vlxxviet mms desi xnxx

গ্রহ কি ? গ্রহ কয়টি ও কি কি?

0
1.7/5 - (3 votes)

গ্রহ কি ? গ্রহ কয়টি ও কি কি?

আমরা যেখানে বসবাস করি অর্থাৎ আমাদের পুরো পৃথিবীটি হলো একটি গ্যালাক্সি। তার মানে হল আমরা একটি গ্যালাক্সিতে বসবাস করি। আর এই পুরো গ্যালাক্সি হচ্ছে একটি ছায়াপথ। ছায়াপথে রয়েছে একটি সূর্য। একটি সূর্য এবং এর পরিবারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সৌরজগৎ। আর এই সৌরজগতের ই একটি গ্রহ হচ্ছে পৃথিবী যেখানে মানুষ ও পশু পাখিসহ নানা ধরনের প্রাণী বসবাস করতে পারে। কিন্তু গ্রহের অন্য কোন স্থানে কোন প্রাণী বসবাস করতে পারে না। তাহলে গ্রহ কি? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক  আসলে এই গ্রহ কি? এবং এর বিস্তারিত।

গ্রহ কি?

গ্রহ হচ্ছে জ্যোতি বিজ্ঞানের মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যেখানে কেবলমাত্র মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ ধারণ করে এবং ক্ষমতা রাখে। তবে সাধারণত গ্রহ কোনো-না-কোনো তারা বা নাক্ষত্রিক ধ্বংসাবশেষ কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।গ্রহ আবার অনেক ধরনের রয়েছে। নিচে গ্রহ কয়টি এবং কি কি তার সম্পূর্ণ বিস্তারিত  আলোচনা করা হলো।

গ্রহ কয়টি ও কী কী? | Groho koiti ki ki

সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা আটটি। আর গ্রহগুলোর সূর্যকে ঘিরে রাখে। গ্রহ গুলো হলঃ-

  • পৃথিবী
  • মঙ্গল 
  • বৃহস্পতি 
  • শনি 
  • বুধ 
  • শুক্র 
  • ইউরেনাস এবং 
  • নেপচুন।

গ্রহের আবার উপগ্রহ রয়েছে। 

সৌরজগতের গ্রহ কয়টি? | সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি?

সৌরজগতে গ্রহ ৯টি। নয়টি গ্রহের নাম কি কি? যেমনঃ-

  • মঙ্গল 
  • নেপচুন
  • ইউরেনাস
  • শনি
  • বৃহস্পতি
  • সূর্য
  • বুধ
  • শুক্র
  • পৃথিবী

সৌরজগতের গ্রহের বর্ণনা

বিজ্ঞানিদের মতে এই ভূ-মন্ডলে সৌরজগতে ৯টি গ্রহ রয়েছে। নিম্নে এই গ্রহ গুলোর বর্ণনা দেয়া হলোঃ-

মঙ্গল গ্রহ:

মঙ্গল পৃথিবীর নিকটতম একটি গ্রহ। সূর্য থেকে দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার আর এর ব্যাস ৬৭৬৭ কিলোমিটার যা পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক। বছরের অধিকাংশ সময়ে মঙ্গল গ্রহকে দেখা যায়। আর এর  দিনরাত্রি অনেকটা পৃথিবীর মতো। সূর্যের চারদিকে মঙ্গল গ্রহের ঘুরতে সময় লাগে ৬৬৭ দিন যা পৃথিবী থেকে বেশি। এই গ্রহের উপরিভাগে রয়েছে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি। তবে এই গ্রহে অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম। তার সাথে পানির পরিমাণ কম কিন্তু কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ এত বেশী যে এখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা একেবারেই অসম্ভব। আর এই গ্রহের ডিমোস ও ফোবোস নামে দুটি উপগ্রহ রয়েছে।

নেপচুন গ্রহ:

সৌরজগতের সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ হচ্ছে নেপচুনের। আর এর দূরত্ব ৪৫০ কোটি কিলোমিটার। আর এই গ্রহের সূর্যের আলো ও তাপ খুব কম। এই গ্রহের ব্যাস হচ্ছে ৪৮,৪০০ কিলোমিটার আর এই গ্রহের আয়তন প্রায় ৭২ কোটি যা ১৭টি পৃথিবীর ভর সমান। এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের রয়েছে বেশিরভাগ মিথেন এবং অ্যামোনিয়া গ্যাস। নেপচুনের উপগ্রহ সংখ্যা প্রায় ১৪ টি।

ইউরেনাস গ্রহ:

সৌরজগতের যতগুলো বৃহত্তম গ্রহ রয়েছে তার মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে ইউরেনাস। আর এই ইউরেনাসের পৃথিবী থেকে প্রায় ২৮৭ কোটি কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। এ গ্রহটি যদি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরে তাহলে এর সময় লাগবে প্রায় ৮৪ বছর। যার ব্যাস প্রায় ৪৯০০০ কিলোমিটার। এই গ্রহটি হালকা পদার্থ দিয়ে তৈরি। আর এর বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক পরিমাণে রয়েছে। শনি গ্রহের মতো ইয়রেনাসের কয়েকটি বলয় আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে এই বলয়গুলো শনি গ্রহের মতো উজ্জ্বল নয়। আর এর উপগ্রহ রয়েছে ২৭ টি।

শনি:

শনি হচ্ছে সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। যার দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলোমিটার এর ব্যয় ১২০০০০ কিলোমিটার। তবে শনি হচ্ছে ভুত্বক বরফে ঢাক।যা  অন্যান্য গ্রহ থেকে একদম ভিন্ন আর এর গ্যাসের বিশাল এক গোলক রয়েছে। শনির বায়ুমন্ডলে রয়েছে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম এর মিশ্রণ, মিথেন এবং  এমোনিয়া গ্যাস। যদি সূর্যের চারদিকে ঘুরে তাহলে এর সময় লাগবে পৃথিবীর প্রায় ২৯.৫ বছর এর সমান। শনি বলয় দ্বারা বেষ্টিত এর বলয় গুলো উজ্জ্বল হয়। শনি প্রায় .৬২ টি উপগ্রহ রয়েছে।

বৃহস্পতি গ্রহ:

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ হচ্ছে বৃহস্পতি। যাকে সৌরজগতের রাজা বলা হয়। সৌরজগতের ব্যাস হচ্ছে ১৪২৮০০ কিলোমিটার এবং এর আয়তন পৃথিবীর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি। সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার। তবে পৃথিবীর তুলনায় বৃহস্পতি ২৭ ভাগের এক ভাগ হয়। আর এই গ্রহের বায়ুমন্ডলে রয়েছে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস। বৃহস্পতির উৎপত্তি বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম কিন্তু অভ্যন্তরে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি। যদি এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাহলে ৪৩৩১ দিন লাগবে। আর বৃহস্পতির উপগ্রহ সংখ্যা ৬৭ টি গ্রহ। তবে এখানে কোনো প্রানের অস্তিত্ব নেই।

সূর্য:

সূর্য একটি নক্ষত্র। মাঝারি আকারের হলুদ বর্ণের নক্ষত্রের ব্যাস প্রায় ১৩৮৪০০০ কিলোমিটার। সৌরজগতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষ্ক হচ্ছে সূর্য।  সূর্য আমাদের অতি ঘনিষ্ঠ ও অন্যান্য যেসকল গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে সূর্য সবাইকে আলোর উৎস  প্রদান করে। সূর্য যদি না থাকতো তাহলে আমাদের পৃথিবী অন্ধকার থাকত এবং পৃথিবীর সকল জীবজন্তু বেঁচে থাকতে পারত না। সূর্যকে ঘিরে রয়েছে আটটি গ্রহ।

এই আটটি গ্রহ সূর্য থেকে আলো পায়। এই আটটি গ্রহের মধ্যে রয়েছে বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। আটটি গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহ হচ্ছে সবচেয়ে বড় হচ্ছে বৃহস্পতি এবং সবচেয়ে ছোট গ্রহ হচ্ছে নেপচুন। সূর্যের কাছাকাছি যত গ্রহ রয়েছে সেগুলো আলো বেশি পায় এবং সূর্যের যত দূরে থাকবে সেগুলো আলো কম পায়।

বুধ গ্রহ:

বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ। যার দূরত্ব ৫.৮৩ কোটি কিলোমিটার আর এর ব্যাস ৪৮৫০ কিলোমিটার। এই গ্রহটি সূর্যের কাছাকাছি তাই এর আলোর তীব্রতা অনেক। আর তাই অনেক  সময় এই  গ্রহকে দেখা যায় না। আর যদি এই গ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাহলে সময় লাগবে ৮৮ দিন।

সুতরাং বুঝতেই পারা যায় যে 88 দিনে বুধ গ্রহের এক বছর হয়ে যায়। তবে গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ বল এতটাই কম যে বায়ুমণ্ডল ধরে রাখতে পারে না। এখানে কোন মেঘ, বৃষ্টি, বাতাস বা পানি কিছুই পাওয়া যায় না আর প্রাণের অস্তিত্ব একেবারেই নেই। তবে অন্যান্য গ্রহের মতো বুধের কোন উপগ্রহ নেই।

শুক্র:

বিজ্ঞানীরা শুক্র গ্রহকে ভোরের আকাশের শুকতারা এবং সন্ধ্যা আকাশের সন্ধ্যাতারা হিসেবে বলে থাকে। তবে শুকতারা ও সন্ধ্যাতারা আসলে কোন তারা নয়। কিন্তু নক্ষত্রের মতো উজ্জ্বল করে বলেই এই শুক্র গ্রহকে অনেকে তারা মনে করে। কারণ শুক্র গ্রহকে মেঘে ঢাকা থাকে। কারণেই শুক্র গ্রহের উপরিভাগ থেকে সূর্যকে কখনই দেখা যায় না। যেহেতু শুক্রগ্রহ মেঘাছন্ন থাকে তাই এই গ্রহটি কার্বন-ডাই-অক্সাইডের তৈরি।

সৌরজগতের গ্রহের বর্ণনা

তবে বিজ্ঞানীদের থেকে  জানা যায় সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ হচ্ছে শুক্র। আর এই গ্রহটি সূর্য থেকে প্রায় ১০.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে। তবে এই গ্রহের দিন ও রাতের মধ্যে কোন বিশেষ ব্যবধান পাওয়া যায় না। এই গ্রহে বৃষ্টি হয় কিন্তু এসিডি বৃষ্টি। শুক্র গ্রহের ব্যাস হচ্ছে ১২১০৪ কিলোমিটার। আর এই শুক্র যদি সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে তাহলে এর সময় লেগে যাবে ২৫৫ দিন। এখানে বুঝতে পারা যায় যে ২৫৫ দিনে শুক্র গ্রহের এক বছর হয়ে যায়।

পৃথিবী:

যেখানে প্রাণীরা প্রাণখুলে বাঁচতে পারে সে স্থানটিতে সেটি হচ্ছে পৃথিবী। বর্তমানে আমরা যেখানে বাস করছি। সূর্যের নিকটতম তৃতীয় গ্রহ হচ্ছে পৃথিবী। যা সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার আর এর ব্যাস ১২৬৬৭ কিলোমিটার। আমরা সকলেই জানি যে সূর্যকে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করতে প্রায় ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড লেগে যায়। আর পৃথিবীতে বায়ুমন্ডলে রয়েছে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা। য জীবজন্তু উদ্ভিদ থেকে শুরু করে সকলের বাসের উপযোগী একটি স্থান। পৃথিবী সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে পৃথিবীর মাত্র একটি উপগ্রহ রয়েছে। যার নাম চাঁদ।

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ হচ্ছে শুক্র। যার দুরত্ব ৪.৩ কোটি কিলোমিটার। তবে পৃথিবীর আর একটি নিকটতম গ্রহ রয়েছে যার দুরত্ব ৭.৮ কোটি কিলোমিটার।

মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ কয়টি

মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ দুইটি। যথাঃ

  • ডিমোস ও 
  • ফোবোস

গ্রহের ইংরেজি নাম

গ্রহের ইংরেজি নাম হচ্ছে- Planet.  গ্রহের সংখ্যা ৮টি। আর এই ৮টি গ্রহের ইংরেজি মান হচ্ছে-

  • মার্কারি
  • ভিনাস
  • আর্থ
  • মার্স
  • জুপিটার
  • স্যাটার্ন
  • ইউরেনাস ও 
  • নেপচুন

পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব

প্রিথিবি থেকে মঙ্গল গ্রহের সর্বনিম্ন দূরত্ব ৫৪.৬ মিলিয়ন কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ দূরত্ব ৪০১ মিলিয়ন কিলোমিটার।

পৃথিবী কি গ্রহ না উপগ্রহ

পৃথিবী একটি গ্রহ কারণ এটি সূর্যের চারদিকে ঘোরে। চাঁদ একটি উপগ্রহ কারণ এটি পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। পৃথিবী এবং চাঁদকে যথাক্রমে “প্রাকৃতিক” গ্রহ ও উপগ্রহ বলা হয়।

সূর্যের গ্রহ কয়টি

আমাদের সৌরজগৎ একটি নক্ষত্র হলো সূর্য এবং এর মোট আটটি গ্রহ রয়েছে। সূর্যের আরো আছে বামন গ্রহ, গ্রহাণু এবং ধূমকেতুর মতো অগণিত ছোট ছোট অংশ নিয়ে যা নিয়ে এটি গঠিত।

গ্রহ কি ? গ্রহ কয়টি ও কি কি? FAQ

১. গ্রহকে কেন গ্রহ বলা হয়?

“প্ল্যানেট” বা গ্রহ হলো একটি শব্দ যা প্রাচীন গ্রীকরা নক্ষত্রগুলিকে বর্ণনা করতে ব্যবহার করত। যা খালি চোখে দৃশ্যমান, যা স্থির, তারার সাথে সম্পর্কিত তাকেই গ্রহ বলা হয়। “Planet” বা গ্রহ শব্দটি গ্রীক শব্দ “Planetes” থেকে এসেছে যার অর্থ “ভ্রমণকারী”। 

২. পৃথিবীকে কোন ধরণের গ্রহ বলা হয়?

পৃথিবীকে একটি জীবন্ত (Alive) গ্রহ বলা হয় কারণ এখানে জীবন্ত সকল জিনিস এর বাস যেমন: গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষ। সূর্য থেকে প্রাপ্ত তাপ ও আলোর মাধ্যমে পৃথিবী নামক গ্রহটি সকল প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে ও বৃদ্ধির জন্য আদর্শ স্থান করে তুলেছে।

৩. গ্রহের নাম কে রেখেছেন?

রোমান পৌরাণিক কাহিনী থেকেই সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে। রোমানরা খালি চোখে রাতের আকাশে দেখা যেত এমন পাঁচটি গ্রহের নাম তাদের কল্পিত দেব-দেবীর নামে দিয়েছিল। আর সেখান থেকেই গ্রহের নামগুলোর আবির্ভাব হয়েছে।

৪. গ্রহ কি দিয়ে তৈরি?

গ্রহগুলি সাধারণত গ্যাস এবং ধূলিকণার সমন্বয়ে তৈরি হয়। গ্রহগুলো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করার সময় সংঘর্ষ করে এবং একসাথে লেগে থাকে।

৫. কে প্রথম গ্রহ আবিষ্কার করেন?

১৩ মার্চ ১৭৮১ তারিখে আকাশ পর্যবেক্ষণের সময়, হার্শেল আকাশে একটি আশ্চর্যজনক বস্তু দেখতে পান, যা তিনি প্রাথমিকভাবে একটি তারা বলে ধরে নিয়েছিলেন। কয়েকদিন পরে তিনি আবার এটি দেখতে পান, কিন্তু দেখতে পান এটি এর জায়গা থেকে সরে গেছে৷ পরে তিনি আরো কিছু দিন এর গতিবিধি লক্ষ্য করেন ও এটিকে ধুমকেতু বলে আখ্যায়িত করেন। পরবর্তীতে আরো পর্যবেক্ষণে তিনি নিশ্চিত হন যে, এটি একটি গ্রহ।

৬. পৃথিবীকে নীল গ্রহ বা ব্লু প্ল্যানেট বলা হয় কেন?

পৃথিবীর ৭১ শতাংশেরও বেশি পানি দিয়ে আবৃত। তাই মহাকাশ থেকে এটি নীল দেখায় এবং তাই পৃথিবীকে ‘ব্লু প্ল্যানেট’ বলা হয়।

৭. পৃথিবীর বয়স কত?

অনুমান করা হয় পৃথিবীর বয়স ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর, প্লাস বা মাইনাস করলে প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর। বিজ্ঞানীরা রেডিওমেট্রিকভাবে পৃথিবী পৃষ্টে থাকা রেখা বা দাগগুলোর বয়স থেকে এর বয়স নির্ধারণ করেন।

৮. কয়টি গ্রহ আছে এবং কি কি?

আটটি গ্রহ হল বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছে। নেপচুন সবচেয়ে দূরে।

৯. গ্রহ কি ৮ টি নাকি ৯ টি?

সৌরজগতে আটটি গ্রহ রয়েছে: বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন।

১০. সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রহ কোনটি?

শুক্র।

শুক্রের পুরু বায়ুমণ্ডল তাপকে এর ভেতরে আটকে রাখে এবং গ্রিনহাউস প্রভাব তৈরি করে – আর এই ধারণকৃত তাপ এটিকে আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রহে পরিণত করে। এই গ্রহের তাপমাত্রা এত বেশি যে এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা সীসা গলানোর জন্য যথেষ্ট৮৯নিস  সস।

১১. সূর্য কি একটি গ্রহ?

আমাদের সূর্য একটি মাঝারি আকারের তারা যার ব্যাসার্ধ প্রায় ৪৩৫,০০০ মাইল (৭০০,০০০ কিলোমিটার)। সূর্যের তুলনায়ও অনেক বড় তারা রয়েছে। কিন্তু সূর্য পৃথিবী নামক গ্রহের চেয়ে অনেক বেশি বিশাল। পৃথিবী সূর্যের তুলনায় ৩৩০,০০০ গুণ বেশি বড় এবং আয়তনের দিক থেকে ১.৩ মিলিয়ন গুণ বড়।

উপসংহার: আমরা সকলেই ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞান বইয়ের সৌরজগতের কথা জেনে আসছি। আর এই সৌরজগৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের নানা সময় নানা বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় গ্রহ (গ্রহ কি) নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণে এবং গবেষণায় লিপ্ত থাকে প্রতিনিয়ত। কিন্তু বর্তমানে মঙ্গল গ্রহ ব্যাপারে  বিজ্ঞানীদের মধ্য একটু বেশিই চর্চা চলছে।

যাই হোক আজকের  আলোচনা এই পর্যন্তই। আশা করি আজকের এই কনটেন্ট টি পড়ে গ্রহ সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত অনেক কিছু  জানতে পেরেছেন। আমরা আরো আশা করছি যে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের  অনেক কাজে আসতে পারে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex