vlxxviet mms desi xnxx

ইসলামের ইতিহাসের জনক কে?

0
4/5 - (1 vote)

ইসলামের ইতিহাসের জনক কে? | Who is the father of Islamic history?

ইসলামের ইতিহাসের জনক কে ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন এমন এক গ্রন্থ যেখান আদম (আ:) থেকে শুরু করে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মুহাম্মদের মানবজাতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক ভিত্তি গঠণ করে। ইসলামের ইতিহাসের আরেকটি মূল্যবান সম্পদ হলো হাদিস যা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যার মাধ্যমে যারা কাছ থেকে নবীর কাজ দেখেছেন, নবীকে চিনিছেন তাদের প্রত্যক্ষ করা বিষয়গুলোই লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

ইসলাম এমন একটি ধর্ম যার ইতিহাস সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় কারণ ইসলামের অনেক ইতিহাস কোরআনেই সরাসরি বর্ণিত হয়েছে মহান রাব্বুল আলামিনের মাধ্যমে। পরে প্রিয় নবী ও সাহাবীদের মাধ্যমে হাদীস বিভিন্ন বই লেখার মাধ্যমে তা সংরক্ষিত হতে থাকে। তাই ইসলামের ইতিহাসের জনক কে এই প্রশ্ন আসলে যার কথা প্রথমে আসে তিনি হলেন আল-মাসুদী যিনি “আরবদের হেরোডোটাস” নামে পরিচিত। কারণ তিনি শুধু ইসলামের ইতিহাস নয় বিভিন্ন দেশের ভৌগলিক অবস্থা, ইতিহাস ও সামাজিক রীতিনীতি নিয়ে এত বিস্তারিতভাবে লিখেছেন যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয়টি পাওয়া যায় না.

আরো দেখুনঃ

আজকের আর্টিকেলটি আমরা সাজিয়েছি ইসলামের ইতিহাসের জনক কে এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে। ইসলামের ইতিহাসের জনক আল-মাসুদীর সংক্ষিপ্ত জীবন, তার কর্ম ও তার বই নিয়ে কিছু বিস্তারিত বিষয় থাকছে এই আর্টিকেল। 

ইসলামের ইতিহাসের জনক কে?

সলামের ইতিহাসের জনক বলা হয় আল মাসুদীকে। তার পুরো নাম আবু আল-হাসান আলী ইবন আল-হুসাইন আল-মাসুদী, যিনি একজন আরব পণ্ডিত ছিলেন। তিনি ১০ম শতাব্দীতে ভারতে এসেছিলেন। তার জীবনের লম্বা সময় তিনি ভ্রমণেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন যা তিনি তার ”মুরুজ-উল জাহাব (সোনার তৃণভূমি) বইতে উল্লেখ করেছেন।

আল-মাসুদী শুধু ইতিহাসের লেখকই ছিলেন না তিনি বৈজ্ঞানিক ভূগোলকেও তার লেখনীতে অসাধারণভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন। এই জন্য তাকে “আরবদের হেরোডোটাস” বলা হয়। তিনি আরবদের মাঝে বেশ বিখ্যাত ছিলেন তার লেখনীর জন্য। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, তিনি তার জীবনে ৩৪ টিরও বেশি বই লিখেছেন।

আল মাসুদীর ব্যক্তিগত জীবন

আল মাসুদী ১ম শতাব্দীর শেষের দিকে ইরাকের বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন যদিও তার জন্মের সঠিক বছর সম্পর্কে জানা যায়নি। আল মাসুদি যিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদের বংশধর, নবী হযরত মুহাম্মদের একজন সাহাবী ছিলেন। ভূগোল ও ইতিহাসের উপরে তার অসংখ্য সমৃদ্ধশালী লেখা রয়েছে এছাড়াও তিনি সৃষ্টিতত্ত্ব, আবহাওয়াবিদ্যা, সমুদ্রবিদ্যা, ভূমিরূপ অধ্যয়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, ইসলামী আইন এবং আরবি লোককাহিনীতে অবদান রেখেছেন।

তার বিখ্যাত লেখনীর মধ্যে রয়েছে আখবার আল জামান (সময়ের ইতিহাস), কিতাব আল-আওসাত (বুক অফ দ্য মিডল), মুরুজ আল-ধাহাব ওয়া মা’দিন আল-জাওয়াহির (সোনার তৃণভূমি এবং রত্নগুলির খনি), কিতাব আত-তানবিহ ওয়া-ল-ইশরাফ (বুক অফ অ্যাডমোনিশন অ্যান্ড রিভিশন), কিতাব মুরুজ আল-ধাহাব ওয়া মা’দিন আল-জাওহার, কিতাব আল তানবিহ ওয়া আল-ইশরাফ (বিজ্ঞপ্তির বই এবং যাচাইকরণ) এবং আরো বেশ কিছু হারিয়ে যাওয়া বই।

