপনার জন্য ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সুস্থ সুন্দর জীবন এবং মহান আল্লাহ তাআলা আপনাকে যেন নেক হায়াত দান করেন সেই কামনা করছি। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম, পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়াবারাকাতুহ।

প্রিয় সহকর্মীগণ এবং আমার বসদের জানাচ্ছি আমার পক্ষ হতে সালাম এবং শুভকামনা। দীর্ঘ ২০ বছর এই প্রতিষ্ঠান নিজের দক্ষতা এবং ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সহকর্মীর আজ বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে। তিনি আজ আমাদের পক্ষ হতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিবেন তবে তিনি আমাদের মধ্যে সবসময় বিরাজমান থাকবেন। আজ তার বিদায় হবে কিন্তু চির বিদায় নয়। কারণ তিনি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠানের উন্নতির সাধনে নিজেকে শামিল করে এসেছে ঠিক সেই প্রথম দিন থেকে।

আপনার মত এমন সহকর্মীদের আমরা সকলে নিজেদেরকে ধন্য মনে করি। আপনার জন্য আমাদের এই কর্মস্থলে উষ্ণতা, প্রফুল্ল এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা সহ নানা ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আপনার এই নিরলস পরিশ্রম আমাদের প্রতিষ্ঠান সাফল্য বয়ে এনেছে। কর্ম ক্ষেত্রে আপনার সহযোগিতার কথা বলার মত নয়। আপনি আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি সব সময় আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে উত্তোলন করেছেন। আপনি আমাদের কাছে অনেকটা শিক্ষকের মত। কারণ আমরা অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে এমন কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি যেখান থেকে আমরা সহজেই রেহাই পাওয়ার মত ছিল না কিন্তু আপনি ছিলেন বলে আমাদের যেকোন সমস্যার সমাধান সহজে করতে পেরেছি।

তাছাড়া আপনার মত একজন বন্ধুসুলভ সহকর্মীর আমরা নিজেদেরকে প্রশংসিত মনে করি। আমাদের যেকোন ধরনের বিপদে আপনি আমাদের পাশে ছায়ার মত এসে দাঁড়িয়েছেন। মানসিকভাবে আপনি আমাদেরকে যে সাহায্য করেছেন তা সত্যিই আমরা কখনো ভুলতে পারবো না। মানুষ কোন যান্ত্রিক বস্তু নয়। তাই মানুষ যন্ত্রের মত একাধারে চলতে পারে না তাই কর্মপরিবেশে চাই মানসিক প্রশান্তি। আর আপনি আমাদেরকে এই প্রশান্তির যোগান দিয়েছেন।

বিদায়ের এই মুহূর্তে আপনাকে আমরা সত্যিই মন থেকে বিদায় নিতে পারছি না তবে নিয়ম অনুসারে আপনাদেরকে আমাদের পক্ষ হতে বিদায় জানাতে হচ্ছে। তাছাড়া আপনার সাথে দীর্ঘদিন কাজ করে যেমন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি ঠিক তেমনি আমাদের পক্ষ হতে যদি আপনি কোন ভাবে কষ্ট পেয়ে থাকেন অথবা আমাদের আচরণগতভাবে কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার উদার হৃদয় দিয়ে আমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েন।

আমরা এখানে একটি পরিবারের মতো করে ছিলাম যেখানে প্রীয়জন আত্মীয়-স্বজনের সাথে সর্বদা যেভাবে আচরণ করা হয় ঠিক সেভাবে আমরা সকলে একসাথে হয়ে কাজ করেছি। আপনার অনুপস্থিত আমাদের শূন্য হৃদয়ে ভারাক্রান্ত মনে বারবার রক্তক্ষরণ হতে থাকবে। তবুও সময়ের সাথে আমাদের সকল কিছু মেনে নিতে হবে।

আমাদের প্রিয় সহকর্মী আপনার এই বিদায়ে আমরা মেনে নিতে না চাইলেও মেনে নিতে হবে কারণ এটি হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ম। তাছাড়া আপনি এখন যে বয়সে আছেন সে বয়সে আপনার বিশ্রামের প্রয়োজন। আমরা আপনার কাছে কোন ভুল করে থাকলে আপনি আমাদেরকে তা মাফ করে দিয়েন এবং আপনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং অনেক শুভকামনা রইল। আপনাকে যেতে আল্লাহ নেক হায়াত দান করেন এবং আপনার অবসর সময় যেন খুব সুন্দর এবং আদর্শ সময় কাটাতে পারেন সেই দোয়া করছি। আপনার সুস্থতা কামনা করছি

 আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ

 আসুন বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য এর সাথে সাথে বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ এর কিছু ছন্দ ও জেনে নেই।

” বিদায় মানে শেষ নয়,
নতুন শরুর দিগন্ত,
আসবে ভোর নতুন করে
দেখবো সবার সফলতার বসন্ত “

“বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে
আর যে সময় নেই,
ভালো থেকে প্রিয় বিদ্যালয় 
তোমাকে বিদায়”

” কত স্মৃতি হাসি উল্লাস মাখা দিন
মিশে আছে এইখানে,
প্রতিটি পাথর-বেঞ্চ-ঘণ্টা সবার মাঝে
আমাদের ভালবাসা,
আজ ছাড়িতে হবে এসব,
দিতে হবে বলি, একি ব্যাথা।
রচিত হবে স্মৃতির মাঠ, হবে কি আর কখনো এভাবে আসা?
হে প্রিয় আলয়, তোমায় বলি, করি শেষ আরতি
আমাদের যেন ভুলিও না তুমি,
রেখো মনে চিরদিন।”

বিদায় অনুষ্ঠানের কবিতা

আসুন বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য এর সাথে সাথে এখন কিছু কবিতাও জেনে নেই।

 “সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া,  সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা,  সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্ধারণ করা।” 

” তবু সে তো স্বপ্ন নয়,
সব-চেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়,
সে আমার প্রেম।
তারে আমি রাখিয়া এলেম
অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশে।
পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে
কালের যাত্রায়।
হে বন্ধু, বিদায়”

” বিদায়! বিদায়! একি কলরব ধ্বনিছে বাতাসে
ক্রন্দন ভরা অক্ষিপট, ভাসাইছে সবাই ঝর্ণার ধারা
অধর পুষ্প নাহি ফুটে, মুখে সবার বিষণ্ণতা
আজি মোদের বিদায় লগ্ন, কহিছে কৃষ্ণপাতা।
বিদায় ঘণ্টা তাল তুলেছে ঢং ঢং করুণ তানে
দশ বছরের লালিত মাতৃক্রোড় ছেড়ে
পাড়ি জমাব আজ জীবন উচ্ছাশার দ্বিতীয় পথ পানে।
অতীত ফেলি ভাবি চিন্তায় নিমগ্ন সভায়
একি নিয়ম নীতি সবার, বুঝি না আমি।
কত স্মৃতি হাসি উল্লাস মাখা দিন মিশে আছে এইখানে
প্রতিটি পাথর-বেঞ্চ-ঘণ্টা সবার মাঝে আমাদের ভালবাসা
আজ ছাড়িতে হবে এসব, দিতে হবে বলি, একি ব্যাথা।
রচিত হবে স্মৃতির মঠ, হবে কি আর কখনো এভাবে আসা?
হৃদয় প্রশান্ত ব্যাথায় বলে, সাহারার তপ্ত বালি
কেন আসিল এ বিদায় লগন, কেন হল সৃষ্টি?
কত স্মৃতি কত কথা আজ বলে ধূসর মরুভূমি
অলস মন যেতে নাহি চায়, ভুলিব কি তোমার কৃষ্টি!
কত কাব্য রচিত হয়েছে এতদিন, আজ যেন ক্ষান্ত কলম
একি বিদায় একি বিদায়! পাজর ঘোষিছে কিন কিন,
হে প্রিয় আলয়, তোমায় বলি, করি শেষ আরতি
আমাদের যেন ভুলিও না তুমি, রেখো মনে চিরদি”

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সবার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন আশা করি এই বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য গুলো আপনাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex