প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম | সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
আমরা অনেকেই জানি না প্রতিবেদন কি। প্রতিবেদন কিভাবে লেখে প্রতিবেদন এর মানে কি প্রতিবেদন কেন লিখা হয় এগুলো। হয়তো প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানেনা। তাই আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেল নিয়ে এসেছি প্রতিবেদন লেখার নিয়ম। আপনারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সুন্দরভাবে পরলে জানতে পারবেন প্রতিবেদন কি কেন লেখা হয় এবং প্রতিবেদন লেখার নিয়ম ইত্যাদি। প্রতিবেদন লেখা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে প্রতিবেদন কি।
প্রতিবেদন কথাটি প্রতি এবং বেদন এ দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত। এক কথায় বলা যায় যে প্রতি উপসর্গ যোগের বেতন হল প্রতিবেদন। বেদন কথাটির আক্ষরিক অর্থ হলো জ্ঞাপন। তাহলে প্রতিবেদন অর্থ হল কারোর প্রতি কিছু জ্ঞাপন। অন্যভাবে বলা যায়।কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্য সমৃদ্ধ বিবরণ। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় Report.
আরো পড়ুন: ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম.
প্রতিবেদন কি?
প্রতিবেদন লেখার পূর্বে জেনে নেওয়া উচিত প্রতিবেদন কি। যদি আপনি কোন বিষয়ে না জানেন সে বিষয়ে সঠিক ভাবে লেখা বা ধারণা করা আপনার পক্ষে অসম্ভব। প্রতিবেদন হচ্ছে একটি ঘটনা লেখা। যেমন: আমার এলাকায় বিদ্যুৎ সবসময় থাকেনা তাই আপনি বিদ্যুতের সমস্যা জানিয়ে একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বা আপনার আশেপাশের বিদ্যুৎ অফিসে পাঠালেন। এটা হচ্ছে প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন কাকে বলে?
সুন্দর ভাবে বলতে গেলে প্রতিবেদন হলো কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেখা তথ্য সমৃদ্ধ বিবরণ কেই প্রতিবেদন বলে।প্রতিবেদন হলো এক ধরনের বিশেষ নথি যা একটি নির্দিষ্ট পাঠকের জন্য একটি সংগঠিত বিন্যাসে তথ্য উপস্থাপন করে।
প্রতিবেদনের প্রকারভেদ
প্রতিবেদন সাধারণত তিন প্রকার। চলুন তাহলে নিচের তিন প্রকার প্রতিবেদনের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- সংবাদ প্রতিবেদন।
- প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন।
- সম্পাদকীয় প্রতিবেদন।
সংবাদ প্রতিবেদন:
যে প্রতিবেদনগুলো সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য লেখা হয় তাকে সংবাদ প্রতিবেদন বলে।
এক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিবেদক ও সংবাদ দাতা থাকে এছাড়াও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে ওয়েবসাইট বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। শিরোনাম ছাড়া সংবাদপত্রের প্রতিবেদন তৈরি হয় না। সংবাদ প্রতিবেদনের শিরোনাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাঠক খবরটি পড়বে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেয় খবরের শিরোনাম দেখেই। এই পর্ব টা শুরু হয় প্রতিবেদক এর পদবী নাম ঘটনাস্থল এবং সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু নিয়ে। এই পর্বটা হয় 2-3 লাইনের। এর পরের অংশে থাকে প্রতিবেদন এর বিস্তারিত বর্ণনা।
উদাহরণ
ত্রান নয়, টেকসই ক্রসবার বাধ চাই।
আনোয়ার হোসেন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রতিবছরই বর্ষাকালে সিরাজগঞ্জের নদীর পাড়ের মানুষের দুঃখ আমাদের চোখে পড়ে। যমুনার পানি ও বাড়তে থাকে সেই সাথে বাড়তে থাকে সেখানকার মানুষের দুঃখ কষ্ট ও আহাজারি।
প্রতিবছরই বর্ষাকালে যমুনা নদীর পাড় ভাঙ্গে। সেখানকার মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। ভিটেমাটি হারা হয়ে যায় সেখানকার মানুষজন। তবে ত্রান সামগ্রী আসে অনেক। চলতে থাকে কয়েকদিন যাবত এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উৎসব। পানি কমে গেলে ভিটেমাটি হীন মানুষের খোঁজ নেয় মত আর কেউই থাকেনা।
বছর ঘুরে আবার বর্ষাকাল আসে। সেই আবার নদী ভাঙ্গন হয়। সাধারণ মানুষ তাদের ভিটেমাটি হারায়। অনেক ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এভাবেই চলতে থাকে তাদের বছরের পর বছর।
যমুনা নদীর ভাঙ্গনে অসহায় মানুষগুলো এখন আর ত্রাণসামগ্রী চায় না। চায় এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান।
তাদের একটাই দাবি উজানে টেকসই ক্রসবার বাঁধ নির্মাণ করলে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যেতে পারে।
ভিটেমাটি হারা অনেক মানুষই দেখা গেছে আশেপাশের গ্রামগুলোতে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তাদের সাথে প্রতিবেদককে দেখা হলে তারা প্রতিবেদক এর মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন করে এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান করার জন্য।
প্রতিবেদক এর নাম: আনোয়ার হোসেন
ঠিকানা: সিরাজগঞ্জ সদর
প্রতিবেদনের শিরোনাম:ত্রান নয়, টেকসই ক্রসবার বাধ চাই।
প্রতিবেদন তৈরীর সময়: দুপুর 2 টা
প্রতিবেদন তৈরীর তারিখ: 13 ই আগস্ট 2020
প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন:
কোন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো স্থানের কার্যাবলী ঘটনা বা অবস্থা বা মিটিং সিদ্ধান্ত ইত্যাদি যাচাই করে যে তথ্য তুলে ধরে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয় তাকেই প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন বলে। এ জাতীয় প্রতিবেদন শুরু হয় “বরাবর প্রধান শিক্ষক” দিয়ে। এরপর প্রতিবেদনের শিরোনাম লিখবে। শিরোনাম লেখার পরেই মিল রেখে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা লিখবে।
তারিখ,
প্রধান শিক্ষক
‘চ’ স্কুল এন্ড কলেজ ঢাকা
বিষয়: বিদ্যালয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন।
জনাব,
সম্প্রতি সমাপ্ত,,,,,,,( অনুষ্ঠানের বিবরণ, শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা, স্থানের সূচিসহ সারমর্ম উল্লেখ করে বেশ বিস্তারিতভাবে প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে হবে)
প্রতিবেদক এর নাম ও ঠিকানা:
প্রতিবেদনের শিরোনাম:’চ’ স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত।
প্রতিবেদনের সময়:
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন হয়ে থাকে:
- বার্ষিক প্রতিবেদন।
- বইয়ের প্রতিবেদন।
- হিসাবে প্রতিবেদন।
- দোকানের প্রতিবেদন।
- ঋণের প্রতিবেদন।
- দর্শনের প্রতিবেদন।
- সামরিক প্রতিবেদন।
- পুলিশ প্রতিবেদন।
- আইনে প্রতিবেদন।
- তদন্ত প্রতিবেদন।
- মূল্যায়ন প্রতিবেদন।
- কর্মসংস্থানের প্রতিবেদন।
- শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন।
আরো দেখুনঃ দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী.
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
আমরা নিয়মিত খবরের কাগজে চোখ বুলালেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন দেখতে পাই। সংবাদপত্র ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বা বাংলা পরীক্ষায় প্রতিবেদন লেখা হয়। আপনি যদি প্রতিবেদন লেখার সম্পুর্ণ নিয়ম জানেন তাহলে পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখতে পারবেন। প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণ করতে হবে। সঠিক কাঠামো ছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন রচনা করা সম্ভব নয়। এতে শিরোনাম, প্রাপকের নাম- ঠিকানা, বিষয়ের সূচিপত্র, বিষয়বস্তু, তথ্যপঞ্জি, স্বাক্ষর, তারিখ ইত্যাদি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিবেদন মানে একটি সত্য ঘটনাকে তুলে ধরা।নির্ভুল নিরপক্ষ তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন রচনা করতে হবে। ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে তথ্য সংগ্রহ করা থেকে উল্লেখ করা পর্যন্ত। প্রতিবেদন রচনা ক্ষেত্রেই স্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। এছাড়া নজর রাখতে হবে বানানের দিকেও। প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে অল্প সময়ে সবচেয়ে বেশি তথ্য তুলে ধরতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা যাবেনা। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে পাঠক খুব সহজেই বুঝতে পারেন।প্রতিবেদনের উপসংহারে সুপারিশ সংযোজন করতে হবে। যাতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সমস্যা সম্পর্কে সিদ্ধন্ত গ্রহন করতে পারে এবং যথাযথ সমাধান দিতে পারে। প্রতিবেদন রচনা ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে। সেগুলো হলো:
আকর্ষণীয় শিরোনাম: প্রতিবেদন সফল করতে হলে সর্বপ্রথম যেই জিনিসটা দরকার সেটি হল প্রতিবেদনের সুন্দর একটি শিরোনাম। শিরোনাম সুন্দর হলে পাঠক প্রতিবেদনটি পড়তে খুব আগ্রহী হবেন। এই জন্য প্রতিবেদনের শিরোনাম টি খুব আকর্ষণীয় হওয়া জরুরী।
সারাংশ: শিরোনামঃ শেষ করেই একটি ছোট সারাংশ দিতে হবে পাঠক সারাংশ পাঠ করেই প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা অর্জন করবে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সারাংশ না দিলেও সমস্যা নেই।
ভূমিকা: ভূমিকা দিয়ে প্রতিবেদন শুরু করতে হবে এখানে মূল বিষয়বস্তুর সাথে পাঠকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
প্রতিবেদক এর নাম: যে কোন সংবাদপত্রে একটু লক্ষ করলেই দেখতে পাবেন সেখানে প্রতিবেদক এর নাম লেখা থাকে। আবার কিছু কিছু প্রতিবেদনে প্রতিবেদক এর নাম না দিয়ে সেখানে লেখা থাকে নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রতিবেদনের স্থান: প্রতিবেদক যে স্থান থেকে প্রতিবেদনটির লিখছে সেই স্থানের নাম লিখতে হবে।
তারিখ: তারিখ বিভিন্নভাবে লেখা গেলেও তা পুরোপুরি বাংলাতে লিখতে হবে।
সহজ ভাষা প্রয়োগ: প্রতিবেদন লেখার সময় অবশ্যই সহজ ভাষা প্রয়োগ করতে হবে। যাতে পাঠক খুব সহজেই প্রতিবেদন বুঝতে পারেন। অতিরিক্ত শব্দ লেখার প্রয়োজন নেই।
যথাসম্ভব বাক্য সংক্ষেপ: প্রতিবেদনে কোন বাক্য সংক্ষেপে প্রকাশ করা গেলে অতিরিক্ত শব্দ যোগ করার কোন প্রয়োজন নেই। প্রতিবেদন যথাসম্ভব বড় হলে পাঠকের প্রতিবেদন পড়ার আগ্রহ টা কমে যায়। তাই বাক্য যথাসম্ভব সংক্ষেপণ এর মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।
নিরপেক্ষ তথ্য প্রদান:প্রতিবেদনের প্রতিটা তথ্য হবে নিরপেক্ষ। কোনো পক্ষপাতিত্ব হয়ে প্রতিবেদন করা যাবে না।
অনুমান করে না লেখা: কোন তথ্য অনুমান করে লেখাটা উচিত নয়। উপসংহার ও অনুমান করে লেখা যাবে না। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতেই লিখতে হবে। প্রতিটা তথ্যের জন্য আলাদা প্যারাগ্রাফ তৈরি করা যথাসম্ভব আলাদা প্যারাগ্রাফ এ তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে হবে। সহজেই বুঝতে পারবে।
নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য বর্ণনা: যথাসম্ভব নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। অযথা বা অকেজো তথ্য উপস্থাপন করে প্রতিবেদন বড় করা যাবে না।
উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবেদন তৈরি করলে প্রতিবেদনটি খুব সুন্দর হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েই চলেছে ।মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য বেঁচে থাকাটা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য মানুষ না খেয়েও দিনরাত পার করে। সাধারণ জনগণের জন্য এটা খুবই দুঃসময়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলো যেমন- চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, সবকিছুর দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। মূল্যের ঊর্ধ্বগতি মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষের জীবনযাত্রায় ঠিক কতটা প্রভাব ফেলেছে তার টিসিবির সিরিয়ালের মানুষ দেখলেই বোঝা যায়। খোলা বাজারে ভোজ্য তেলের দাম টা যেন ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সাধারণ মানুষের একটাই কথা এই স্বল্প বেতন দিয়ে তারা কিভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলো এরকম উচ্চগতিতে বাড়া দর দিয়ে কিনবেন।
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক ,,,,,
বিষয়:দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে
জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জনজীবনে দুর্ভোগ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। আশা করছি এই প্রতিবেদনটি বিবেচ্য হলে আপনার বহুলব্যবহৃত পত্রিকায় প্রকাশ করবেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে দুর্ভোগ। সম্প্রতি জনসাধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্র গুলোর ঊর্ধ্বগতিতে মূল্য বৃদ্ধিতে জনসাধারণের জন্য নেমে এসেছে তাদের জীবনে চরম দুর্ভোগ। বর্তমানে বেশিরভাগ দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অপ্রত্যাশিত এমন মূল্যবৃদ্ধি এ দেশে নতুন নয়। প্রতিদিন বাজারে ঢুকলেই দেখা যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর দাম। অনেক সময় দাম বাড়ার যুক্তি কোন কারণ থাকে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অভিজ্ঞমহলের সুদৃষ্টি অবশ্যই থাকা উচিত।
প্রতিবেদক এর নাম:
ঠিকানা:
প্রতিবেদনের শিরোনাম:
প্রতিবেদনের সময়:
প্রতিবেদনের তারিখে:
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
16 ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। 1971 সালের এই দিনে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই যুদ্ধ ছিল মাতৃভাষা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের যুদ্ধ। এই যুদ্ধটি ছিল ন্যায়ের যুদ্ধ।পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ। লক্ষ নারী পুরুষ পাক হানাদার বাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করেছে দীর্ঘ 9 মাস। 1971 সালের এই দিনে বাঙালিরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। 2021 সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ।
আমাদের কাছে শুধুমাত্র 2021 সালেই নয় আমাদের কাছে প্রতিবছরই 16 ই ডিসেম্বর আনন্দের একটি দিন। এ দিনে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির প্রধান রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। হাজারো জনতার ভিড় হয় এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য।
23 ফেব্রুয়ারি 2018
প্রধান শিক্ষক
‘গ’ স্কুল ঢাকা
বিষয়: বিদ্যালয়ে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে প্রতিবেদন
জনাব,
সম্প্রতি সমাপ্ত,,,,,,,( অনুষ্ঠানের বিবরণ, শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা, স্থানের সূচিসহ সারমর্ম উল্লেখ করে বেশ বিস্তারিতভাবে প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে হবে)
প্রতিবেদক এর নাম ও ঠিকানা:
প্রতিবেদনের শিরোনাম:’গ’স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
প্রতিবেদনের সময়:
আরো দেখুনঃ প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম.
প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
সাধারণত আমরা যে প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকি সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা, মিটিং, বিভিন্ন কার্যাবলী, সিদ্ধান্ত, অবস্থা,বা বিষয় বা প্রসঙ্গের ইত্যাদি সম্পর্কে যে প্রতিবেদন লেখা হয় তাকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন বলে। এ ধরনের প্রতিবেদন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে লেখা হয়। এই প্রতিবেদন কোন গ্রন্থাগার বা বার্ষিক মিটিং সম্পর্কেও হয়ে থাকে আবার কোন দ্বিবার্ষিক সম্পর্কিত প্রতিবেদন হয়ে থাকে। চলিত ভাষায় এজাতীয় প্রতিবেদনকে নোটিশ বলা হয়।এ জাতীয় প্রতিবেদন শুরু হয় “বরাবর প্রধান শিক্ষক” দিয়ে। এরপর প্রতিবেদনের শিরোনাম লিখবে। শিরোনাম লেখার পরেই মিল রেখে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা লিখবে।
তারিখ,
প্রধান শিক্ষক
‘চ’ স্কুল এন্ড কলেজ ঢাকা
বিষয়: বিদ্যালয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন
জনাব,
সম্প্রতি সমাপ্ত,,,,,,,(অনুষ্ঠানের বিবরণ, শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা, স্থানের সূচিসহ সারমর্ম উল্লেখ করে বেশ বিস্তারিতভাবে প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে হবে)
প্রতিবেদক এর নাম ও ঠিকানা:
প্রতিবেদনের শিরোনাম:’চ’ স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত
প্রতিবেদনের সময়:
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
আজকাল সড়ক দুর্ঘটনায় একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সারাদেশে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে সড়ক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক। দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন বয়স ও বিভিন্ন পেশার মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য প্রায় প্রতিদিনই হারাতেও হচ্ছে আপনার আমার প্রিয় মানুষটিকে। আত্মীয়-স্বজন, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী, প্রিয় ব্যক্তিত্ব, বন্ধুবান্ধব অনেককেই হারাতে হচ্ছে এই সড়ক দুর্ঘটনায়। এই সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে অসচেতনতা বা সচেতন না থাকার জন্য।
আর এর থেকে সৃষ্ট অন্যান্য কারণগুলো হচ্ছে- অসতর্কতা, ড্রাইভারদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, তান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামানো, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, অপূর্ণ অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট, লাইসেন্সের কারচুপি, অদক্ষ চালক দারা গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহার করা বা ফোনে কথা বলা, নেশাগ্রস্থ হয়ে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন না মানা। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবার আগে যেটা প্রয়োজন তাহলো নিরাপদ সড়ক।
সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে জনগণকে সচেতন করা। সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানো, নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি না চালানো, গাড়ি চালানোর সময় ফোন ইউজ না করা এবং ফোনে কথা না বলা, ট্রাফিক আইন মেনে চলা, দক্ষ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো, গাড়ি ত্রুটি আছে এমন গাড়ি রাস্তায় না নামানো ইত্যাদি নিয়মগুলো মেনে চললেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ কিছুটা হলেও সম্ভব।
তারিখ:9 সেপ্টেম্বর 2021
জেলা প্রশাসক
বগুড়া
বিষয় সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন
জনাব
আপনার পত্র,,,,,, তদন্ত প্রতিবেদনটি পেশ করা হল(2-3 লাইন)।
‘প’ (প্রতিবেদক এর নাম)।
বনানী, বগুড়া,( ঠিকানা)।
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু আর কত!! শিরোনাম
কাঠামো অবলম্বন করে বর্ণনা করতে হবে এবং শেষের দিকে পয়েন্ট করে প্রতিকার লিখতে হবে।
প্রতিবেদক এর নাম:
প্রতিবেদনের ঠিকানা: বনানী, বগুড়া
প্রতিবেদনের শিরোনাম: সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু আর কত
প্রতিবেদনের সময়: রাত 8:টা
প্রতিবেদনের তারিখ: 2 জুলাই 2019
প্রতিবেদনের কিছু অংশ
শিরোনাম:
প্রতিবেদক এর নাম:
স্থান:
সময়:
তারিখ:
একটি প্রতিবেদনে এই চারটি মৌলিক বিষয় থাকতে হবে। চারটি বিষয় ছাড়া একটি প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ। সেইসাথে চারটি বিষয় নিয়ম অনুযায়ী সুন্দর ভাবে লিখতে হবে।
প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিবেদনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যবসায়-বাণিজ্য,আইন-আদালত ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও। পূর্বে শুধুমাত্র আমরা পত্রিকায় প্রকাশিত বিবরণী কেই প্রতিবেদন বলতাম। কিন্তু বর্তমানে একজন প্রতিবেদক বা পেশাগত সাংবাদিক ছাড়াও সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিবেদন এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। প্রতিবেদন লেখার মাধ্যমে মানুষ তার নিজস্ব চিন্তাধারা তুলে ধরতে পারে। কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে এবং নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারে।
উপসংহার: আশা করি উপরের প্রতিবেদন লেখার নিয়ম আর্টিকেলগুলো আপনারা এখন থেকে প্রতিবেদন সুন্দর ও গুছিয়ে লিখতে পারবেন। এখন আপনারা জেনেছেন প্রতিবেদন লেখার নিয়ম। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলেই আপনার প্রতিবেদনটি খুব সুন্দর হবে। এভাবে প্রতিবেদন লিখলে আপনার প্রতিবেদনটি সত্যিই খুব অসাধারণ হবে।