ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম | ইমারজেন্সি পিলের নাম ও দাম
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম | ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়? | ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম অনিরাপদ বা অসাবধানতাবশত সহবাসের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে যে পিল খাওয়া হয় তাকে ইমারজেন্সি পিল বলা হয়। যেকোনো ফার্মেসিতে আপনি এই ঔষধটি পেয়ে যাবেন। তারমানে এই না যে আপনি আপনার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সব সময় এটি ব্যবহার করতে পারেন। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে না জানার কারণে ও অতিরিক্ত সেবনের ফলে আপনি বিভিন্ন শারীরিক মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যেও পরতে পারেন।
সর্বোচ্চ ৩ দিনের মধ্যে অনিরাপদ যৌন মিলনের পর ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম। অনিরাপদ মিলনের পিল বা গর্ভনিরোধক এই বড়ি গ্রহণ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি আপনি এটি গ্রহণ করবেন এটি তত বেশি কার্যকর হবে।
আরো দেখুনঃ
ইমারজেন্সি পিল কি?
ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা ইসিপি যা অনিরাপদ সহবাসের ৩ দিনের ভেতর সেবন করা হয় ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করা যায়। বাজারে কয়েক ধরনের ইমার্জেন্সি পিল পাওয়া যায় কিছু ৭২ ঘন্টার ভিতরে খেতে হয়, কিছু ১২০ ঘন্টার ভিতরে। আপনি যে ধরনের ইমার্জেন্সি পিলই ইমার্জেন্সি পিল হিসেবে করুন না কেন সেটি আপনার গর্ভধারণকে ৯৯% রোধ করতে পারে।ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম.
সাধারণত ১০০ জন নারীর মধ্যে ২ জনের গর্ভধারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরেও। ইমারজেন্সি পিলকে “মর্নিং আফটার পিল” ও বলা হয় তারমানে এই না যে আপনাকে এটি সকাল বেলাই সেবন করতে হবে। আপনি অনিরাপদ সহবাসের পর যত দ্রুত সম্ভব এটি সেবন করে নিন।
ইমারজেন্সি পিলের নাম ও দাম
বেশকিছু নামকরা ইমার্জেন্সি পিলের নাম ও দাম:
- আই – পিল ইমার্জেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিল।
- ইমকন ১ ইমারজেন্সি পিল।
- 5x ইমার্জেন্সি পিল।
- পিউলি ইমার্জেন্সি পিল।
- নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল।
- নরপিল ইমার্জেন্সি পিল।
1. আই – পিল ইমার্জেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিল-
আই – পিল মহিলাদের একটি জন্মনিরোধক বড়ি। অরক্ষিত দৈহিক মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঔষধটি সেবন করতে হয়। প্রতিটি আই- পিলে একটি করে গোল বড়ি থাকে।
ইমারজেন্সি আই – পিলের দাম ১৯০ টাকা।
2. ইমকন ১ ইমারজেন্সি পিল-
অনিরাপদ যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঔষধটি সেবন করতে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য। প্রতিটি ইমকনের একটি প্যাকেটে সাদা গোল বড়ি থাকে।
৬০ থেকে ৭০ টাকার ভিতরেই আপনি ইমকন ১ ট্যাবলেটটি কিনতে পারবেন।
3. 5x ইমার্জেন্সি পিল-
অনিরাপদ যৌন মিলনের ১২০ ঘন্টা / ৫ দিনের মধ্যে 5x ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করতে পারবেন। জরুরী অবস্থায় (সহবাস অবস্থায় কনডম ছিড়ে গেলে বা অনিরাপদ মিলনের পর) এই পিল ব্যবহার করতে হবে।
এতে উপাদান হিসেবে থাকে ইউলিপ্রিস্টল এসিটেট ৩০ মি.গ্রাম। এর এক প্যাকেটে একটি বড়িই থাকে। 5x ইমার্জেন্সি পিলের দাম ১৯৫ টাকা।
4. পিউলি ইমার্জেন্সি পিল-
পিউলি ইমার্জেন্সি পিল অসাবধানতাবশত দৈহিক মিলনের পর ৩০ মিলি. গ্রাম পিউলি খালি বা ভরা পেটে গ্রহণ করতে হবে। এর কার্যকারিতা ১২০ ঘন্টা বা ৫ দিন পর্যন্ত থাকে।
পিউলি ইমারজেন্সি পিলের দাম ১৯৫ টাকা।
৫. নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল-
নোরিক্স ইমারজেন্সি পিলটি অসাবধানতাবশত সহবাসের ৭২ ঘন্টার মধ্যে সেবন করতে হয়। সবচেয়ে ভালো হয় ৭২ ঘন্টা অপেক্ষা না করে আপনি যদি ৫৫ ঘণ্টার ভিতরেই সেবন করে নেন। একটি নোরিক্স পিল গ্রহণ করার পর পরবর্তী পিরিয়ড হওয়া না পর্যন্ত ২য় পিলটি গ্রহণ করা উচিত নয়।
নোরিক্স ১ পিলের দাম ৬০ টাকা।
৬. নরপিল ইমার্জেন্সি পিল-
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম নরপিল ইমার্জেন্সি পিল অরক্ষিত যৌন মিলনের পর গ্রহণ করতে হয়। এটি গ্রহনের পর নিজেকে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণা থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। কিন্তু এটি নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি হিসেবে কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে করে আপনার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নরপিলের এক প্যাকেটে একটি সাদা বড়ি থাকে। একটি নরপিলের দাম ৭৫ টাকা।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম সাধারণত অপরিকল্পিত যৌন মিলনের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণ করে থাকেন নারীরা। কিন্তু এই ইমারজেন্সি পিল কখন খেতে হয়, কিভাবে খেতে হয় বা কি অবস্থায় আপনি খেতে পারবেন না এই বিষয়গুলো অনেকেই না জেনে গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বেই আপনাকে অবশ্যই তার নিয়ম সম্পর্কে আগে জানতে হবে।
বাজারে আপনি অনেক ধরনের ইমার্জেন্সি পিল পাবেন। যেগুলো একেকটির কার্যকারিতা একেক সময় পর্যন্ত থাকে। কোনটি বেশি দিন পর্যন্ত কার্যকরী কোনটি কম। সাধারণত বাজারে আপনি ৩ ধরনের ইমারজেন্সি পিল পাবেন:
৩ দিনের ইমারজেন্সি পিল-
তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার ইমার্জেন্সি পিলগুলো আপনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি ঝুঁকি এড়াতে না চান তাহলে ৫৫ ঘণ্টার ভিতরে এই ঔষধটি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
৫ দিনের ইমারজেন্সি পিল-
এই ইমারজেন্সি পি গুলো আরো বেশি সময় ধরে কার্যকরী হয়। অরক্ষিত সহবাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রহণ করতে হয়। পরবর্তী পিরিয়ড না হওয়া পর্যন্ত ২য় ডোজ গ্রহন করা যাবে না।
২১ দিনের ইমার্জেন্সি পিল-
২১ দিনের ইমারজেন্সি পিল না বলে এগুলোকে স্বল্পমাত্রার অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি বলতে পারি। এর একটি প্যাকেটে দুই ধরনের বড়ি থাকে একটি সাদা ও আরেকটি বাদামী রঙের। এই পিলটি ৯৭ থেকে ৯৯.৯% কার্যকরী হয় জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে। তাই নারীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। আপনার পিরিয়ডের ২য় দিন থেকে প্রথম ২১ টি বড়ি আপনাকে টানা ২১ দিন খেতে হবে। এরপর আপনি পরবর্তী ৭ টি বড়ি খাওয়া শুরু করবেন বাদামী রঙের।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
মূলত অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করার জন্য ইমার্জেন্সি পিল সেবন করা হয়। যেহেতু আপনি ইমার্জেন্সি পিল সেবন করছেন এর ফলে আপনার হরমোনের আধিক্যের কারণে আপনার মাসিক এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
এমনিতেই সচরাচর নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক হয় না দুই একদিন আগে বা পাঁচ দিন আগেই হয়ে থাকে, এর পরেও হয়। কিন্তু এর মধ্যে যখন আপনি ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণ করছেন তখন আপনার মাসিক সময়ের আরো পরে হয়। এক্ষেত্রে আপনার মাসিক ৫ থেকে ৭ দিন বা ৮ থেকে ১০ দিনও পিছিয়ে যেতে পারে। এতে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যেহেতু আপনি ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণ করেছেন। কিন্তু মাসিকের সময় এর বেশি অতিবাহিত হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ ও পরামর্শ করুন।
ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়?
প্রতিটি জিনিসই নিয়মমতো গ্রহণ করতে হয়। আপনি যখন অনিয়মিত বা বেশি পরিমাণে ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণ করবেন অবশ্যই সেটি আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হবে। এক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পিলের সাইড ইফেক্ট অনেক। নিয়মিত ইমারজেন্সি পিল সেবনে আপনি যে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন:
- অনিয়মিত মাসিক,
- মাথা ঘোরা,
- মাথা ব্যথা,
- মাসিক ছাড়াও যৌনাঙ্গ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় রক্তস্রাব হওয়া,
- মাসিক অনিয়মিত হওয়া
- মুখে ব্রণ হওয়া।
ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে যা জানা জরুরী
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পূর্বে যে বিষয়গুলো আপনার অবশ্যই জানা থাকা উচিত।
- ইমারজেন্সি পিল আপনার গর্ভপাত ঘটায় না এটি শুধু আপনার ডিম্বানুর নিঃসরণকে পিছিয়ে দেয় বা রোধ করে।
- এটি একশতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যায় না যে ইমারজেন্সি পিল খেলে আপনি গর্ভধারণ করবেনই না। হ্যাঁ, এটা বলা যায় যে, ৯৯% আপনার গর্ভধারণ না করার সম্ভাবনা রয়েছে।
- ইমারজেন্সি পিল কিন্তু আপনার স্বাভাবিক বা অস্থায়ী জন্মনিরোধক বড়ি নয়। এটি যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করেন তাহলে কিন্তু আপনার পরবর্তী গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এছাড়া আপনার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন মাথা ঘোরা, বমি হওয়া, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
- অনেকেই মনে করেন যে জন্মনিয়ন্ত্রক পিল বা ইমার্জেন্সি পিল খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ওজন বারার সাথে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।
- ইমারজেন্সি পিলকে মর্নিং আফটার পিলওৎবলা হয়। এর মানে এই নয় যে পরদিন সকালেই আপনাকে খেতে হবে আপনি রাতে যৌন মিলনের পরও তা খেতে পারেন। যত দ্রুত সম্ভব এটি গ্রহণ করতে পারেন।
ইমারজেন্সি পিল এর পার্শ্ব – প্রতিক্রিয়া
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর ১ – ২ দিন আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে ধরনের সমস্যাগুলো হতে পারে ইমার্জেন্সি পিল সেবনের পরে:
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
- ক্লান্তি,
- অবষাদ,
- মাথা ঘোরা,
- স্তন ভারী হয়ে যাওয়া বা ব্যথা করা,
- মাসিক ছাড়াও ফোঁটায় ফোঁটায় রক্তপাত হওয়া,
- তলপেটে তীব্র ব্যথা,
- মাসিকের সময় বেশি রক্তপাত হওয়া,
- দুর্বল লাগা,
- ঝিমুনিভাব,
- নির্দিষ্ট সময়ের থেকে দুই সপ্তাহ বা এর বেশি মাসিক পিছিয়ে যাওয়া বা এগিয়ে আসা।
উল্লেখ্য: এই সমস্যাগুলো যদি তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
আরো দেখুনঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ.
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম -FAQ
১. কোন পিল সবচেয়ে ভালো?
বাজারে বিভিন্ন ধরনের পিল পাওয়া যায়। যদি আপনি ইমার্জেন্সি পিলের কথা ধরেন তাহলে “নোরিক্স” সবচেয়ে ভালো। আর যদি আপনি স্বল্পমাত্রার অস্থায়ী বড়ির কথা বলেন তাহলে “ফেমিকন” অন্যতম।
২. কোন পিল খেলে বুকের দুধ কমে না?
বাজারে যে কয়েক ধরনের পিল পাওয়া যায় আর সেগুলো ইস্ট্রোজেন জাতীয়। এর ফলে মায়ের বুকের দুধ কমে যায়। এক্ষেত্রে আপনি প্রোজেস্টেরন সমৃদ্ধ পিল খেতে পারেন এর ফলে আপনার বুকের দুধ কমবে না। প্রোজেস্টেরন জাতীয় পিলে বুকের দুধ কমে না আর এই জাতীয় পিলের উদাহরণ হল মিনিকন। মিনিকন এটি একটি নিরাপদ পিল মায়েদের জন্য।
৩. খালি পেটে পিল খেলে কি হয়?
ইমার্জেন্সি পিল সাধারণত ভরা পেটেই খেতে হয়। রাতে আহারের পর ইমার্জেন্সি পিল খেলে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়।
৪. পিল খেলে কি ওজন বাড়ে?
পিল খেলে সাধারণত ওজন বাড়ে না কিন্তু আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি প্রোজেস্টেরনর জাতীয় পিল গ্রহণ করুন।
৫. সহবাস করা কত সময় পর পিল খেতে হয়?
সাধারণত সহবাস করার ৭২ থেকে ১২০ ঘন্টার মধ্যে পিল খেতে হয়। এই পিল গ্রহণের ফলে আপনার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু নিসঃরণ হতে পারেনা বা দেরিতে হয়।
আরো দেখুনঃ
পরিশেষে :ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম বাজারে অনেক ধরণের ইমার্জেন্সি পিল পাওয়া যায়। আপনি যেই ধরনের ইমার্জেন্সি পিলই গ্রহণ করুন না কেন সেটা সাবধানতা নিয়ে ও জেনে বুঝে গ্রহণ করুন। কারণ অনেকেই না জানার কারণে ইমার্জেন্সি পিল নিয়মিত গ্রহণ করে থাকেন এর ফলে তারা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগেন। আপনি যদি একাধিকবার ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করুন। অথবা ইমারজেন্সি পিল গ্রহণের পর যদি আপনার কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা বা মাসিকে সমস্যা হয় তাহলে আপনার নিকটস্থ গাইনি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
“ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম” ইমার্জেন্সি পিল খেলে যে আপনি গর্ভধারণ করবেন না এমন কোন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না, অনেক ক্ষেত্রেই আপনি গর্ভধারণ করতেই পারেন। তাই সবসময় নিরাপদ সহবাস করার চেষ্টা করুন। কারণ ইমারজেন্সি পিলের অনেক পার্শ্ব – প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই আপনার পার্টনারকে বলুন প্রটেকশন নিয়েই সহবাস করতে। ইমারজেন্সি পিল গ্রহণের পর সুষম ও ভালো খাবার খান যেন আপনার শারীরিক যেই দুর্বলতা তা খুব দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে পারেন।
আজকের পোস্টে আমি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম ও কোন কোন ইমারজেন্সি পিল বাজারে পাওয়া যায় সেগুলোর দাম, খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। যারা ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না তারা এই পোস্টটি আবারো ভালোমতো পড়ুন। আজ এ পর্যন্তই, ধন্যবাদ।