আল-মাসুদী একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছিলেন। দেশ-বিদেশ ঘুরে ঘুরে তিনি তার বইয়ের রসদ জোগাড় করতেন আর এই জন্যই তাকে “আরবদের হেরোডোটাস বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তিনি সিরিয়া থেকে শুরু করে কাস্পিয়ান সাগরের তীরে, ইরান, আর্মেনিয়া, সিন্ধু, উপত্যকা, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকার পূর্ব উপর, ওমান, জাঞ্জিবার পর্যন্ত দক্ষিণে এবং সম্ভবত মাদাগাস্কার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যদিও তার পারস্য, ভারত পূর্ব আফ্রিকা এবং চীন ভ্রমণ নিয়ে তেমন জিজ্ঞাসা করা হয় না। দীর্ঘ সময় দেশ-বিদেশ পরিদর্শন শেষে তিনি ১৪৭ খ্রিস্টব্দে ফুসটাতে (আধুনিক কায়রো) বসতি স্থাপন করেন। তারপর তিনি ৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে সেখানে মারা যান। 

আল মাসুদীর ভারত সফর

আল-মাসুদী বাগদাদ থেকে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী মানসুরা এবং মুলতান (বর্তমানে পাকিস্তান) ভ্রমণ করেন। তিনি তার ভারত সফর শুরু করেন খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর দিকে। তিনি তার যাত্রা মানসুরা থেকে গুজরাটের সুরাটে যাত্রা করেন। এই যাত্রায় তিনি হিন্দু সভ্যতাকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেরেছিলেন। ভারত সফরে তিনি পশ্চিম ভারতের গুজরাট বন্দর শহর খাম্বাতেও গিয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতের ভ্রমণের পর তিনি পশ্চিম উপরের মালাবারে পৌঁছান।

তিনি এরপর শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়ার আধুনিক মালাক্কাও সফর করেন। আর এই সফরকালে তিনি তার লেখনীতে উল্লেখ করেন যে ভারতের পূর্ব উপকূল এবং মালাক্কার মধ্যে বাণিজ্য বেশ শক্তিশালী ছিল সে সময়। তিনিই একমাত্র আরব লেখক যিনি বৈজ্ঞানিক ভূগোলের সাথে ইতিহাসকে একত্রিত করে এমন রচনা লিখেছেন যা ইতিহাসের পাতায় আজও দ্বিতীয়টি নেই!

আল-মাসুদীর মুরুজ-উল জাহাব সম্পর্কে কিছু কথা 

আল-মাসুদী তার লেখা “মুরুজ-উল-জাহাব” বইটির প্রথমার্ধে বিশ্ব সৃষ্টির ইতিহাস দিয়ে শুরু করেন এবং পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে তিনি গ্রীস, রোক এবং ভারতের মতো অইসলামী ভূমির সামাজিক জীবন, ধর্মীয় রীতিনীতি, ইতিহাস এবং ভূগোল বর্ণনা করেন। এই লেখনীতে তিনি ইতিহাস ও ভূগোলের এক অসাধারণ মিশেল করেন যা এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি।

তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেন যে, ভারত একটি বিস্তীর্ণ দেশ, এর সীমান্ত রয়েছে জাবাজে যার আধিপত্য ভারত ও চীনকে পৃথক করে কিন্তু ভারতের অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। তার লেখায় তিনি বলেন, ভারতীয় রাজ্যগুলির ভাষা এবং ধর্ম ব্যাপকভাবে ভিন্ন এবং তাদের বেশিরভাগই একে অপরের সাথে প্রায়শই যুদ্ধ-বিগ্রহে লেগে থাকে। তার মতে ভারত ও ইতালির ভৌগলিক অবস্থান ও চরিত্রের তুলনা করা যেতে পারে। 

জানার জন্য ভ্রমণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে আল মাসুদী তার লেখা বই সোনার তৃণভূমিতে বলেন যে, “ যিনি কখনোই তার ঘর ত্যাগ করেননি এবং তার গবেষণাকে নিজের দেশের ইতিহাসের সংকীর্ণ ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রেখেছেন তাকে সেই সাহসী ভ্রমণকারীর সাথে তুলনা করা যায় না যিনি দূরবর্তী অঞ্চলে নতুন কিছু জানার ও আহোরণের আশায় নিজের জীবন জীর্ণ করেছেন এবং কন্টাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়েছেন। 

তিনি ভারতীয়দের পবিত্র নদী গঙ্গাকে “জিজি” নামে আভহিত করেন এবং এর একটি আকর্ষণীয় বিবরণও দেন তিনি, “গঙ্গা ভারতের সবচেয়ে বড় নদী; এটি ভারতের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড়ে উঠে চীনের দিকে, তুর্কি সীমান্ত থেকে খুব বেশি দূরে নয় এবং চারশত ফারসাঙ্গের পথের পরে উপকূলে আবিসিনিয়ান সাগরে (বেহর আল-হাবশি) পড়ে ভারত।

ভারতীয় রাজাদের আচরণ সম্পর্কে আল-মাসুদী বলেন যে, ৪০ বছর বয়সের আগে কোনও রাজা সিংহাসনে বসতে পারে না। তারা সাধারণত জনসাধারণের সামনে উপস্থিত হতেন না। তারা এটা বিশ্বাস করতেন যে, জনসাধারণ যদি রাজাদের ঘন ঘন দেখার সুযোগ পায় তাদের প্রতি প্রজাদের অবজ্ঞা বাড়তে পারে।

আরো দেখুনঃ

ইসলামের ইতিহাসের জনক কে -FAQ

১. আল-মাসুদীকে কেন আরবদেও হেরোডোটাস বলা হয়? 

ধর্মতত্ত্ব, ইতিহাসত (ইসলামী এবং সর্বজনীন), ভূগোল, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং দর্শনের উপর বিশটিরও বেশি রচনার লেখক ছিলেন তিনি। তার বিখ্যাত রচনা মুরুজ আল-ধাহাব ওয়া মা’দিন আল-জাওহার বৈজ্ঞানিক ভূগোল, সামাজিক ইতিহাসের সাথে সর্বজনীন ইতিহাসকে একত্রিত করেছিল। আর এই জন্যই আল-মাসুদ্দীকে “আরবদের হেরোডোটাস” বলা হয়।

২. আল-মাসুদী কি তার সমসাময়িক লেখদের থেকে আলাদা? 

আল-মাসুদী তার সময়ে অ-ইসলামী ভূমি এবং জনগণের প্রতি আগ্রহ এবং লেখার কারণে তার সমসাময়িক লেখকদের থেকে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছিলেন। আল-মাসুদী আব্বাসীয় খিলাফতের বাইরেও অনেক দেশের ভূগোল বর্ণনা করেছেন পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের বর্ণণা ফুঁটিয়ে তুরেছেন তার লেখনীতে।

৩. আল-মাসুদী কখন ভারত সফল করেন?

আল-মাসুদী খ্রিস্টীয় ১০ম (দশম) শতাব্দীতে সমুদ্রযাত্রার মাধ্যমে ভারত সফর করেন। তিনি বাগদাদ থেকে মানসূরা (সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী) এবং মূলতান (বর্তামানে পাকিস্তান) ভ্রমণ করেন। এরপর তিনি সিন্ধু উপত্যকায় পৌঁছে ভারতের অনান্য অঞ্চলে ভ্রমণ করেন।

৪. আল-মাসুদীর বইয়ের বিষয়বস্তু কি ছিল?

আল-মাসুদী তার লেখনীতে ইতিহাস, ভূগোল, সৃষ্টিতত্ত্ব, আবহাওয়াবিদ্যা, সমুদ্রবিদ্যা, ল্যান্ডফর্ম স্টাডিজ, জ্যোতিবিদ্যা, ইসলামী আইন এবং আরবি লোককাহিনীর বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

সমাপ্তি: ইসলামের ইতিহাসের জনক কে একজন ইতিহাসের লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে ইতিহাসকে তাজা করেন পাশাপাশি তার নিজের বিচার-বিশ্লেষণ যোগ করে লেখাকে আরো মোহময় করে তোলেন। কারণ প্রতিটি জাতির ইতিহাস তাদের শিকড়ের কথা বলে। আল-মাসুদী যাকে ইসলামি ইতিহাসের জনক বলা হয়, যিনি ছিলেন অসাধারণ একজন ভূগোলবিদ যা তার প্রতিটি লেখায় ফুঁটে উঠেছে। তার সকল লেখার মধ্যে মাত্র একটি লেখা “কিতাব আল মুরাজ আল ধাহাব ” যার ইংরেজি অনুবাদ “গোল্ডেন মিডোজ”ই একমাত্র অক্ষত অবস্থায় এখনো টিকে আছে। দুঃখের বিষয় হলো যে, ৩৪ টিরও বেশি লেখা বই তার থাকলেও প্রায় সবগুলোই হারিয়ে গেছে বলা যায়। 

আমাদের আজকের আয়োজন ছিল ইসলামের ইতিহাসের জনক কে এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে যেখানে আমি এই ইসলামী ইতিহাসবিদের ও তার কাজ সম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আল-মাসুদী যার সম্পর্কে আপনি একটু হলেও জানবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex