vlxxviet mms desi xnxx

পোলার যৌগ কাকে বলে?

0
Rate this post

পোলার যৌগ কাকে বলে? | পোলার যৌগ তৈরী হয় কিভাবে?

পোলার যৌগ কাকে বলে? জানতে চাচ্ছেন। তাহলে একদম সঠিক স্থানে রয়েছেন। কারণ আমরা আপনাদেরকে রসায়ন বিজ্ঞানের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জানব। যাতে করে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে যারা অধ্যয়ন করছেন তাদের এ বিষয়টি জানতে সুবিধা হয়। রসায়নের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি যৌগ হয়েছে পোলার যৌগ। আমরা আপনাদেরকে এই যৌগের ব্যাখ্যা সহকারে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন এবার শুরু করি আমাদের মূল বিষয় পোলার যৌগ সম্পর্কে।

আরো দেখুনঃ বিজ্ঞান কাকে বলে?

পোলার যৌগ কাকে বলে?

পোলার যৌগ জানার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সবার আগে জানতে হবে পোলার যৌগ কি? বা Polar Jougo Kake Bole?

যখন কোন জলীয় দ্রবণে দ্রবীভূত অবস্থায় ঋনাত্মক এবং ধনাত্মক প্রান্ত সৃষ্টি করে যেকোনো একটি যৌগ তৈরি করে তাকে পোলার যৌগ বলে। যেমনঃ হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCL)।

পোলার যৌগ জানার পূর্বে সর্বপ্রথম আপনাদেরকে পরমাণু আধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে। আমরা সকলে জানি, পরমাণুর নির্ভর করে শুধুমাত্র ইলেকট্রনের ওপর অর্থাৎ যে কোন পরমাণুতে ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকবে, সেইসাথে ইলেকট্রনিক বৃদ্ধি পেলে তা তড়িৎ ঋনাত্মক হয়ে যায়, কিন্তু ওই পরমাণু যদি ইলেকট্রন কমে যায় তখন তারা তড়িৎ ধনাত্মক হয়ে যায়।

পোলার যৌগ তৈরী হয় কিভাবে?

পোলার যৌগ তৈরি হওয়ার নিয়ম আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের নিম্নে বিস্তারিত তথ্য থেকে জানতে পারবেন।

রসায়ন বিষয়টি অধ্যায়ন করার ফলে আমরা সকলেই জানি যে, পরমাণু হিসেব বিবেচিত এবং সমযোজী যৌগ গুলো ইলেকট্রন ভাগ করে ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু আয়নিক যৌগের ইলেকট্রনের আদান-প্রদান হয়ে থাকে সেহেতু সেখানে পরমাণুর তাদের কাছাকাছি অবস্থান করে থাকে এবং নিষ্ক্রিয় গ্যাসের গঠন অর্জন করে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে চলে যায়। কিন্তু তখন সেখানে পোলার তৈরি হবার মতো কোনও নির্দিষ্ট অবস্থার বা অবকাশ থাকে না।

তবে অবশিষ্ট সমযোজী যৌগ রয়ে যাবে আর সেখানে ইলেকট্রন দুটি পরমাণু ব্যবহার করে অর্থাৎ ঐ পরমাণুর ইলেকট্রন এর ভারসাম্য ঠিক না হয়ে ঋণাত্মকতার মাত্রা বেড়ে যায় অর্থাৎ পোলার তৈরি হয়ে যায়।

যদি দুটি পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ০.৫ হয় অথবা এর চেয়ে বেশি হয় এবং যদি কোন যৌগ গঠন করে তখন সে যৌগের মধ্যে পোল তৈরি হয়। তবে যে পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি থাকে সে ইলেকট্রন ধরে রাখে। আর এজন্য পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায় এবং এক দিকে যেমন তড়িৎ ঋণাত্মকতা ইলেকট্রনের আধানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে ঠিক তেমনই অবস্থার সৃষ্টি করে। অর্থাৎ/ 4 আধান ঘাটতি দেখা দেয় আর এজন্য সমপরিমাণ উদ্ভব হয়ে থাকে এবং সেখানে সৃষ্টি করে। আর এ ধরনের যৌগ পোলার যৌগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

উদাহরণস্বরূপঃ

নন পোলার যৌগঃ H-H, O-O, N-N, Cl-Cl, F-F, C-H ইত্যাদি। এবং সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোক্সাইড(পানি) ইত্যাদি।

আরো দেখুনঃ পরমাণু কাকে বলে?

পোলার যৌগ এর ব্যাখ্যা

 আপনারা যাতে পোলার যৌগ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পারেন তার জন্য আমরা পানি (H₂O) পোলার যৌগ নিম্নে ব্যাখ্যা করে দিছি-

সমযোজী যৌগের মধ্যে দুটি ভিন্ন মৌলের মধ্যে দুটি ভিন্ন পরমাণুর ইলেকট্রন যুগল হলে কোন একটি পরমাণু কর্তৃক তার নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে তড়িৎ ঋণাত্মকতার বলে। যে কোন যৌগ মৌলের পরমাণুর মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য ০.৫-১.৯ এর মধ্যেহলে তা পোলার সমযোজী হয়ে থাকে।

পানির দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি অক্সিজেন পরমাণু সমযোজী বন্ধনে যুক্ত থাকে বলে অক্সিজেন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা ৩.৫ এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা ২.১ হয়। আর যদি এদের মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য করা যায় তাহলে ৩.৫ – ২.১ = ১.৪ হবে অর্থাৎ (০.৫-১.৯) এর মধ্যে হয়ে থাকে। তাই পানির অনুর সমযোজী যৌগ।

আর যদি পানিতে অক্সিজেন পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি হয় তাহলে O – H বন্ধন ইলেকট্রন অক্সিজেন পরমাণু নিজের দিকে সর্বোচ্চ আকর্ষণ করে থাকে। আর এর কারনে অক্সিজেন পরমাণুর আংশিক ঋণাত্মক চার্জিত ও হাইড্রোজেন পরমাণুর আংশিক চার্জিত হয়ে থাকে।

সুতরাং একটি যৌগের অণুতে দুইটি ভিন্ন চার্জ সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতাকে ডাইপোল বলা হয়। এই ডাইপোল সৃষ্টির ধর্মকে পোলারিটি এবং যেসব অনুপ সৃষ্টি হয়ে থাকে তাদেরকে পোলার অনু বলা হয়। আর এ থেকে বোঝা যায় যে যেহেতু  পানির অণুর সৃষ্টি করতে পারে সেহেতু পানি একটি পোলার অনু হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এজন্যই পানি একটি যৌগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

আরো দেখুনঃ রসায়ন কাকে বলে?

পোলার সমযোগী যৌগ কাকে বলে?

যখন একটি সমযোজী যৌগের দুই প্রান্তে মৌলের তড়িৎঋণাত্মকতার কারণে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক পোলের বা পার্থক্যের সৃষ্টি হয় তখন তাকে পোলার সমযোজী যৌগ বলে। আর এই পোলারিটি যৌগের তড়িৎঋণাত্মকতার পার্থক্যের কারণে হয়ে থাকে। পোলার শব্দটি ইংরেজি এর বাংলা হলো মেরু বা প্রান্ত।

পোলার যৌগ কাকে বলে FAQ

১. পোলার বন্ধন কাকে বলে?

পোলার সমযোজী বন্ধন হল একটি সমযোজী বন্ধন যেখানে পরমাণুর ইলেকট্রনের প্রতি অসম আকর্ষণ থাকে এবং তাই ভাগাভাগি অসম। একটি পোলার সমযোজী বন্ধনকে, কখনও কখনও পোলার বন্ধনও বলা হয়, এই বন্ধনের অণুর চারপাশে ইলেকট্রনের বন্টন প্রতিসম হয় না।

২. পোলার ও ননপোলার যৌগ কাকে বলে?

পোলার এবং ননপোলার যৌগ: যে বন্ধনগুলি আংশিকভাবে আয়নিক হয় তাদের পোলার সমযোজী বন্ধন বলে। দুটি পরমাণুর বৈদ্যুতিক ঋণাত্মকতা সমান হলে বন্ড ইলেক্ট্রনগুলির সমান ভাগের সাথে ননপোলার সমযোজী বন্ধন তৈরি হয়।

৩. পোলার যৌগকে কেন পোলার যৌগ বলা হয়?

কিছু অণুর ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক প্রান্তও থাকে এবং যখন তারা একে অপরকে আকর্ষণ করে তখন আমরা তাদের পোলার বলি। যদি তারা আকর্ষণ না করে, আমরা তাদের অ-মেরু বা ননে-পোলার বলে থাকি। মেরুর মাধ্যমে পরমাণুগুলো একে অপরকে আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ করতে পারে (বিপরীত চার্জ আকর্ষণ করে, একইভাবে চার্জ বিকর্ষণ করে)।

৪. কিভাবে একটি পোলার যৌগ সনাক্ত করা যায়?

পোলার যৌঘকে সনাক্ত করার জন্য যা করতে হবে,

  • লুইস কাঠামো আঁকুন।
  • জ্যামিতিক গঠণ বের করুন (VSEPR তত্ত্ব ব্যবহার করে)
  • জ্যামিতিক গঠণটি কল্পনা করুন বা আঁকুন।
  • নেট ডাইপোল মুহূর্তটি খুঁজুন (আপনি যদি এটি কল্পনা করতে পারেন তবে আপনাকে আসলে গণনা করতে হবে না)
  • নেট ডাইপোল মোমেন্ট শূন্য হলে, এটি অ-মেরু বা নন-পোলার অন্যথায়, এটি মেরু বা পোলার।

৫. রসায়নে পোলার কি?

পোলার: ইলেক্ট্রন ঘনত্বের অসম বন্টনসহ একটি কাঠামো। যে কাঠামোতে ইলেক্ট্রনের ঘনত্ব কমবেশি সমানভাবে বিতরণ করা হয় তাকে নন-পোলার বলে। পোলারিটি বিভিন্ন আকারের হতে পারে এই ক্ষেত্রে এবং এই পোলারিটি যৌগের অনেক ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে।

৬. একটি বন্ড বা বন্ধন পোলার নাকি নন-পোলার?

যদিও একটি বন্ধন পোলার নাকি নন-পোলার জানার কোন আকস্মিক পদ্ধতি নেই, সাধারণ নিয়ম হল যদি দুটি মেরুর মধ্যে বৈদ্যুতিক ঋণাত্মকতার পার্থক্য প্রায় ০.৪ এর কম হয়, বন্ধনটিকে অ-পোলার হিসাবে বিবেচনা করা হয় আর যদি পার্থক্য ০.৪ -এর বেশি হয়, বন্ধনটিকে মেরু বা পোলার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

উপসংহারঃ আশা করছি আপনারা যারা বিজ্ঞানের রসায়ন বিভাগের পোলার যৌগ কাকে বলে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন তারা জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমরা পানির যৌগ কে ব্যবহার করে পোলার যৌগ এর ব্যাখ্যা দিয়েছি। এছাড়াও আপনারা যদি রসায়নের অন্যান্য যে কোন যৌগ বা অন্যান্য যে কোন টপিক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex