জাতীয়তাবাদ কি? | জাতীয়তাবাদ বলতে কি বুঝায়
জাতীয়তাবাদ কি/ জাতীয়তাবাদ কাকে বলে/ জাতীয়তাবাদ বলতে কি বুঝায়
প্রতিটি দেশের নিজস্ব জাতীয়তা রয়েছে ,আর এই জাতীয় তাকে মূলত জাতীয়তা বাদী হিসেবে বলা হয়। কিন্তু জাতীয়তাবাদ সম্পন্ন একটি মানুষের ধারণা। আপনাদের যাদের কাছে জাতীয়তাবাদ কি স্পষ্ট নয় তাদের কাছে আজ আমরা জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ ইতিহাসের নানা বিবর্তনের ফলে দীর্ঘকাল ধরে মানুষের চেয়ে সম্প্রদায় চলে আসছে সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয়েছে তা আমরা সকলে জানতে পারলেও যারা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় তাদের কাছে আজ আমরা জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে আজ আমরা জেনে নেই জাতীয়তাবাদ কি এবং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে।
আরো দেখুনঃ ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস?
জাতীয়তাবাদ কি? | জাতীয়তাবাদ কাকে বলে?
জাতীয়তাবাদ শব্দটিকে যদি আমরা সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ করি তাহলে এর অতি সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে একটি মানসিক ধারণা। প্রতিটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লড়াই চলছে, আর এই লড়াইয়ে গুলোর মধ্যে অন্যতম লড়াই এর উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয়তাবাদ। আপনারা একটি বিষয়ে সকলেই হয়তো জানেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ ছিল জার্মান জাতীয়তাবাদ এর মূখ্য ভূমিকা। এছাড়া আমরা যদি নিজের দেশের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে সহজেই জেনে নিতে পারব আমাদের বাঙ্গালীদের যুদ্ধের মূল ভূমিকা ছিল ভাষা এবং জাতীয়তাবাদ অর্জন করা।
জাতীয়তাবাদ হচ্ছে এমন একটি আদর্শ বা বিশ্বাস যেখানে আপনি যে দেশে জন্মাবেন সেদেশের জাতীয়তাবাদ অর্জন করতে পারবেন এবং আপনার যা জাতি হবে পৃথিবীর অন্য সকল জাতির থেকে ভিন্ন এবং শ্রেষ্ঠ। কারণ আপনার জাতির কিছু ও সাংস্কৃতিক, ধার্মিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ রয়েছে যা অন্য সকল জাতির থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে।
মূলত জাতীয়তাবাদ হচ্ছে এই ভাবাদর্শ যা একটি জাতির জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, ভক্তি এবং সম্মানের উপর জোর দেয় এবং নিজের গোষ্ঠীর সাথে অন্যান্য গোষ্ঠীর পরিচয় এবং অস্তিত্ব পাওয়া যায়। জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা ডিগ্রি রাষ্ট্রবিজ্ঞান জে. এইচ হায়েস বলেন যে, ”Nationalism consists of modern emotional fusion and exaggeration of two very old phenomena-nationality and patriotism.”
সুতরাং আধুনিক সংবেদনশীলতার সাথে সংমিশ্রণ হয়ে অতিরঞ্জন দুটি অতিপ্রাচীন ঘটনা এবং জাতীয়তা সেইসাথে দেশপ্রেম নিয়ে যে নিজের একটি সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে একটি জাতি তৈরি হয় সকলের মধ্যে নিজেদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মত সংবেদনশীল প্রক্রিয়াকে মূলত জাতীয়তাবাদ হিসেবে বলা হয়ে থাকে।
জাতীয়তাবাদের প্রকারভেদ
পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের জাতি রয়েছে। আর এই সকল জাতির বৈশিষ্ট্য একেক রকম হয়ে থাকে, কোন জাতির বৈশিষ্ট্য কোন জাতির সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই আজ আমরা আপনাদের সামনে এমন কিছু জাতির জাতীয়তাবাদ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যা সকলের কাছে অতি পরিচিত। নিম্নে কিছু জাতীয়তাবাদের প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলো-
- জাতিগত।
- সম্প্রসারণবাদ।
- সাংস্কৃতিক।
- ধর্মীয়।
- ভাষাগত।
- উত্তর ঔপনিবেশিক।
- উদার।
- বামপন্থী।
- আদর্শিক।
আরো দেখুনঃ
উপসংহারঃ আপনারা যারা জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে জানতেন না তারা এখন জাতীয়তাবাদ কি তা জানতে পেরেছেন আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে। আপনারা এরকম বহু অনেক কিছু জানতে পারবেন যা আমরা আপনাদেরকে পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দিব এবং ইতিমধ্যে আমরা আপনাদেরকে এমন নানা ধরনের শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আলোচনা করেছি যা আপনাদের প্রতিনিয়ত প্রয়োজনে আসবে।
প্রতিটি জাতির কাছে জাতীয়তাবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিটি জাতির অবগত হওয়া উচিত বলে প্রতিটি জাতি জাতীয়তাবাদ নিয়ে প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে লড়াই করে যাচ্ছে। আপনারা যদি ইতিহাস সম্পর্কিত আরো অন্য কোন তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন অথবা জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।