vlxxviet mms desi xnxx

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না | চোখ উঠলে করণীয়

0
5/5 - (1 vote)

চোখ উঠলে করণীয় কি? | চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না | চোখ উঠলে করণীয়

চোখ উঠা বর্তমানে বেশ সাধারণ একটি সমস্যাই বলা চলে৷ এটিকে ইংরেজীতে বলা হয় Conjunctivitis (কন্‌জাঙ্কটিভাইটিস)। চোখ উঠা মূলত চোখের ভাইরাসজনিত এক প্রকার ইনফেকশন। আমরা যতটুকু বুঝি, তাতে আমরা বলে থাকি যে, চোখ উঠা মানে চোখ লাল হয়ে যাওয়া। কিন্তু চোখ লাল হয়ে যাওয়া কিন্তু, চোখ উঠার একটি উপসর্গ মাত্র। বেশ কিছু কারনণেই একজনের চোখ লাল হতে পারে। আজকে আমরা এই লেখা থেকে জানতে পারবো, চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না, তা সম্পর্কে। 

চোখ উঠার লক্ষণ

একজন ব্যাক্তির চোখ উঠলে তেমন ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। এটি এক ধরনের ইনফেকশন। খুব সহজেই এটি থেকে সুস্থতা লাভ করা সম্ভব। চোখ উঠার বেশ কিছু লক্ষণ আছে, যা দেখে আগে থেকেই খানিকটা সতর্ক হওয়া সম্ভব। এগুলো হলো-

  • চোখে চুলকানি দেখা দেওয়া। আবার চোখ জ্বালাপোড়া করা, চোখে খচখচে ভাব অনুভব করা। অনেকের আবার মনে হতে পারে চোখের ভেতরে কিছু একটা আটকে আছে। 
  • আর চোখ উঠার সবচেয়ে কষ্টকর লক্ষণ হলো, চোখ থেকে বারবার পানি পড়া। এসময় চোখের পাতায় প্রচুর পুঁজ জমে আর পাপড়িতে এগুলো আঠার মতো লেগে থাকে।

ফলস্বরূপ, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরে চোখ খুলে তাকাতে খুবই কষ্ট হয়। চোখ উঠলে চোখের পাতা লাল হয়ে ফুলে ওঠে। আর, চোখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় এবং চোখের দৃষ্টি-ও ঝাপসা হয়ে আসে।

আরো দেখুনঃ-

চোখ উঠলে করণীয় কি?

চোখ উঠলে অনেকেই বেশ ঘাবড়ে যান। তবে, এমনটা করা ঠিক নয়। বরং, চোখ উঠলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

  • চোখ উঠলে দুই চোখের জন্য আলাদা আলাদা কাপড়, তুলা এবং পানি ব্যবহার করতে হবে। এক চোখে ব্যবহার করা কাপড় অন্য চোখে ব্যবহার না করাই ভালো। 
  • চোখে খানিকটা গরম সেঁক দিতে হবে। গরম সেঁক দেয়ার পরে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এরপর বরফ বা ঠান্ডা পানিতে কাপড় অথবা  তুলা ডুবিয়ে চোখে ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে। এতে কিছুটা প্রশান্তি মিলবে৷ 
  • চোখ উঠলে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে চোখের ওপর চাপ পড়ে বা চোখে ব্যাথা অনুভূত হয়। 
  • চোখ উঠলে বেশিক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। এমনকি কোনো বইয়ের ছোট ছোট লেখাগুলোও পড়ার চেষ্টা করবেন না। এটা চোখের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না

তো, পাঠক আপনাদের মাঝে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন যে, চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না। তো, এখন আপনারা প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চলেছেন। 

  • চোখ উঠলে অর্থাৎ কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে, এলার্জি জাতীয় খাবারগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে গরুর মাংস, গরুর দুধ খাওয়া যাবে না। আবার হাঁসের মাংস এবং হাঁসের ডিমও এড়িয়ে চলতে হবে। 
  • সব ধরনের শেল ফিশ খাওয়া বাদ দেয়া আবশ্যক।  মানে চিংড়ি, শামুক জাতীয় খাবার, কাঁকড়া, ওয়েস্টার এসব পুরোপুরি বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। চেষ্টা করতে হবে ইলিশ মাছ না খাওয়ার। 
  • একই সাথে বাদাম আর গম-ও পরিহার করা আবশ্যক। গাজর, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন  ঢেঁড়শ, শিম, টমেটো ইত্যাদি খাবারগুলোও এড়িয়ে চলা ভালো। 

তাই চোখ উঠার মতো সমস্যা দেখা দিলে খাবারের দিকে অবশ্যই বাড়তি নজর দেয়া দরকার৷ এসময় চাইলে খাবারে পিংক সল্ট যোগ করতে পারেন। কিন্তু, মনে রাখে হবে এটা অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। এসময় চেষ্টা করতে হবে রঙিন ফল খাওয়ার। এই ফলগুলো শরীরে পুষ্টি জেগাতে সাহায্য করবে, এবং চোখের ব্যথা কিছুটা প্রশমিত করবে। 

চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ উঠলে সাথে সাথেই ডাক্তারের কাছে যাবেন না। সাধারণত, চোখ উঠার ১০ দিনের মাথায় তা ঠিক হয়ে যায়। আর ১০ দিনের মাঝে ঠিক না হলে, তবেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া ভালো। তবে এই সময়টাতে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবে। 

  • চোখ উঠলে প্রথমেই ঘরোয়া চিকিৎসা নেয়া দরকার। সবসময় একটি পরিষ্কার কাপড় বা তুলা গরম পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে তা থেকে পানি ঝরিয়ে আলতো করে ঐ কাপড় দিয়ে চোখ মুছতে  হবে। 
  • চোখে কিছুটা ভাপ দিতে হবে৷ আর চোখের পাতা পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখত হবে কোনো মোটা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। চেষ্টা করতে হব সুতির পাতলা কাপড় ব্যবহারের। আর কাপড়টি সাদা হলে ভালো হয়। দিনে কয়েকবার এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হবে।  
  • গরম সেঁক দয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা পানিতে তুলা ডুবিয়ে নিয়ে তা চোখের উপর রাখতে হবে। এতে কিছুটা প্রশান্তি মিলবে। চোখ উঠলে চোখের ওপর চাপ পড়বে এমন কোনো কাজ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। 
  • কোনো স্ক্রিনের দিকে তাকানো যাবে না৷ তা মোবাইল, কম্পিউটার বা টেলিভিশন হোক। এমনকি কোন বইয়ের লেখা অক্ষরগুলো ছোট হলো, সে বই পড়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।
  • অনেকটা সময় নিয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে চোখে যেন কোনো স্প্রে বা ঝাঁঝালো কিছু না লাগে। একই সাথে, চোখে যেনো কোনো কিছুর আঘাত না লাগে, সেদিকেও জোরালোভাবে খেয়াল দিতে হবে। 

কিন্তু, এসব নিয়ম মানার ৩-৪ দিন পরেও যদি ব্যথা মোটেও প্রশমিত না হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। 

চোখ উঠলে ঔষধ

ডাক্তারের শরণাপন্ন হন বা না হন, ঘরোয়া চিকিৎসা নিলেও অবশ্যই কিছু ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। চোখে প্রতিবার নির্দিষ্ট সময় পরপর ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। সময়মত ঔষধ খেতে হবে। চোখ উঠলে এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ আছে। 

  • এর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ হিসেবে ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার এই ড্রপ ব্যহার করা আবশ্যক। 
  • চোখ উঠলে যদি চোখে খুব বেশি চুলকানি থাকলে ঠিকমতো অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। তবে  অ্যান্টিহিস্টামিন সোবন করার আগে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
  • ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে চোখ উঠলে ডাক্তার অ্যান্টিবায়েটিক আইড্রপ দিতে পারেন। এটা প্রতি ৪ ঘন্টা কিংবা ৬ ঘন্টা পরপর ব্যহার করতে হবে। 
  • তাছাড়া, রাতের বেলা ব্যবহার করার জন্য চিকিৎসক যেকোনো মলম দিতে পারেন। এটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে। 
  • কোনো ভাইরাস অথবা অ্যালার্জি জনিত কারণে চোখ উঠলে অ্যান্টি হিস্টামিন কিংবা অ্যান্টিঅ্যালার্জির ওষুধ ব্যবহার করার পাশাপদশি আই ড্রপ, মলম ব্যবহার করতে হবে।

চোখ উঠলে কোন ড্রপ

চোখ উঠলে কোন ড্রপ

অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। তো, চোখ উঠলে প্রথম ৪ দিন অসহ্য যন্ত্রণা থাকাটা স্বাভাবিক। এসময় অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত কয়েকটি কারণে চোখ উঠতে উঠে। অ্যালার্জির কারণে, ভয়াইরাসের জন্য কিংবা ব্যাকটেরিয়ার কারণে।

তো, এই তিনটি কারণের কোনো একটির জন্য চোখ উঠলে আগে চিকিৎসকের কাছ থেকে নিশ্চিত হতে হবে চোখ ওঠার কারণ কোনটি। তারপর সে অনুযায়ী ঔষধ এবং ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।  তো ক্লোরামফেনিকল ড্রপটি সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে। এক দিনে ৫ বা ৬ ঘন্টা পরপর ড্রপটি ব্যবহার করতে হবে। চোখে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করলে এসময় আর তোমন কোনো ভয় থাকে না। 

চোখ উঠলে কি দোয়া পড়তে হয়?

চোখ উঠলে বেশ কিছু দোয়া পাঠ করা যেতে পারে। এগুলোর একটি হলো-  

“লাক্বাদ কুংতা ফি গাফলাতিম মিন হাজা ফাকাশাফনা আংকা গিত্বাআকা ফাবাচারুকাল ইয়াওমা হাদিদ।” (সুরা ক্বফ; আয়াত নম্বর ২২)

যেই ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্তে নামাজের পর সুরা ক্বফ এর ২২ নম্বর আয়াত ৩ বার পাঠ করবে, ঐ ব্যক্তির চোখের ব্যথা কিছুটা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করা যেতে পারে। 

“আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।”

বাংলা অর্থ: হে আমার আল্লাহ! আপনি আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আমার আল্লাহ! আপনি আমায় সুস্থ রাখুন, আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না FAQ

  • চোখ উঠা কী গুরুতর কোনো সমস্যা? 

না,  চোখ উঠা একটি ইনফেকশন জনিত সমস্যা। এটা গুরুতর কিছু নয়। প্রথম তিন চারদিন এতে একটু কষ্ট হলেও পরবর্তীতে ব্যথা প্রশমিত হয়ে যাবে। 

  • চোখ উঠা সারতে কত সময় লাগে?

চোখ উঠলে তা প্রায় ১০ থেকে ১১ দিনের মাথায়ই সেরে যায়। এতে ঘাবড়ানোর তেমন কিছুই নেই। 

  • চোখ উঠলে ঔষধ সেবন আর ড্রপ দেয়া কী আবশ্যক? 

হ্যাঁ, চোখ উঠলে ড্রপ দিতে হবে। এর পাশাপাশি ঔষধও সেবন করতে হবে। সহজে এটা সারবে না।

  • চোখ উঠলে কী কী খাওয়া যাবে না? 

এক কথায় সব ধরনের অ্যালর্জি সৃষ্টিকারী খাবারগুলো এসময় এড়িয়ে চলতে হবে। 

  • চোখ উঠলে কোন ড্রপটি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো?

ক্লোরামফেনিকল।

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না সবশেষ কথা

আজকের চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না এই লেখাটি থেকে আমরা জানতে পারলাম চোখ উঠলে কী কী খাওয়া যাবে না, তা সম্পর্কে।  পাশাপাশি, চোখ উঠলে কীভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে হবে, কোন ঔষধ খেতে হবে, কোন ড্রপ দিতে হবে এসবও জানতে পারলাম। 

এরকম আরো, নতুন নতুন উপকারী লেখা পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। আর লেখায় কোনো ভুল/সমস্যা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন। আমরা চেষ্টা করবো পরবর্তীতে সঠিক উত্তর জানিয়ে দেওয়ার। 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex