কনডম কি? | কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানতে চাই
কনডম কি? | কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানতে চাই | কোন কনডম সবচেয়ে ভালো | কনডেম কেন ব্যবহার করা হয়?
আমাদের মধ্যে অনেক মানুুষ আছে যাঁরা নতুন বিবাহ করেছেন, তাঁরা আসলে জানে না কনডম ব্যবহারের নিয়ম। যেহেতু অনেকের এ বিষয়ে জ্ঞান কম থাকে। তাছাড়া সব বিষয় নিয়ে সকলের সাথে আলোচনা করাও একটা লজ্জাকর বিষয়। মূলত জন্মনিয়ন্ত্রণ ও যৌন সংক্রামক রোগ, (যেমন এইচআইভি, হারপিস, ক্ল্যামাইডিয়া) প্রতিরোধের জন্য কনডম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কীভাবে সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করবেন তা জানতে হবে।
কনডম ছাড়া আপনি যদি সঙ্গিনীর সাথে মিলন করেন তাহলে আপনার সঙ্গিনী গর্ভবতী হয়ে যাবে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করতে মিলনের আগে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে। আজকে আপনাদের সাথে আলোকপাত করবো কনডম ব্যবহারের নিয়ম, কনডম কেন ব্যবহার করা হয় এসব নিয়ে বিশদভাবে ব্যাখা করবো।
দেখুন: গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ.
কনডম কি? | What is Condom?
মূলত কনডম হল একটি পাতলা টুকরা যা যৌনমিলনের সময় লিঙ্গের উপর পরা হয় যৌনমিলনের আগে যোনিতে প্রবেশ করানোর সময়। কনডম ব্যবহার করলে তরল বীর্য ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে। সেক্স লাইফ অনেক সুখের হয়। তাছাড়া আপনি যদি কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানেন তাহলে যৌন সংক্রামিত রোগ, গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বে কনডম সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ এর জন্য। সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে গর্ভাবস্থা ৯৮% প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর মানে হল এক বছরে, ১০০ জন মহিলার মধ্যে ২ জন মহিলা গর্ভবতী হবেন। যাদের সঙ্গী কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানে না।
মূলত দুই ধরনের কনডম পাওয়া যায়।
- পুরুষ কনডম।
- নারী কনডম।
তবে আমাদের দেশে বেশির ভাগ পুরুষ কনডম পাওয়া যায়। কারণ নারীরা কনডম পরতে তেমন একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না। তবে এটা পুরোপুরি আপনার সঙ্গিনীর উপর নির্ভর করে। আপনার আশপাশের যেকোনো ফার্মেসিতে খোঁজ করলে অল্প টাকায় কনডম পেয়ে যাবেন। কনডম শুধুমাত্র আপনার যৌন জীবনকে নিরাপদ করে না। বেশ খানিকটা মনের শান্তি দিবে যা আপনাকে ও আপনার সঙ্গিনীকে আর স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে সাহায্য করে।
কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানতে চাই | How to use Condom?
আগেই জেনেছি দুই ধরনের কনডম পাওয়া যায়। প্রথমে আমরা পুরুষ কনডম ব্যহারের নিয়ম জানবো এবং পরে নারী কনডম ব্যবহার সম্পর্কে জানবো।
এখন আপনি যদি প্রথমবার পুরুষ কনডম ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। সঠিক নিয়ম না জানলে নানা ধরনের অসুবিধা হতে পারে। এজন্য নিয়ম গুলো জানতে হবে। চলুন জেনে নিই পুরুষ কনডম ব্যবহারের নিয়ম:
- সঠিক কনডম ব্যবহারেব নিয়ম প্রথম ধাপ হল মেয়াদ আছে সেটা নিশ্চিত হওয়া। কনডমের প্যাকেজ এর গায়ে তারিখ লেখা থাকে। তাই সর্বদা ব্যবহারের আগে মেয়াদ এর তারিখ চেক করে নিবেন। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ কনডম এর লুব (Lube) নষ্ট হয়ে যায়। তাই ব্যবহার করলে সঙ্গিনীর গোপন অঙ্গের ভিতর জ্বালা পোড়া অনুভব হতে পারে।
- কনডম ব্যবহারের পূর্বে কনডম এর প্যাকেজের সতেজতা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এজন্য প্যাকেটের ভিতর বায়ু বুদবুদ রাখা হয় কনডমের অক্ষতভাব বজায় রাখার জন্য। তাই বুদবুদ পরীক্ষা করার জন্য প্যাকেজটি আপনার বুড়ো আঙুল এবং প্রথম আঙুলের মধ্যে আলতো করে চাপ দিন।
- কনডমের প্যাকেট খোলার সময় খুব সতর্কার সাথে খুলবেন। মূলত প্যাকেট এর কোণে বা প্রান্ত বরাবর খুলতে হয়। তবে অধিকাংশ প্যাকেটে নির্দেশনা দেওয়া থাকে কোথা থেকে ছিঁড়তে হবে। কনডমের প্যাকেট ভুলেও নখ, কাঁচি বা অন্য কোন ধারালো জিনিস ব্যবহার করে ছিড়বেন না। এতে আপনি প্যাকেটের সাথে কনডম ছিঁড়ে ফেলতে পারেন।
- এরপর আপনার লিঙ্গ পুরোপুরি ভাবে শক্ত হওয়ার পরই কনডম পরবেন।
- কনডম পরানোর পর সামনের দিকে বীর্য ধারণের জন্য বেশ কয়েক ইঞ্চির মতো জায়গা অবশ্যই রেখে দিবেন।
- যদি কনডমের আগা স্ফীত বেলুনের মতো মনে হয় তাহলে ভিতরে অবশ্যই বাতাস রয়েছে। এটি ভিতরে থাকলে সেক্সের সময় কনডম ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই লিঙ্গের চারপাশে আপনার হাত রেখে। ডগা থেকে গোড়া পর্যন্ত কনডমটি আলতো করে মসৃণ করে বাতাস বের করে দিন। কখনও কখনও কনডম লাগানোর সময় আগায় কিছুটা লুব লাগালে ভিতরে বাতাস প্রবেশ করা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- বীর্যপাতের পর, লিঙ্গ নরম হওয়ার আগে কনডম বের করে ফেলতে হবে।
- পরিশেষে কনডমের মাথায় গিট দিয়ে আবর্জনা মধ্যে ফেলে দিবেন। কখনো টয়লেটে ফেলবেন না, এতে পাইট আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কনডম টয়লেট পেপার বা কাগজের মধ্যে মুড়ে ফেলে দিতে পারেন। এতে আপনার গোপনীয়তা আরোও ভালভাবে রক্ষা পাবে।
চলুন এবার জেনে নিই নারী কনডম ব্যবহারের নিয়ম:
- প্রথমে সাবধানে প্যাকেট থেকে কনডম বের করতে হবে।
- এরপর কনডমে দুটি রিং দেখতে পাবেন, সাধারণত একটি বড় রিং, আরেকটা ছোট রিং।
- গোপন অঙ্গে প্রবেশ করানোর জন্য বড় আঙুল দিয়ে ছোট রিং আর অন্য আঙুল দিয়ে আস্তে চাপ দিন। আঘাত যেন না লাগে সেদিনে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
- পিছলে যাওয়া এবং ছিঁড়ে যাওয়া রোধ করার জন্য জল ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন।
- কনডম যতদূর ঢুকানো সম্ভব ঢুকাতে হবে। মূলত আপনার জরায়ুর বিরুদ্ধে যেন স্থির থাকে। বড় রিংয়ের কিছুটা অংশ যেন বাইরে ঝুলে থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
- আপনার সঙ্গীর লিঙ্গ কনডম এর ভিতর প্রবেশ করানোর জন্য আপনার হাত ব্যবহার করুন। এরপর আপনি যদি অনুভব করেন লিঙ্গটি কনডম এবং গোপনঅঙ্গের মধ্যে পিছলে যাচ্ছে তাহলে সেক্স বন্ধ করুন।
- সেক্স শেষ হয়ে গেলে বড় রিংটি টান দিয়ে বের করে ফেলুন। আর্বজনার মধ্যে ফেলে দিন। কমডম টয়লেটে ফ্লাশ করবেন না বা পুনরায় ব্যবহার করবেন না।
কনডেম কেন ব্যবহার করা হয়?
