কসর নামাজের নিয়ম
কসর নামাজ কি? | কসর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
কসর নামাজের নিয়ম জানতে চাইছেন? তাহলে বলবো একদম সঠিক স্থানে এসেছেন। হ্যাঁ, আমরা আপনাদেরকে কসর নামাজের নিয়ম জানাবো এবং কসর নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিব। যাতে করে আপনারা কসর নামাজ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং ভ্রমণকালে এই নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আপনাদের এবাদাত সঠিক রাখতে পারেন।
আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথা শুনেছি এবং এর পাশাপাশি বিশেষ বিশেষ কারণে বিশেষ বিশেষ নামাজ পড়া হয়। আর এই বিশেষ নামাজ গুলোর মধ্যে কসর নামাজের নিয়ম অন্যতম। কারণ কসরের নামাজ গুলো শুধুমাত্র এক ধরনের ব্যক্তিরা আদায় করতে পারে। আর কোন ধরনের ব্যক্তিরা এ নামাজ আদায় করতে পারে এবং কখন এই নামাজ আদায় করতে হয় এর পাশাপাশি এই নামাজ সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে আমরা এই আর্টিকেলটি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন তাহলে আমরা আর দেরি না করে এবার কসর নামাজ সম্পর্কে জেনে নেই এবং কসর নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
আরো দেখুনঃ ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম.
কসর নামাজ কি?
কসর নামাজ আদায় করার পূর্বে সবার আগে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে কসর নামাজ কি? বা কসর নামাজ কাকে বলে? কসর নামাজ শুধুমাত্র মুসাফিররা আদায় করতে পারে। এই নামাজ মহান আল্লাহতালার বিশেষ অনুগ্রহ। মহান আল্লাহতালা সব সময় তাঁর বান্দাদের জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন এবং কাঠিন্য আর মাকসাদ এর বহির্ভূত।
আর তার জন্য সফর বা ভ্রমণ করার সময় ক্লান্তির দিক লক্ষ্য করে মহান আল্লাহতালা ফরজ চার রাকাত বিশিষ্ট যোহর আসর এবং এশার সালাত কে সংক্ষিপ্ত করে দুরাকাত ফরজ করে দিয়েছেন তাঁর বান্দাদের জন্য। সুবহানাল্লাহ। সুতরাং এই ফরজ চার রাকাত নামাজের সংক্ষিপ্ত রূপ দুই রাকাত নামাজ আদায় করাকে কসর নামাজ বলে।
কসর নামাজের হাদিস
আমাদের সকল মুসলমান ভাই ও বোনেরা ইসলামের যত আমল করে থাকেন তা হাদিসে বর্ণিত সকল নিয়ম অনুসারে সেই আমলগুলো করে থাকেন। কারণ হাদিস অনুসারে যে বর্ণনা পাওয়া যায় সে কাজগুলো আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পালন করতেন এবং হাদিসে বর্ণনাকৃত আদেশ গুলো মহান আল্লাহতালা তার বান্দাদেরকে পালন করার আদেশ করেছেন। তাই আমরা কসর নামাজের ক্ষেত্রেও হাদীসে বর্ণিত আদেশ অনুসারে পালন করা উচিত-
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে মক্কাবাসী, চার বারিদের কমে কসর করবে না”। (দারা কুতনি ১/৩৮৭)।
সুতরাং ইবনে ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু এবং ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুর চার বারিদ সফরের সময় কসর পড়া এবং ভাঙার কথা উল্লেখ করেছেন। আর এটি হচ্ছে ১৬ ফরসখ। ( সহি বুখারী, কসর নামাজ অধ্যায়)।
এখন আপনাদের ফরসখ শব্দের মানে কি তা জানার ইচ্ছে হতে পারে। ফরসখ মানে হচ্ছে ১ ফরসখ= ৩ মাইল। যদি ১২ গুন ৪ বারিদ দেয়া হয় অথবা ১৬ ফরসখ গুন ৩ দেয়া হয় থাওলে ৪৮ মাইল হবে। সুতরাং সফর ভ্রমণ এর দূরত্ব ৪৮ মাইর হবে। (কামুসুল ফিকহ ২/৩১৪, আল ফিকহুল ইসলামী ওয়াজ আদিল্লাতুহু ১/৭৫)।
কসর নামাজ কত রাকাত?
কসর নামাজ এক কথায় বলতে গেলে দুই রাকাত। কিন্তু আপনারা যারা এখন পর্যন্ত কসর নামাজের দুই রাকাত বুঝতে পারেননি তাদের জন্য নিম্নে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেয়া হলো-
আমরা সাধারণত যোহর, আসর এবং এশিয়া ওয়াক্তের নামাজের মধ্যে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট দূরত্বে ভ্রমণ করে এবং সেই ব্যক্তি যদি মুসাফির হয় তাহলে ওই ব্যক্তিকে এই চার রাকাত ফরজ নামাজের পরিবর্তে দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। আর ওই ব্যক্তি যদি ব্যস্ত না থাকেন তাহলে অবশ্যই ওই ব্যক্তিকে সুন্নত নামাজ আদায় করতে হবে। কারণেই সুন্নত নামাজ ঐ ব্যক্তির জন্য উত্তম। কিন্তু যদি তিনি ব্যস্ততায় থাকেন তাহলে এই সুন্নত নামাজ আদায় না করলেও হবে।
তাহলে বুঝা গেল যে কসর নামাজ যোহর, আসর এবং এশার নামাজের ফরজ চার রাকাত এর পরিবর্তে দুই রাকাত ফরজ নামাজ কেই বোঝায়।
আরো দেখুনঃ সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম.
কসর নামাজের নিয়ত
আপনারা যারা মুসাফির তারা যেভাবে কসর নামাজের নিয়ত করবেন তা হচ্ছে- আমরা যেভাবে ফরজ নামাজের নিয়ত করি ঠিক সেভাবে ফরজ সালাতের মত করে কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করতে হবে শুধুমাত্র সেখানে কসরের নামাজ এবং দুই রাকাত কথাটি উল্লেখ করে দিতে হবে। কিন্তু আপনাদেরকে কসর নামাজ আদায়ের জন্য নিয়ত সঠিক রাখতে হবে এবং সেই নিয়ত আরবীতে অথবা বাংলায় উচ্চারণ করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনারা মনে মনে কসর নামাজের নিয়ত করে নিতে পারবেন। নিচে কসর নামাজের নিয়ম আলোচনা করা হলো।
কসর নামাজের নিয়ম
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে মুসাফির ব্যক্তি যাত্রাপথে নির্দিষ্ট দূরত্বে যদি চলে যান তাহলে যোহর, আসর এবং এশার সালাতের চার রাকাত ফরজ এর পরিবর্তে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। আর এ নামাজ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হজ, ওমরা এবং যুদ্ধ সহজে কোন শহরে সময় কদরের নামাজ আদায় করতেন। ইবনে ওমর হতে বর্ণিত হয়েছে, “ আমি মোহাম্মদ সাঃ এর সাথে ছিলেন এবং তিনি সফরের চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাতের বেশি পড়তেন না”। এবং তখন আবু বকর ও ওমর একই রকম ভাবে নামাজ পড়তেন। ( বুখারী ও মুসলিম)।
সুতরাং কসরের নামাজের নিয়ম হচ্ছে-
- যদি কোন ব্যক্তি ৪৮ মায়ের অতিক্রম করে তাহলে সে কসরের নামাজআদায় করবেন। আর সেই সফরে স্থান যদি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত হয় তবে ওই ব্যক্তি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তার নামাজ কসর আদায় করবেন।
- প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে ওযু অথবা তায়াম্মুম করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে কসর নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে। ( এখানে লক্ষণীয় যে কসর নামাজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যোহর, আসর এবং এশার নামাজের ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরিবর্তে দুই ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত করতে হবে)।
- এরপর আমরা যেভাবে ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করি ঠিক সেভাবে দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।
- এক্ষেত্রে আপনারা সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর যে কোন সূরা পাঠ করে কসরের নামাজ আদায় করতে পারেন।
- তবে মুসাফিরকে অবশ্যই মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ এবং এশার দুই রাকাত ফরজ এর সাথে ৩ রাকাত বিতর নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে।
- যদি কোন ব্যক্তি তার ব্যস্ততার জন্য সুন্নত নামাজ আদায় না করতে পারে তাহলে এর কোন গুনাহ হবে না তবে যদি কোন ব্যক্তি সুন্নত নামাজ গুলো আদায় করে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য এটি উত্তম।
আরো দেখুনঃ সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম.
কসর নামাজের ফজিলত
কসর নামাজ ফজিলতপূর্ণ অনেক একজন তার ইবাদাত সঠিকভাবে আদায় করতে পারবেন এবং এই কসর নামাজ আদায়ের মধ্যে দিয়ে একটি শিক্ষা অর্জন করা যায় সেটি হচ্ছে যেকোনো অবস্থায় ফরজ ইবাদত পালন করতে হবে। কোন ভাবে বা কোনো অজুহাতে ফরজ ইবাদত ছেড়ে দেয়া যাবে না।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেন, “ তোমরা সব নামাজকে করো এবং এর মধ্যে রয়েছে উত্তম প্রতিদান”। ( বায়হাকী)।
কারণ কসর নামাজের ফজিলত অপরিসীম। মহান আল্লাহতালা তার প্রিয় বান্দাদের কে সার্বিক কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য রেখে সহজ এই বিধানটি দিয়েছেন। ইসলাম মানুষের কল্যাণের জন্য, মুক্তির জন্য অনেক পথ খুলে রেখেছেন ঠিক তেমনি মুসাফিরদের সফরের সময় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এই সকল সমস্যা হতে উদঘাটন হওয়ার জন্য কসরের নামাজের উপকারিতা বর্ণনা করে বলার মত নয়। কারণ আমরা সকলেই জানি যে যেকোন বিপদে ইবাদাত আমাদেরকে সেই বিপদ থেকে মুক্তি দান করে।
সুতরাং কসর নামাজ আদায় করা হয় শুধুমাত্র সফরের সময় যখন ব্যক্তিরা মুসাফির অবস্থায় থাকেন। তাই মুসাফির অবস্থায় থাকাকালীন কোনভাবে কসরের নামাজ ছেড়ে দেওয়া যাবে না কারণ এটি ফরজ ইবাদত।
কসর নামাজের মাসাআলা
কসর নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসাআলা রয়েছে। আর সেগুলো হচ্ছে-
- কসর নামাজ শুধু মাত্র চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে পড়া হয়। যেমনঃ পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের ক্ষেত্রে যে সকল ওয়াক্ত ( ফজর, আসর এবং এশা) নামাজের মধ্যে ফরজ চার রাকাত রয়েছে সে সকল ওয়াক্তের ক্ষেত্রে কসর নামাজ পড়া হয়।
- কসর নামাজের ক্ষেত্রে ফজর, মাগরিব এবং এশার নামাজের বিতর নামাজের কোন কসর নামাজ নেই।
- যদি কোন ইমাম মুসাফির হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই নামাজ আদায়ের পূর্বে সকলকে জানিয়ে দিতে হবে যে সে একজন মুসাফির এবং তিনি দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরাবেন। আর ওই ইমামতির পেছনে যারা মুসাফির থাকবেন না তারা বাকি দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। যেমন করে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করা হয় ঠিক সে ভাবে।
- যদি কোন মুসাফির ব্যক্তি মুকীম ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে তাহলে ওই ইমাম কে অনুসরণ করে মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাত নামাজ আদায় করবে।
- যে ওয়াক্তের কসর নামাজ পড়বে সে ওয়াক্তের কথা উল্লেখ করে প্রত্যেক নামাজের নিয়ত সঠিকভাবে করতে হবে।
- মুসাফির ব্যক্তি কে এবং তিন রাকাত ফরজ সেইসাথে ওয়াজিব নামাজ যথাযথ নিয়মে আদায় করতে হবে।
- যদি কোন মুসাফির ব্যক্তির অনেক ব্যস্ততা থাকে তাহলে ফজরের সুন্নত ব্যতীত অন্যান্য সকল ওয়াক্তের সুন্নত নামাজ ছেড়ে দিতে পারবেন। তবে তাদের মধ্যে যদি ব্যস্ততা থাকে তাহলে অবশ্যই সুন্নত নামাজ পড়ে নেয়া উত্তম।
- যদি কোন মুসাফির ব্যক্তি মুসাফির থাকা অবস্থায় কোন নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে বাড়ি ফিরে ওই নামাজ কসর হিসেবেই পড়তে হবে। আর যদি কোন ব্যক্তির বাড়িতে থাকা অবস্থায় কোন নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে সফরের যেও পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে, তখন আর এই নামাজের কঠোর হবে না।
- মুসাফির ব্যক্তি যদি সফরে ১৫ দিন বা তার বেশি থাকার নিয়ত না থাকে কিন্তু ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে তাহলে এভাবে ১৫ দিন বা তার বেশি দিন থাকলেও কসর নামাজ আদায় করতে হবে।
- মুসাফির ব্যক্তি যদি ভুলবশত চার রাকাত নামাজ পড়ে ফেলে আর যদি দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদ বৈঠকে থাকে তবে নামাজ আদায় হয়ে যাবে অন্যথায় এই নামায আদায় হবে না।
সুতরাং আপনাদের শরীয়াতের পূর্ণ শর্ত অনুসারে কসর নামাজ আদায় করতে হবে এবং এ ধরনের মাসআলাগুলো আপনাদেরকে মনে রেখে কসর নামাজ আদায় করতে হবে।
কসর নামাজের শর্ত
কসর নামাজ আদায় করার পূর্বে আপনাদের অবশ্যই কসর নামাজের শর্তঃ জেনে নিতে হবে। আমরা পূর্বে আপনাদের মাঝে কসর নামাজের একটি হাদীস উল্লেখ করেছি। সেই হাদিস অনুসারে আপনাদের অবশ্যই কসর নামাজ আদায় করা উচিত। কসর নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে ৪৮ মাইল (৭৭.২৪৬৪ কিলোমিটার) বা কোন ব্যক্তি তার নিজ গ্রাম বা দিজ শহরের সীমানা অতিক্রম করে তখন সে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে এবং তখন তিনি কসর নামাজ আদায় করতে পারবেন। অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে যোহর, আসর এবং এশার ওয়াক্ত নামাজের চার রাকাত ফরজ নামাজের পরিবর্তে দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।
সুতরাং কসর নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই শর্ত মেনে কসর নামাজ আদায় করতে হবে। কসর নামাজ আদায় করার মূল এবং শর্ত হচ্ছে যে ব্যক্তি কসর নামাজ আদায় করবে সে ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা হতে সফরের অবস্থানের দূরত্বের ব্যবধান। আর এই ব্যবধান যখন ৪৮ মাইল হয় বা এর বেশি হয় তাহলে সে ব্যক্তির জন্য কসর নামাজ উপযুক্ত।
আরো দেখুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম.
উপসংহারঃ আশা করছি আপনারা যারা কসর নামাজের নিয়ম এবং কসর নামাজের অন্যান্য বিষয় জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে জানতে পেরেছেন। আপনারা অবশ্যই কসর নামাজ আদায় করার পূর্বে কসর নামাজের শর্ত মেনে হাদিস অনুসারে কসর নামাজ আদায় করবেন। মহান আল্লাহতালা সকল মুমিনদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি বিশেষ নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুক। তবে আপনারা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ব্যতীত বিশেষ কোন নামাজ এবং কসর নামাজ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান।