বাংলাদেশের সেতু গুলোর সকল তথ্য | পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

0
3/5 - (1 vote)

বাংলাদেশের সেতু গুলোর সকল তথ্য | পদ্মা, বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | মেঘনা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশের অসংখ্য সেতু রয়েছে। আর এই সকল সেতুগুলোর পেছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস। আমরা সকলেই জানি সেতু নির্মাণ করা হয় নদীপথের পারাপারের অসুবিধার জন্য। সাধারণ জনগণ যাতে করে সহজে নদীর এপার হতে ও পারে সহজে পারাপার হতে পারে এবং তাদের সময় মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা গুলো নদীর এপার ওপার এর মধ্যে পূরণ করতে পারে তার জন্য সেতু নির্মাণ করা হয়।

আরে সকল সেতুগুলো নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজন মোটা অংকের অর্থ। সেতু নির্মাণ করার অর্থ ব্যয় করার জন্য প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। সরকারের সহযোগিতায় এবং জনগণের সহযোগিতার উভয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে তৈরি হয় একটি সেতু। সেতু নির্মাণের ফলে যে শুধুমাত্রনদীর এপার হতে অন্য পারে সহজে পারাপার হওয়া যায় তা কিন্তু দুই পারের মানুষের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় থাকে।

আরো দেখুনঃ 

সম্প্রতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি উদ্বোধন হতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। তাই আপনারা যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেতু সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আমরা বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ সেতুগুলোর সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আপনারা এ ধরনের তথ্য গুলো পেয়ে উপকৃত হবেন এবং যারা বাংলাদেশের সেতু সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে উপকৃত হবেন। তাহলে এবার চলুন শুরু করি আমাদের মূল বিষয় বাংলাদেশের সেতু গুলোর তথ্য নিয়ে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | Bangabandhu Bridge

বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু সেতু যমুনা সেতু,যাকে বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু বলা হয়। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থান অবস্থান করে রেখেছেন এই সেতু। এবং বিশ্বের মধ্যে ৯২তম স্থান দখল করে আছে নেই দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ এই সেতু উদ্বোধন করা হয় এবং সেই থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই সেতু যমুনা নদী পারাপারের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান হচ্ছে যমুনা নদী আর এই সেতু এই বড় নদী পারাপারের জন্য নির্মিত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অনুসারে এই সেতুর নাম দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু সেতু

শুধুমাত্র যে এই সেতু যমুনা নদী পারাপারের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে তা কিন্তু নয় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশাল এক অবদান রাখছে এই সেতু। এছাড়াও এই সেতু সড়ক এবং রেলপথে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী পরিবহন করা ছাড়াও বিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন করে আসছে এবং টেলিযোগাযোগ সমন্বয় করে বাংলাদেশের নাগরিকদের অগ্রগতি করছে। এই সেতু কে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত এই মহাসড়ক এর মধ্যে রেলপথের সৃষ্টি করেছে।

উপমহাদেশের দেশগুলির মধ্যে জনগণের সর্বদায় বিশাল যমুনা সেতুর ওপর সেতু  স্থাপনের মাধ্যমে গোটা অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সমন্বয় বজায় রাখা এবং এর প্রয়োজন এবং চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু বা যমুনা সেতু নির্মাণ করা। আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সর্বপ্রথম রাজনৈতিক পর্যায়ে যমুনা সেতু নির্মাণের জন্য দাবি করেন ১৯৪৯ সালে। এরপর ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনের সময় যুক্তফ্রন্ট ২১ এই সেতু নির্মাণের কথা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল কিন্তু তখন তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

বেশ কিছু বছর পর ১৯৬৬ সালের ১১ই জুলাই মাসে শামসুল হক নামক এক ব্যক্তি যিনি রংপুরের একই পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি এই সেতুর নির্মাণের প্রস্তাব পেশ করেন এবং সেই সময়ে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। তারপর ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিম্যান ফক্স এন্ড পার্টনার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষা পরিচালনা করেন। এবং তখন তারা সিরাজগঞ্জের নিকট আনুমানিক রেল- কাম- সড়ক সেতু নির্মাণের সুপারিশ করেন এবং সেই সেতু নির্মাণের জন্য ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে তা জানান।

তবে ১৯৭০ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী চলাকালীন সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাধা হিসেবে যমুনা সেতু নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন জনসাধারণের উদ্দেশে। কিন্তু তিনি আওয়ামী রাজনৈতিক এবং মুক্তিযুদ্ধ জনিত বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেননি। এভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে যমুনা সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব গৃহীত হলেও তা বারবার ব্যাহত এবং অবশেষে ১৯৯৮ ছেলে যমুনা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করে জনসাধারণের উদ্দেশে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

যমুনা সেতু কত কিলোমিটার

আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা নিম্নে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ সম্পর্কিত এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর অন্যান্য তথ্য সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যতুলে ধরেছি।

বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কিত তথ্য বঙ্গবন্ধু সেতু বিস্তারিত তথ্য
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ ব্যয় মোট-৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের ব্যয় এর শতাংশের হার৩৪%
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শতাংশের হারআইডিএ, এডিবি এবং জাপানের ওইসিএফ যথাক্রমে ২২%
বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য৪.৮ কিলোমিটার
বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রস্থ১৮.৫ মিটার
বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রধান চ্যানেলের প্রস্থ.৩.৫ কিলোমিটার
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত হয়১৯৯৫ সালে
বঙ্গবন্ধু সেতুর সম্ভাব্য দুর্যোগ ও ভূমিকম্প যাতে সহ্য করতে পারে এজন্য সেতুটিরলম্বা ৮০-৮৫মিটার, ব্যাস ২.৫ এবং ৩.১৫ মিটার এবং ইস্পাতের খুঁটি ১২১ টি
বঙ্গবন্ধু সেতুর এক একটি খুঁটির ওজন২৪০ টন
বঙ্গবন্ধু সেতুর খুঁটি গুলো বসানো হয়  হাইড্রোলিক হাতুড়ি দ্বারা
বঙ্গবন্ধু সেতুর স্প্যানের সংখ্যা৪৯ টি
বঙ্গবন্ধু সেতুর ডেক খন্ড সংখ্যা১২৬৩ টি
বঙ্গবন্ধু সেতুর লেন৪ টি
বঙ্গবন্ধু সেতুর রেল ট্রাক২ টি
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ ব্যয় যথাক্রমে
  • সেতু এবং তার উপরের রাস্তা তৈরি জন্য ২৬৯  মিলিয়ন ডলার
  • নদী শাসন এর জন্য ৩২৩ মিলিয়ন ডলার
  • রাস্তা এবং বাঁধ তৈরির জন্য ৭১ মিলিয়ন ডলার
  • উপদেষ্টা ব্যয় ৩৩ মিলিয়ন ডলার
  • ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন এবং পরিবেশ সংরক্ষন ব্যয় ৬৭ মিলিয়ন ডলার
  • সংস্থাপন ব্যয় ১৩ মিলিয়ন ডলার
  • অন্যান্য ব্যয় সমূহ ১৮৬ মিলিয়ন ডলার
বঙ্গবন্ধু সেতু পা যমুনা সেতু উন্মুক্ত করা হয়২৩শে জুন, ১৯৯৮ সাল 
বঙ্গবন্ধু সেতু যে দুই অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেন তা হচ্ছে  বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ চুক্তি হয়১৯৯৩ সালে 
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়  বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ৩৭৫৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এবং মোট টোল আদায় করা হয়- ৭ ০৭৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় করা হয় কত বছরের মধ্যে-বঙ্গবন্ধু সেতু চালু করার পর ৭ বছরের মধ্যে টোল আদায় করা হয়
বঙ্গবন্ধু সেতুর মোট ব্যয় এর তুলনায় কত টাকা বেশি টোল আদায় করা হয়৩৩২৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা 

মেঘনা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | Meghna Bridge

বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি সেতু হচ্ছে মেঘনা সেতু। তবে এই সেতুটির দাপ্তরিক নাম হচ্ছে জাপান- বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১। তবে বর্তমানে লোকমুখে মেঘনা সেতু হিসেবে বেশি পরিচিত পেয়েছে এই সেতুটি। ২০০৪ জাপান দূতাবাসের পরিচালিত এক সমীক্ষা হতে জানা যায় যে সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের মেঘনা নদীর আশেপাশে বসবাসকারীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ঘটবে। এবং আবহাওয়া জনিত কারণে এই সেতুর ওপর চলাচল ব্যাপক দুর্ঘটনার হ্রাস পেয়েছে।

এছাড়াও এই জরিপ থেকে জানা যায় এই সেতুর মাধ্যমে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম এর মধ্যে পণ্য পরিবহন করে থাকেন প্রায় ৪২%। কিন্তু এই সেতু নির্মাণ করার পর হতে এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে এবং এই সেতুর ওজন ধারণ করার তুলনায় অধিক ওজনের যানবাহন চলাচল করার ফলে এই সেতুটি দেশ এক্সপানশন জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তাই ২০০৫ সালে এই সেতু পুনরায় মেরামত করেন এবং বর্তমানে এই সেতুটি এখন বেশ ভালো সেবা দিচ্ছে।

মেঘনা সেতু

যাহা সেতুর আশেপাশে বসবাস করার সকল বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং ব্যাপক সুবিধা এনেছে। ইতিমধ্যে আমরা সকলে বুঝে গিয়েছি যে সেতুর নাম হিসেবে এই সেতুর নির্মাণ করার জন্য জাপান ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে আর্থিকভাবে। তাই আমরা নিম্নে একটি টেবিলের মাধ্যমে মেঘনা সেতুর ইতিহাস তুলে ধরছি-

  মেঘনা সেতু সম্পর্কিত তথ্য  মেঘনা সেতু বিস্তারিত তথ্য
মেঘনা সেতু নির্মাণ ব্যয় মোট-৮,৪৮৬ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা
মেঘনা সেতু নির্মিত-নিপ্পন কোই কোম্পানি লিমিটেড
মেঘনা সেতু অতিক্রম করে মেঘনা নদী 
মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য৯০০ মিটার
মেঘনা সেতুর প্রস্থ৯.২  মিটার
মেঘনা সেতুর দীর্ঘতম স্ট্যাম্প এর দৈর্ঘ্য৮৭ মিটার 
মেঘনা সেতু নির্মাণ হয়১৯৯১ সালে
মেঘনা সেতুতেপানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা
মেঘনা সেতুর স্প্যানের সংখ্যা১৩ টি
মেঘনা সেতুর লেন৪ টি
মেঘনা সেতু স্পেনের মধ্যে দুটি স্পেনের দৈর্ঘ্য২৪.২৫ মিটার 

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান | Knowledge about Padma Bridge

বাংলাদেশের গৌরব অর্জন হচ্ছে পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের যতগুলো বড় বড় স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট হচ্ছে পদ্মা সেতু প্রজেক্ট। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু অন্যতম হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে তবে সবচেয়ে কারণটি সবার চোখে পড়ে সেটি হচ্ছে পদ্মা সেতু সেতু নামে পরিচিত। একইসাথে পদ্মা সেতুতে রেল লাইন এবং সড়ক পথ রয়েছে। দ্বিতল এই পদ্মা সেতুর পদ্মানদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত হতে শরীয়তপুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত সংযুক্ত হয়েছে। সর্বমোট 4 লেন বিশিষ্ট ৭২ এই সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেললাইন এবং উপর তলায় রয়েছে সাধারণ গাড়ি চলাচল ব্যবস্থা।

মূলত এই পদ্মা সেতুর কারণে বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণবঙ্গের সাথে ঢাকার যোগাযোগ আরো সহজ এবং সরল হয়েছে। এতে করে দক্ষিণবঙ্গের মানুষগুলো অল্প সময়ের মধ্যে রাজধানীতে এসে পৌঁছতে পারবে এবং তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করার জন্য বাংলাদেশের সর্ব মোট ব্যয় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু নির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূল সেতুর পাইলিং এবং নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন ১২ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সাল।

আরো দেখুনঃ পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান.

পদ্মা সেতু নির্মাণ করার পর ২৫শে জুন, ২০২২ সালে পদ্মা সেতু সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিন্তু পদ্মা সেতুর শুধুমাত্র সড়কপথ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। রেলপথ এখন পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি এর কাজ চলমান রয়েছে। এই পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের 17 কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয় এবং যাতায়াত পথ অনেক সহজ হয়ে যায়।

তাই আমরা পদ্মা সেতু সম্পর্কিত খুঁটিনাটি তথ্য এবং বাংলাদেশের সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

পদ্মা সেতু সম্পর্কিত তথ্য পদ্মা সেতু বিস্তারিত তথ্য
পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় মোট-৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা
পদ্মা সেতুর রেল লাইন-পদ্মা সেতুর রেল লাইনের অবস্থান নিচতলায়।
পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট-৩.১৮ কিলোমিট।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য-৬.১৫ কিলোমিট।
পদ্মা সেতুর প্রস্থ-৭২ ফুট।
পদ্মা সেতুর উচ্চতা-৬০ ফুট
পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম-পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক-দুই প্রান্তে প্রায় ১৪ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প নদী শাসন-দুই পারে প্রায় ১২ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যয়-৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতুর স্প্যানের সংখ্যা-৪১ লেন।
পদ্মা সেতুর প্রকল্পের জনবল-প্রায় ৪ হাজার জন
দ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার সংখ্যা –৮১ টি।
পদ্মা সেতুর পিলার-৪২ টি
পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা-৩৮৩ ফুট।
পদ্মা সেতুর প্রতিটি পিলারের জন্য পাইলিং করা হয়-৬ টি।
পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা-২৬৪ টি।
পদ্মা সেতুতে-
  • বিদ্যুৎ, 
  • গ্যাস এবং 
  • অপটিক্যাল ফাইবার লাইন।
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি হয়-১৭ই জুন, ২০১৪ইং সালে বাংলাদেশ সরকার এবং চিনা চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।
পদ্মা সেতুর-মূল সেতু, নদী শাসন, জাজিরা সংযোগকারী সড়ক, টোল প্লাজা
পদ্মা সেতুর স্প্যান বিশেষজ্ঞ দল সদস্য সংখ্যা-১১ জন।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়- অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
পদ্মা সেতুর নকশা করেন-এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পরামর্শক দল 
পদ্মা সেতুর প্রকল্পের চুক্তিবদ্ধ হনচায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।
পদ্মা সেতুর টোল আদায় হবে আনুমানিক-২০৫৭ সাল নাগাদ 

শাহ আমানত সেতু | Shah Amanat Bridge

শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত সেতুর মধ্যে তৃতীয় নাম্বার। এই সেতুটি ২০০৭ সালের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০১১ সালে এর কাজ শেষ হয়। এটি চালু হওয়ার ফলে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে শিল্প এলাকার সাথে যোগাযোগ সহজ হয়ে যায়। এই সেতুটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৯৫০ মিটার এবং প্রস্থ ২৪.৪০ মিটার। অন্যান্য সেতুর মতো করে এই সেতুর টোল আদায় করা হয় কম্পিউটারাইজ নিয়ন্ত্রণ ধারা। শাহ আমানত সেতু নির্মাণ করার জন্য সময় লেগেছিল প্রায় চার বছরের মত।

শাহ আমানত সেতু নির্মাণ করার জন্য ব্যয় করা হয় ৪৯০ কোটি টাকা। এই সেতুটি নির্মাণ করার জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছেন চিনা প্রকৌশলী সংস্থা চায়না মেজর ব্রিজ কম্পানি। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা নিম্নে এই সেতুটির এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করছি এবং সেইসাথে আপনারা আমাদের এখান থেকে শাহ আমানত সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান জানতে পারবেন।

শাহ আমানত সেতু সম্পর্কিত তথ্য শাহ আমানত সেতু বিস্তারিত তথ্য
শাহ আমানত সেতু নির্মাণ শুরু করে-২০০৬ সালের আগস্ট মাসে
শাহ আমানত সেতু নির্মাণ শেষ করে-২০১০ সালের জুলাই মাসে
শাহ আমানত সেতু নির্মাণ ব্যয়-৫৯০ কোটি টাকা
শাহ আমানত সেতু চালু করা হয়-৮ ইসেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে
শাহ আমানত সেতু প্রতিস্থাপন-হযরত শাহ আমানত সেতু
শাহ আমানত সেতু নকশা করেন-রেনডেল লিমিটেড
শাহ আমানত সেতু নকশা-বড় খিলান
শাহ আমানত সেতু উপাদান-লোহার তারের কংক্রিট সেতু ( টান)
শাহ আমানত সেতু মোট দৈর্ঘ্য-৯৫০মিটার
শাহ আমানত সেতু মোট প্রস্থ-২৪.৪৭ মিটার
শাহ আমানত সেতু দীর্ঘতম স্প্যান-২০০ মিটার
শাহ আমানত সেতু স্প্যান সংখ্যা-৩ টি
শাহ আমানত সেতু ভায়াডাক্ট-১২০ মিটার
শাহ আমানত সেতু পিলার সংখ্যা-১০ টি
শাহ আমানত সেতু নদীর মাঝখানে পিলার সংখ্যা-৪ টি
শাহ আমানত সেতু নদীর উত্তর ও দক্ষিণ পাশে পিলার- সংখ্যা-৬ টি
শাহ আমানত সেতু লেন বিশিষ্ট সড়ক সড়ক সংখ্যা-৪ লেন
শাহ আমানত সেতু টোল আদায়-কম্পিউটারাইজড নিয়ন্ত্রিত দল
শাহ আমানত সেতু কুয়েত অনুদান –৩৭২ কোটি টাকা
শাহ আমানত সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেনচিনা প্রকৌশলী সংস্থা
শাহ আমানত সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কোম্পানিচায়না মেজর ব্রিজ কম্পানি
শাহ আমানত সেতু সঙ্গে যুক্ত স্থানপটিয়া এবং বাকলিয়া থানা
শাহ আমানত সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সাশ্রয়১০০ কোটি টাকা অধিক
শাহ আমানত সেতু বহন করেবাস, মোটরগাড়ি এবং বাইসাইকেল
শাহ আমানত সেতু অতিক্রম করেকর্ণফুলী নদী
শাহ আমানত সেতু স্থানকর্ণফুলী, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত সেতু অন্য নামনতুন সেতু
শাহ আমানত সেতু মালিকবাংলাদেশ সরকার
শাহ আমানত সেতু রক্ষণাবেক্ষণসড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয়
শাহ আমানত সেতু পূর্ববর্তী সেতুদ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতু
শাহ আমানত সেতু কর্ণফুলী নদীর কততম সেতুতৃতীয় কর্ণফুলী সেতু

ক্রিন ব্রিজ

সিলেট শহরের মধ্যে অন্যতম যে বৃষ্টি রয়েছে সেটি হচ্ছে ক্রিন ব্রিজ। এই বৃষ্টি সুরমা নদীর উপরে স্থাপন করা হয়েছে। এটি একটি লৌহ নির্মিত সেতু। ক্রিন ব্রিজ সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে সকলের মধ্যে পরিচিত। ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে এই বৃষ্টির বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্রিজ বলে পরিচিত। ক্রিন ব্রিজ সিলেট শহরের সবাই প্রবেশদ্বার হিসেবে সবাই চিনে থাকে। কারণ ব্রিজটি সিলেটের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

ক্রিন ব্রিজ একদিকে যেমন সুরমা এবং অপরদিকে বন্দর বাজার। ক্রিন ব্রিজ প্রবাহিত সুরমা নদীর ওপরে অবস্থিত এবং এই বৃষ্টি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হতে ২৪৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। অন্যদিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ক্রিন ব্রিজ মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে।

ত্রি দশকের দিকে আসাম প্রদেশের গভর্নর ছিলেন মাইকেল ক্রিম। তিনি যখন সিলেট সফরে আসেন তখন তার স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য এই বৃষ্টি নির্মাণ করা হয় এবং তার নামে এই ব্রিজটি নামকরণ করা হয়। তিনি ছিলেন ১৯৩২-১৯৩৭ সাল পর্যন্ত আসামের একজন ইংরেজ গভর্নর।

আসাম প্রদেশের গভর্নরের নামে যেহেতু ক্রিন ব্রিজ এর নামকরণ করা হয়েছে এ সেতু আসাম এর সাথে সিলেটের যোগাযোগ মাধ্যম সহজ হয়ে গিয়েছে। যখন ক্রিন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি তখন আসামের সাথে সিলেটের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ট্রেন। এর ফলে রেলওয়ে বিভাগ ১৯৩৩ সালে সুরমা নদীর ওপর এই বৃষ্টি নির্মাণ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ১৯৩৬ সালে এই বৃষ্টি নির্মাণ নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্পন্ন করে।

আরো দেখুনঃ বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যু তারিখ এবং জীবনী.

  ক্রিন ব্রিজ সম্পর্কিত তথ্যক্রিন ব্রিজ বিস্তারিত তথ্য
ক্রিন ব্রিজ তৈরি করা হয়লোহা দিয়ে।
ক্রিন ব্রিজ এর আকৃতিধনুকের ছিলার মতো বাঁকানো।
ক্রিন ব্রিজ এর দৈর্ঘ্য১১৫০ ফুট।
ক্রিন ব্রিজ এর প্রস্থ১৮ ফুট।
ক্রিন ব্রিজ তৈরি ব্যয়৫৬ লক্ষ টাকা। 
ক্রিন ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৩৩ সালে।
ক্বীন ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়১৯৩৬ শারে।
ক্রিন ব্রিজ এর নামকরণ করা হয়গভর্নর মাইকেল ক্রিনের নাম অনুসারে।
মাইকেল ক্রিম কোন দেশের গভর্নর ছিলেনআসাম প্রদেশ।
কত সালে মাইকেল ক্রিম আসাম প্রদেশের গভর্নর ছিলেন ১৯ শতকের ৩০ দশকের দিকে।
গভর্নর মাইকেল ক্লিন ছিলেনএকজন ইংরেজ গভর্নর।
ক্রিন ব্রিজ সিলেটের কোথায় অবস্থিতকেন্দ্রস্থল।
ক্রিন ব্রিজ এর দক্ষিণ পার্শ্বেসুরমা।
ক্রিম অপর দিকেবন্দর।
ক্রিন ব্রিজ কোন নদীর উপর অবস্থিতসুরমা নদী।
ঢাকা হতে ক্রিন ব্রিজ দূরত্ব২৪৬ কিলোমিটার।
সিলেট রেল স্টেশন থেকে ক্রিন ব্রিজ এর দূরত্ব আধা কিলোমিটার।
ক্রিন ব্রিজঐতিহাসিক নিদর্শন।
ক্রিন ব্রিজ কে বলা হয়সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার।

খানজাহান আলী সেতু

বাংলাদেশের যতগুলো সেতুর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সেতু হচ্ছে খানজাহান আলী সেতু। এই সেতুটির নির্মান করা হয়। তবে এই সূত্রটির তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট হলেও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি সেতু। বেশিরভাগ মানুষের কাছে খানজাহান আলী সেতু রুপসা সেতু নামে পরিচিত। মূলত এই সেতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দুই প্রান্তের দুটি করে চারটি সিঁড়ি রয়েছে। আর এই সকল সিঁড়ির সাহায্যে সেতুতে ওঠানামা করা হয়।

বর্তমান সময়ে এই সেতুটির বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি দর্শনীয় সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। খান জাহান আলী সেতু খুলনা শহরের রুপসা হতে মাত্র ৪.৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। তাই এই সেতুকে অনেকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার হিসেবে বলে থাকে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে খানজাহান আলী সেতু খুলনা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং বিশেষ করে মংলা সমুদ্রবন্দরের সাথে সড়কপথের যোগাযোগ তৈরি করেছে।

রুপসা সেতু বা খানজাহান আলী সেতু দৈর্ঘ্য মাত্র ১.৬০ কিলু মিটার এবং প্রস্থ ১৬.৪৮ মিটার। তবে এই সেতুতে পথচারী এবং অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য রয়েছে বিশেষ লেন। আপনাদের জন্য নিম্নে এই সেতুটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো তুলে ধরা হলো যাতে করে আপনারা খানজাহান আলী সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

খানজাহান আলী সেতু সম্পর্কিত তথ্য খানজাহান আলী সেতু বিস্তারিত তথ্য
খানজাহান আলী সেতু কোথায় অবস্থিতখুলনা শহরের রুপসা এলাকায় অবস্থিত
খান জাহান আলী সেতু এবং খুলনা শহরের দূরত্ব৪.৮০ কিলোমিটর
খানজাহান আলী সেতু কে বলা হয়খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার
খানজাহান আলী সেতুদক্ষিণাঞ্চলের জেলা এবং মংলা সমুদ্র বন্দর এর সাথে যোগাযোগ তৈরি করেছে
খানজাহান আলী সেতু অতিক্রম করেরূপসা নদী
খানজাহান আলী সেতু অন্য নামরুপসা সেতু
খানজাহান আলী সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করেনবাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ লিমিটেড
খানজাহান আলী সেতুর দৈর্ঘ্য১.৬০ কিলোমিটর
খানজাহান আলী সেতুর প্রস্থ ১৬.৪৮ মিটার
খানজাহান আলী সেতু চালু করা হয়২১শে মে, ২০০৫ সালে।
খানজাহান আলী সেতুপথচারী এবং অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে
বর্তমানে খানজাহান আলী সেতু একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত
খানজাহান আলী সেতু স্থাপন করেনপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
খানজাহান আলী সেতু উদ্বোধন করেনসাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া

লালন শাহ সেতু

আমরা পদ্মা নদীর উপরে পদ্মা ব্রিজ এর কথা জেনেছি কিন্তু পদ্মা নদীর ওপরে আরো একটি সেতু রয়েছে যার নাম লালন শাহ সেতু। এই সেতুটি ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজের অদূরে নির্মিত হয়। লালন শাহ সেতু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০১ সালের ১৩ই জনুয়ারি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু লালন শাহ সেতু।

এছাড়া আপনাদের জন্য এই সেতুটির সকল খুঁটিনাটি তথ্য এবং লালন শাহ সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ব্যবস্থাপনা করা হলো-

লালন শাহ সেতু সম্পর্কিত তথ্য লালন শাহ সেতু বিস্তারিত তথ্য
লালন শাহ সেতু অতিক্রম করেপদ্মা নদী
লালন শাহ সেতু অবস্থানকুষ্টিয়া
লালনশা সেতুর নকশা করেনবক্স গার্ডার সেতু
লালন শাহ সেতু উপাদানকংক্রিট
লালন শাহ সেতুর দৈর্ঘ্য১.৮ কিলোমিটার
লালন শাহ সেতু শ্রেষ্ঠ১৮.১০ মিটার
লালন শাহ সেতুর নকশাকারমেন্ডেল পালমার এন্ড ট্রিট্টন 
লালন শাহ সেতু নির্মাণ করেনচায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড
লালন শাহ সেতু চালু হয়১৮ই মে, ২০০৪ সালে
লালন শাহ সেতু বাংলাদেশেরদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ উন্নয়ন করেছেন এবং পরিবহনব্যবস্থা প্রচার করেছেন
লালনশা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়২০০৩ সালে
লালন শাহ সেতু স্পেন সংখ্যা১৭ টি
লালন শাহ সেতু উদ্বোধন করেনতৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া
লালন শাহ সেতু মূলতচার লেন বিশিষ্ট
লালন শাহ সেতু পূর্ব পাশে অবস্থিতপাকশী, ঈশ্বরদী, পাবনা
লালন শাহ সেতু পশ্চিম পাশে অবস্থিতভেড়ামারা, কুষ্টিয়া
লালন শাহ সেতু যোগাযোগব্যবস্থার সহজতর হয়কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ
লালন শাহ সেতুটিবঙ্গবন্ধু সেতুর অনুরূপ 

উপসংহার: আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন এবং আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই সকল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো সম্পর্কে জেনেছেন আশা করছি তারা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেতু গুলোর সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে আপনাদেরকে আমরা বলবো যে বাংলাদেশে এমন বহু সেতু রয়েছে। আমরা শুধুমাত্র আপনাদের সামনে বাংলাদেশের প্রথম সারির গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেতু নিয়ে আলোচনা করেছি।

আপনারা যদি আমাদের পক্ষ হতে বাংলাদেশের আরো অন্যান্য বাংলাদেশের সেতুগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাদেরকে জানাতে পারেন। এছাড়া আপনাদের মধ্যে যদি বাংলাদেশের সেতুগুলো সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.