vlxxviet mms desi xnxx

জমির হিসাব বের করার নিয়ম

0
4.5/5 - (2 votes)

জমির হিসাব বের করার নিয়ম

আপনি হয়তো এমন কিছুই খুঁজছিলেন যেখান থেকে আপনি আপনার জমির হিসাব বের করার নিয়ম বুঝে নিতে পারবেন বা কাউকে বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায়ই এসেছেন। রাষ্ট্র ও একটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমির হিসাব বের করার নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

সঠিকভাবে আমরা অনেকেই জমির হিসাব বের করার নিয়ম জানি না। আর এই কারণে জমি নিয়ে আমাদের দেশে খুনাখুনি পর্যন্ত চলে যায়। তাই প্রয়োজনের সময় আমাদের সঠিকভাবে জমির হিসাবটা বুঝতে হবে। সার্ভেয়ার বা আমিন যদিও হিসেব করে দেয় কিন্তু নিজে জানা থাকলে হিসাবটা যে সঠিক হয়েছে তা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। জমির হিসাব বের করার জন্য প্রথমেই যেই জিনিসটা লাগবে তা হচ্ছে শতাংশের হিসাব।

আরো দেখুনঃ জমির হিসাব বের করার নিয়ম.

এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত এবং সহজে জমির হিসাব বের করার নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। সূত্র ও নিয়মের মাধ্যমে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে জমির হিসাব যে, আপনি যদি নতুনও হয়ে থাকেন তাহলেও আপনার জন্য বিষয়গুলো সহজ লাগবে। আপনি যদি শিখতে আগ্রহী হোন এবং এমন কিছুই খুঁজছিলেন যেখানে মূল ধারণাসহ সহজে শিখে নিতে পারবেন জমির হিসাব তাহলে এই ইনফোটি আপনার জন্যই।

জমির হিসাব বের করার পদ্ধতি:

সচরাচর সামাদের দেশে জমির হিসাব বের করার নিয়ম জানার জন্য ফিতা বা টেপ ব্যবহার করা হয়। এটার মাধ্যমে নিখুঁতভাবে জমির হিসাব বের করা হয়।

আবার হাত দিয়েও আপনি জমির হিসেব করতে পারবেন। কিন্তু এতে জমির হিসাব সঠিক নাও হতে পারে কারণ সবার হাতের মাপ একরকম না। একেক জনের হাতের মাপ একেক রকম হয়ে থাকে। তাই এইভাবে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সবচেয়ে জনপ্ৰিয় যেই পদ্ধতিটি সেটি হলো গান্টার শিকল বা চেইন পদ্ধতি এটার মাধ্যমে আপনি সঠিকভাবে জমির হিসাব বের করতে পারবেন। দিন দিন এটি আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

আরো দেখুনঃ খতিয়ান বের করার নিয়ম.

গান্টার শিকলের দৈর্ঘ্য হিসেবে ২২ গজ বা ৬৬ ফুট। এটি ১০০ টি লিংকে বিভক্ত রয়েছে। প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭.৯২ ইঞ্চি। ১০০০ বর্গলিংকে এক শতাংশ হিসাব ধরে জমির হিসাব বের করা হয়।

ফিতা বা টেপের ক্ষেত্রে হিসাবটা ফুটের। ৪৩৫.৬ বর্গফুটকে এক শতাংশ হিসাব ধরে নিখুঁতভাবে জমির হিসাব করা হয়ে থাকে সাধারণত।

জমি পরিমাপের একক:

  • ১ শতাংশ = ১০০০ বর্গলিংক।
  • ১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গ ফুট।
  • ১ শতাংশ = ১৯৩.৬০ বর্গ হাত।
  • ১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গ গজ।
  • ১ শতাংশ = ৪০.৪৭ বর্গ মিটার।

ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে জমির হিসাব:

  • ১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট।
  • ১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ।
  • ১ শতাংশ = ৪০.৪৬ বর্গমিটার।
  • ১ শতাংশ = ১৯৪.৬০ বর্গহাত।
  • ১ শতাংশ = ১০০০ বর্গলিংক।
  • ১ কাঠা = ১.৭৫ শতক (৩৫ এর মাপে)
  • ১ কাঠা = ১.৬৫  শতক (৩৩ এর মাপে)
  • ১ কাঠা = ১.৫০ শতক (৩০ এর মাপে)
  • ১ একর = ৬০.৬০ কাঠা।
  • ১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট।
  • ১ একর = ৩.০৩ বিঘা।
  • ১ হেক্টর = ২.৪৭ একর।
  • ১ একর = ৪৩৫৬০ বর্গফুট।
  • ১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ।
  • ১ একর = ৪৯৪৬ বর্গমিটার।
  • ১ একর = ১৯৪৬০ বর্গহাত।
  • ১ একর = ১০০০০০ বর্গলিংক।

