প্লে স্টোর খোলো | গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খোলার নিয়ম | Play Store Kivabe Khule
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে যার কারণে প্লে স্টোর শব্দটির সাথে আমরা খুবই পরিচিত। প্লে স্টোরি একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি সেফলি কোন অ্যাপস ডাউনলোড করতে পারি। আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খোলার নিয়ম কি? বা প্লে স্টোর কি অথবা প্লে স্টোর থেকে কিভাবে আয় করা যায়। চলুন বিষয়টি শুরু থেকে শুরু করি।
গুগল প্লে স্টোর কি?
আজকের আমাদের সুপরিচিত গুগল প্লে স্টোর অনেক আগে পরিচিত ছিল অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট নামে। গুগোল সার্ভিসের 18 তম ফ্রী অ্যাপটি ডেভলপ এবং অপারেটিং করেছেন আমেরিকান গুগোল ইনকর্পোরেশন কম্পানি। গুগল প্লে অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে পরিচালিত হয়। গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ টি আপনাকে দিচ্ছে সকল ধরনের কার্যকরী অ্যাপস ডাউনলোড করার সুবিধা দিচ্ছে নিশ্চয়তা যে এই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে কোন ধরনের ভাইরাস অ্যাটাক করবে না।
গুরুত্বপূর্ণ: ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম
গুগল প্লে স্টোর অ্যাপস
গুগল প্লে স্টোর এর ব্যবহার পুরো বিশ্বজুড়েই রয়েছে এবং জানলে অবাক হবেন এখন পর্যন্ত টেন বিলিয়ান বার মানুষ প্লে স্টোর অ্যাপ এর সুবিধা ভোগ করেছেন। গুগল প্লে স্টোর অ্যাপস এ আপনি গেমস, এডুকেশনাল, সহ অনেক ধরনের ডিজিটাল অ্যাপসের কালেকশন রয়েছে। প্লে স্টোরে আপনি ফ্রি এবং পেইড দুইজনের অ্যাপস কালেকশনে দেখতে পাবেন।
গুগল প্লে স্টোর ডাউনলোড
বেশিরভাগ নামী দামী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কোম্পানিগুলো ইনবিল্ট গুগল প্লে স্টোর তাদের মোবাইলগুলোতে সেট করে দেয়। কিন্তু যেই মোবাইল গুলোতে প্লে স্টোর ইনবিল্ড না দেওয়া থাকে সেগুলোতে আপনি খুব সহজে প্লে স্টোর ইন্সটল করে নিতে পারেন। প্লে স্টোর ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলের ডিফল্ট ব্রাউজার থেকে সার্চ করতে হবে। সার্চ করার সাথে সাথেই আপনি অনেকগুলো লিঙ্ক দেখতে পাবেন যে কোন একটি লিঙ্ক থেকে আপনি প্লে স্টোর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমি একটি লিঙ্ক প্রোভাইড করে দিচ্ছি। https://cutt.ly/
গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খোলার নিয়ম
গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ। সর্বপ্রথম আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট খুলতে হবে কারণ জিমেইল অ্যাকাউন্ট না হলে আপনি কখনোই গুগল প্লে স্টোর খুলতে পারবেনা। জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সাথে সাথে আপনার গুগল প্লে স্টোর অটোমেটিকভাবে একটিভ হয়ে যাবে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে আয়
গুগল প্লে স্টোরে নিজের অ্যাপ পাবলিস্ট করে বর্তমানে বেশিরভাগ অ্যাপ ডেভলপার লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। আপনি যদি প্লে স্টোর এ নিজের অ্যাপ পাবলিস্ট করে করতে চান তাহলে আপনাকে সম্পূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ: ফেসবুকে টাকা আয়
কারণ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বাজারে আসছে এবং মানুষ একটা রেখে আরেক টার দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। আপনাকে এমন অ্যাপস পাবলিস্ট করতে হবে যেটি ওপর মানুষ কখনো ইন্টারেস্ট না হারায়। প্রথমে জেনে নেই অ্যাপ পাবলিস্ট করার আগে আপনার কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
অ্যাপ তৈরির উদ্দেশ্য:
আপনি অ্যাপটি কেন তৈরি করবেন এর উদ্দেশ্য কি এদিকে আপনাকে সর্বপ্রথম নজর দিতে হবে। যখন আপনি আপনার উদ্দেশ্য কি খুঁজে পেয়ে যাবেন তখন আপনাকে গ্রাহক এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী অ্যাপ তৈরি করতে হবে।
টার্গেট অডিয়েন্স:
আপনার অ্যাপ এর টার্গেট অডিয়েন্স কারা, কোন বয়সের মানুষ এবং কোন দেশে মানুষ এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে সে সম্পর্কে আপনাকে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
প্রতিযোগীদের ইনফর্মেশন:
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ মার্কেটপ্লেসে আপনার অ্যাপসের প্রতিদ্বন্দ্বী কারা এবং সেই অ্যাপগুলো সুযোগ সুবিধা গুলো কি তার থেকে বেটার কিছু আপনাকে দিতে হবে তা না হলে আপনি প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ে যাবেন।
এটাতো তো ছিল অ্যাপস তৈরি করার আগে আপনাকে কি কি দিক বিবেচনা করতে হবে তার নির্দেশনা। এবার আসুন জেনে নেই গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি কিভাবে আপনার অ্যাপস বা অন্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করবেন।
১: অ্যাপস মনিটাইজেশন:
অ্যাপস মনিটাইজেশন পেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে AdMob একাউন্ট খুলতে হবে এবং সেখানে এপ্লাই করতে হবে। আপনি যদি এপ্রোভাল পেয়ে যান তারপর আপনার অ্যাপসটিতে নির্দিষ্ট কিছু ভিডিও অ্যাড ও পপ আপ ব্যানার শো করবে। এই অ্যাড বা পপ আপ ব্যানার যদি আপনার ইউজার রা ক্লিক করে তাহলে আপনি সেই ক্লিক থেকে কিছু অর্থ আয় করতে পারবেন।
২: পারচেস:
গুগল প্লে স্টোরের বেশিরভাগ অ্যাপ ফ্রি থাকে কিন্তু কিছু বিশেষ অ্যাপ আপনাকে পারচেস করে নিতে হয়। আপনার অ্যাপটি যদি হয় পারচেজিং অ্যাপ তাহলে এর থেকে আপনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন। কিন্তু অ্যাপে নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু থাকতে হবে তা না হলে মানুষ কখনই পারচেস করবে না ।
৩: সাবস্ক্রিপশন:
বর্তমানে অনেক ধরনের ওয়েব সিরিজ অ্যাপ মার্কেটে এসেছে যাদের মাসিক সাবস্ক্রিপশন গ্রাহকদের কিনে নিতে হয়। এই অ্যাপের ডেভলপাররা প্রচুর পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মানুষের কাছ থেকে।
৪: স্পনসর্শিপ:
আপনার অ্যাপ যদি একবার গুগল প্লে স্টোরের রেংকিং করে যায় আর বড় কোম্পানির নজর আপনার অ্যাপটিতে পড়ে যায় তখন আপনি ধুমসে টাকা কামাই করতে পারবেন স্পন্সরশীপের মাধ্যমে। কারণ কোম্পানি আপনাকে তার কোম্পানির বিজ্ঞাপন গুলো আপনার অ্যাপস এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দেখাতে বলবে। এই প্রমোশনাল পারপাজ এ যে আপনি হিউজ পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৫: অ্যাফিলিয়েট:
আসলে এই বুদ্ধিটা আগে মানুষ ব্যবহার করতো না কিন্তু বর্তমানে অ্যাপের মাধ্যমে অন্য একটি অ্যাপের এফিলিয়েট লিংক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। এর ফলে গ্রাহকরা এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে আর ডেভলপার কাড়িকাড়ি টাকা গনে।
আরো দেখুনঃ কিভাবে গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করবেন?
গুগল প্লে স্টোর সমস্যা
গুগল প্লে স্টোর চালানোর সময় মাঝে মাঝে আমাদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় আপনি একটি কাঙ্খিত 1 ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন কিন্তু সেটি ইরর দেখাচ্ছে। গুগল প্লে স্টোরের সমস্যাগুলো আজ আমি আপনাদের সমাধান করে দেব।
১: ক্যাশ ক্লিন
আমরা মাঝে মাঝেই দেখতে পাই গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ থেকে আমরা কোন কিছু ডাউনলোড করতে পারছিনা এর অর্থ হল অ্যাপে ক্যাশ ক্যাচ দিয়ে ভরে গেছে। আপনি এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সেটিং-এ গিয়ে অ্যাপস অপশন টি তে যান এবং প্লে স্টোর অ্যাপটি খুঁজে বের করে ক্যাশ ক্লিন করে নিন।
২: ওয়াইফাই পারমিশন
আপনি যদি ডাটা ইউজার হন এবং হঠাৎ করে ওয়াইফাই ইউজ করা শুরু করেন। তাহলে নানা ধরনের সমস্যা ফেস করতে পারেন কারণ ওয়াইফাই এর জন্য নির্দিষ্ট পারমিশন আপনার মোবাইলে দেওয়া থাকে না। সেটিং-এ গিয়ে ডাটা সেটিং খুঁজে বের করুন এবং সেখানে ওয়াইফাই এনাবেল করে দিন।
৩: ডাউনলোড ম্যানেজারে সমস্যা:
মোবাইলে ডাউনলোড ম্যানেজার অপারেটিং সিস্টেম যদি আনএবল করা থাকে তাহলে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে ঠিকমতো কাজ করবেনা। এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য আপনাকে সেটিং নিয়ে গিয়ে অ্যাপস অপশনটিতে যেতে হবে এরপর ডাউনলোড ম্যানেজার গিয়ে আনএবল অপশনটি এনাবল করে দিতে হবে।
আশাকরি গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং গুগোল অ্যাপ এ হওয়া সমস্যা গুলোর সমাধান করা শিখে গেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ: গুগল ড্রাইভ কি?
শেষ কথা: বন্ধুরা গুগোল অ্যাপ আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে আশা করি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনার সম্পূর্ণ বুঝতে পেরে গিয়েছেন গুগোল অ্যাপ কি এবং গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খোলার নিয়ম । প্রতিদিন আপনাদের জন্য ইনফরমেটিভ আর্টিকেল নিয়ে আসি। আর্টিকেলগুলো আপনাদের যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্টে রেসপন্স করবেন যাতে আমাদের উৎসাহ আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়।
