বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে? | বাস্তব সংখ্যার বৈশিষ্ট্য
বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে ও কি কি? | বাস্তব সংখ্যা বিসিএস
আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে গণিতের কাজ অলেহরহ। দৈনন্দিন জীবন গণিত বা অংকের কাজ ছাড়া যেনো অসম্ভব! প্রায় সকল কিছুতেই অংকের কাজ টা বিদ্যমান। তাই সংখ্যা জানার পাশাপাশি জানা উচিৎ বাস্তব সংখ্যা সম্পর্কে। বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে বা এর বৈশিষ্ট্যই বা কি সকল কিছুই নিখুঁত ভাবে জানা প্রয়োজন হয়।
আজকের এই আর্টিকেল টি তে আলোচনা করা হবে বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে বা এর বিস্তারিত সম্পর্কে। বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে এর পূর্ণ জ্ঞান থাকা আমাদের প্রায় সকলেরই বাঞ্ছনীয়। বাস্তব সংখ্যা সম্পর্কে জ্ঞান অংক টা কে করে তোলে আরো সহজ ও সাবলীল।
আরো দেখুনঃ যোগ কাকে বলে?
চলুন জেনে নেই, বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে বা এর বিস্তারিত সম্পর্কে।
বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে?
“বাস্তব সংখ্যা” যার ইংরেজি হচ্ছে “Real Number.” সহজ করে যদি বলা হয় তবে, সকল ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা কিংবা সকল মূলদ ও অমূলদ সংখ্যাকে বাস্তব সংখ্যা বলা হয়। বাস্তব সংখ্যায় শূন্য সংখ্যাও বিদ্যমান।
আরো সহজ করে যদি বলি, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে সকল সংখ্যা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি তাকেই মূলত বাস্তব সংখ্যা বলা হয়। যেটি ছাড়া আমাদের নিত্যদিনের হিসাব নিকাশ করা অসম্ভব।
উদাহরণ দিয়ে যদি বলি তবে, ০, +১, -১, +২, -২, ৫.৩৪ ইত্যাদি বাস্তব সংখ্যা।
বাস্তব সংখ্যার বৈশিষ্ট্য
আমরা এতক্ষণ জানলাম বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে সেটি সম্পর্কে। এবার জানবো বাস্তব সংখ্যার কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই,
- প্রাকৃতিক সংখ্যা, পূর্ণ সংখ্যা, যৌক্তিক এবং অযৌক্তিক সংখ্যা সকল কিছু নিয়ে মূলত বাস্তব সংখ্যা গঠিত।
- বাস্তব সংখ্যার ক্ষেত্রে ০ (শূন্য) কে সব সময় যোগফল করার সময় নিরপেক্ষ উপাদান হিসেবে ধরা হয়।
- গুণের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ উপাদান হিসেবে ধরা হয় -১ কে।
- বিভাজন সংজ্ঞায়িত করার সময় ০ (শূন্য) কে কখনো ধরা হয় না।
- বাস্তব সংখ্যার বিপরীত হিসেবে ধরা হয় -a কে।
- -a কে বিপরীত সমষ্টি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় সব সময়।
এই হচ্ছে বাস্তব সংখ্যার কিছু বৈশিষ্ট্য। এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে বাস্তব সংখ্যার। এবার বাস্তব সংখ্যার প্রকারভেদ সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যেতে পারে। চলুন জেনে নেই।
আরো দেখুনঃ
বাস্তব সংখ্যার প্রকারভেদ
বাস্তব সংখ্যা মূলত ২ প্রকার। যথাঃ
- (০১) মূলদ সংখ্যা এবং
- (০২) অমূলদ সংখ্যা।
এখানে মূলদ সংখ্যা আবার ২ প্রকার। যেমনঃ
- (০১) পূর্ণ সংখ্যা এবং
- (০২) ভগ্নাংশ সংখ্যা।
বলা চলে, পূর্ণ সংখ্যা কে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ
- (০১) ধনাত্মক সংখ্যা।
- (০২) ঋণাত্মক সংখ্যা এবং
- (০৩) শূন্য।
এখানে ধনাত্মক সংখ্যা ৩ প্রকার। যেমনঃ
- (০১) মৌলিক সংখ্যা।
- (০২) যৌগিক সংখ্যা এবং
- (০৩) ১ (এক)।
এখানে মূলদ সংখ্যার মধ্যে বিদ্যমান ভগ্নাংশ সংখ্যাকও আবার ২ প্রকার। যেমনঃ
- (০১) সাধারণ ভগ্নাংশ এবং
- (০২) দশমিক ভগ্নাংশ।
সবশেষে বলা যায়, বাস্তব সংখ্যা কাকে বলে এটা জানা যেমন জরুরী তেমনি জরুরী এর প্রকারভেদ কিংবা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা। তবেই দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সংখ্যা ব্যবহারের চর্চা আরো পরিপূর্ণ ভাবে হয়।