চলুন জেনে কনডম ব্যবহার করার কয়েকটি উপকারী দিক সমূহ:
1, কনডম এসটিডি (STD) এর বিরুদ্ধে কার্যকর
কনডম হল জন্মনিয়ন্ত্রণের একমাত্র পদ্ধতি যা এইচআইভি, ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়ার মতো যৌন সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি আগে থেকে গর্ভধারণ রোধ করার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে থাকেন। তাহলেও এসটিডি (STD) থেকে নিজেকে রক্ষা করার প্রতিবার মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত এবং অবশ্য কনডম ব্যবহারের নিয়ম জেনে করা উচিত।
2. কনডমের দাম খুবই সস্তা এবং সুবিধাজনক
বিভিন্ন দোকান, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, আশেপাশের ফার্মেসি এবং অনলাইন থেকে কনডম কেনা খুবই সহজ। এগুলো কেনার জন্য আপনার কোন আইডি বা প্রেসক্রিপশন লাগবে না। তাই গর্ভাবস্থা এবং এসটিডি থেকে সুরক্ষার জন্য কনডম হল সবচেয়ে বিচক্ষণ, ছোট এবং বহনযোগ্য উপায়।
3. কনডম যৌন মিলন সুখের করে
একদিকে কনডম যেমন সুরক্ষা দেয়, সেক্স লাইফ সুখের করে। কনডম গুলো বিভিন্ন ধরনের শৈলী ও আকারে আসে যা উভয়ের জন্য সুখকর হয়। তাছাড়া আপনি যদি গোপনঅঙ্গে প্রবেশের সময় অতিরিক্ত লুব লাগান তাহলে সেক্স লাইফ অনেক আনন্দদায়ক হবে। কনডম বীর্যপাত বিলম্বিত করতে পারে। এতে সেক্স লাইফ দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই সেক্স লাইফ যদি সুখের করতে চান তাহলে সঠিক কনডম ব্যবহারের নিয়ম জেনে তবেই ব্যবাহর করুন।
4. কনডমের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
কোন রকম সমস্যা ছাড়াই বেশিরভাগ মানুষ কনডম ব্যবহার করতে পারে। কারণ কনডমের কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে নিদিষ্ট ধরনের কনডমের লুব কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা জনক হতে পারে। এজন্য আপনি ব্র্যান্ড চেঞ্জ করে অন্য ব্যান্ডের কনডম ব্যবহার করতে পারেন।
কোন কনডম সবচেয়ে ভালো
বর্তমানে মার্কেটে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের কনডম পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা যারা নতুন বিবাহিত তাদরে অনেকে জানেন না, কোন কনডম সবচেয়ে ভালো এবং কনডম ব্যবহারের নিয়ম। তাই চলুন জেনে নিই আসলে কোন কনডম সবচেয়ে ভালো-
প্যানথর:
প্যানথর হল স্বল্পমূল্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কনডম। মূলত বাংলাদেশ তাঁরা ১৯৮০ এর দশক থেকে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ইউ এন্ড মি:
ইউ এন্ড মি কনডম হল এসএমসি কর্তৃক তৈরি এবং বাংলাদেশ বেশ জনপ্রিয়। এই কনডমের ফিটিং বেশ ভালো এবং বেশ পাতলা। বাজারে তিনটি ফ্লেভারের কনডম পাওয়া যায়।
- লং লাভ (Long Love)
- এনাটমিক ( Anatomic)
- কলোন ( Colone)
স্যানসেশন:
বর্তমানে স্যানসেশন কনডম বেশ জনপ্রিয় আমাদের দেশে। চকলেট এবং স্ট্রবেরী ফ্লেভার বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া এই কনডমগুলোর ফিটিং বেশ ভালো।
ডিউরেক্স কনডম:
এই কনডম অতি পাতলা এবং এতটাই মসৃণ আকৃতি দেখে মনে হবে আপনি কোন কনডম পরেন নিই। এছাড়া এটি আপনার সঙ্গিনীর আরামের জন্য অতিরিক্ত লুব্রিকেটেড।
কোরাল কনডম:
কোরাল কনডম দামে অনেক সস্তা। তাছাড়া এই কনডম ব্যবহার করা বেশ আরামদায়ক। এজন্য কোরাল কনডম বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রং ও আকারে পাওয়া যায় এই কনডম।
এছাড়াও আমাদের দেশে আরো বেশ কিছু ব্র্যান্ডের কনডম পাওয়া যায়। যেমন হিরো কনডম, রাজা কনডম, ড্রাগন কনডম ইত্যাদি। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ব্র্যান্ডের কনডম ব্যবহার করতে পারেন। কারণ সবগুলো ব্যান্ড বেশ ভালো। তাই কনডম আগের অবশ্যই জেনে বুঝে কিনবেন এবং কনডম ব্যবহারের নিয়ম জেনেই তবে মিলন করবেন।
How to use Condom –FAQ
- কনডম ম্যানিব্যাগে রাখা যাবে কি?
না। কারণ কনডম ম্যানিব্যাগে রাখলে তাপের ফলে দূর্বল হয়ে যেতে পারে৷ তাই কনডম সবসময় ঘরের ঠান্ডা জায়গা বা শুষ্ক জায়গায় রাখতে হবে।
- কনডমের মেয়াদ শেষ হওয়ার কোন তারিখ আছে?
হ্যা। মূলত কনডম ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য ভাল থাকে। তবে কনডমের প্যাকেটে গায়ে মেয়াদ এর তারিখ চেক করে তবেই ব্যবহার করুন।
- নারী কনডম কি বলা হয়?
মূলত অভ্যন্তরীণ কনডম বলা হয়ে থাকে। তবে পুরুষ কনডম থেকে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। অভ্যন্তরীণ কনডম গুলো বেশ বড় হয় এবং নিয়মিত কনডমের মতোই প্রায়ই একই দৈর্ঘ্যের হয়। এগুলো গোপন অঙ্গের ভিতর ব্যবহার করা হয়।
- নারী কনডম কেন ব্যবহার করা হয়?
নারী কনডম বা অভ্যন্তরীণ কনডম ব্যবহার করা হয় এইচআইভি সহ STI থেকে উভয়কে সুরক্ষা দিতে। সঠিকভাবে কনডম ব্যবহারের নিয়ম করা হলে, গর্ভাবস্থা প্রতিরোধের একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
- একসাথে একাধিক কনডম পরা কি নিরাপদ?
না, আপনি একবারে একাধিক কনডম ব্যবহার করতে পারবেন না। একাধিক কনডম ব্যবহার করা আসলে একটি ব্যবহারের চেয়ে কম সুরক্ষা প্রদান করে।
- কনডম ব্যবহারের অসুবিধা কি?
যাদের ল্যাটেক্স এলার্জি রয়েছে তাঁরা নিয়মিত কনডম ব্যবহার করতে পারবেন না। তাছাড়া কনডম তেল ভিত্তিক লুব্রিকেন্টের ব্যবহার করা যাবে না, শুধুমাত্র জল-ভিত্তিক।
- কনডম কিনতে আপনার বয়স কত হতে হবে?
আপনি যেকোনো বয়সে কনডম কিনতে পারবেন। কনডম ঔষুধের দোকান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সুপারামার্কেট ইত্যাদি জায়গায় পাওয়া যায়।
- কনডম কি সাইজের আসে?
সাধারণত কনডম তিনটি আকারে আসে: স্নাগ, স্ট্যান্ডার্ড এবং লম্বা।
- কেন কিশোরদের কনডম প্রয়োজন?
কিশোরদের সঙ্গিনীর সাথে সহবাসের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করা উচিত। কারণ সঙ্গিনী যাতে গর্ভবতী না হয়ে যায় সেজন্য ব্যবহার করতে হবে।
- কোন দেশ সবচেয়ে বেশি কনডম ব্যবহার করে?
মূলত নামিবিয়ার ১৫-২৪ বছর পুরুষরা সবচেয় কনডম ব্যবহার করে থাকে। তাদের কনডম ব্যবহারের অনুপাত হল ৭৯.২০%।
- কত শতাংশ দম্পতি কনডম ব্যবহার করেন?
একটি সমীক্ষা অনুসারে, নৈমিত্তিক সম্পর্কের দম্পতিরা নিয়মিত কনডম ব্যবহার করেন প্রায় ৩৩.৫% মাত্র। গুরুতর সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাত্র ১৪%।
- কনডম প্যাকেটের দাম কত?
কনডম বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি করা হয় এবং অনেক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে বিনামূল্যেও পেয়ে যাবেন। তবে এক প্যাকেট কনডমের দাম হয় প্রায় ৪০-৬০ টাকা।
- কত সময় পর কনডম পরিবর্তন করা উচিত?
আপনি যদি দীর্ঘ সময় সহবাস করেন তবে ৩০ মিনিট পর কনডম পরিবর্তন করা উচিত। কারণ ঘর্ষণের ফলে কনডম দূর্বল হয়ে যায়। যার ফলে কনডম ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
- অবিবাহিত দম্পতিরা কি কনডম ব্যবহার করেন?
সমীক্ষা অনুসারে, অবিবাহিত পুরুষরা ২৮% এবং নারীরা ১৪% কনডম ব্যবহার করেন সেক্সের সময়।
সর্বশেষঃ কনডম জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এবং যৌন সংক্রমণ রোগ এড়ানোর সহজ মাধ্যম বলা যায়। যাইহোক, সঠিকভাবে সহবাস করার করার জন্য, সঠিকভাবে কনডম ব্যবহারের নিয়ম জানা আবশ্যক। আশা করি আমাদের আজকের পোস্টটি যারা মনোযোগ সহকারে প্রথম শেষ পর্যন্ত পড়েছেন, তাদের কনডম ব্যবহারের নিয়ম, কেন ব্যবহার করতে হয় এসব নিয়ে মনে কোন প্রশ্ন জাগবে না।