vlxxviet mms desi xnxx

ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম

0
3/5 - (2 votes)

ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম: আপনি কি ডেবিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক? ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী?

সময়ের সাথে মানুষের জীবনে ঘটেছে বেশ পরিবর্তন। একসময় মানুষ সঞ্চয়ে তেমন একটা আগ্রহ পোষণ না করলেও বর্তমানে মানুষ বেশ সচেতন। প্রিয়জনদের ভবিষতের কথা ভেবে মানুষ এখন সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়েছে। খানিকটা সঞ্চয় তাকে যেমন ভবিষ্যৎ জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করবে, ঠিক তেমনি করে ভবিষ্যতে নানা ধরণের কাজ কর‍তে সহায়তা করবে। সঞ্চয়ের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা আরো বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে দেশের বিদ্যমান ব্যাংকিং সুবিধাসমূহ। নিত্যদিনের জীবনযাত্রায় ব্যাংকের প্রদানকৃত সুবিধা মানুষকে দিয়েছে অর্থের নিরাপত্তার সুব্যবস্থা। 

ব্যাংকিং সুবিধা সমূহের এক অন্যতম নিদর্শন হলো ডেবিট কার্ড। ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম জানতে সাথেই থাকুন।

গুরুত্বপূর্ণ: ক্রেডিট কার্ড কিভাবে বানাবো

মানুষের জীবনে সংগঠিত নানা ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির আগমণে জীবন হয়ে উঠে নিষ্প্রাণ, অনেকটা ছন্দহীন। হঠাৎ করে কোন পরিস্থিতির আগমনে আমাদের প্রয়োজন পড়ে  হঅর্থের। কিন্তু আপনার কাছে যদি পূর্বে জমাকৃত কোন সঞ্চয় থেকে থাকে তাহলে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। তাই খানিকটা সঞ্চয় আপনাকে দিতে পারে আপনার ভবিষৎ জীবনের নিরাপত্তা। তাই ভবিষৎ জীবনের কাঙ্খিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঞ্চয়ের বিকল্প নেই।

ব্যাংকিং ব্যবস্থা আপনার জমাকৃত অর্থের উপর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করবে। সেই সাথে আপনার ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা মুক্ত করতে নানা ধরনের সেবা প্রদান করবে। গ্রাহকদের জন্য নিত্য নতুন সুবিধা নিয়ে হাজির হয় দেশের ব্যাংক সমূহ। ব্যাংকিং সেবার অন্যতম এক উদাহরণ হলো ডেবিট কার্ড। তাই ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলটিতে ।

ডেবিট কার্ড কি?

ডেবিট কার্ড মূলত একটি প্লাস্টিক কার্ড যা অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তির ব্যাংকের একাউন্টের জমাকৃত অর্থের বিনিময়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লেনদেনের ক্ষেত্রে যে কার্ড গ্রাহককে প্রদান করে থাকে তাকে বলা হয় ডেবিট কার্ড। ক্রেডিট কার্ডকে এক ধরণের ক্যাশ কার্ড বলা চলে। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকগণ তার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট এ জমাকৃত কিংবা ডিপোজিট কৃত অর্থের উপর ভিওি করে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে অর্থ আদান প্রদান করে থাকে।

ডেবিট কার্ডের সুবিধা 

ডেবিট কার্ড ব্যাংকিং সেবাখাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নানা মুখী সুবিধা গ্রাহকদের প্রদান করে করে থাকে এই ডেবিট কার্ড। গ্রাহকদের নানা দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতে এই কার্ড সবচেয়ে নির্ভরযোগ্যতা রাখে।কি ধরনের সুবিধা ডেবিট কার্ড প্রদান করে থাকে চলুন জেনে নেই।

  • ডেবিট কার্ড এমন একটি কার্ড যার মাধ্যমে আপনি অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো ধরণের ফি ছাড়াই আপনার লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।

  • এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে বিদ্যমান টাকার উপর নির্ভর করে কেনাকাটা করতে পারবেন।

  • ডেবিট কার্ডে আপনার যেকোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সুদ প্রযোজ্য হবে না। 

  • কোন কারণে এই কার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হয়ে গেলেও সহজে পিন ছাড়া আপনার একাউন্ট এ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবে না। এছাড়া যদি কোন কারণে কোন ব্যক্তি এই অপচেষ্টা করে তাহলে ধরা পরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেই।

এতোসব সুবিধা যদি আপনি পেতে চান তাহলে আপনি ডেবিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে সাথেই থাকুম।

ডেবিট কার্ড কিভাবে পাবো

ডেবিট কার্ড এমন একটি কার্ডে কার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ সমূহ খরচ করতে পারবেন।  যেকোনো স্থানে বসে কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই। ডেবিট কার্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ, সরল ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। আপনি আপনার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সহজে নিজের জমাকৃত অর্থ তুলতে পারবেন আপনার নিকটবর্তী এটিএম বুথ কিংবা নিকটস্থ ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে যত খুশি ততবার।

কিভাবে পাবো ডেবিট কার্ড তা জানতে হলে অনুসরণ করতে হলে নিচের নিয়মাবলি-

  • আপনি যদি ডেবিট কার্ড পেতে চান তাহলে আপনাকে আপনার নিকটবর্তী অবস্থিত যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে কিংবা ব্যাংকের এটিএম শাখায় নিয়োজিত এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

  • ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে একাউন্ট খোলার পুরো পদ্ধতিটি আপনার সামনে তুলে ধরবে।আপনি যদি সেই সুবিধা গ্রহন করতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।

  • আপনি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার পছন্দের সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান ব্যাংক একাউন্ট এর গ্রাহক সুবিধা গ্রহণ করবেন একাউন্ট খোলার মাধ্যমে।

  •  একাউন্ট খোলার ফলে আপনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়ে যাবেন বহুল কাঙ্খিত ডেবিট কার্ড।

উপরোক্ত নিয়মসমূহ অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজে পেয়ে যাবেন আপনার বহু কাঙ্খিত ডেবিট কার্ড।

ডেবিট কার্ড পাওয়ার উপায় | ডেবিট কার্ড বানাতে কি কি লাগে?

ডেবিট কার্ডের নানাবিধ সুবিধার কারণে আজ ডেবিট কার্ড সকল প্রকার মানুষ এর কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং চাহিদাবহুল একটি কার্ড। আপনি চাকুরিজীবী হউন কিংবা ছাত্র কিংবা ব্যবসায়ী নিজের অর্থকে সঞ্চয় করুন এবং প্রয়োজনে সেই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলুন ডেবিট কার্ড এর মাধ্যম।

ডেবিট কার্ড নামাবিধ সুবিধার কারণে আজকাল সকল এ সুবিধা নিতে চায় এই কার্ডটির। কিন্তু আপনি কি জানন ডেবিট কার্ড পাওয়ার উপায় সম্পর্কে? জেনে না থাকলে চলুন জেনে নেই ডেবিট কার্ড পাওয়ায় উপায় সম্পর্কে-

  • আপনি যদি ডেবিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনাকে সবার আগে আপনার পছন্দের যেকোনো ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।

  • ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি ফর্ম দেবে। একাউন্ট তৈরী করতে সেই ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে আপনাকে।

  • ফরমটি পূরণের জন্য আপনার কিছু ব্যক্তিগত তথ্যের প্রয়োজন হবে তা হলো-

  1. আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন/ড্রাইভিং লাইসেন্স। 
  2. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। -আয়ের উৎসের কাগজ। 
  3. নমিনি।
  4. নমিনির ছবি। 
  5. নমিনির স্বাক্ষর।
  6. ব্যাংক হিসাব খোলার টাকা।
  • আপনি ফর্ম পুরুণের সাথে সাথে এজেন্ট আপনার দেয়া তথ্যসমূহ যাচাই করে নিবে।

  • যাচাই করে আপনার জন্য একটি নতুন ব্যাংক হিসাব কিংবা একাউন্ট খুলবে।

  • একাউন্ট খোলার সাথে সাথে আপনাকে দেওয়া হবে অপার বহু কাংঙ্খিত ডেবিট কার্ড।

  • আপন ব্যাংকের টাকা জমার উপর এই  কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। একাউন্ট টাকা জমা না থাকলে আপনি এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না।

ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম 

ডেবিট কার্ড এর বহুমুখী সুবিধার কারণে আজকাল সকলে ডেবিট কার্ড সুবিধা গ্রহণ করতে চান। সসরকারি ২৩ টি ব্যাংক এবং বেসরকারি ২১ টি ব্যাংক গ্রাহকদের এই ডেবিট কার্ড সুবিধা প্রদান করে থাক। উপরের উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে আপনি খুব সহজে পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত ডেবিট কার্ড।

ডেবিট কার্ড পেয়ে গেলে ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে-

  • প্রথমে আপনাকে আপনার ডেবিট কার্ডটি সাথে নিয়ে যেতে হবে আপনার নিকটবর্তী যেকোনো এটিএম বুথে।

  • এটিএম বুথে আপনাকে আপনার ডেবিট কার্ড পাঞ্চ করতে হবে।

  • তারপর অপশন আসবে প্রথম আপনার একাউন্ট এর নাম্বার, টাকার এমাউন্ট দিয়ে ক্লিক করবেন।

  • সবশেষ এ আপনার ডেবিট কার্ড এর পিন নাম্বার দিলে আপনি আপনার টাকা পেয়ে যাবেন।

এভাবে খুব সহজে ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম অনুসরণ করে আপনি আপনার একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। মনে রাখবেন যতক্ষণ একাউন্ট এ টাকা থাকবে আপনি ততক্ষণ ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম অনুসরণ করে টাকা তুলরে পারবেন।অন্যথায় আপনি টাকা তুলতে পারবেন না।

ডেবিট কার্ড একটিভ করার নিয়ম

ব্যক্তিগত একটি ডেবিট কার্ড থাকা খুবই ভালো যদি কেউ রাখতে পারে কারণ প্রয়োজনের সময় হাতে টাকা না থাকলেও এই কার্ডের মাধ্যমে যে কোন জায়গা থেকে টাকা তুলে নিজের কাজ সেরে ফেলাা যাবে। হাতে নতুন একটি ডেবিট কার্ড পাওয়ার পর সেটিকে প্রথমে সক্রিয় করতে হয় না হলে তা কাজ করে না। প্রথমবার একটি ডেবিট কার্ড কিভাবে সক্রিয় করতে হয় তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ একবার অসচেতনতার সাথে কোন ভুল হয়ে গেলে তা আপনার বিড়াম্বনার কারণ হতে পারে।

এটিএমের মাধ্যমে অনলাইনে এবং অফলাইনে ডেবিট কার্ড সক্রিয় করা সম্ভব। এই দুটি স্বতন্ত্র পদ্ধতি যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে হয়। ডেবিট কার্ডটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সক্রিয় করতে হবে, অন্যথায় ব্যাংকের দেয়া পিন নম্বরটি অবৈধ হয়ে গেলে, ডেবিট কার্ড শুধুমাত্র ফোন ব্যাকিং বা স্বশরীরে ব্যাংকে গিয়ে তা সক্রিয় করতে হবে। তাই এ সমস্ত ঝামেলা এড়াতে আপনার অবশ্যই জানা উচিত কিভাবে একটি ডেভিট কার্ড সক্রিয় করতে হয়। যেভাবে আপনি আপনার ডেভিট কার্ডটি সক্রিয় করবেন তার নিয়মাবলী তুলে ধরা হলো ধারাবাহিকভাবে:

  • একবার ব্যাংক থেকে আপনার ডেবিট কার্ডের স্বাগতম কিটটি পেয়ে গেলে, ডেবিট কার্ডের সাথে, একটি সিল করা খামে দেওয়া একটি এটিএম পিন দেয়া থাকবে।
  • এটিএমে গিয়ে আপনার ডেবিট কার্ডটি প্রবেশ করান এবং কিটে থাকা এটিএম পিনটি দিন।
  • পিনটি প্রবেশ করালে আপনাকে আপনার এটিএম পিন পরিবর্তন করতে বলা হবে।
  • এবার আপনার এটিএম পিন পরিবর্তন করুন এবং নিয়মিত লেনদেনের জন্য এখন থেকে কার্ডটি ব্যবহার করুন।

অনলাইনের মাধ্যমেও আপনি আপনার ডেবিট কার্ডটিকে একটিভ করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে:

  • প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অলনাইলন পোর্টালে লগইন করুন।
  • লগইন করার পর “ডেবিট কার্ড” বিভাগে যান। সেখানে আপনি কার্ডের জন্য কিভাবে এটিএম পিন তৈরি করতে হবে তার নির্দেশাবলী দেয়া থাকবে। উল্লেখিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করে একটি এটিএম পিন তৈরি করুন।
  • পিন তৈরি করা হয়ে গেলে আপনার ডেবিট কার্ডটি অনলাইনে সক্রিয় হয়ে যাবে।

ডেবিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

একটি ডেবিট কার্ড আপনার পকেটে থাকা মানে একটি ব্যাংকিং সেবাই আপনার পকেটে রাখার মতো। কারণ ব্যাংকের মাধ্যমে যেমন আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবে ঠিক তেমনি আপনি যেখানেই থাকুন না কেন কার্ডের মাধ্যমে সাথে সাথে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু এই ডেবিট কার্ড ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেই নিয়মগুলো আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে একজন ব্যবহারকারী হিসেবে।

ডেবিট কার্ডে প্রথমে আপনাকে টাকা জমা করতে হবে। আপনার কার্ডে বা একাউন্টে যে পরিমাণ টাকা থাকবে তার বেশি টাকা আপনি খরচ করতে পারবেন না। কার্ডে টাকা থাকা মানে তা আপনি ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে খরচ করতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনার কার্ড বা একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা আছে তার মানে আপনি এই ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না।

আপনি যে পরিমাণ ক্যাশ উইথড্রো বা পেমেন্ট করবেন তা মূলত আপনার মূল একাউন্ট থেকেই কেটে নেওয়া হবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনার মূল একাউন্টের টাকাই আপনি প্রয়োজনের সময় ইলেকট্রনিক পেমেন্টে সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন। এই জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার সাথে সাথে একটি ডেবিট কার্ডও ইস্যু করে দেওয়া হয়।

সাধারণত ডেবিট কার্ড আপনি দেশের বাহিরে ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু কিছু শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংক আপনাকে ডেবিট কার্ড বাইরের দেশেও ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারে। তবে সেটা সম্পূর্ণরূপে ব্যাংকের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে ইন্টারন্যাশনালি কার্ড ব্যবহারের অনুমতি দিলেও আপনার ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়বে।

ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম FAQ

১. প্রিপেইড কার্ড কি?

প্রিপেইড মানে যেখানে আগেই টাকা লোড করতে হয় বা করা হয়। তাই শুধুমাত্র লোড করা টাকাই প্রয়োজনের সময় ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারেন।

২. এটিএ, কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের মধ্যে পার্থক কী?

এটিএম কার্ড: এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন ছাড়া অন্য কোন লেনদেন সম্ভব নয়।

ডেবিট কার্ড: ডেবিট কার্ড হলো মাল্টিফাংশনাল কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি বিল পেমেন্ট, ফেসবুক বুস্ট পারচেজ করা, ফরেইন ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করা,  যে কোন পণ্য পারচেজ ইত্যাদি করতে পারবেন।

৩. এক ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দিয়ে কি অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়?

হ্যাঁ, তোলা যায়। যে কোন ব্যাংকের ডেবিট বা এটিএম কার্ড দিয়ে আপনি যে কোন ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে কত লিমিট থাকবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে তা ব্যাংক ঠিক করবে।

৪. এটিএম কার্ড দিয়ে কি ক্রেডিট কার্ডের কাজ করা যায়?

ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড দিয়ে ক্রেডিট কার্ডের সকল কাজ করা সম্ভব। তবে আপনি বিদেশ থেকে ডলারে কেনাকেটা, অনলাইন পারচেজ, সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন না।

৫. ডেবিট কার্ড দিয়ে সর্বনিম্ন কত টাকা উত্তোলন করা যায়?

এটিএম মেশিনে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট থাকে। তাই সচরাচর আপনি ৫০০ এর গুণক যে কোন পরিমাণ টাকা এটিএম মেশিন থেকে তুলতে পারবেন। মেশিন থেকে একবারে সর্বনিম্ন ৫০০ এবং সর্ব্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা উত্তোলন করা যায়। একদিনের মধ্যে সর্ব্বোাচ্চ ৫০,০০০ টাকা এটিএম থেকে তোলা যায়।

৬. ডেবিট কার্ড কত প্রকার?

বর্তমানে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনেরর জন্য তিনটি ব্যবস্থা রয়েছে। প্রক্রিয়া গুলো হলো:

  • অনলাইন ডেবিট বা পিন ডেবিট কার্ড।
  • অফলােইন ডেবিট বা স্বাক্ষর ডেবিট কার্ড।
  • বৈদ্যুতিক পার্স কার্ড সিস্টেম।

৭. ডেবিট কার্ড কি শুধুমাত্র কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করেও অনলাইনে ব্যবহার করা যায়?

হ্যাঁ, শুধুমাত্র ডেবিট কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করেই অনলাইনে কার্ড ব্যবহার করা যায়। বিশেষ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কার্ডের পিন নাম্বার ব্যবহারেরও প্রয়োজন হতে পারে।

উপসংহার: ডেবিট কার্ড আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যাশবিহীন চলাচলের ক্ষেত্রে মানুষকে অর্থের নিরাপত্তা প্রদান করেছে এই ডেবিট কার্ড। তাই একটি ডেবিট কার্ড সকলের প্রত্যাহিক জীবনে নিত্যসঙ্গী। আপনি যদি ডেবিট কার্ড সুবিধা নিতে চাইলে আজকের পোস্ট অনুসরণ করে জেনে নিতে পারেন ডেবিট কার্ড খোলার নিয়ম সম্পর্কে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

sex videos
pornvideos
xxx sex