vlxxviet mms desi xnxx

বাল্য বিবাহ কাকে বলে? | বাল্য বিবাহ এর শাস্তি

0
Rate this post

বাল্য বিবাহ কাকে বলে? | বাল্য বিবাহের কারণ | বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন | বাল্য বিবাহ এর শাস্তি

আমাদের মধ্যে অনেকে ব্যক্তি যারা আসলে বাল্য বিবাহ কাকে বলে? বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন এবং এর শাস্তি সম্পর্কে তেমন কিছু একটা জানে না। কিন্তু বিবাহ আপনার বা আমার সকলের জীবনের সেরা একটি দিন। মূলত বিবাহ দু’জন ব্যক্তির মধ্যে সম্পূর্ণ হয়, যাঁরা তাদের বাকি জীবন একসাথে সুখে কাটাতে চায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আমাদের দেশের মেয়েদের খুব অল্প বয়সে বিবাহ হয়ে থাকে। যেখানে বাবা-মা বিয়ের ব্যবস্থা করে, জোরপূর্বক মেয়েদের বিয়ে দিয়ে থাকে।

“বিবাহের জন্য খুব কম বয়সী” বা ” মেয়েরা নববধূ নয়” এর মতো বাক্যাংশগুলো অনেক হৃদয় বিদারক। কিন্তু বর্তমান এমন ঘটন চোখের সামনে অহরহ ঘটেছে। বাল্যবিবাহ বর্তমানে খুবই সাধারণ। তবে এটি নিঃসন্দেহে অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মতো আমাদের দেশেও বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ। তাই বাল্য বিবাহ কাকে বলে? বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আজকের আর্টিকেল পড়ুন।

আরো দেখুন: অনিয়মিত মাসিক হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়

বাল্য বিবাহ কাকে বলে?

বাল্য বিবাহ কাকে বলে? বাল্য বিবাহ হল এমন বিবাহ যেখানে অন্ততপক্ষে একজন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। কারণ ১৮ বছর পর্যন্ত মূলত শিশুকাল বলা হয়। এটি এমন একটি বিয়ে যেখানে উভয় পক্ষের একজন বা উভয় পক্ষের পূর্ণ সম্মতি নেই। শুধুমাত্র সামাজিক এবং পারিবারিক চাপের ফলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু জোরপূর্বক বিবাহ মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে, মেয়েরা সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের শিকার হয়ে থাকে। এক জরিপে দেখা গেছে, আমাদের দেশে চারটি বিয়ে হলে তিনটি বিয়েই বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত। বাল্যবিবাহের ফলে মেয়েরা তাদের শৈশব হারায়, সহিংসতা এবং দাসত্বের মুখোমুখি হয়। তারা একটি ছোট মেয়ে থাকা অবস্থায় নারীতে রুপান্তরিত হয়।

লোকমুখে এখন শোনা যায়, মেয়েরা না-কি পরিবারের বোঝা। এজন্য তাদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া হয়। কারণ তাদের প্রধানত কাজই হল, স্বামীর খেদমত করা, সন্তান লালন-পালন করা। যার ফলে মেয়েদের একটু বয়স হলেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ে হলেই তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। এরপর তারা তাদের বন্ধু বা পরিবারের সাথে ঠিক মতো দেখা করতে পারে না।

তাছাড়া শ্বশুর বাড়িতে সবার সম্মান তাকেই রাখতে হয়। কিন্তু তার সম্মানের কথা কেউ ভাবে না। এভাবে দিনের দিনের পর তারা শোষণের শিকার হয়। তাদের কিছুই বলার থাকে না। আপনারা যাঁরা জানতেন না, বাল্য বিবাহ কাকে বলে? আশা করি এখন জানতে পারছেন। 

বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন

বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ ও মাতৃত্বের একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মুসলিম পরিবার অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ এ পুরুষদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ২১ বছর এবং মেয়েদের ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই আইনকে কিছুটা উপেক্ষা করা হয়েছে। কারণ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এ আদালত ” বিশেষ ক্ষেত্রে ” বাল্য বিবাহের অনুমতি দিতে পারে। এই ” বিশেষ ক্ষেত্রে ” কী হতে পারে সেটা আদালত এখনও স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করে নিই। 

যার ফলে এখনও বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাল্য বিবাহ দেখা যায়। তাঁরা জানেই বাল্য বিবাহ কাকে বলে বাল্য বিবাহ কি? এতে মেয়েদের কি ধরনের অসুবিধা হতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখানে জাতিসংঘের চুক্তিপত্র অনুযায়ী,  শিশুদের সুরক্ষা ও সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সরকার আসলে কি এসব দেখছে? এতে করে মানুষ বিয়ের নূন্যতম বয়সের কথা ভাবছেই না। জন্মের সময় বা বিয়ের বয়সের নিবন্ধন যথাযথভাবে অনুসরণ ও রক্ষাণাবেক্ষন করা হচ্ছে না।বাল্য বিবাহের কারণ

বাল্য বিবাহের কারণ

বাল্য বিবাহ কাকে বলে বাল্য বিবাহ এখনও কেন প্রচলিত তার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। চলুন জেনে নিই সেসব কারণগুলো-

দেখুন: গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ

সংস্কৃতি ও লিঙ্গ ভূমিকা:

অধিকাংশ সমাজ যেখানে বাল্য বিবাহ বিদ্যমান, সেখান নারীদের চেয়ে পুরুষদের অধিকার বেশি দেওয়া হয়। কারণ মেয়েদের পরিবারের বোঝা হিসেবে ধরা হয়। তাঁরা শুধু স্বামীর সেবা যত্ন করবে, সন্তান লালন পালন এবং তাদের দেখা শোনা করবে। পরিবারের কোন ক্ষেত্রে তাদের মতামত নেওয়া হয় না। যার বলে বাল্য বিবাহ এখনও দেখা যায়।

সুরক্ষা:

বাল্য বিবাহের বিশেষ  কারণ হল বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক থেকে সন্তানকে রক্ষা করা। এজন্য পিতামাতা তাঁর কুমারীত্ব রক্ষা করার জন্য তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেন। তাছাড়া অন্য পুরুষ মানুষের বিয়ের আগে কথা অনৈতিক ও অনুপযুক্ত হিসেবে দেখা হয়। কারণ পিতামাতা চায় না তাঁর মেয়ের জন্য পরিবারের সম্মান নষ্ট হোক। এজন্য মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু পিতা মাতা আসলে যদি বুঝতো বাল্য বিবাহ কাকে বলে? এর ফলে তার মেয়ের যে নানা ধরনের অসুবিধা হবে। তাহলে অবশ্যই বিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবতো।

দারিদ্র্য:

বাল্য বিবাহের প্রধান কারণ হল দারিদ্র্য। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তাই পিতা-মাতা তার শিশু অর্থাৎ মেয়েদের আর্থিক বোঝা হিসেবে দেখে। তাঁরা মনে করে বিবাহ দিয়ে দিলেই তাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পরিবারের একজন সদস্য কমে গেলে তাদের খাদ্য, শিক্ষার দেওয়ার একজন লোক তো কমে যাবে। এর প্রধান কারণ তাঁরা অশিক্ষিত এবং এসব বাল্য বিবাহ কাকে বলে জানেই না।

যৌতুক:

বিবাহ হলে যৌতুক দিতে হবে এটা তো আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে পুরো মিশে গেছে। মেয়ে পক্ষ গাড়ি, বাড়ি, টাকা-পয়সা দিবে ছেলে পক্ষকে। তবে এই যৌতুকের পরিমাণ কম হবে যদি মেয়ের বয়স কম হয়। এজন্য পিতামাতা তাঁর সন্তানকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয় যৌতুক থেকে বাচতে। তাছাড়া যৌতুল যদি ঠিক মতো প্রদান না করতে পারে, তাহলে মেয়েদের উপর নির্যাতন করা হয়। বাল্য বিবাহ কাকে বলে না জানার কারণে এর ফলে অনেকে মেয়ে মারাও যায়। 

আরো দেখুনঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ

বাল্য বিবাহ এর শাস্তি

সরকার বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা চালু করেছেন ৷ যাতে বাল্য বিবাহ কমানো যায়। চলুন সেই শাস্তি গুলো জেনে আসি-

  • পুরুষের ক্ষেত্রে একুশ বছরের কম বয়স এবং নারীদের ক্ষেত্রে আঠারো বছরের কম বয়স ব্যক্তির সাথে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন করলে সেই ব্যক্তির শাস্তি হিসেবে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। সাথে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা এবং  উভয় দন্ড দেওয়া হবে।
  • কোন ব্যক্তি জেনে শুনে যদি বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সেই ব্যক্তির মোট দুই বছরের জেল হতে পারে। সাথে পঞ্চাশ হাজার টাকাও জরিমানা হতে পারে। তাই যাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচালনা করেন তাঁরা আগে নিশ্চিত হয়ে নিবেন বিয়েটা বাল্য বিবাহ কি-না।
  • কোন অভিভাবক ইচ্ছা করে বা আশেপাশে কোন আত্মীয়-স্বজনদের প্ররোচনায় পরে যদি বাল্য বিবাহ দিতে চান। তাহলে তাদের দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হবে। সাথে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয়

মেয়েরা কখন বিয়ে করবে, কাকে বিয়ে করবে এগুলো বেছে নেওয়ার অধিকার প্রতিটা মেয়ের থাকা উচিত। আইন দ্বারা বাল্য বিবাহ নিষেধ করা হয়েছে তবুও বাল্য বিবাহের প্রকোপ অনেক বেশি দেখা যায় বাল্য বিবাহ কাকে বলে না জানার কারণে। এজন্য আগে মেয়েদের নিজেদের সংগ্রাম করতে হবে এবং সাথে কিছু পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নিই-

আরো দেখুন: নোরা ফাতেহি জীবন কাহিনী

  • বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য মেয়েদের শিক্ষা দিতে হবে। কারণ একটি মেয়ে যত বেশি সময় স্কুলে থাকবে তত বেশি বিয়ের হার কমে যাবে। মেয়েরা শিক্ষিত হলে নিজের কর্মসংস্থান করতে পারবে এবং সাথে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। তাই সরকারকে মেয়েদের শিক্ষার দিকে আরো বেশি নজর দিতে হবে।
  • আমাদের দেশে অধিকাংশ মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। তাদের অন্যচোখে দেখা হয়। তাই কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
  • মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। তাঁরা যে পরিবারের বোঝা নয় এটা বুঝাতে হবে। বাল্য বিবাহ কাকে বলে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করার জন্য তাদের ” না ” বলতে হবে। দরকার হলে একসঙ্গে কিছু সংগঠন গড়ে তুলবে হবে। সেখান থেকে প্রচার করতে হবে বাল্য কাকে বলে? এর অসুবিধা গুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
  • আইনের চোখে সকলে সমান এই দিকটার আরো গুরুত্ব দিতে হবে। যেন দরিদ্র মানুষেরা আইনের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

বাল্য বিবাহ হেল্প লাইন

বাল্য বিবাহ কাকে বলে আমাদের দেশে বাল্য বিবাহ একটা রোগ হয়ে গেছে। সরকার যতই আইন করুক না কেন, কিছু মানুষ সেগুলো মানবে না। তাদের কথা হল, মেয়েদর এত শিক্ষিত হয়ে লাভ, তাঁরা তো শুধু সংসারের দেখাশুনা করবে। তাই আপনার আশে-পাশে যদি দেখেন বাল্য বিবাহ হচ্ছে তাহলে অবশ্যই ১০৯ (টোল ফ্রি) নম্বরে কল করুন। কল করলে তাঁরা সাথে সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এভাবে আপনি-আমি চাইলে সহজে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

FAQ

  • বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ গুলো কী?

দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, সচেতনতার অভাব, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা এবং যথাযথ ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব মূলত বাংলাদেশে বাল্য বিবাহের প্রধান কারণ।

  • বাংলাদেশে কবে থেকে বাল্যবিবাহ শুরু হয়?

বাল্যবিবাহ বাংলাদেশে ১৯২৯ সাল থেকে বেআইনি ভাবে এবং ১৯৮০ সাল থেকে মহিলাদের জন্য বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮ এবং পুরুষদের জন্য ২১ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের অভাব এবং স্থানীয় প্রশাসনের উপেক্ষার কারণে বাল্যবিবাহ শুরু হয়। এর প্রধান শিকার অল্প বয়সী মেয়েরা।

  • বাল্যবিবাহ শুরু করেন কারা?

প্রাচীন গ্রীসে, মেয়েদের বাল্যবিবাহ এবং কিশোরী মাতৃত্ব চালু ছিল। রোমান সাম্রাজ্যে, মেয়েদের ১২ বছর বয়স থেকে এবং ছেলেদের ১৪ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া হত। মধ্যযুগে, রোমান আইন চালু হওয়ার পর প্রাপ্ত ইংরেজি নাগরিক আইনের অধীনে, ১৬ বছর বয়সের আগে বিবাহ বন্ধন বৈধ ছিল।

  • কিভাবে আমরা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে পারি?

মেয়েদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করা, তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং দক্ষতা মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ এবং মাতৃত্বের সফল রূপান্তরের ফলেই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

  • বাল্য বিবাহ কোথায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায়?

নাইজারে বাল্য বিবাহের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। যাইহোক, বাংলাদেশে 15 বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিবাহের হার সবচেয়ে বেশি। বিশ্বব্যাপী সমস্ত বাল্য বধূর প্রায় অর্ধেক (৪২ শতাংশ) দক্ষিণ এশিয়ায় রয়েছে। আর বৈশ্বিক মোটের এক তৃতীয়াংশ ভারত একাই।

সর্বশেষ কথা: আশা করি আপনারা বাল্য বিবাহ কাকে বলে, বাল্য বিবাহ এর শাস্তি এবং করনীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই বাল্য বিবাহ বন্ধ করুন এবং মেয়েদের সমাজের চোখে বোঝা না বানিয়ে সঠিক শিক্ষার দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex