সাহিত্য কাকে বলে?
সাহিত্য কাকে বলে? | সাহিত্য কত প্রকার ও কি কি?
আমাদের ভাষা বাংলা। আমরা বাংলা ভাষাভাষীর মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব, আবেক একজন অন্যজনের কাছে প্রকাশ করে থাকি। আর এই প্রকাশটাই যখন বিশেষ কোনো ভাবে সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে লিখিত আকারে প্রকাশ হয় ঠিক তখনই এটিকে সাহিত্য হিসেবে ধরা হয়। সাহিত্য শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই সাহিত্য শিল্পের মাধ্যমেই একটি সাধারণ লেখনী কে করে তোলা হয় ভিন্ন কিংবা অসাধারণ। যা শুধুমাত্র সাহিত্যের মাধ্যমেই সম্ভব।
আজকের এই আর্টিকেল জুড়ে থাকছে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। সাহিত্য কাকে বলে, সাহিত্য কত প্রকার বা কি কি সকল কিছুই আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে। আশা করছি, সাহিত্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আরো নিখুঁত ধারণা পাবেন সহিত্য সম্পর্কে। চলুন তাহলে প্রথমেই জেনে নেই, সাহিত্য কাকে বলে।
আরো পড়ুন: অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
সাহিত্য কাকে বলে?
সাহিত্য এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Literature. সাহিত্য শিল্পের একটি বড় অংশ হিসেবে পরিচিত। আর এই সাহিত্য নিয়ে যদি সহজ করে বলি, যেখানে শিল্পের ছোঁয়া দিয়ে একটি সাধারণ লেখনীকে যখন অন্যসব লেখনী থেকে আলাদা করে তোলা হয় তাকেই সাহিত্য বলে। সাহিত্য এর গোঁড়াপত্তন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। আর এই গোড়পত্তনের জন্যই বাংলা ভাষায় যেনো আরো সৌন্দর্য ছুঁয়ে গেছে।
সাহিত্য কত প্রকার ও কি কি?
সাহিত্য কাকে বলে এরপরে মূলত জানার আগ্রহ হয়ে উঠে সাধারণত এর প্রকারভেদ নিয়ে। যেমন, সাহিত্য মূলত দু’প্রকার। যথাঃ
- দেশি বা স্থানীয় সাহিত্য। এবং
- বিশ্ব সাহিত্য বা বিদেশি সাহিত্য।
আবার ধরণ অনুযায়ীও সাহিত্য দু’প্রকার। যেমনঃ
- পদ্য এবং
- গদ্য।
অনেকে আবার ‘নাটক’ কেও সাহিত্যের একটি প্রধান শাখা হিসেবে দেখে থাকে।
সাহিত্য কেনো পড়া উচিৎ?
সাহিত্য কাকে বলে ঠিক এরপরেই যদি আলোচনা করতে চাই তবে তা হতে পারে সাহিত্য কেনো পড়া উচিৎ সকলের। আসলে, যেকোনো লিখা আনন্দের জন্য মূলত পড়া উচিৎ সকলের। আর এই আনন্দ লাভ হয় সাহিত্য পড়াকালীন। সাহিত্যই একমাত্র পারে লিখাকে আনন্দময় করে তুলতে। এছাড়াও সাহিত্যকে বলা হয় সমাজের একটা আয়না। যেখানে সমাজের বিভিন্ন প্রতিবিম্ব ফুটে উঠে এই সাহিত্যের মাধ্যমে। আর এই সাহিত্য পড়াকালীন আপনি সমাজের বিভিন্ন রূপ চোখের সামনে দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, চোখের সামনে ভেসে উঠবে সেই সময়কার পরিস্থিতি, ন্যায়-অন্যায় প্রভৃতি।
ফলে আপনার মনে এবং চিন্তার স্বাস্থ্য গঠণ, আত্মউপলব্ধি হয়। তাছাড়া নিজের মধ্যে শব্দভান্ডারও বেড়ে যায়। সাহিত্য আপনাকে ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে জ্ঞাত করবে। আর তাই প্রতিনিয়তই সাহিত্য চর্চা করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এবার চলুন, বাংলা সাহিত্য নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
বাংলা সাহিত্য
বাংলা সাহিত্যের গোড়াপত্তন হয়েছে খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। হিন্দুধর্ম, ইসলাম এবং তৎকালীন বাংলার লৌকিক কাহিনীসমূহ নিয়ে গড়ে উঠেছিল বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীনতম নিদর্শন হচ্ছে চর্যাপদ।
একেবারে শুরুর দিকে বাংলা সাহিত্যের শিল্পকর্মগুলো ছিল – রামায়ণ, মহাভারত বঙ্গানুবাদ, মঙ্গলকাব্য, শাক্তপদাবলি, বৈষ্ণব পদাবলি, নাথসাহিত্য, বাউল পদাবলি, পীরসাহিত্য এবং ইসলামি ধর্মসাহিত্য।
সময়ের সাথে সাথে বাংলা সাহিত্য আধুনিকতার দিকে ধাবিত হয়। আর এই আধুনিকতার শুরু হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। এভাবেই ধীরে ধীরে শুরু হয় নতুন যুগের। অর্থাৎ, বাংলা সাহিত্যের নতুন যুগ। আচ্ছা, বাংলা সাহিত্য মূলত কাকে বলে?
সাধারণত, বাংলা ভাষায় যে সব গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস রচিত হয়েছে তাকেই বাংলা সাহিত্য বলে। এবং বাংলা সাহিত্য কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যথাঃ
- (০১) আদি যুগ,
- (০২) মধ্য যুগ এবং
- (০৩) আধুনিক যুগ। আর এভাবেই বাংলা সাহিত্যের অগ্রগতি।
আরো দেখুনঃ
সবশেষে বলা যায়, সাহিত্য এমন এক বিষয় যা মানুষের অন্তর্দৃষ্টি প্রসারিত করে, মনে আনন্দ দেয়। মানব জীবনের অনুভূতিও প্রতিফলিত হয় প্রতিনিয়ত। যার ফলে সাহিত্য চর্চা করাটা অতীব জরুরী সকলের জন্য।