vlxxviet mms desi xnxx

শবে বরাতের ফজিলত | শবে বরাতের রোজা কয়টি?

0
Rate this post

শবে বরাতের ফজিলত | শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য

শবেবরাত হচ্ছে মহিমান্বিত রজনী। যে রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই ও বোনেরা পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা, অনুগ্রহ এবং ক্ষমা চেয়ে থাকেন। আর এই রাতে সকল মুসলিমগণ নিজেদেরকে ইবাদতে মগ্ন রাখেন। সবাই সবার মত করে নিজের ইচ্ছে এবং সামর্থ্য অনুসারে নামাজ আদায় করেন, রোজা রাখেন, কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং সাথে বিভিন্ন ধরনের জিকির করে থাকেন।

কিন্তু 2022 সালে সকলের মনে একটি প্রশ্ন শবে বরাত কত তারিখ। তাই আজ আপনাদের জন্য আমরা এই আর্টিকেলটি নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা এখানে জানাবো শবে বরাত কবে হবে এবং শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য। যাতে করে আপনারা শবে বরাতের পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিতে পারেন। চলুন তাহলে শুরু করি আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় শবে বরাতের ফজিলত।

আরো দেখুনঃ শবে বরাত নামাজ কত রাকাত?

শবে বরাতের রোজা কয়টি?

আমরা সকলেই জানি যে, শবে বরাত এর ইবাদত বন্দেগী রাত। এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিভিন্নভাবে ইবাদত করে থাকে। নামাজ পড়ে, রোজা রেখে, দরুদ পাঠ করে, কোরআন তেলোয়াত করে ইত্যাদি ভাবে এবাদাত করা হয়।

কিন্তু সবরাতের এমন কোন আমল নেই যে এই আমলটি বাধ্যতামূলক ভাবে পালন করতেই হবে। সবরাতের নামাজের যেমন কোনো নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা নেই ঠিক তেমনি শবে বরাতের রোজার সংখ্যা নেই। তবে নামাযের মত করে আপনারা নিজেদের ইচ্ছা এবং সামর্থ্য অনুসারে রোজা পালন করতে পারেন।

শবে বরাত শাবান মাসের মধ্য দিকে আছে সেহেতু আপনারা ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ রোজা রাখতে পারেন। কারণ প্রতিমাসের এই দিনগুলি আইয়ামে বিজের রোজা। এইসকল রোজাগুলো আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ) এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতেন। আরে রোজা সমূহ সংবাদ রোজা হিসেবে গণ্য করা হয়।

শবে বরাতের ফজিলত

আর আপনারা যদি এই তিনটে রোজা রাখেন তাহলে শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তাছাড়া এই মাসের প্রথম, মধ্য এবং শেষ তারিখে রোজা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রোজা শবে কদরের আওতায় পড়ে যায়।

সুতরাং শবে বরাতের কোন নির্দিষ্ট রোজা নেই তবে আপনারা এই তিনটি রোজা রাখতে পারবেন। এতে করে আপনাদের সুন্নত এবাদত এর পরিমান হবে এবং শাবান মাসের রোজা রাখার সওয়াব পাবেন।

আরো দেখুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম.

শবে বরাত রোজার নিয়ত

শবে বরাতের রোজা কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই তবে আপনারা শাবান মাসের মধ্য তারিখ গুলোতে রোজা রাখতে পারেন। আর এই রোজাগুলো সুন্নাত হিসেবে গণ্য করা হবে। আপনারা অন্যান্য বোঝার মতো করে এই রোজার নিয়ত করতে পারেন।

শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য

শবে বরাতের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সম্পর্কে শবে বরাতের ফজিলত এবং তাৎপর্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য জানি না। আর তার জন্য আমরা আপনাদের জন্য শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছি।

কুরআনে এসেছে যে,  আমি হামিম শপথ উজ্জল কিতাবের নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি বরকতময় রাত, নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ক কারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয় এবং নির্দেশ অনুসারে আমার তরফ থেকে নিশ্চয়ই আমি দুটো পাঠিয়ে থাকি। {সূরা-৪৪ দুখান, আয়াত ১-৫}।

