Imei নাম্বার দিয়ে মোবাইল খুজে বের করুন
আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোন কি হারিয়ে গেছে? তাহলে আপনি আপনার স্মার্টফোনের IMEI নাম্বার দিয়ে আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে বের করুন খুব সহজে। বর্তমানে আমাদের সকলেরই কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। আর এই স্মার্টফোনে একটি গোপনীয় কোড নাম্বার রয়েছে। যাকে আমরা IMEI নাম্বার বলে থাকি। এই IMEI নাম্বার দিয়ে আমরা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল খুজে বের করে থাকি।
পৃথিবীতে যত স্মার্টফোন রয়েছে সবগুলো স্মার্টফোনের নকল বা আসল হোক যেটাই হোক সেটাই IMEI নাম্বার রয়েছে একটি ফোনের IMEI নাম্বার অন্য ফোনের সাথে কখনো মিলবে না। তাহলে এই IMEI নাম্বার দিয়ে কিভাবে মোবাইল ফোন খুঁজে বের করা যায় আমরা সে সম্পর্কে আজ বিস্তারিত জানব। আপনারা নিজেরাই IMEI নাম্বার দিয়ে মোবাইল খুজে বের করুন।
Imei নাম্বার কি?
হারিয়ে ফেলা মোবাইল ফোন খুঁজে বের করার জন্য আমরা যে IMEI নাম্বারটি ব্যবহার করব আসুন তাহলে এই IMEI নাম্বারটি আসলে কি? সেটি জেনে নিন। IMEI এমন একটি নাম্বার যে নাম্বারটি প্রতিটি স্মার্টফোনে রয়েছে আর এই নাম্বারটি একটি গোপনীয় কোড। আর এই কোডের সাহায্যে হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে বের করা যায়। এমন কি এই কোডের সাহায্যে ফোনের যত রকম ইনফরমেশন থাকে সব খুঁজে পাওয়া যায়।
IMEI হচ্ছে মূলত একটি ইংরেজি বাক্যের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ আর এই IMEI এর পূর্ণরূপ হচ্ছে International Mobile Equipment Identity.
Imei নাম্বার দিয়ে কি করা যায়
IMEI নাম্বার দিয়ে অনেক কাজ করা যায়। তার মধ্য উল্লেখ্য হলঃ
- IMEI নাম্বার দিয়ে আপনার স্মার্ট ফোন ট্রেসিং করা যাবে।
- মোবাইলের তথ্য জানা যাবে।
- আপনার মোবাইলের কল লিস্ট জানা যাবে।
- আপনার ফোনে কোন সিম ব্যবহার করছে সেই সম্পর্কিত তথ্য জানা যাবে।
Imei নাম্বার দিয়ে মোবাইল লোকেশন
IMEI নাম্বার দিয়ে আপনার মোবাইলের লোকেশন জানা যাবে। তবে এই কাজটি সাধারণ মানুষ করতে পারে না। এটি করে থাকে প্রশাসন। সাধারনত যখন মোবাইল হারিয়ে যায় তখন পুলিশ IMEI নাম্বার ব্যবহার করে মোবাইলের লোকেশন জানতে পারে।
Imei নাম্বার দিয়ে মোবাইল খুজে বের করুন
IMEI নাম্বার দিয়ে মোবাইল খুজে বের করার আগে আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বার জানতে হবে। এটি জানবেন কিভাবে? চিন্তা করবেন না এটি জানা খুব সহজ। আপনি যখনি মোবাইল কিনবেন তখন আপনার মোবাইলের সাঘে যে বক্স দিবে সেখানে আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বার দেয়া থাকবে। যদি এটি দেয়া না থাকে তাহলে ভাবনার কিছু নেই।
আপনার ব্যবহার করা মোবাইল থেকে *#০৬# নাম্বারে ডায়াল করলেই ১৫ ডিজিটের IMEI নাম্বার চলে আসবে। তারপর আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বার কপি করে নিন। এখন সেই নাম্বার যেকোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিন। গুগলে গিয়ে সার্চ অপশনে গিয়ে Imei Check BDলিখে সার্চ করুন। এরপর যে ওয়েবসাইটটি আসবে তা ওপেন করুন।
গুরুত্বপূর্ণ: FB আইডি হ্যাক করার নিয়ম
এখানে IMEI দেওয়ার জন্য একটা বক্স আছে। সেখানে আপনার ফোনের IMEI নম্বরটি পেস্ট করে দিবেন। তারপর Check এ ক্লিক করে দিবেন। এখন আপনার ব্যবহার করা যে মোবাইলের IMEI নাম্বারটি দিয়েছেন সে মোবাইলের ছবি সহ সম্পূর্ণ তথ্য দেখতে পারবেন। এখানে লক্ষণীয় যে, আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বারটি সঠিক হলে কেবল আপনি এমন তথ্য এখানে পাবেন।
আর IMEI নাম্বারটি সঠিক না হলে কোনো তথ্য দেখাবে না। তাছাড়া আপনার মোবাইল যদি নকল হয়ে থাকে তবে আপনি কোনো তথ্য পাবেন না। এছাড়াও আপনি যখন নতুন মোবাইল কিনবেন তখন এ পদ্ধতিতে IMEI চেক করে দেখতে পারেন আপনার মোবাইলের সম্পূর্ণ তথ্য। আপনি চাইলে আর একটি পদ্ধতির মাধ্যমে IMEI নাম্বার জানতে পারবেন। সেটি হচ্ছে মোবাইলের এসএমএস এর মাধ্যমে।
এসএমএস এর মাধ্যমে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে- প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপ্সহনে গিয়ে টাইপ করুন KYD<space>15 ডিজিটের IMEI নাম্বারটি লিখুন। এরপর 16002 নাম্বারে Send করুন। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে সেখানে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার মোবাইলের তথ্য বিটিআরসির কাছে আছে কিনা।
Imei নাম্বার দিয়ে মোবাইল বন্ধ করা
IMEI নাম্বার দিয়ে মোবাইল বন্ধ করা যাবে। কিন্তু এটি কোনো সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশ এই কাজটি করতে পারে। তাদের বিশেষ পদ্ধতিতে
Imei নাম্বার দিয়ে মোবাইল হ্যাক
IMEI নাম্বার দিয়ে মোবাইল হ্যাক করা যায়। এটিও সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশ এই কাজ করতে পারবে। তাছাড়া হ্যাকাররা এই কাজ করে থাকে। তবে এটি করা অবৈধ কাজ। আর এই কাজের জন্য প্রশাসন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
উপসংহার: আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বার দিয়ে মোবাইল খুজে বের করুন এবং জেনে নিন আপনার মোবাইল আসল নাকি নকল অথবা আপনার মোবাইলটি বিটিআরসি এর আওতাভুক্ত আছে নাকি। আমাদের আরটিকেটি পরলেই আপনি আপনার মোবাইলে IMEI নাম্বার দেখতে পারবেন খুব সহজে।
আশা করি আমরা আপনার সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি। এবং অবগত করতে পেরেছি যে IMEI নাম্বারের সকল তথ্যর ব্যাপারে।