জমির শতাংশ বের করার নিয়ম

একটি জমির শতাংশ বের করতে হলে প্রথমে জমিখন্ডের দৈর্ঘ্য ও প্রস্তের মোট পরিমাণ কত ফুটে আছে তা বের করতে হবে। জমির চারপাশের মাপ যদি সমান না হয় তাহলে তাদের গড় বের করতে হবে। এরপর দৈর্ঘ্যের সাথে প্রস্তের গুণফলকে ৪৩৫.৬ দ্বারা ভাগ করার পর যে ফলাফল বের হবে তাই জমির শতাংশের হিসাব।

বিভিন্ন জমির হিসাব বের করার নিয়ম

১. জমির হিসাব বের করার নিয়ম শতকে:

বেশিরভাগ জমিই শতাংশে হিসাব করা হয়। ধরি, আপনার জমিটির ক্ষেত্রফল ২০০০ বর্গফুট/স্কয়ার ফুট। শতাংশ বের করার জন্য আমরা ক্ষেত্রফলকে ৪৩৫.৬ দ্বারা ভাগ করবো। কারণ, ১ শতাংশ = ৪৩৫.৬ বর্গফুট।

শতক/শতাংশ = (২০০০/৪৩৫.৬) শতাংশ
= ৪.৫৯১ শতাংশ।

২. জমির হিসাব বের করার নিয়ম কাঠায়:

কাঠার হিসাবে জমির পরিমাণ বের করতে হলে আপনার জমির ক্ষেত্রফলকে ৭২০ দ্বারা ভাগ করতে হবে। কারণ ৭২০ স্কয়ার ফিট বা বর্গফুটে এক কাঠা। ধরি আপনার জমিটির ক্ষেত্রফল ২০০০ বর্গফুট।

কাঠা = (২০০০/৭২০) কাঠা
= ২.৭৭ কাঠা

৩. আয়তাকার বা বর্গাকার জমির হিসাব বের করার নিয়ম:

সচরাচর জমিগুলোর আয়তকার বা বর্গাকার হয়ে থাকে। যার ফলে ক্ষেত্রফল বের করা সহজ।

আমরা জানি,
জমির ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য× প্রস্থ। উদাহরণ: কোন জমির দৈর্ঘ্য ২০০ বর্গলিংক এবং প্রস্থ ১০০ বর্গলিংক হলে ক্ষেত্রফল = ২০০ × ১০০ = ২০০০ বর্গলিংক।

১০০০ বর্গলিংকে জমির পরিমাণ হয় এক শতাংশ, তাহলে ২০০০০ বর্গলিংকে কত পরিমাণ জমি হবে?
২০০০০ বর্গলিংককে ১০০০০ দিয়ে ভা ণগ করার পর শতাংশের হিসাব পাওয়া যাবে। 
সুতরাং, এখানে জমির পরিমাণ হচ্ছে ২০ শতাংশ।

৪. ক্ষেত্রফল আকৃতির জমির হিসাব বের করার নিয়ম:

ক্ষেত্রফল = বাহু × বাহু
কর্ণ = ১ বাহু × ১.৪১৪
পরিসীমা = ১ বাহু × 8

উদাহরণ: একটি বর্গক্ষেত্রের বাহুগুলির দৈর্ঘ্য যদি ১২০ লিংক করে হয় তাহলে ক্ষেত্রফল কত এবং জমির পরিমাণ কত হবে?

আমরা জানি যে,
ক্ষেত্রফল = বাহু × বাহু = ২২০ × ২২০ = ৪৮,৪০০ বর্গলিংক (যদি ক্ষেত্রফলে একেকটি বাহু ২২০ লিংক হয়)।

এখন, শতাংশের হিসাবে ৪৮,৪০০ বর্গলিংক = কত শতাংশ হবে?
সূত্রানুযায়ী ১০০০ বর্গলিংকে ১ শতাংশ।
তাহলে ৪৮৪০০ বর্গলিংক = ৪৮৪০০ ÷ ১০০০ শতাংশ = ৪৮.৪ শতাংশ,

৫. দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গড় বের করে জমির হিসাব:

যদি আয়তক্ষেত্র বা বর্গক্ষেত্র পরিমাণে নিখুঁত না হয় তাহলে দৈর্ঘ্যের এবং প্রস্থের গড় করে ক্ষেত্রফল বের করা হয়। যদিও এভাবে সঠিক হিসাব মিলানো কঠিন। যেহেতু পরিমাণ নিখুঁত না তাই কাছাকাছি হিসাব পাওয়াও সঠিকের মতো।

গড় হিসাব বের করার নিয়ম:

ধরি,

একটি জমি যার দৈর্ঘ্য এক দিকে ২৫০ বর্গলিংক, অপর দিকে ২৪০ বর্গলিংক এবং প্রস্থ হচ্ছে এক দিকের ১৪০ বর্গলিংক, অপর দিকের ১২০ বর্গলিংক।

অসম এই জমির গড় বের করতে হবে এভাবে… দৈর্ঘ্য = (২৫০ + ২৪০) ÷ ২ = ৩৬৫ বর্গলিংকক এবং প্রস্থ (১২০+১৪০) ÷ ২ = ১৯০ বর্গলিংক।

জমির ক্ষেত্রফল =  দৈর্ঘ্য × গ্রন্থ = ৩৬৫ × ১৯০ = ৬৯,৩৫০ বর্গলিংক। এটিকে ১০০০ দিয়ে ভাগ করলে শতাংশ পাওয়া যাবে।

৬৯,৩৫০ বর্গলিংকে কত শতাংশ? 

৬৯,৩৫০ ÷ ১০০০ = ৬৯.৩৫ শতাংশ।

উল্লেখ্য, যেকোন একক ব্যবহার করে জমির ক্ষেত্রফল বের করা যাবে।

আরো দেখুনঃ অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই.

জমির হিসাব বের করার নিয়ম FAQ

১. জমির পরিমাপ কি?

বাংলাদেশে ভূমি পরিমাপের ব্যবহৃত সমস্ত জমি পরিমাপের এককগুলির মধ্যে রয়েছে বর্গফুট, একর এবং হেক্টর, এই তিনটি সর্বাধিক ব্যবহৃত সাধারণ একক।

২. এক দশমিক সমান কত হেক্টর কত?

এক দশমিক ৪৩৫.৬ বর্গফুট, যখন এক একর সমান ১০০ দশমিক। ১ দশমিক সমান ০.০০৪ হেক্টর।

৩. ১ কাঠার দৈর্ঘ্য কত?

মূল ইউনিটটি হিসাব প্রমিত বা একেবারে শুদ্ধ নয়, তাই এর হিসাব বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশের এক কাঠা সমান ৭২০ বর্গফুট। ভারতের আসামে, এক কাঠা ২৮৮০ বর্গফুট, বিহারে এটি ৭৫০ থেকে ২,০০০ বর্গফুট এবং নেপালে ৩,৬৪৫ বর্গফুট হিসাব পরিমাপ করা হয়।

৪. ১ পয়েন্ট সমান কত ফুট?

১ পয়েন্ট সমান ৪.৩৫৬ বর্গ ফুট (প্রায়)।

৫. জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র কী?

এক খণ্ড জমির ক্ষেত্রফল যে কোনো এককে গণনা করা সম্ভব। জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ প্রথমে পরিমাপ হিসাব করা হয় এবং প্রাপ্ত ফলাফল গুন করতে হয়। একটি জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফল হল জমির ক্ষেত্রফল।

৬. বাংলাদেশে ভূমি এলাকা কিভাবে গণনা করা হয়?

১ ডিসমিল = প্রায় ৪৩৫ বর্গফুট এবং ১০০ ডিসমিল = ১ একর। ১ একর = ৪৩৫৬০ বর্গফুট, ১ একর = ১৬০ বর্গ রড,  ১ একর = ১.১৮৩৪ বর্গ আর্পেন্টস, ১ একর = ১০ বর্গ চেইন,  ৫২৮০ ফুট = ১ মাইল, ১৭৬০ গজ = ১ মাইল, ৪৮৪০ বর্গ গজ বা ৪৩৫৬০ বর্গ ফুট = ১ একর।

৭. বাংলাদেশে শতকরা কত ভাগ জমি আছে?

১৯৬১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জমির হিসাব তুলে ধরা হলো। এই  সময়ের মধ্যে (১৯৬১ থেকে ২০২০) বাংলাদেশের জমির গড় পরিমাণ ছিল ৭৪.২৩ শতাংশ যার সর্বনিম্ন ৭০.০৯ শতাংশ ২০১২ এবং সর্বাধিক ৮০.২৩ শতাংশ ১৯৮৯ সালে। ২০২০ থেকে সর্বশেষ পরিমাণ হল ৭৬.০৬ শতাংশ।

৮. বাংলাদেশে জনপ্রতি আবাদযোগ্য ভূমির পরিমাণ কত?

সরকারীভাবে স্বীকৃত উৎস থেকে সংকলিত বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন সূচকের সংগ্রহ অনুসারে ২০২০ সালে বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমি (জনপ্রতি হেক্টর) ০.০৪৭৭৮ এ রিপোর্ট করা হয়েছে।

পরিসমাপ্তি: শেষে এই কথাটিই বলবো এই আর্টিকেলটি কোন কোন জমির ক্ষেত্রে আপনি কিভাবে পরিমাপ হিসেব করবেন তা এক এক করে সাজিয়ে লেখা হয়েছে। আশাকরি আমিন বা অন্য কেউ জমির যে হিসেব করবেন তা আপনি সঠিকভাবে বুঝে নিতে পারবেন, যদি হিসেবটি আপনারও জানা থাকে। যদি লেখাটি আপনার চলার পথে কাজে লাগে তাহলেই আমরা স্বার্থক।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex