জ্যামিতি কাকে বলে?
জ্যামিতি কাকে বলে? | জ্যামিতির জনক কে?
জ্যামিতি শব্দটি আমরা কমবেশি সকলেই শুনেছি। শিক্ষার্থীবৃন্দ জ্যামিতি শব্দটির সাথে সুপরিচিত রয়েছে। গণিতশাস্ত্রে কমবেশি সকলেই জ্যামিতির বিভিন্ন অংশ দান করেছে। কিন্তু আমরা কি আদৌ জামাতি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জানতে পেরেছি? বা জ্যামিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি।
আর তাই আজ আমরা আপনাদেরকে জ্যামিতি কাকে বলে এবং জ্যামিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং জানা-অজানা তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন তাহলে শুরু করি জ্যামিতি কাকে বলে আমাদের আজকের বিষয়টি।
জ্যামিতি শব্দের অর্থ কি?
জ্যামিতিক শব্দটি জানার আগে আমাদের জানতে হবে জেনেটিক শব্দটি কোথা থেকে এসেছে বা কোন ভাষা থেকে এসেছে। জ্যামিতি শব্দটি এসেছে গ্রিক ভাষা হতে। যার অর্থ ভূমির পরিমাণ। আমরা জেনেটিক শব্দটি যদি ভেঙ্গে বুঝাতে যায় তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে- “জ্যা” শব্দের অর্থ “ভূমি” এবং “মিতি” শব্দের অর্থ “পরিমাণ”।
জ্যামিতি কে ইংরেজিতে জিওমেট্রি বলে। জিওমেট্রি শব্দটিও গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে। “জিও” শব্দের অর্থ “পৃথিবী” এবং “মেট্রন” শব্দের অর্থ “পরিমাপ”। সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় যে জমি বা ভূমি পরিমাপ করার জন্য সৃষ্টি হয়েছে জ্যামিতি।
আরো দেখুনঃ
জ্যামিতি কাকে বলে?
গণিত শাস্ত্রের যে অধ্যায় পাঠ করলে ভূমির পরিমাপ প্রণালী, ভূমির অবস্থান, আয়তন এবং ক্ষেত্রফল সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা পাওয়া যায় এবং বিশদভাবে পরিমাপ করা যায় তাকে জ্যামিতি বা জিওমেট্রি বলে।
আরো বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে, যে শাস্ত্র পাঠ করলে আমরা কোন বস্তু বা ভূমি বা জমির পরিমাপ নির্ধারণ করতে পারি এবং সে অনুসারে একটি নির্দিষ্ট চিত্র বাসার মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরি করে বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে পারি তাকে জ্যামিতি বলে।
জ্যামিতির জনক কে?
জ্যামিতির জনক হচ্ছেন ইউক্লিড। তিনি একজন গ্রিক পন্ডিত। তাছাড়া তিনি পরবর্তীতে গ্রিক পন্ডিত থেলস এবং পিথাগোরাসের জ্যামিতির পূর্ণতা দিয়েছেন। সেই সময়ে তিনি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।
জ্যামিতি ইতিহাস
জ্যামিতি হচ্ছে গণিত শাস্ত্রের একটি বহু প্রাচীন শাখা। আর এই যে মাটি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে জ্যামির বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন তিনি হচ্ছেন গ্রিক পন্ডিত ইউক্লিড।
আপনারা যাতে সুন্দরভাবে জ্যামিতির ইতিহাস জানতে পারেন তার জন্য আমরা জ্যামিতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। কারণ জ্যামিতির ইতিহাস বহু প্রাচীন ইতিহাস। আর তার সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের সাথে আজ জ্যামিতির ইতিহাস আলোচনা করছি-
আমরা আগেই বলেছি যে গনিতশাস্ত্রের বহু প্রাচীন একটি শাখা হচ্ছে জ্যামিতি। তৎকালীন সময়ে জ্যামিতির উদ্ভব হয় জমি পরিমাপের জন্য কিন্তু বর্তমান সময়ে জ্যামিতি শুধুমাত্র জমি পরিমাপের ব্যবহৃত হয় তেমনটা নয়। জটিল জটিল গণিতের সমস্যা সমাধানের জন্য এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করার জন্য জ্যামিতির ব্যবহার হয়ে আসছে।
জ্যামিতির জ্ঞান অর্জনের ফলে আমাদের জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছে। এছাড়াও জ্যামিতির মাধ্যমে আমরা চিন্তাশক্তির উন্মেষ এবং ও মননশীলতার উৎকর্ষ সাধন করতে পারছি।
ধারণা করা যায় যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে জ্যামিতির উদ্ভব হয়। কারণ যিশুখ্রিস্টের জন্মের বহু আগে মেসোপটেমিয়া ও ইজিপ্টের জ্যামিতির উদ্ভব হয়েছে। যদিও তখন জ্যামিতির বাস্তব প্রয়োগ ছিল না। খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে গ্রিক পন্ডিত মিলেতুসের থালেস প্রথম জ্যামিতিক ব্যবহার প্রয়োগ করতে সক্ষম হন।অন্যদিকে তার জ্যামিতির তত্ত্বের সাহায্যে পিরামিডের উচ্চতা সমুদ্রতীর থেকে জাহাজে দূরত্ব করতে সক্ষম হয়।
থেলিস গ্রিক গণিতবিদ থেলিসকে সর্বপ্রথম জ্যামিতিক প্রমাণের কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি জ্যামিতিক বিষয়ে যুক্তিমূলক প্রমাণ দেন, যার মাধ্যমে ব্যাস দ্বারা বৃত্ত সমদ্বিখণ্ডিত হয়। এরপর থেলিসের শীর্ষ পিথাগোরাস জ্যামিতিক তথ্যের বিকৃতি ঘটান।
অনুমান করা যায় খ্রিস্টপূর্ব 300 অফ গৃক পন্ডিত ইউক্লিড জ্যামিতির সূত্র কি বিক্ষিপ্ত সূত্রগুলোকে বিধিবদ্ধভাবে করেছেন। এরপর সে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে “ইলিমেন্টস” রচনা করেন। এই গ্রন্থটির ১৩ খন্ডে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই গ্রন্থটি বর্তমানে আধুনিক জ্যামিতির ভিত্তিস্বরূপ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আধুনিককালে জ্যামিতিতে অনেক ধ্যান-ধারণা ও সংযোজিত হচ্ছে। জ্যামিতি হচ্ছে একটি চিন্তা করার বিষয় যেখানে নতুন নতুন অনেক কিছু আবিষ্কৃত হচ্ছে।
তাছাড়া গনিতশাস্ত্রের যে শাখায় বিন্দু থেকে বৃত্ত পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে জ্যামিতির ব্যবহার হয়ে আসছে জ্যামিতির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ধর্ম এবং ক্ষেত্রকে পরিমাপ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ আলোচনা করে জ্যামিতির একটি নীতিমালা আবদ্ধ হচ্ছে।
উপসংহার: আশা করি আপনারা আমাদের জ্যামিতি কাকে বলে এই আরটিকেল থেকে জ্যামিতি সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন এবং জ্যামিতি কাকে বলে? জানতে পেরেছেন। আমরা আপনাদের জন্য জ্যামিতির সকল সংজ্ঞা এবং সূত্র সম্পর্কিত আর্টিকেল নিয়ে এসেছি। তাছাড়াও আপনারা জযি আরও জ্যস্মিতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।