মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম
মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম | Death Certificate Bangladesh
জন্মালে মৃত্যুবরণ করতেই হয়। এটি অবধারিত সকল প্রাণীর জন্য। মৃত্যু সকলের কাছেই সব সময় এক শোকাবহ পরিবেশ বয়ে আনে। শোকাবহ পরিবেশ বয়ে আনলেও এই বিশুদ্ধ সত্য মানব প্রাণীকে মেনে নিতে হয়। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর আমাদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যু সনদ বানিয়ে নেই কিংবা বানাতে চাই। কারণ মৃত্যু সনদ অনেক সময় অনেক কাজে লাগে বর্তমান প্রেক্ষাপটে। যেমনঃ ব্যাংক রিলেটেডে কাজে, জীবন বীমার ক্ষেত্রে, মাঝে মাঝে বিদেশের অনেক কাজেও এই সনদ প্রয়োজন হতে পারে।
আমরা অনেকেই আমাদের আত্মীয়স্বজন কিংবা বাবা-মা’য়ের মৃত্যুর পর মৃত্যু সনদ বানাতে চাই বিভিন্ন প্রয়োজনের তাগিদে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম। যার ফলে কিছু ভোগান্তির সম্মখীন হতে হয় অনেক সময়।
গুরুত্বপূর্ণ: প্রতিবেদন লেখার নিয়ম.
আজকের এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম নিয়ে। যাতে করে আমাদের মত জনসাধারণ মানুষদের জন্য একটু সুবিধা হয় মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে। চলুন জেনে নেই।
মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম
মৃত্যু সনদ মূলত দেয়া হয় ইউনিয়ন পরিষধ থেকে। ইউনিয়ন পরিষধ এর প্যাডে প্রিন্ট করে তাতে চেয়ারম্যান সাহেব এর সিল এবং সাইন নিয়ে মৃত্যু সনদ নিতে হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষধ প্যাডে প্রিন্ট করার পূর্বে মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম অনুসরণ করে মৃত্যু সনদ লিখতে হয়। তারপর ইউনিয়ন পরিষধ এর প্যাডে প্রিন্ট করতে হয়। চলুন, মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম এ একটি ফর্মেট থাকে। সেই ফর্মেট অনুযায়ী লিখলেই হয়ে যায় মৃত্যু সনদ। যেমনঃ
৩২ নং দক্ষিন খান ইউনিয়ন পরিষধ,
দক্ষিন খান, ঢাকা-১২৩০
মৃত্যু সনদ
প্রত্যায়িতf করা যাচ্ছে যে, প্রয়াত আগবর মিয়া, পিতার নামঃ মৃত কাসেম মিয়া, মাতার নামঃ মৃত আমেনা বেগম, স্ত্রীঃ রওশান আরা, গ্রামঃ দক্ষিণ পাড়া, পোস্ট অফিসঃ দক্ষিন খান, জেলাঃ ঢাকা-১২৩০, ৩২ নং দক্ষিন খান ইউনিয়ন পরিষধ এর বাসিন্দা ছিলেন। ইউনিয়ন পরিষধ রেজিস্টার বই অনুসারে, প্রয়াত আগবর মিয়া ১২/০৩/২০২০ তারিখে বরিশালে সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন।
মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি।
তারিখঃ __/__/__
চেয়ারম্যান
৩২ নং দক্ষিণ খান ইউনিয়ন পরিষধ।
মৃত্যু সনদ আবেদন ফর্ম
মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম অনুযায়ী লিখা হয়ে গেলে ইউনিয়ন পরিষধ থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের সাইন নিয়ে সম্পাদন করা যায়। তবে বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঘরে বসেও এই মৃত্যু সনদ আবেদন ফর্মে লিখা যায়। কিন্তু তার জন্য আপনাকে http://forms.mygov.bd/ এই অফিশিয়াল পেইজে প্রবেশ করে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে আবেদন ফর্মটি পূরণ করে জমা দেয়া যাবে।
আরো দেখুনঃ প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম.
মৃত্যু সনদ ডাউনলোড
মৃত্যু সনদ আবেদন ফর্ম পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষধে জমা দিয়ে কাজ সম্পাদন করার পর তা সরাসরি অফলাইনে নিয়ে আসা বা সংগ্রহ করা যায় কিংবা বর্তমানে অনলাইনেও মৃত্যুর সঠিক তারিখ এবং ডিয়ার নম্বর লিখলেই মৃত্যু সনদ ডাউনলোড করা যায়। তবে অবশ্যই অফিশিয়াল পেজে http://forms.mygov.bd/ ভিজিট করে মৃত্যু সনদ টি ডাউনলোড করতে হবে।
F&Q
০১) মৃত্যু সনদ কেনো করা হয়?
উত্তরঃ মৃত্যু সনদ বর্তমানে বহুকাজে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ ব্যাংক রিলেটেড কাজ, জমি সংক্রান্ত কাজে কিংবা বীমা সংক্রান্ত কাজে। এমন আরো বহুকাজে ব্যবহার করা হয়।
০২) মৃত্যু সনদ করা কি খুব জরুরী কিছু?
উত্তরঃ আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করবে। যেহেতু অনেক কাজেই বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে তাই করে রাখাই ভালো।
০৩) মৃত্যু সনদ কোথায় পাবো?
উত্তরঃ যার যার ইউনিয়ন পরিষধ অফিস থেকে পাওয়া যাবে।
০৪) মৃত্যু সনদ আবেদন ফর্ম কোথায় পাবো?
উত্তরঃ http://forms.mygov.bd/ এই ওয়েবসাইট থেকেই পেয়ে যাবেন।
আরো দেখুনঃ চারিত্রিক সনদ.
পরিশেষে বলা যায়, মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম জেনে কাজ করলে দ্রুতই এর কার্য সম্পাদন হয়। তাই পরিপূর্ণ ভাবে মৃত্যু সনদ লেখার নিয়ম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে তবেই লিখে ফেলুন। এতে ভোগান্তি কম হবে।