লাইলাতুল মুবারাকা বরকতময় রজনী বলতে শাবান মাসের পূর্ণিমা রাতকে বোঝানো হয়। আর এই রাত হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত এক বরকতময় রাত। এই রাতের ফজিলত এবং তাৎপর্য বলে বোঝানো সম্ভব নয়। কারণ এই রাত এমন একটি রাজ্যের রাতে মুমিনগণ তার সকল পাপের ক্ষমা মহান আল্লাহ তাআলার নিকট।

আপনারা শবে বরাতের রাত যত ইবাদত করবেন তত আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে। এবং মহান আল্লাহর নিকট অতীতের কাজের জন্য ক্ষমা এবং ভবিষ্যতে পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আবেদন করতে হবে। তবেই না আমরা এই রাতকে তাৎপর্যময় করে তুলতে পারব। সুতরাং এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং জিকির করা উচিত। শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস

আমরা আগেই জেনেছি যে শবে বরাতের রাত হচ্ছে এবাদতের রাত। আর এই রাত ফজিলত এবং তাৎপর্যপূর্ণ রাত। সুতরাং এই রাত সম্পর্কে হাদিস রয়েছে আমরা তা নিম্নে উল্লেখ করছি-

হযরত আলী (রা.) থেকেবর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেছেন- শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রি উপস্থিত হলে তোমরা উত্তরাতে নামাজ আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় মহান আল্লাহ পাক পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমত নাযিল করেন।

এরপর ঘোষণা করেন কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাদের ক্ষমা করে দেব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাদের রিযিক দান করব। কোন মুসিবত গ্রস্ত আর ব্যক্তি আছো? আমি তার মুসিবত দূর করে দেবো। আর ঠিক এভাবেই ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ,  মিশকাত)।

হযরত আয়েশা (রা.) বলেছেন- একরাতে রাসুল সাঃ কে দেখতে না পেয়ে খুঁজে বের হলাম। তখন খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে আমি গিয়ে দেখতে পেলাম। আর তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আয়েশা (রা.)-কে বললেন- কি ব্যাপার আয়েশা? তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তার রাসুল তোমার উপর কোন বিচার করবেন?

তখনই হযরত আয়েশা (রা.) বললেন- আমি ধারণা করেছি আপনি অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়েছেন। এরপর রাসুল (সাঃ) বললেন- যখন শাবান মাসের ১৫ তম রাত আসে তখন মহান আল্লাহ পাক প্রথম আসমানে নেমে আসেন। বান্দর আর যদি মহান আল্লাহতায়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে বনু কালব গোত্রের বকরি পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। (সুনানে তিরমিজি)।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শবে বরাত সম্পর্কে আরও বলেছেন- রজব হচ্ছে আল্লাহর মাস সাবান হচ্ছে আমার মাস আর রমজান আল্লাহর সকল বান্দাদের মাস। ( মা’সাবাতা বিস সুন্নাহ)।

ইসলাম ধর্মে যে পাঁচটি রাতে বিশেষভাবে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় তার মধ্যে শবে বরাতের রাত হচ্ছে একটি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন, নিশ্চয়ই পাচ রাত্রিতে নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে।

শবে বরাতের দোয়া

শবে বরাতে বেশি বেশি দোয়া পড়লে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। বিশেষ করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া রয়েছে এই দোয়া পাঠ করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। আর এই সকল দোয়া গুলো শুধুমাত্র যে শবে বরাতের রাতে পড়া যাবে এমন নয়। যে কোন বিশেষ রাতে এসকল তো আপনারা পাঠ করতে পারবেন।

শবে বরাতের দোয়া

ইমাম শাফি রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেছেন, আমাদের কাছে পাঁচটি রাত পৌঁছেছে। আর এই রাতগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।

আর সেই পাঁচটি বিশেষ রাত হচ্ছে-

  • রজব মাসের প্রথম রাত।
  • নিসফা শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাত।
  • ঈদুল ফিতর রাত।
  • ঈদুল আযহার এবং
  • জুম্মার রাত।

আর এই সকল বিশেষ রাতের দোয়া সমূহ নিম্নে দেয়া হল- 

শবে বরাতের দোয়া

উপসংহার: আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে শবে বরাত কত তারিখ ২০২২ এবং শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। এছাড়াও যদি আপনারা শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কিত আরো অন্যান্য তথ্য এবং আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের জানাতে পারেন। জাযাকাল্লাহ। 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex